Tag Archives: RG Kar

Sandip Ghosh-RG Kar Case: ‘নিয়ম’ ভাঙল, শনিবার কী এমন হল সন্দীপ ঘোষের! কোথায় গেলেন? সিবিআই এবার কোন পথে!

কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় গত ১৫ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআইকে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। এই ১৮ দিনে ১৫ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে ১৫০ ঘণ্টা মতো জেরা করা হয়েছে তাঁকে। মাঝে একদিন তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন অবশ্য সন্দীপকে আর সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে হয়নি। কিন্তু তারপর দিন থেকে শুরু হয় আবার। অবশেষে শনিবার সেই ‘নিয়মে’ ছেদ পড়ল। শনিবার সন্দীপকে সিবিআই দফতরে আসতে দেখা যায়নি। তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন নাকি তাঁকে ডাকাই হয়নি, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সরাসরিই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: আরজি কর ইস্যুতে বিক্ষোভের আশঙ্কা? শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল স্কুল শিক্ষা দফতরের

সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। সম্প্রতি তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার পর থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সন্দীপকে তার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এর পরে আদালত আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। গত ১৬ অগস্ট থেকে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতি দিন সকালেই সন্দীপ সিজিও কমপ্লেক্সে যান এবং জেরা শেষে বাড়ি ফেরেন রাতে। শনিবার সেই ‘নিয়ম’ বদলে গেল। সিজিও-তে দেখা গেল না সন্দীপকে।

Shreya Ghoshal on RG Kar Case: আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনায় কলকাতায় শো পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, মুখ খুলতেই…

কলকাতা: আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনায় কলকাতায় শো পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল৷ আগামী ১৪ তারিখ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ছ’টায় সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের লাইভ শো ছিল। একটি বেসরকারি এফ এম এর উদ্যোগে দিল্লির পর কলকাতায় এই লাইভ শো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আরজি করের এই মর্মান্তিক ঘটনা নারী হিসেবে শ্রেয়া ঘোষালকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। তিনি মনে করেন এই সময় জাস্টিস চাওয়ার আনন্দ অনুষ্ঠানের নয়। তাই তিনি ১৪ তারিখের শো বাতিল করেছেন। তবে আগামী অক্টোবর মাসে নেতাজি ইন্ডোরে এই শো অনুষ্ঠিত হবে। তারিখ একমাস আগে জানিয়ে দেওয়া হবে। শ্রেয়া নিজেও সোশ্যাল মিডিয়াতে এই খবর পোস্ট করেছেন এবং তার অনুরাগীদের একটু ধৈর্য ধরতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে জন্য।

উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে শো এর দিন পরিবর্তন হয়ে অক্টোবর মাসে শ্রেয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। যারা ইতিমধ্যেই টিকিট সংগ্রহ করেছেন সেই টিকিট ভ্যালিড থাকবে। প্রচুর টিকিট বিক্রি হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন টিকিট ফেরত দেবেন। সেক্ষেত্রেও টাকা re-imbursement এর ব্যবস্থা রয়েছে। আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনায় কলকাতায় শো পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল।

আরও পড়ুন- জীবনটাই যেন ‘নরক’…! ছোটবেলা থেকেই অসহ্য কষ্ট-যন্ত্রণা! টেকেনি সংসার, মেলেনি সন্তান সুখ, আজও তিনি বলিউডের…

আগামী ১৪ তারিখ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ছ’টায় সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের লাইভ শো ছিল। একটি বেসরকারি এফ এম এর উদ্যোগে দিল্লির পর কলকাতায় এই লাইভ শো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আরজি করের এই  মর্মান্তিক ঘটনা নারী হিসেবে শ্রেয়া ঘোষালকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে।

আরও পড়ুন- অ্যাকাউন্টে ছিল না ১০০ টাকাও, দিতে পারতেন না স্কুলের ফি, আজ তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক, দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলিউডে, বলুন তো কে?

তিনি মনে করেন এই সময় জাস্টিস চাওয়ার আনন্দ অনুষ্ঠানের নয়। তাই তিনি ১৪ তারিখের শো বাতিল করেছেন। তবে আগামী অক্টোবর মাসে নেতাজি ইন্ডোরে এই শো অনুষ্ঠিত হবে। তারিখ একমাস আগে জানিয়ে দেওয়া হবে। শ্রেয়া নিজেও সোশ্যাল মিডিয়াতে এই খবর পোস্ট করেছেন এবং তার অনুরাগীদের একটু ধৈর্য ধরতে বলেছেন। পরবর্তী সময়ে জন্য।

Shreya Ghoshal on RG Kar Case: আরজি করের প্রতিবাদে শামিল! কলকাতায় কনসার্ট বাতিল করলেন শ্রেয়া, কী জানালেন বাঙালি গায়িকা

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। শনিবার একটি বিবৃতি দিয়ে নিজের সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাঙালি গায়িকা। ১৪ সেপ্টেম্বর শহরের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই কনসার্টটি হওয়ার কথা ছিল। আপাতত তা পিছিয়ে অক্টোবর করা হয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।

শ্রেয়া বিবৃতিতে জানান, আরজি করের নৃশংস ঘটনা তাঁর মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তাঁর কথায়, ‘নির্যাতিতা কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে, তা ভাবতে পর্যন্ত পারছি না। একজন মহিলা হিসাবে এই ঘটনায় নৃশংসতায় গায়ে কাঁটা দিচ্ছে ‘। গায়িকার মতে, এই ঘটনার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ানোই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই কনসার্ট বাতিল করেছেন তিনি। শ্রেয়ার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

 

আরও পড়ুন: একের পর এক ফ্লপ! মা-বাবা সুপারস্টার, নায়িকা হয়ে মেয়ে ডাহা ফেল, এখন তিনি কোথায়

আরও পড়ুন: শাহরুখ, অক্ষয়দের ত্রাস! এক ভুলেই কেরিয়ার শেষ, নায়কের পরিণতি চোখে জল আনবে

শ্রেয়া জানান, তিনি এবং তাঁর প্রচারক এফএম সংস্থা বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতার কনসার্টটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন তারিখও জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন শ্রেয়া। তিনি লেখেন, ‘শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মহিলাদের সম্মান এবং সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি।’

RG Kar seminar room: আরজি করের সেমিনার রুমে মৃতদেহের কাছে কারা, বিতর্ক থামাতে চিনিয়ে দিল লালবাজার

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ভিড়ে ঠাসা সেমিনার রুমের একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল৷ ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠেছিল, কীভাবে ঘটনাস্থলে অবাধে ঢুকে অত মানুষ ঢুকে পড়েছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছিল৷ পাশাপাশি, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছিল৷

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য আগেই দাবি করা হয়েছিল, খবর পাওয়ার পরই সেমিনার রুমের যে জায়গায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে চল্লিশ ফুট পর্যন্ত জায়গা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ৷ এ দিনও কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ঘিরে রাখা জায়গায় তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক এবং পদাধিকারীরা ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করেনি৷ রীতিমতো ছবি প্রকাশ করে নির্য়াতিতার দেহের কাছে কারা কারা ছিলেন, সেই পরিচয়ও প্রকাশ করেছে পুলিশ৷

পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, নির্যাতিতার দেহ সেমিনার রুমে যে জায়গায় পড়েছিল সেটি একটি সাদা কাপড় দিয়ে আড়াল করা ছিল৷ তার আশেপাশে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে৷ এঁদের মধ্যে কলকাতা পুলিশের নগরপাল ছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন পদাধিকারীরা রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে৷ এ ছাড়াও একাধিক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ, পুলিশের ভিডিওগ্রাফার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরাও সেখানে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তাছাড়াও পুলিশের প্রকাশিত ছবিতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন মহিলা চিকিৎসককেও দেখা গিয়েছে৷

পুলিশের তরফে এ দিনও দাবি করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে কোনও প্রমাণ নষ্ট হয়নি৷ ডিসি (সেন্ট্রাল) জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল ১০.১০ মিনিটে প্রথমবার ঘটনার খবর পায় পুলিশ৷ সকাল ১০.১২ মিনিটে হাসপাতালের আউটপোস্ট থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা৷ সকাল সাড়ে দশটায় মৃতদেহের পাশে দ্বিতীয় কর্ডন বা ঘেরাটোপ তৈরি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷ পুলিশের দাবি, প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মৃতদেহ ঘিরে রাখার ব্যবস্থা করেছিল৷

Sanjay Rai-RG Kar Case: জেলের মধ্যে এ কী শুরু করেছেন আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার সঞ্জয়! ‘আবদার’ শুনে মাথা ঘুরে যাবে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও বর্তমানে ওই তদন্ত করছে সিবিআই। তাই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন সিবিআইয়ের দায়িত্বে। অবশ্য বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়। আর সেখানেই তার একের পর এক বায়ানাক্কার কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। যা রীতিমতো চমক ওঠার মতো।

জেল সূত্রে খবর, জেলের খাবার নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন সঞ্জয়। এক কারারক্ষীকে সঞ্জয় প্রশ্ন করেন, ”আজ রাতে খাবার কী আছে?” উত্তর আসে, ”রুটি-সবজি।” আর এই উত্তর শুনেই সঞ্জয় রীতিমতো ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলে জানা গিয়েছে। তার দাবি, রাতে তাকে এগ চাউমিন খেতে দেওয়া হোক। যদিও জেলের নিয়মে সব বন্দির জন্য যে খাবার তৈরি করা হয়, প্রত্যেককে সেই খাবারই খেতে হয়। ফলে সঞ্জয়ের এই চাউমিনের আবেদন ধোপে টেকেনি।

আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যে কী নিয়ে যাচ্ছিল ওরা! সর্বনাশ, ধরা পড়তেই যা বেরল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে যখন সঞ্জয়ের কাছে রুটি-সবজি পৌঁছে দেওয়া হয়, তখনও নাকি এ নিয়ে রাগ দেখায় সে। কিন্তু কারারক্ষীদের ধমক খেয়েই পরে খাবার খেয়ে নেয় সে।

এর আগে সিবিআই হেফাজত থেকে যখন জেল হেফাজত হয় সঞ্জয়ের, তখন জেলে ঢুকেই কারারক্ষীদের হাতজোড় করে আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয়। তাকে শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়ার আবেদন করে সে। এমনকী নানা সময় বিড়বিড় করছে সে। তবে, কয়েকদিন যেতেই ফের স্বমূর্তিতে ফিরেছে সে। এখন তার নতুন আবদার খাওয়ার নিয়ে।

BJP on RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে রাজ্য বিজেপি, মহিলা মোর্চার ‘রাজ্য মহিলা কমিশন’ অভিযান

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। আজ, শুক্রবার বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে মহিলা কমিশন দফতর তালাবন্ধ অভিযান। বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্রর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। খুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বাংলায় মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, রাজ্য জুড়ে আমরা একাধিক কর্মসূচি নিতে চলেছি।’’

আরও পড়ুন– টার্মিনাল থেকে ‘খালি হাতে’ বেরলেন কেনিয়ার যাত্রী, জিজ্ঞাসাবাদেই ফাঁস হল আসল রহস্য, মাথায় হাত কাস্টমস অফিসারদের

করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে সিটি সেন্টার ওয়ান পর্যন্ত বিজেপির মহিলা মোর্চা প্রথমে একটি প্রতিবাদ মিছিল করবে তারপর সেখান থেকে রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে গিয়ে ঘেরাও এবং তালাবন্ধ কর্মসূচি পালন করবে। এই কর্মসূচিতে ফাল্গুনী পাত্র ছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায় অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য মহিলা মোর্চার নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরারাও উপস্থিত থাকবেন। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, ‘‘আরজি কর ঘটনার পর রাজ্য মহিলা কমিশন চুপ করে বসে রয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যে একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, সেসব ব্যাপারেও কোনও হেলদোল নেই রাজ্য মহিলা কমিশনের।’’

আরও পড়ুন– রুপোলি দুনিয়ায় পা রাখতে না রাখতেই সাইন করেছিলেন ১০৭টি ছবিতে; কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেলেন একসময়ের এই তারকা অভিনেতা?

বলা বাহুল্য, আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে বিজেপি। গতকাল থেকে ধর্মতলায় টানা সপ্তাহব্যাপী ধরনা অবস্থান কর্মসূচিও শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। যে কর্মসূচির আজ, শুক্রবার দ্বিতীয় দিন। এরই মধ্যে বিজেপির মহিলা মোর্চা শুক্রবার পথে নামছে মহিলা কমিশন ঘেরাও অভিযানে।

RG Kar Protest: ‘বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চাই!’ এবার লালবাজার অভিযান চিকিৎসকদের! হবে ‘পেন ডাউন’ও

কলকাতা: আগামী ২ সেপ্টেম্বর আরজি করের আন্দোলনকারী সহ অন্যান্য কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানের ডাক দিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে। শুধু তাই নয়, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর, রাজ্যের সমস্ত সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল এবং প্রাইভেট চেম্বারের চিকিৎসকদের পেন ডাউন করার আহ্বানও জানানো হল।

গোটা দেশ জুড়ে আন্দোলন চলছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও আরজি করের প্রতিবাদ পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও আন্দোলনে নেমেছেন। চলছে কর্মবিরতি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারাও গিয়েছিলেন আরজি করে। সেখানে আরজি করের আধিকারিকদের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরাও ছিলেন। কিন্তু তাতেও কাটেনি জট। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনেও সাড়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: সুখবর! এবার টাকা ফেরত পাবেন রোজভ্যালির আমানতকারীরা! কত টাকা পাবেন, কীভাবে আবেদন জানুন

প্রসঙ্গত, বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন মমতা। তাঁর একটি মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মেয়ো রোডের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আমার সমর্থন আছে। ওরা বন্ধুর জন্য আন্দোলন করছে। আপনাদের ক্ষোভ আছে। অভিমান আছে। আমি সেটা বুঝি। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। আমরা পদক্ষেপ করলে কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। পাসপোর্ট-ভিসা পেতে সমস্যা হবে’।

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিতর্ক দানা বাঁধে। মুখ খোলেন চিকিৎসকরা। এরপরেই বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মমতা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। আমি চিকিৎসকদের কখনোই হুমকি দিইনি। ওঁদের আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি’। পাশাপাশি, মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে ‘ফোঁস’, শব্দটি ব্যবহার করেন। সেই প্রসঙ্গেও এদিন নিজের পোস্টে ব্যাখা দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, ‘ফোঁস কথাটি হল রামকৃষ্ণের বাণী। এর অর্থ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা’।

RG Kar TMC Movement: আরজি কর নিয়ে ময়দানে তৃণমূল! বিরোধীদের ‘প্রচারের’ মোকাবিলায় পথে পথে নেতা-কর্মীরা

কলকাতা: আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী বিজেপি। এবার পালটা পথে নামছে তৃণমূল। ব্লকে ব্লকে মিছিল-ধরনা শুরু। নারী সুরক্ষায় তৃণমূল সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রচার। আজ, শুক্রবার থেকে ময়দানে ঘাসফুল শিবির।

তৃণমূলনেত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বলেন, “আমি ছাত্রছাত্রী সমাজকে বলব আগামী শুক্রবার কলেজের গেটে গেটে ফাঁসির দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করবেন। আমি আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্টদের বলব, সঙ্গে ছাত্রযুব মহিলারাও থাকবেন। শনিবার দিন সব ব্লকে ব্লকে মিছিল হবে। মানে ৩১ অগাস্ট। ধরনা হবে। মিছিল করে ধরনা হবে। শনিবার হাফ ছুটি। তাই বেলা দু’টো থেকে ৬টা পর্যন্ত ধরনা হবে। মিছিল হবে সব ব্লকে।” এরপরেই কর্মীদের কাছে পৌঁছে যায় দলের নির্দেশিকা।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের ঘনঘটা…! আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার বিরাট রদবদল, শুক্র-শনিবার ‘নতুন’ সতর্কতা আইএমডি-র

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককের ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। শাসক তৃণমূলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে তৃণমূল। ঘাস ফুল শিবিরের অভিযোগ, আরজি করের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা জনসাধারণকে ভুল বোঝাচ্ছে। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই বার্তা তুলে ধরবেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গ্রামের দিকে এই দায়িত্ব সামলাবে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন।

তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবার নারী নিরাপত্তায় তৃণমূল সরকার কী করছে তা সাধারণের সামনে তুলে ধরা হবে নেতা কর্মীদের তরফে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প নিয়ে জোরকদমে প্রচার চালানো হবে। আরজি কর নিয়ে দলের অবস্থান সাধারণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে। এ নিয়ে সাংসদ-বিধায়ক থেকে নেতা, সবাইকে নিজেদের এলাকায় নিয়মিত প্রচার এবং জনসংযোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘…অসুস্থ’, ‘আত্মহত্যা করেছে..’, ‘তাড়াতাড়ি করুন..’, বাবা-মাকে ফোনে কী বলেছিল আরজি কর? ফাঁস চাঞ্চল্যকর অডিও-ক্লিপ

রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, “প্রতিনিয়ত যে এই সব ফেক ভিডিওস ইত্যাদি বেরোচ্ছে, বিজেপির এই সমস্ত পোস্ট করে চাইছে রাজ্যে অরাজকতা, অশান্তি হোক। এবার তাই পুরোদমে সকলেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমেছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি, ব্লক সভাপতি, পদাধিকারী, সংগঠন এবং প্রশাসনিক স্তরে যারা রয়েছে, এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সবাই বিজেপির বিরোধীতাকে সামনে রেখে প্রচার চালাবে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর নিয়ে শুরু থেকেই আসরে বিজেপি। বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন পদ্ম নেতারা। দাবি করেছেন, নারী সুরক্ষায় তৃণমূল সরকার ব্যর্থ। আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিজেপির মিছিল-বিক্ষোভ তো ছিলই। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানেও একাধিক বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছে। আগামী দিনে আরও একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। যেমন রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসে তালা। জেলাশাসকদের অফিস ঘেরাও। বিডিও অফিসে বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে, তৃণমূলও বসে থাকছে না। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এবং আরজি করের বিচার চেয়ে রাজ্যের শাসক দলও শুক্রবার থেকে পথে।

Calcutta High Court: ‘আরজি কর নিয়ে গভীর ক্ষত…’ মিছিল-বনধে রাজ্যের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

কলকাতা: রাজ্য জুড়ে একাধিক মিছিল ও বনধ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনম। যদিও বিজেপির ধরনা মঞ্চ নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপই করল না ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপির ধরনা মঞ্চের স্থান বদলের আবেদন ফিরিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উল্টে রাজ্যের আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনম।

আরজি কর কাণ্ডের আন্দোলনে রাজ্যের আচরণ নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আরজি কর নিয়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে কিছু মানুষের মনে। ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর জন্য কিছু করুন। ক্ষত সারাতে কিছু পদক্ষেপ করুন। ক্ষতে নতুন করে রেকটিফায়েড স্পিরিট ঢালবেন না। ভারসাম্য রেখে কাজ করুন। রাজ্যে যথেষ্ট দক্ষ অফিসার আছে। ১০ ফুট না পিছোলে বলুন ৩ ফুট পিছোতে। বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন তাদের ভাল ভাবে বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ‘এতগুলো’ ছুটি…! কবে কবে বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ? দেখুন তারিখ-সহ ছুটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা

মামলায় বিজেপির ধরনা মঞ্চের অবস্থান বদল নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন পিয়ারলেস হোটেলের সামনে ধরনা না করার আর্জি জানান। আবেদনে বলা হয়, পরিবর্তে ওয়াই চ্যানেলের সামনে হোক ধরনা। আট দিন কমিয়ে দুদিন হোক।

এরপরেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘ফাইল করলেই খারিজ করে দেব। আমরা দেখেছি আপনাদের পদ্ধতি। যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না সেখান বাঁ হাত ব্যবহার করেন। বিষয়টি তুললে আরও লজ্জায় পড়তে হবে আপনাদের’। বুধবার কলকাতায় চারটি র‍্যালি হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে মোট ৪৬টি বিভিন্ন বিক্ষোভ অবস্থান, মিছিল হয়েছে। এক পক্ষ বিচার করলে হবে না। উভয় পক্ষেই হয়েছে’।

আরও পড়ুন: ‘…অসুস্থ’, ‘আত্মহত্যা করেছে..’, ‘তাড়াতাড়ি করুন..’, বাবা-মাকে ফোনে কী বলেছিল আরজি কর? ফাঁস চাঞ্চল্যকর অডিও-ক্লিপ

মামলায় রাজ্যের পক্ষ থেকে যুক্তি ছিল, ‘আট দিন ধরনা হবে। তাতে রাস্তা ব্লক হবে, তাই আপিল মামলা করতে চায় রাজ্য। তাতে প্রধান বিচারপতির প্রতিক্রিয়া, ‘একটা মিছিলই যথেষ্ট। ৩০০-৪০০ জমায়েত। আমি নিজেও এই জ্যামে আটকে গেছি বহুবার। এসবের জন্য স্কুলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই হচ্ছে। সোমবার ডিসি কলকাতা পুলিশ, হাইকোর্ট, রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়েছে জজেরা কোন পথ ব্যবহার করে হাইকোর্টে আসবে। কিছুটা এ পথ কিছুটা বি পথ তারপর লঞ্চ সেখান থেকে গাড়ি থাকবে ওখানে। এইভাবে হাইকোর্টে আসা। আমি আমার ড্রাইভারকে বলেছি অন্য রুট ব্যবহার না করে রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকো। থেকেছি দাঁড়িয়ে ২৫ মিনিট ৩০ মিনিট।’

প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বিজেপিকে ধর্মতলায় ধরনার অনুমতি দেয়। সেই নির্দেশের বদল চেয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চে প্রথমে দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। রাজ্যের আবেদন ফিরিয়ে দেয় একক বেঞ্চ। তাই একক বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল জরুরি মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয় রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। তখনই রাজ্যে মিছিল নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি এবং একইসঙ্গে রাজ্যের দু’রকম চিন্তাভাবনা এবং আরজিকর ক্ষত সাড়াতে পদক্ষেপ করার পরামর্শ প্রধান বিচারপতি।

RG Kar Hospital Case: আরজি করের ‘সেই’ ফোন কল ভাইরাল! এমনই বলা হয়েছিল? মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা

সুবীর দে,পানিহাটি: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বার বারই আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রথমে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুইসাইড করেছেন। বারবার ফোনে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কী হয়েছে তাঁদের মেয়ের। কিন্তু হাসপাতালের তরফে স্পষ্ট উত্তর তাঁরা পাননি। এবার এই ঘটনায় কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে আর তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবার সেই কথোপকথনের অডিও ক্লিপের বিষয়ে মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা।

হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের সঙ্গে পরিবারের মধ্যে ফোনের কথোপকথন ভাইরাল নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”কোথা থেকে কীভাবে ভাইরাল হয়েছে, আমরা জানি না। আমরা এর দায় নেব না।” ফোনের কণ্ঠস্বর তারই কিনা সে ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবার মন্তব্য, ”আপনারা বলছেন বটে, তবে আমি দেখিনি।’ এ বিষয়টি তদন্তে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে সামনে এমনই মন্তব্য করেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

আরও পড়ুন: ‘…অসুস্থ’, ‘আত্মহত্যা করেছে..’, ‘তাড়াতাড়ি করুন..’, বাবা-মাকে ফোনে কী বলেছিল আরজি কর? ফাঁস চাঞ্চল্যকর অডিও-ক্লিপ

সিবিআর তদন্তভার নেওয়ার পর প্রায় দু’সপ্তাহ সময় কেটে গেলেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ নির্যাতিতার বাবা-মা। যদিও এখনও তাঁরা সিবিআই-এর উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনতে বিল আনা হবে বিধানসভায়। এ বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিকভাবে যদি করতে চান, উনি করতেই পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি ছিল, আমরা যেন বিচার পাই, কিন্তু পুলিশের কর্মকাণ্ড দেখে আমরা ভরসা রাখতে পারিনি। যার জন্য আমরা সিবিআই দাবি করেছিলাম।”

এতদিন কেটে গেলেও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার না করা নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”হয়ত আরও প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছেন সিবিআই অফিসাররা। যে বৃহস্পতিবার আমার মেয়েটা বেরিয়ে গিয়েছিল, আজও সেই এক বৃহস্পতিবার। কিন্তু আমাদের মেয়ে আর ফিরে আসেনি। তাই আমাদের কষ্টটা আমরা বলে বোঝাতে পারব না।”