Tag Archives: RG Kar Hospital

Sandeep Ghosh Wife: চোখ ঢাকা সানগ্লাসে, মুখে মাস্ক, কেউ যাতে চিনে না ফেলে, এদিকে গলায় চিৎকারের সুর, ‘কী হচ্ছে, বুঝতে পারছেন…’ বিস্ফোরক সন্দীপের স্ত্রী!

Sandeep Ghosh Wife: মুখে মাস্ক পরে, শাড়ির আঁচলে মাথা পুরো ঢেকে, চোখ ঢাকা সানগ্লাস পরে আসেন সন্দীপের স্ত্রী। CBI – ED র সাঁরাশি চাপে সন্দীপ ঘোষ। এবার আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে ইডি তল্লাশি। আজ সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বাড়ি তালা বন্ধ থাকায় বাইরেই অপেক্ষা ED আধিকারিকদের। প্রায় তিন ঘণ্টা পর তালা খোলেন সন্দীপের স্ত্রী। তারপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।

সাংবাদিকদের বারংবার প্রশ্নের মুখে ফেটে পড়েন সঙ্গীতা। স্পষ্ট বলেন, “সব মিথ্যা! প্রমাণ হওয়ার আগে কাউকে ভিলেন বানিয়ে দেবেন না।” বার বার বলতে থাকেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা। কাগজ কিছু পাওয়া যায়নি। কিছু পাবেও না। আমার স্বামী কিছু করেননি।” প্রসঙ্গত, আরজি কর দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সকাল থেকেই ময়দানে ইডি। সাতসকালে ইডির বাহিনী পৌঁছে যায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। সিবিআই এফআইআর করার পরে ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে এদিন সকাল ৬ঃ২৫ মিনিটে পৌঁছয় ইডি টিম। এই সময়ে বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে ইডি আধিকারিকরা বেরিয়ে গাড়িতে বসে অপেক্ষা করতে শুরু করেন। যদিও বাহিনী মোতায়েন ছিল বাড়ির বাইরে। দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch Bangla news video )

Sanjay Roy-RG Kar Case: শুনানিতে উপস্থিতই নেই আইনজীবী, সিবিআইয়ের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ বিচারক! ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে সঞ্জয়

কলকাতা: ফের জেল হেফাজতে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার সঞ্জয় রায়। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় রায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তবে, এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকায় তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন শিয়ালদহ এসিজেএম। এদিন ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয় বিকেল ৪.১০ মিনিটে। শুরুতেই সঞ্জয়ের তরফে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।

এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসারের খোঁজ করেন বিচারক। কিন্তু অ্যাসিস্ট্যান্ট আইও আদালতে থাকলেও সিবিআইয়ের আইনজীবী সে সময় অনুপস্থিত ছিলেন। বিচারক সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ”আপনাদের আইনজীবী কোথায়?” সিবিআই অফিসার উত্তর দেন, ”আসছেন।” বিচারক পাল্টা বলেন, ”ফোন করুন।” এরপরই সিবিআই অফিসার কোর্ট রুমের বাইরে চলে যান। একটু পরে ফিরে আসেন। জানান, পিপি আসছেন। রাস্তায় আছেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য বিরাট সুসংবাদ! পুজোর আগেই বড় ঘোষণা, বহু শিক্ষকের চিন্তা শেষ

শুনেই উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, ”সাড়ে চারটে বেজে গেছে, এখনও আসছে! তাহলে কি এই কেসে বেল দিয়ে দেব? সিবিআইয়ের তরফে এটা চরম গড়িমসি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১০ মিনিট সময় দিচ্ছি ডেকে আনুন।” এর কিছুক্ষণ পরে আসেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এরপর শুনানি শেষে সঞ্জয় রায়কে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

সিবিআইয়ের এই ভূমিকার পরই তীব্র আক্রমণে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ২৪ দিন অপেক্ষার পর, আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে আজ তোলা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু কোথায় তদন্তকারী অফিসার? কোথায় সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ কর্তারা? কোথাও দেখা যায়নি তাঁদের।

RG Kar Issue: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবি, এবার ধরনায় মৃত আনিস খানের বাবা, অনুমতি দিল হাইকোর্ট

কলকাতা: সন্তানহারা পরিবারে পাশে আরেক সন্তানহারা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধরনায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহত আনিস খানের বাবা সালেম খান। শ্যামবাজারে ধরনা অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে হাজির হন আনিসের বাবা। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া মেলে। শুক্রবার আদালত ধরনার অনুমতি দিল।

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরনার অনুমতি দিল আদালত। তবে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধরনা চালাতে পারবেন। ১২ ফুট বাই ১৫ ফুট স্টেজ বানানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। ৩০০ লোক নিয়ে অবস্থানে বসতে পারবেন সালেম খান। মানতে হবে শব্দবিধি।

হুগলির ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। আনিসের পরিবার অভিযোগ করেছিল, খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে। যদিও রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার্জশিটে জানানো হয়, হত্যা নয়, পুলিশের অভিযানের পর ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতার।

Sandip Ghosh ED: শ্বশুরবাড়িতে কী এমন রেখেছেন সন্দীপ ঘোষ? সকাল-সকাল হানা দিল ইডি!

হুগলি: শুক্রবার সাত সকালে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে ইডির হানা। সূত্রের খবর মারফত জানা যায়, পাদ্রী পাড়ার বিবেকানন্দ সরণিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি। এই বাড়িতেই সাতসকালে ইডির আধিকারিকেরা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের নিয়ে হানা দেয়।

তবে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখেন দরজায় তালা বন্ধ ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে কেউ থাকে না, তালা বন্ধই থাকে বেশিরভাগ সময়। সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরের নাম রামকৃষ্ণ দাস। তবে বর্তমানে এই বাড়িতে তাঁরা থাকেন না বলেই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

আরও পড়ুন: বাড়িতে গণেশ পুজো করবেন? সিদ্ধিদাতার ভোগে এগুলি রাখতেই হবে! জেনে নিন পুরোহিতের মত

আর সেই কারণেই তালা বন্ধ দেখে ফিরে যান ইডির আধিকারিকেরা।এরপর বৈদ্যবাটি নার্সারি রোডে কুণাল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই শঙ্করপল্লিতে কুণাল রায়ের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে দরজা খোলেন তিনি। দীর্ঘ সময় তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সন্দীপের সঙ্গে এত খাতির! এমন এক ব্যক্তিকে ধরেছে সিবিআই, যার কাণ্ডকারখানা চোখ কপালে তুলে দেবে

স্থানীয় এক বাসিন্দা সুব্রত বিশ্বাস জানান, সকালবেলা আনুমানিক সাড়ে ছ’টা নাগাদ দেখলাম এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লোকজনেরা এসেছিলেন। অনেক ভিড় ছিল আমরা কাছে গিয়ে দেখতে পারিনি। এরপর তাঁরা তালা বন্ধ দেখে ফিরে যান। তিনি আরও জানান, এটিই সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি তবে বর্তমানে পাঁচ ছয় বছর হয়ে গেল এই বাড়িতে কেউ আর থাকেন না।

Mainak Debnath

Sandip Ghosh Close Doctor: সন্দীপের ‘সব’ নাকি দেখতেন…! ইডির আতশ কাচের তলায় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ‘বিশ্বস্ত’ চিকিৎসক! কে তিনি?

কলকাতা: ইডির র্যাদারে এবার সন্দীপ ঘোষ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের মানিটারি ট্রানসাকশান বা আর্থিক লেনদেন দেখতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ এক বিশ্বস্ত চিকিৎসক! হাসপাতালে তৎকালীন সময়ে এক বিশেষ পদে থাকা ওই চিকিৎসক দিনের পর দিন সন্দীপ ঘোষের কার্যকলাপের মানিটারি ট্রানসাকশান দেখতেন বলে অভিযোগ, ইডির।

কত টাকা? কী ভাবে লেনদেন? বেআইনি বরাতের সিন্ডিকেট থেকে কত কোটি টাকার লেনদেন? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। অভিযোগকারী আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আজকের সকাল থেকে সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে ইডির গোয়েন্দাদের। একইসঙ্গে একের পর এক সন্দীপ ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও হানা দেয় ইডির টিম। সন্দীপ ঘোষের ব্যাঙ্কিং লেনদেন, অ্যাকাউন্ট, আইটি রিটার্ন সব নথি দেখতে চাইছে ইডি।

আরও পড়ুন: মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস, মাথা আঁচলে ঢাকা…! ইডিকে তালা খুলে দিয়েই বিস্ফোরক সন্দীপের স্ত্রী! কী বললেন সঙ্গীতা?

৩ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার পর এদিন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে ঢুকতে পারে ইডির তদন্তকারী দল। সকাল সকাল ইডির টিম পৌঁছলেও বাড়ির বিরাট কালো গেটে ঝুলছিল বড়সড় তালা। এরপর লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় ইডির টিমকে। গাড়িতেই অপেক্ষা করছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। বাড়ির গেটের বাইরে মোতায়েন ছিল সিআরপিএফ। অবশেষে চাবি নিয়ে আসেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। ইডিকে গেট খুলে দেন সঙ্গীতা ঘোষ।

Dengue Control Mission: বাড়ছে ডেঙ্গি, কিন্তু কোথায় চিকিৎসক? কর্মবিরতিতে বেহাল পরিষেবা সামাল দিতে ডাকলেন মুখ্য সচিব

কলকাতা:  আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে লাগাতার কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। সেই পরিস্থিতির সামাল দিতে বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। কী ভাবে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবার হাল ফেরানো যায়, সে নিয়েই জরুরি বৈঠক।

বর্ষায় প্রকট হয়েছে ডেঙ্গির উপদ্রব। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম নয়। সেই পরিস্থিতি নিয়েও বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব, খবর নবান্ন সূত্রে। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠক।

আরও পড়ুন- তিরিশেই বয়সের ছাপ মুখে? এই ১ সবজি নিংড়ে নেবে বার্ধক্য! ঝকঝকে ত্বকে ফিরবে আত্মবিশ্বাস

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরাও। জলপাইগুড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মুখ্য সচিব।

ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে কী কী করণীয়, তা নিয়েও নির্দেশ দেবেন মুখ্য সচিব।

তবে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে থাকায় কী ভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এ সব সামাল দিতেই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্য সচিব।

অন্য দিকে, আরজি কর দুর্নীতি মামলায় এবার ময়দানে ইডি। সিবিআই এফআইআর করার পরে ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুর্নীতি মামলায় এবার তল্লাশির জন্য শুক্রবার সকাল সকাল সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে গেল ইডির টিম।

সূত্রের খবর সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে পৌঁছয় ইডি টিম। এই সময়ে বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে ইডি আধিকারিকরা বেরিয়ে যান। যদিও বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বাড়ির বাইরে।

Kolkata Police: আরজি কর কাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে তাঁর ভূমিকা, ‘অসুস্থ’ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি টালা থানা ওসি! দায়িত্বে নতুন অফিসার

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বারবার উঠে এসেছে টালা থানার ওসি-র নাম। তদন্তের স্বার্থে সিবিআইয়ের কাছে বারবার গিয়েওছেন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এবার সেই তিনিই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতারাতি টালা থানায় নতুন ওসি নিয়োগ করল লালবাজার। সূত্রের খবর, শ্যামপুকুর থানার অতিরিক্ত ওসি মলয় দত্তকে টালা থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মলয়বাবুর দায়িত্ব নেওয়ার কথা।

আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে টালা থানার ভূমিকা। অভিযোগ উঠছে, ঘটনা নিয়ে তেমন সদর্থক কোনও ভূমিকাই পালন করেনি টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এমনকী আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আগেও টালায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: আরজি কর আবহেই বিশ্বভারতীতে ভয়ঙ্কর ঘটনা! হস্টেলে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, কী ঘটল জানেন?

এমনকী নাম কে ওয়াস্তে তদন্ত করে অভিযুক্তদের ক্লিনচিট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির তদন্তেও শুরু করেছে সিবিআই। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার অসুস্থ পড়েন তিনি।

সূত্রের খবর, ,তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু কোনও হাসপাতালেই দীর্ঘক্ষণ ভর্তি হতে পারেননি তিনি। অবশেষে রাত ৯টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর উদ্বেগ ও ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এরপরই শ্যামপুকুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি মলয় দত্তকে টালা থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

RG Kar CBI Update: সন্দীপের সঙ্গে এত খাতির! এমন এক ব্যক্তিকে ধরেছে সিবিআই, যার কাণ্ডকারখানা চোখ কপালে তুলে দেবে

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়। হাসপাতালের বিভিন্ন টেন্ডারে অংশ নিতেও ধৃত সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ হাওড়ার ব্যবসায়ী বিপ্লব সিংহের কারসাজি ছিল বলে তদন্তে দাবি সিবিআইয়ের। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের টেন্ডারে অংশ নিতে খাতায় কলমে একাধিক সংস্থা খুলেছিলেন বিপ্লব সিং।

সিবিআইয়ের দাবি, নিজেদের বন্ধু-আত্মীয় পরিজনদের নামে সংস্থা খুললেও আদতে সংস্থাগুলো পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রণ করতেন বিপ্লব সিং। টেন্ডার নিজের কাছে রাখতেই ওই সংস্থার নাম করে বিডে অংশ নিতেন বিপ্লব। মা তারা ট্রেডার্সের নামে বরাত পেলেও বাবা লোকনাথ ও তিয়াশা এন্টারপ্রাইজের নামে দরপত্র ভরতেন এই বিপ্লব।

বিপ্লব সিংয়ের বাড়ি
বিপ্লব সিংয়ের বাড়ি

আরও পড়ুন: চাল-ডালে পোকা ধরেছে? কৌটোয় রাখুন এই ‘একটা’ জিনিস! পোকার বংশ থাকবে না

সিবিআইয়ের দাবি, মা তারা টেডার্সের সঙ্গে আরজি করের চুক্তি স্বচ্ছ নয়। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তালিকায় রয়েছেন বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা ও নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলি। গোয়েন্দাদের দাবি, আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের মূল মাথা সন্দীপ ঘোষ। আর আইনজীবীর সওয়াল, আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে তাঁদেরকে দীর্ঘ জেরা করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ‘গ্লাস স্কিন’ পেতে এই এক কাপ জল, কী রয়েছে এতে? জানুন বিউটিশিয়ানের ম্যাজিক টিপস

আইনজীবীর সওয়াল, আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে তাঁদেরকে দীর্ঘ জেরা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সন্দীপ ঘোষকে। সেই জেরাতে আরও নতুন জট খুলতে পারে। তদন্তে নতুন কোনও দিশা খুলতে পারে। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও দাবি করেন, ধৃত তিনজনের মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। সেটা সামনে আসা দরকার। সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত তিনি নিজেই করতেন বলে সিবিআই আদালতে দাবি করেছেন।

অমিত সরকার

RG Kar Case: সন্দীপের নির্দেশেই সেমিনার হলের পাশে সংস্কার! সব তথ্য ফাঁস, দেখুন

খুনের পরেই দেওয়াল ভাঙায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ। এবার সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নয়ই অগাস্ট Seminar Hall এ চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। তার পরের দিনই পাশের ডক্টরস রুম সংলগ্ন শৌচাগার সংস্কারের নির্দেশিকা তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। প্রকাশ্যে তাঁর সই করা নথি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ১০ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সব বিভাগের অন ডিউটি ডক্টরস রুম এবং তার সংলগ্ন শৌচাগার সংস্কার, পুনঃনির্মাণের জন্য পি ডব্লিউ ডি-র সিভিলকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার জন্য তৎকালীন প্রিন্সিপাল ডক্টর সন্দীপ ঘোষ নির্দেশ দেন। আর এতেই জোরালো হয়েছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও।

Sagar Dutta Hospital: আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই সাগর দত্তে ধুন্ধুমার! অভিযুক্ত সেই বিরূপাক্ষ অনুগামীরাই?

কলকাতা: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার৷ ভাঙচুর করা হল হাসপাতালের একাংশ৷ এ দিন হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে অধ্যক্ষের বৈঠকের মাঝেই এই ঘটনা ঘটে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷

ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালীন৷ হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়েই অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন হাসপাতালের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ বৈঠকে হাসপাতালের অন্যান্য রেসিডেন্ট চিকিৎসক সহ হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরাও৷ হাসপাতালে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের র‍্যাগিং, হুমকির মতো ঘটনা বন্ধ করারও দাবি জানানো হয় বৈঠকে৷ অধ্যক্ষের ঘরের পাশে সেমিনার রুমেই এই বৈঠক চলছিল৷

অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই সেমিনার রুমে হাজির হন একদল চিকিৎসক৷ অধ্যক্ষকে শিক্ষক দিবসের জন্য ফুল দেওয়া হবে বলে সেমিনার রুমে ঢুকে পড়েন তাঁরা৷ এমন কি, এই অছিলায় ওই চিকিৎসকরা বৈঠকে যুক্ত হতে চান বলে অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের৷ তাঁদের দাবি, মিটিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়তে চাওয়া ওই চিকিৎসকরা আরজি কর কাণ্ডের পর বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ৷

আরও পড়ুন: সাসপেন্ড বিরূপাক্ষ, অভীক! বিতর্কিত দুই চিকিৎসককে কড়া শাস্তি স্বাস্থ্য দফতরের

হাসপাতাল চত্বরে জুনিয়র চিকিৎসক, পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷ অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকরা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের৷

হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্য পক্ষের আবার দাবি, প্রতি বছরের মতো এবারেও শিক্ষক দিবসের উদযাপন করেছেন তাঁরা৷ তারই অংশ হিসেবে হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ফুল এবং মিষ্টি দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ এর পরেই ঘরে ঢোকা নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়৷ ধাক্কাধাক্কিতে ভাঙে ঘরের দরজার কাচ৷

সহ প্রতিবেদন- সুবীর দে