Tag Archives: RG Kar

Sandip Ghosh-RG Kar Case: বাড়িতে ঢুকেই ইডি… সন্দীপের বাড়িতে কী এমন পেল তদন্তকারীরা? শুনে চমকে উঠবেন

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় এবার ময়দানে ইডি। সিবিআই এফআইআর করার পরে ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সিবিআইয়ের পর দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবারই তল্লাশির জন্য শুক্রবার সকাল সকাল সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে গেল ইডির টিম।
কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় এবার ময়দানে ইডি। সিবিআই এফআইআর করার পরে ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সিবিআইয়ের পর দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবারই তল্লাশির জন্য শুক্রবার সকাল সকাল সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে গেল ইডির টিম।
আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার পর থেকেও ইডিও তৎপর হয়েছে। গত শুক্রবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায় আধিকারিকরা।
আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার পর থেকেও ইডিও তৎপর হয়েছে। গত শুক্রবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায় আধিকারিকরা।
শুধু সন্দীপের বাড়ি নয়, আরও একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই তল্লাশিতে কী কী হাতে এসেছে তাঁদের, তা এবার জানা গেল।
শুধু সন্দীপের বাড়ি নয়, আরও একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই তল্লাশিতে কী কী হাতে এসেছে তাঁদের, তা এবার জানা গেল।
সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি থেকে শুরু করে কয়েকটি ডিজিটাল নথি হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের যে যে সম্পত্তির হদিশ এখনও মিলেছে তার নথিপত্রও তাঁরা সংগ্রহ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি থেকে শুরু করে কয়েকটি ডিজিটাল নথি হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের যে যে সম্পত্তির হদিশ এখনও মিলেছে তার নথিপত্রও তাঁরা সংগ্রহ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
কলকাতা ছাড়াও ক্যানিংয়ে সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তাঁরও স্ত্রীর নামেও নথি রয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এইসব সম্পত্তি আর্থিক দুর্নীতির টাকাতেই কেনা হয়েছিল। কারণ ইডি জানতে পেরেছে, এর মধ্যে একাধিক সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কেনা হয়েছিল।
কলকাতা ছাড়াও ক্যানিংয়ে সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তাঁরও স্ত্রীর নামেও নথি রয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এইসব সম্পত্তি আর্থিক দুর্নীতির টাকাতেই কেনা হয়েছিল। কারণ ইডি জানতে পেরেছে, এর মধ্যে একাধিক সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কেনা হয়েছিল।
সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছিল। ঠিক তার পরে আরও সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। নিউটাউন সংলগ্ন হাতিয়ারায় নোয়াপাড়ায় সন্দীপ ঘোষের একটি তিনতলা বাড়ির খোঁজ মিলেছে। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। সন্দীপ ঘোষও মাঝে মধ্যে আসতেন। বাড়িটি এই মুহূর্তে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছিল। ঠিক তার পরে আরও সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। নিউটাউন সংলগ্ন হাতিয়ারায় নোয়াপাড়ায় সন্দীপ ঘোষের একটি তিনতলা বাড়ির খোঁজ মিলেছে। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। সন্দীপ ঘোষও মাঝে মধ্যে আসতেন। বাড়িটি এই মুহূর্তে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
যেহেতু এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আর্থিক দুর্নীতির বিষয় ৷ সেই কারণেই ইডিও তদন্ত শুরু করেছে এই নিয়ে ৷ শুক্রবার ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি-সহ তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং তাঁর সহযোগী মিলিয়ে মোট ১২ জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। বেলেঘাটায় সন্দীপের ফ্ল্যাটে প্রায় ন’ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ব্যাংকের নথিপত্র ও দলিলপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
যেহেতু এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আর্থিক দুর্নীতির বিষয় ৷ সেই কারণেই ইডিও তদন্ত শুরু করেছে এই নিয়ে ৷ শুক্রবার ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি-সহ তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং তাঁর সহযোগী মিলিয়ে মোট ১২ জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। বেলেঘাটায় সন্দীপের ফ্ল্যাটে প্রায় ন’ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ব্যাংকের নথিপত্র ও দলিলপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

TMC MLA-RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা নার্সিংহোমেও! কোন বিধায়ক জানেন?

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি তদন্তে এবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও হাসপাতালে সিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। একই সঙ্গে সুদীপ্তের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত রায় আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও। তাঁর সঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে বারবার। এবার সেই দুর্নীতি তদন্ত সূত্রে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ও হাসপাতালেও পৌঁছে গেল সিবিআই।

প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করে সোচ্চার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। বর্তমানে সুদীপ্ত রায় ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। হেলথ রেক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্যও। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ আরজি কর হাসপাতালের সরকারি বরাদ্দ জিনিসপত্র তাঁর বেসরকারি নার্সিংহোমে বেআইনি ভাবে চলে যেত। মূলত প্রভাব খাটিয়েই এই সমস্ত কিছু করেছিলেন সুদীপ্ত রায়, এমনই অভিযোগ।

এদিকে, এদিন সকালেই চিনার পার্কের ঘোষ ভিলা-তে পৌঁছে যায় ইডির টিম। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। বর্তমানে বাড়িটি তালা বন্ধ ছিল। আজ সকালে ইডির টিম সেখানে যায়। এরপর ঘোষ পরিবারের স্থানীয় এক পরিচিত এসে মূল দরজার তালা খুলে দিয়েছেন।
ইডি টিম ভিতরে ঢুকতে পেরেছে। তবে সূত্রের দাবি, ভিতরের ঘর গুলো তালা বন্ধ অবস্থায় আছে।

আরও পড়ুন: সর্বনাশ! সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে এগুলো কী! দেখে মাথায় হাত তদন্তকারীদের, এমন কী মিলল?

জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এছাড়া বাকি দুটি ঠিকানা হল, লেকটাউনে একটি মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের অফিস ও টালা এলাকায় এক মেডিক্যাল সাপ্লাইয়ারের ভেন্ডরের বাড়ি।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই হাওড়া, সোনারপুর ও হুগলিতে এই মামলায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় সংযুক্ত হয়েছে ইডিও। সেই সূত্রেই পরপর একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছে সিবিআই ও ইডি।

Suvendu Adhikari: ‘নিরামিষ’ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার বিরাট আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: শীঘ্রই ‘বিরাট’ আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জনসমক্ষে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘নিরামিষ’ আন্দোলন করে কোনও লাভ হবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে নন্দীগ্রাম, নেতাই ও জঙ্গলমহলের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বড়সড় আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– সিবিআই-এর নজরে সন্দীপের প্রাইভেট প্র্যাকটিস! সেখান থেকে কত আয় হত সন্দীপের ?

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি নড়াতে হয় তাহলে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ধাঁচে আন্দোলন করতে হবে।’’ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে দিনের পর দিন অবস্থানে বসে থেকেও যে কোনও লাভ হবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অনুভূতি নেই। নন্দীগ্রামে আমার কাছে পরাজিত হওয়ার পর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে পদত্যাগ করিয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তাঁর একটাই অনুভূতি, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকা। প্রতিরোধের মাধ্যমে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারকে নড়াতে হবে তা আমরা জানি। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১২ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

আগামী ১৮ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের শুনানি পর্যন্ত বাংলার মানুষকে ধৈর্য ধরতে বলে বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘‘অনেক সহ্য আমরা করেছি। নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র যুবদের সঙ্গে অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তারা মুক্ত হলেও তাদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে আমি স্যালুট জানাই।’’

আইসিসিআর সেমিনার হলে তথাগত রায়ের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ‘‘নন্দীগ্রাম এবং নেতাই- জঙ্গলমহল দুটো সফল গণ আন্দোলনের আমি নেতা ছিলাম বলছি না, তবে সেই আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলাম। সেই আন্দোলন করার সুবাদে আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমার সহকর্মীদের নিয়ে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি জানি কী করতে হয়। সেটাই করব।’’

পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘সমস্ত চাকরিপ্রার্থী সংগঠনের সঙ্গেও আমি কথা বলছি। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে খুব বড় করে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’ সাম্প্রতিক নবান্ন অভিযান থেকে নন্দীগ্রাম জঙ্গলমহলের মতো একপ্রকার ‘আমিষ’ আন্দোলনই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার একমাত্র বিকল্প পথ বলেই মত শুভেন্দুর।

Junior doctors movement ‘বেজে উঠল ঢাক, শুরু উলুধ্বনি!’ রাস্তাতেই কাটল দুই রাত, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনড় চিকিৎসকরা

কলকাতা: লালবাজারের সামেনর রাস্তায় প্রায় বাইশ ঘণ্টা অবস্থানে বসেছিলেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাঁদের ধর্না অবস্থান বুধবার রাতেই তিরিশ ঘণ্টা পার করে ফেলেছে৷ বরং যত সময় যাচ্ছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের এই ধর্না অবস্থানে যোগ দিচ্ছেন অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু বিশিষ্ট জন এবং সাধারণ মানুষ৷

সবমিলিয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবনের ধর্না অবস্থানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় এবং উদ্দীপনা, দুই বেড়েছে৷ আরও সংগঠিত হয়েছে প্রতিবাদের কর্মসূচি৷ বেজেছে ঢাক, দেওয়া হয়েছে উলুধ্বনি৷ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জন্য সাধারণ মানুষের অনেকেই ব্যক্তিগত অথবা দলবদ্ধ ভাবে খাবার, পানীয় জল থেকে শুরু করে জরুরি প্রয়োজনের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছেন৷

বুধবার সন্ধে বেলা প্রথমে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর করা সাংবাদিক বৈঠক এবং তার জবাবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জবাবের পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জটিলতা সহজে কাটবার নয়৷ এর পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না অভিযান চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ তাতেও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উৎসাহের কোনও ঘাটতি দেখা যায়নি৷ বরং শোনা গিয়েছে নতুন নতুন স্লোগান, সঙ্গে কলকাতা পুলিশের নগরপাল, স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবিতে উঠেছে সমবেত আওয়াজ৷

আরও পড়ুন: ‘পিছনে রাজনীতির খেলা’, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা

বুধবার সারাদিন ধরেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনের ধর্নাস্থল থেকে একের পর এক স্লোগান দিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ রাতের দিকে ধর্নাস্থলে শুরু হয় ঢাক বাজানো৷ দেওয়া হয় উলুধ্বনি৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা স্লোগান দিতে থাকেন, এবার পুজোয় অকাল বোধন, আরজিকরে অসুর নিধন৷ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা অনেকেই বলেন, এটা আমাদের প্রতিবাদের উৎসব৷

বুধবার সকাল থেকেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য বহু সাধারণ মানুষ শুকনো খাবার, জল, বিস্কুট, চা, ওআরএস নিয়ে হাজির হয়েছেন৷ এক সময় পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে আন্দোলনকারীরাই নতুন করে আর কাউকে খাবার না আনার জন্য অনুরোধ করেন৷ কারণ প্রয়োজনের তুলনায় ততক্ষণে অতিরিক্ত খাবার মজুত হয়ে গিয়েছে ধর্নাস্থলে৷

রাজ্য সরকারের মতোই জুনিয়র চিকিৎসকরাও দাবি করেছেন, তাঁরা খোলা মনেই আলোচনা চান৷ কিন্তু তার আগে তাঁদের দেওয়া শর্ত রাজ্যকে মানতে হবে৷ এই টানাপোড়েনের শেষ কোথায় হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে গোটা রাজ্যের মানুষ৷

Junior doctors reply to government: ‘যাঁরা রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই রাজনীতি করছেন!’ রাজ্যকে জবাব জুনিয়র চিকিৎসকদের

তাঁদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷ বরং যাঁরা তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই আসলে রাজনীতি করছেন বলে রাজ্য সরকারকে পাল্টা জবাব দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

শুধু তাই নয়, কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়লেও তার দায়ও তাঁদের নয় বলেই দাবি করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, রাজ্য সরকারের মতো তাঁরাও খোলা মনেই আলোচনা চাইছেন৷ কিন্তু তাঁদের দেওয়া শর্ত পূরণ না হলে আলোচনা সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া কোনও পূর্ব নির্ধারিত শর্ত মেনে আলোচনায় বসবে না রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবের পিছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা রয়েছে৷

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম রুমেলিকা বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা সরকারের কাছ থেকে একটা প্রেস বিবৃতি পেলাম, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷ রাজ্যে মোট ৯৩ হাজার চিকিৎসকদের মধ্যে জুনিয় চিকিৎসকদের সংখ্যা মাত্র ৭৫০০৷ আমাদের কর্মবিরতিতে যদি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তার দায় রাজ্যের ও স্বাস্থ্য দফতরের৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে বেহাল অবস্থা সেটাই প্রমাণ হয়৷’

আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক সত্যদীপ সরকার বলেন, ‘আমরাও খোলা মনে আলোচনা করতে চাই৷ তাই আমরা সরাসরি মানুষের সামনে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম৷’ চিকিৎসক হিমাদ্রি শেখর বেরা বলেন, ‘ভোর রাতে ই মেল করার মধ্যে আমাদের অন্তত কোনও রাজনীতি ছিল না৷ যারা এর পিছনে রাজনীতি দেখছেন,তারাই আসলে রাজনীতি করছেন৷ আন্দোলনকারীরা পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন, সদর্থক পদক্ষেপ করে রাজ্যের পক্ষ থেকে তাঁদের ই মেলের জবাব পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে৷’

RG Kar Doctor Death: বারবার তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা, প্রথমবারের জন্য হাজিরা দিলেন CBI-র কাছে, কতক্ষণ রইলেন

: আরজি কর খুন ধর্ষণ মামলায় সিবিআই তলব ডিসি নর্থ কে। বুধবার রাতে আরজি করের মৃত চিকিৎসকের তদন্ত মামলায় তাঁকে ডাকা হয়৷ আর এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিডি স্পেশাল৷
: আরজি কর খুন ধর্ষণ মামলায় সিবিআই তলব ডিসি নর্থ কে। বুধবার রাতে আরজি করের মৃত চিকিৎসকের তদন্ত মামলায় তাঁকে ডাকা হয়৷ আর এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিডি স্পেশাল৷
সিবিআই দফতরে দেখা করতে আসেন  ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা এবং ডিসি ডি ডি স্পেশাল৷
সিবিআই দফতরে দেখা করতে আসেন  ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা এবং ডিসি ডি ডি স্পেশাল৷
উচ্চপদস্থ এই পুলিশ আধিকারিকদের  ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক পড়ুয়ারা ও পরিবার।
উচ্চপদস্থ এই পুলিশ আধিকারিকদের  ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক পড়ুয়ারা ও পরিবার।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর তদন্তে এই   প্রথম তাঁদের তলব করা হল।ডিসিডিডি স্পেশালকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই দফতরে ডিসি নর্থ।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর তদন্তে এই   প্রথম তাঁদের তলব করা হল।ডিসিডিডি স্পেশালকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই দফতরে ডিসি নর্থ।
এদিকে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ৷ Input- Arpita Hazra
এদিকে মাত্র ১৫ মিনিট থেকে আধঘণ্টা থেকেই সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ৷ Input- Arpita Hazra

Sandip Ghosh: তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেও যা করেছেন সন্দীপ, শুনলে শিউরে উঠবেন! দেখুন ভিডিও

Sandip Ghosh : Sandip Ghoshএর আরও কীর্তি! ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেও স্বমহিমায় সন্দীপ! হাসপাতালের টেন্ডারে স্বজনপোষণের চেষ্টা R G Karএর প্রাক্তন অধ্যক্ষর। CBI তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

Chandrima Bhattacharya on junior doctors: ‘পিছনে রাজনীতির খেলা’, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা

কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে৷ এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ সরাসরি জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেই এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে৷ যিনি নির্য়াতিতা হয়েছেন, মায়ের কোল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, সেই মেয়েটি বিচার পাক, এটা তাঁরা চাইছেন না৷

শুধু তাই নয়, আলোচনা চেয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করবে কি না, অথবা অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকার এবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে কি না, তারও স্পষ্ট জবাব দেননি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী৷ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মন্ত্রী শুধু বলেন, যা হবে আপনারা জানতে পারবেন৷

আরও পড়ুন: কোনও শর্ত মেনে আলোচনা নয়, জানালেন মুখ্যসচিব! জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি খারিজ করল নবান্ন

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকারের৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, গতকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের৷ যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকৎসকরা গতকাল দুপুর থেকে একটানা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসে রয়েছেন৷

এই অচলাবস্থা কাটাতে এ দিন ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে ই মেল করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ৷ তার পাল্টা জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, আলোচনায় বসার জন্য রাজ্যকে তাদের চার দফা শর্ত মানতে হবে৷ এর মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল,সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা এবং বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারের দাবি৷ যদিও এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন পূর্ব নির্ধারিত কোনও শর্ত মেনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে না৷

এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন করতে চাই, ভোর ৩.৪৫-এ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফোন আসা কি স্বাভাবিক? এর পিছনে কি রাজনৈতিক উদেশ্য আছে? আজ দুপুর ৩. ২১- এ মুখ্যসচিব মেল করে ৬টায় আলোচনায় আসতে বললেন৷ তার উত্তর এল ২ ঘণ্টা বাদে। রাজ্য সরকার খোলা মনে আলোচনায় বসতে চাইছে। কোনও শর্ত দিয়ে খোলা মনে বসা যায় না। আসলে এর পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। আমরাও চাই মেয়েটি বিচার পাক৷ আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেব। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু নেতিবাচক পদক্ষেপ করেননি। রোগীদের বঞ্চনা করা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের বলব, রাজনৈতিক প্ররোচনায় না গিয়ে যে মহৎ পেশায় আছেন, তাতে যোগ দিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলুন। শর্ত এবং আলোচনা, পাশাপাশি চলতে পারে না। আমরা মানুষের সামনেই পুরোটা রাখছি৷ আমরা চেয়েছিলাম খোলা মনে আলোচনা৷’

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, এর পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চেয়ে নতুন করে আর জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কোনও প্রস্তাব পাঠান হবে কি না৷ পাশাপাশি, কাজে না ফিরলে রাজ্য সরকার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে কি না, সেই প্রশ্নও করা হয় মন্ত্রীকে৷ জবাবে তিনি শুধু বলেন, ‘কোনও পদক্ষেপ করা হলে অথবা নতুন করে জুনিয়র চিকিৎসকদের ই মেলের জবাব দেওয়া হলে সবাই জানতে পারবেন৷’

যদিও তাঁদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ মন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই ঢুকতে দিইনি৷ তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস, বিজেপি- প্রথম দিন থেকে কোনও নেতাকেই আমরা আন্দোলনে ঘেঁষতে দিইনি৷ আমরাও খোলা মনেই আলোচনা চেয়েছিলাম৷’

RG Kar Sandip Ghosh: সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষের লুকিয়ে প্রাইভেট চেম্বার, কত ফি নিতেন জানেন, চমকে দেবে তাঁর চেম্বারের টাইমিং

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে জুড়ল বারুইপুরের নাম। ‌যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। বারুইপুরের রেলগেট সংলগ্ন এক সেবায়তনে গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত রোগী দেখতেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ হয়ে কীভাবে তিনি বারুইপুরে এসে প্রাইভেট চেম্বার চালাতেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

কারণ আইন অনুযায়ী তা করা যায় না। ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে সন্দীপ ঘোষের নাম। সেই তালিকা আরও বাড়ল। সেবায়তনের চিকিৎসকদের নামের তালিকায় ডঃ সন্দীপ ঘোষের নাম থাকলেও প্রেসক্রিপশনে তিনি ডঃ এস ঘোষ নাম ব্যবহার করতেন। স্থানীয়দের দাবি, প্রকৃত পরিচয় আড়াল করতেই সম্পূর্ণ নাম প্রেসক্রিপশনে লিখতেন না তিনি।

আরও পড়ুন- Indian Railways: আর কোনওভাবে মহিলা হেনস্তা বরদাস্ত নয়, নারী সুরক্ষায় দারুণ কড়া রেল, বেচাল দেখলেই পুড়ে দেওয়া হবে জেলে

সেবায়তনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০০৮-২০১০ সাল থেকেই সন্দীপবাবু সেখানে আসতেন। প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ঘণ্টা তিনি রোগী দেখতেন। আমরা এখানে বসার জন্য ওঁকে অফার লেটার দিয়েছিলাম। ওঁর কিছু তথ্য জমা দেওয়ার কথা ছিল আমাদের কাছে। কিন্তু তা উনি দেননি। বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই সেবায়তন। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজেই জানতাম না উনি এখানে আসতেন। আমিও এই ব্যাপারে সেবায়তনের সঙ্গে কথা বলব।’’

তবে ৯ অগাস্ট অর্থাৎ একটি শুক্রবার যখন দুর্ঘটনা ঘটে সেদিনের আগের দিনও তিনি এই বারুইপুরে গিয়েছিলেন৷  আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনার পর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম সামনে আসায় তড়িঘড়ি বারুইপুরের সেবায়তন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নামের তালিকা থেকে প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম সরিয়ে দেয়। যদিও সেবায়তনে কোনও চিকিৎসক কখন আসেন তার কোনও রেজিস্টার খাতা না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত নিয়মিত এই সেবায়তনে আসতেন সন্দীপবাবু। ৫০০ টাকা ফি নিয়ে রোগী দেখতেন তিনি। তবে অগাস্ট মাসে চেম্বারে এসে ছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ সেবায়তনের।

Suman Saha

Sandip Ghosh-RG Kar Case: সর্বনাশ! সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে এগুলো কী! দেখে মাথায় হাত তদন্তকারীদের, এমন কী মিলল?

আরজি কর তদন্ত যত এগোচ্ছে, দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একের পর এক 'কীর্তি' সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে মিলেছে এমন কিছু, যা দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরাও।
আরজি কর তদন্ত যত এগোচ্ছে, দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একের পর এক ‘কীর্তি’ সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে মিলেছে এমন কিছু, যা দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরাও।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দীপের ল্যাপটপে মিলেছে একাধিক নগ্ন পুরুষের ছবি! প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে ২০১৭ সালের হংকংয়ের একটি ঘটনাও সামনে এসেছে। যেখানে সন্দীপ ঘোষ হংকংয়ের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের এক মেল নার্সের শ্লীলতাহানি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দীপের ল্যাপটপে মিলেছে একাধিক নগ্ন পুরুষের ছবি! প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে ২০১৭ সালের হংকংয়ের একটি ঘটনাও সামনে এসেছে। যেখানে সন্দীপ ঘোষ হংকংয়ের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের এক মেল নার্সের শ্লীলতাহানি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, ওই পুরুষ নার্স যখন পোশাক পরিবর্তন করছিলেন, তখন সন্দীপ আচমকা তাঁর চেম্বারে ঢুকে পড়েন। নিতম্বে পর পর বেশ কয়েকটি চাপড় মারেন। এমনকি ওই নার্সের গোপনাঙ্গেও হাত দিতে যান বলে অভিযোগ!
অভিযোগ, ওই পুরুষ নার্স যখন পোশাক পরিবর্তন করছিলেন, তখন সন্দীপ আচমকা তাঁর চেম্বারে ঢুকে পড়েন। নিতম্বে পর পর বেশ কয়েকটি চাপড় মারেন। এমনকি ওই নার্সের গোপনাঙ্গেও হাত দিতে যান বলে অভিযোগ!
যদিও সেই সময় ব্যাপারটি 'মিস-আন্ডারস্ট্যান্ডিং' বলে দাবি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর দাবি ছিল, তিনি নাকি ব্যথা নিরাময়ের বিশেষ একটি ব্যায়াম ডেমনস্ট্রেট করে দেখাচ্ছিলেন।
যদিও সেই সময় ব্যাপারটি ‘মিস-আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ বলে দাবি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর দাবি ছিল, তিনি নাকি ব্যথা নিরাময়ের বিশেষ একটি ব্যায়াম ডেমনস্ট্রেট করে দেখাচ্ছিলেন।
এবার আরজি কর কাণ্ডের আবহে সন্দীপের ল্যাপটপে একাধিক পুরুষের নগ্ন ছবি মিলেছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, এই ল্যাপটপটি সন্দীপ ঘোষ তাঁর বেলেঘাটার বাড়ি থেকে সরিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখেছিলেন। তবে, পরে সেটিরও খোঁজ মেলে।
এবার আরজি কর কাণ্ডের আবহে সন্দীপের ল্যাপটপে একাধিক পুরুষের নগ্ন ছবি মিলেছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, এই ল্যাপটপটি সন্দীপ ঘোষ তাঁর বেলেঘাটার বাড়ি থেকে সরিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখেছিলেন। তবে, পরে সেটিরও খোঁজ মেলে।
সেই ল্যাপটপের একাধিক ফাইলে যেমন নানান টাকা লেনদেনের সূত্র মিলেছে, তেমনই মিলেছে টেন্ডার সংক্রান্ত ডিজিটাল নথিও।
সেই ল্যাপটপের একাধিক ফাইলে যেমন নানান টাকা লেনদেনের সূত্র মিলেছে, তেমনই মিলেছে টেন্ডার সংক্রান্ত ডিজিটাল নথিও।