Tag Archives: RG Kar
Kanchan Mullick on RG Kar Case: ‘ক্ষমাটুকু ভিক্ষা চাইব’! চূড়ান্ত কটাক্ষ-ধিক্কার সয়ে অবশেষে ভুল স্বীকার কাঞ্চনের
কলকাতা: প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার। চারদিক থেকে ধেয়ে আসা কটাক্ষ কুড়িয়ে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান তিনি। তাঁদের উদ্দেশ্যে শ্লেষ্মাত্মক প্রশ্ন ছুড়ে জানতে চেয়েছিলেন, প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসকরা মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর আগে বোনাস হাত পেতে নেবেন তো? তার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে চিকিৎসক মহল, সাধারণ মানুষ থেকে টলিউডের একাংশ। চলতে থাকে ট্রোল, কটাক্ষ, সমালোচনা। চাপের মুখে পড়ে অবশেষে নতিস্বীকার কাঞ্চনের।
ফেসবুকে একটি ভিডিও করে নিজের বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূল বিধায়ক। শোকাতুর কণ্ঠে বলেন, “গতকাল ধর্নামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা অত্যন্ত সমালোচিত হয়। সেই কারণেই এই ভিডিওটি করছি। আপনাদের জানাই, আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।”
কাঞ্চন জানান, কোনও সাফাই দেওয়ার জন্য ভিডিওটি তিনি করেননি। বরং নিজের ভুল শুধরে নেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য। চিকিৎসকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁদের অবদান এবং গুরুত্ব নিয়ে নির্দ্বিধায় বিস্তারিত আলোচনা করেন অভিনেতা-বিধায়ক। নিজের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমারও বাড়িতে স্ত্রী আছেন, সন্তান আছে। একজন অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ আছেন। যাঁর চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পড়ে। আমি জানি আমার কাছে ডাক্তারের গুরুত্ব কতটা। কাঞ্চন এও জানান যে, বিভিন্ন মানুষ সাহায্য চেয়ে তাঁর দ্বারস্থ হলে, তিনি চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দেন।
আন্দোলনরত চিকিৎসদের নিয়ে করা মন্তব্যটি যে নিছকই তাঁর ধৈর্যচ্যুতির ফল, তা বোঝাতেও কোনও ত্রুটি রাখেননি তৃণমূল বিধায়ক। সেই ভিডিওতেই তিনি জানান, তাঁর ভাইয়ের মতো এক বন্ধুর মায়ের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। সেই ব্যক্তি পরিষেবা চেয়ে কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু অভিনেতা জানান, চিকিৎসকদের ধর্মঘট থাকায় তাঁর বন্ধুর মাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। সেই ঘটনার পরেই নাকি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন কাঞ্চন।
আরও পড়ুন: নায়ক হওয়া হল না! ৫৪০ ছবি, ৫৮১ কোটির সম্পত্তি! ছবিতে খুদে ছেলেটি কে বলুন তো
অভিনেতা জানান, বাকি সকলের মতো তিনিও চান, দোষীরা ধরা পড়ুক এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আন্দোলন এবং আন্দোলনকারীদের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন আছে। আরও একবার তিনি বলেন, “ক্ষমার থেকে বড় জিনিস হয় না। সেই ক্ষমাটুকু আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইব।”
Aparajita Bill: ধর্ষকদের দ্রুত সাজা, আজই বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ বিল নিয়ে আলোচনা
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসককে সম্মান জানিয়ে এই নামকরণ বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মঙ্গলবার বিলটি পেশ হওয়ার কথা বিধানসভায়।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে তার কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। চটজলদি বিচারের জন্য শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা যোগ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য। তাই বেশ কিছু বিধি যোগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন– রাশিফল ৩ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
দ্রুত বিচারের বিধান। ডেডিকেটেড বিশেষ আদালত। ডেডিকেটেড তদন্তকারী দল। এই তদন্তকারী দলকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ন্যূনতম সাতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে। এটা আগে ছিল নূন্যতম এক মাস। যেখানে মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল। সেটা সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে করতে বলা হল। মূল আইনে কোনও থানায় ঘটনা নথিভুক্ত করার পর সেটা দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা ছিল। সেটা ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে সংশোধনীতে আছে। যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় ২১ দিনে তদন্ত শেষ করতে পারছে না। সেটা ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় দিতে পারবে। তবে সেটি জেলা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে।
*ধর্ষণে শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা অথবা মৃত্যুদণ্ড*
*গণধর্ষণের ক্ষেত্রে জরিমানা ও আমৃত্যু কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড*
*ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি, ধর্ষণকারীর দ্বারা আঘাতের কারণে মৃত্যু হলে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা।*
*কোমায় চলে গেলে এখানেও মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা।*
*সব মামলা হবে জামিন অযোগ্য ধারায়।*
নতুন বিলে মহিলা, শিশুদের সুরক্ষায় তৈরি হবে ‘অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স’। জেলায় জেলায় এই টাস্ক ফোর্স কাজ করবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক, মহিলা আধিকারিককে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করলে ৩ থেকে ৫ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে নতুন বিলে। তবে এই মামলা জামিনযোগ্য। মঙ্গলবারই এই বিল নিয়ে আলোচনা হবে বিধানসভায়। বিজেপির পরিষদীয় দলেরও সেই আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ‘অপরাজিতা’ বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর, সেটি আইনে পরিণত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে।
২৮ অগাস্ট মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ধর্ষণ রুখতে কঠোর আইনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, “ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি। আর কিছু নয়।” সেই মঞ্চ থেকেই তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য বিধানসভায় ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে বিল নিয়ে আসবে রাজ্য। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তিনি সংসদে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনবেন।
Lalbazaar Abhijan রাত ৩:৪৫, হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত ধরলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা! তড়িঘড়ি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মীরা
কলকাতা: ব্যারিকেডের একপাশে রাস্তায় বসে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আর ব্যারিকেডের ওপারে চেয়ারে বসে পুলিশকর্মীরা৷ সোমবার দুপুরের পর থেকে এটাই ছিল লালবাজারের অদূরে ফিয়ার্স লেনের সামনে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ছবি৷
নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে রাতভর রাস্তাতেই বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ চলছিল স্লোগান, গান৷ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হওয়ায় পুলিশকর্মীরাও চেয়ারে খানিক নিশ্চিন্ত হয়েই বসেছিলেন৷ আচমকাই ভোররাত পৌনে চারটে নাগাদ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ জাতীয় সঙ্গীত শুনে তড়িঘড়ি উঠে দাঁড়ান চেয়ারে বসে থাকা পুলিশকর্মীরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের সূত্রে অবশ্য খবর, পুুলিশকর্মীদের চেয়ার ছেড়ে দাঁড় করাতেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷
যদিও জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে কযর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জলের বোতল, বিস্কুট দেওয়া হয়৷ যদিও সেসব ফিরিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা
আরও পড়ুন: অভিজিৎকে গো ব্যাক স্লোগান জুনিয়র চিকিৎসকদের, ফিরে যেতে বাধ্য হলেন বিজেপি সাংসদ
তবে জাতীয় সঙ্গীতের আগে অবশ্য অন্য গানও ধরেন বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ লালবাজারের অদূরে দাঁড়িয়েই সমস্বরে ‘পুলিশ চোরের প্রেমে পড়েছে’, এমন গানও গাইতে শোনা যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের৷
সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিকে নিজেদের নৈতিক জয় বলে মেনে নিলেও নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ নিজেদের ঘোষণা মতো সোমবার সারারাত বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের উপরে লালবাজারগামী রাস্তায় বসে থাকেন তাঁরা৷ রাতেই বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে জানিয়েছেন, নগরপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বিনীত গোয়েলকে৷
সোমবার লালবাজারের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ৷ এর পরই রাস্তার উপরেই বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ তাঁরা দাবি করেন, হয় বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা নিজের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷
বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সেই প্রস্তাব মানেননি৷ দুপুর দুটোর পর থেকে রাস্তার উপরেই বসে থাকেন তাঁরা৷ তখনই তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, প্রয়োজনে সারা রাত তাঁরা রাস্তাতেই বসে থাকবেন৷
Sandip Ghosh arrest update: একা সন্দীপ নন, আরজি কর দুর্নীতিতে চারজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই! বাকি তিন জন কারা?
কলকাতা: একা সন্দীপ ঘোষ নন, আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে আরও মোট চারজনকে একসঙ্গে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও সুমন হাজরা, বিপ্লব সিনহা এবং আফসর আলি খান নামে তিনজনকে এ দিন তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷
অভিযোগ, এই তিনজনকে বেআইনি ভাবে হাসপাতালে ক্যাফে এবং পার্কিং লট সহ বিভিন্ন বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ৷ এ দিন সন্দীপের পাশাপাশি এই তিনজনকেও দীর্ঘদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তার পর রাতে একসঙ্গে সন্দীপ সহ চারজনকেই গ্রেফতার করে সিবিআই৷ ধৃত আফসর আলি খান সন্দীপের ডানহাত বলে আজি কর হাসপাতালে পরিচিত ছিল৷ সন্দীপের হয়ে অনেককে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল আফসর আলি খানের বিরুদ্ধে৷ চল্লিশ লক্ষ টাকার গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াত সে৷
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে আজকে নিয়ে ১৮ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই৷ এর পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডেও সন্দীপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই৷
হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ সন্দীপের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি, এমন কি মৃতদেহ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার৷ সেই অভিযোগের তদন্তে একাধিক বার আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই৷ এমন কি, হাসপাতালের মর্গেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা৷
সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই এ দিন ঊচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা৷ তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ যা করতে পারেনি তা করে দেখিয়েছে সিবিআই৷ এর পর আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের ঘটনাতেও দোষীরা ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷
Junior doctor Lalbazaar Abhijan: নগরপালের পদত্যাগ দাবি, রাস্তা দখল করে বসে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকরা! অনড় পুলিশও
কলকাতা: নগরপালের ইস্তফার দাবি তুলে লালবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে বসে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এ দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল৷ কিন্তু বেলা দুটো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল লালবাজারের কাছে পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়৷ তখনই ব্যারিকেডের সামনে রাস্তার উপরে বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, নগরপাল বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁদের মিছিল লালবাজারের কাছে বেনটিংক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে৷
আরও পড়ুন: ‘এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম…’ আরজি কর ইস্যুতে মুখ খুলেই বোমা ফাটালেন মিঠুন চক্রবর্তী
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই দাবি মানা হয়নি৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চাইলে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷ পুলিশের এই প্রস্তাব অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল যতক্ষণ না পদক্ষেপ করবেন, তাঁরা রাস্তার উপরেই বসে থাকবেন৷
বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, পুলিশ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে৷ আমরা একটানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নাইট ডিউটি করি৷ ফলে রাত জাগতে আমরা তৈরি৷
চিকিৎসকদের অনড় মনোভাব দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে ফের বিক্ষোভকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, নগরপালের বদলে অ্যাডিশনাল সিপি (১) এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ বিক্ষোভকারীরা সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও জানিয়ে দেন, নিজেদের অবস্থান থেকে তাঁরা সরবেন না৷
বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের এই কর্মসূচির অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন পুলিশ জানিয়েছিল তাদের বেনটিক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু এ দিন তাঁদের মিছিল ফিয়ার্স লেনের কাছে আটকে দেওয়া হয়৷
West Bengal Assembly: বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন আজ, মঙ্গলে বিল পেশ, আরজি কর ইস্যুতে উত্তালের আশঙ্কা
কলকাতা: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার অভিঘাতে এ ধরনের অপরাধে কঠোরতম সাজার দাবি উঠেছে সমাজের নানা স্তরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফাঁসির শাস্তি চেয়ে আইনের পক্ষে। কেন্দ্রের কাছে দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি, রাজ্যও নতুন আইন আনতে চায়। সেই লক্ষ্যেই বিশেষ অধিবেশন বিধানসভার।
ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করা হবে। এমনটাই ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে সম্ভবত আনা হতে পারে সেই বিল। আর সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন যে উত্তাল হতে চলেছে তার আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বিজেপি শিবির।
আগামিকাল, মঙ্গলবার বিধানসভায় বিল নিয়ে আলোচনার পর তা পাশ করানো হবে। আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি পরিষদীয় দলও। তবে সোমবার অধিবেশন শুরু হয়ে শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে। অধিবেশন শুরুর আগে বসবে কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক।
বিধানসভার শোকপ্রস্তাবে আরজি করে নির্যাতিতার উল্লেখ থাকবে তো? আগাম প্রশ্ন তুলে রেখেছে বিজেপি শিবির৷ সেই নাম না থাকলে যে প্রথম দিন থেকেই সংঘাতের আবহে বিধানসভা অধিবেশন চলবে তা কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি শিবিরের তরফ থেকে।দুপুর দুটোয় আজ অধিবেশন বসবে। সোমবারের অধিবেশন শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে। পরিষদীয় দফতর সূত্রে খবর, বিধানসভার শোকপ্রস্তাবে নাম রয়েছে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। যিনি গত অগাস্ট মাসের ৮ তারিখে প্রয়াত হয়েছেন। রাজ্যের সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷
সোমবার দুপুরে বিধানসভায় কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক বসবে। সেই বৈঠকে স্থির হবে বিধানসভার দু’দিনের কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতেই মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলটি নিয়ে আলোচনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৫ অগাস্ট শেষ হয় বিধানসভার অধিবেশন। সেখানে অবশ্য মধুরেণ সমাপয়েৎ ছিল। বাংলা ভাগের বিরোধীতায় আনা প্রস্তাব ঘিরে সহমত পোষণ করেছিল শাসক-বিরোধী শিবির৷ তার কয়েকদিনের মধ্যেই আর জি কর কাণ্ড। যা ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ।
CBI On RG Kar Case: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’
কলকাতা: একের পর এক সিবিআই তদন্তে ক্রমশ উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। আর তারই উত্তর খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এবার নতুন প্রশ্ন দানা বেঁধেছে এক ৪০ মিনিটের ধোঁয়াশা ঘিরে। সেই বিশেষ সময় যার ঘটনাক্রমের বিবরণ কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। ধোয়াশায় এই ৪০ মিনিট ঘিরেই তাই নতুন করে বাড়ছে সন্দেহ।
আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকের নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ৪০ মিনিটের ধোয়াশা এখনও কাটেনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেমিনার হলে দেহ প্রথম দেখেন পিজিট প্রথম বর্ষের ছাত্র। তখন সময় সকাল সাড়ে ন’টা। অথচ সূত্রের খবর বলছে, আর জি কর আউট পোস্টে দেহ পড়ে থাকার খবর আসে বেলা ১০ঃ১০ -এ। তাহলে প্রশ্ন উঠছে মাঝের এই লম্বা ৪০ মিনিট ধরে ঠিক কী ঘটেছিল সেমিনার হলে? সেইসময় কারা ছিলেন উপস্থিত সেখানে? কেনই বা তাঁরা আউট পোস্টে দেহ পরে থাকার খবর জানাননি? তা পিছনে কি কোনও বিশেষ অভিসন্ধি ছিল?
রহস্য এখনও কাটেনি দাবি সিবিআইয়ের। প্রসঙ্গত, যিনি প্রথম নির্যাতিতার দেহ দেখেন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দাবি, দেহ দেখার পর চেস্ট মেডিসিন বিভাগে সেই সময় যাঁরা aডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের কাছেও তিনি একই বয়ান দিয়েছিলেন। এই উত্তর যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন ৪০ মিনিট পর আউট পোস্টে খবর গেল? কী ঘটল এই ৪০ মিনিটে? তা জানতে মরিয়া সিবিআই।
Sukhendu Sekhar Ray: বাস্তিল দুর্গের ছবি…! ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের! কী লিখলেন তৃণমূল সংসদ?
কলকাতা: ফের জল্পনায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এর আগেও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁর অবস্থান দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। তবুও সেই সুখেন্দুশেখর তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। এবার বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ঠিক কী লিখলেন তিনি?
সুখেন্দুশেখর রায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বাস্তিল দুর্গের ছবি শেয়ার লিখেছেন, ১৭৮৯ সালের জুলাই মাসে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে পতন হয় বাস্তিল দুর্গের। বাস্তিল দুর্গের পতনের পর জন্ম হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের। কাকে বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা স্মরণ করাতে চাইলেন সুখেন্দুশেখর? শুরু হয়েছে জল্পনা।
JULY 1789… Bastil Fort razed to ground by the agitating people, giving birth to historic French Revolution. pic.twitter.com/PGrmGTRSqr
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) September 1, 2024
প্রসঙ্গত, এর আগে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এরপর সুখেন্দুশেখরকে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর সেই পোস্ট ডিলিট করা হয়। কিন্তু সুখেন্দুশেখর যে তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি, শাসকদলের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
এবার ফের একবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে কী বার্তা দিতে চাইছেন সেই সুখেন্দুশেখর? উল্লেখ্য, এর আগে মেয়েদের রাত দখলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির সামনে প্রতিবাদ অবস্থানেও বসেছিলেন সাংসদ। কিন্তু এবার বাস্তিল দুর্গের ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে তিনি কাদের সতর্ক করলেন? প্রশ্ন ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরে ও বাইরে।
CBI In RG Kar Hospital: আরজি করে একদিনে পর পর দু’বার Cbi-এর টিম! হঠাৎ কী হল আজ…কেন হঠাৎ হানা?
কলকাতা: আরজি কাণ্ডের তদন্তে ফের আরজি করে এল সিবিআই। তদন্তকারী অফিসার-সহ ৩ জন সিবিআই আধিকারিক রবিবার তদন্তের কারণে এলেন আরজি কর হাসপাতালে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার বিকেলে সিবিআইয়ের আইনি আধিকারিক পরিদর্শন করতে আসেন। ল অফিসার চলে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বিতীয় টীম আসে আরজি কর হাসপাতালে। চিকিত্সক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তের কারণেই ফের সিবিআই হানা দিল এই হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ‘ঘনিষ্ঠ’ কলকাতা পুলিশের এএসআই (অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর)-এর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছিল সিবিআই। এএসআই অনুপ দত্ত নিজেও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, কারও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে হলে আদালত ছাড়াও সেই ব্যক্তির অনুমতি প্রয়োজন। এর আগে সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ধৃতের ‘ঘনিষ্ঠ’ অনুপকে। প্রথম দিন সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন। এবার তাঁকে ফের ডেকে পাঠাল সিবিআই।
আরও পড়ুন: কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিকদের মহামিছিল! আমজনতার সঙ্গে পথে অপর্ণা, উষসী, স্বস্তিকারাও
রবিবার ফের সিবিআই-এর কাছে গেলেন অনুপ দত্ত। আজ ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তাই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে