Tag Archives: Sudip Banerjee

Train Accident: ঘন ঘন ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে সরব তৃণমূল, কী বললেন সুদীপ?

নয়াদিল্লি: দেশে খুবই ঘন ঘন ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে চক্রধরপুরে বেলাইন হয় হাওড়া-মুম্বই মেল, লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে বহু কামরা। ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ যায় দুই যাত্রীর, আহত হন আরও ২০ জন। রেল দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দায়ী কে? এই নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে সরব হলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর বিবৃতি দাবি করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Rachana Banerjee: প্রথম বার লোকসভায়, সংসদে পা দিয়েই ‘শিক্ষক’ হিসেবে কাকে বাছলেন রচনা?

নয়াদিল্লি: এবারই প্রথম লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাংসদ হিসেবে মঙ্গলবার শপথ নিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সংসদের জটিল নিয়মকানুন, খুঁটিনাটিও মন দিয়ে শিখতে চান রচনা৷ তাই শিক্ষক হিসেবে বেছে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে সবথেকে সিনিয়র সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷

রচনা নিজেই জানিয়েছেন, লোকসভায় সাংসদ হিসেবে দায়িত্বপালন করতে গেলে কী কী নিয়মকানুন রয়েছে, সংসদে প্রশ্নই বা করতে হয় কীভাবে, এসব শেখানোর জন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই আবদার করেছেন তিনি৷ আর এমন আগ্রহী ছাত্রী পেয়ে খুশি সুদীপও৷

রচনা যে তাঁর কাছে এই আবদার করেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সুদীপ৷ তৃণমূলের লোকসভার দলনেতার কথায়, এই যে আগ্রহটা ওর মধ্যে রয়েছে, ‘ও প্রথম থেকে শেখার চেষ্টা করছে, এটা ভাল৷ যাঁদের মধ্যে এটা থাকে, তারা সফল হয়৷’

আরও পড়ুন: রেলে PNR-এর মানে কী? ফুল ফর্ম বলতে পারবেন না অধিকাংশ মানুষই

তবে সুদীপের অতীত অভিজ্ঞতা অবশ্য ভাল নয়৷ কলকাতা উত্তরের তৃণমূল সাংসদ নিজেই জানিয়েছেন, গতবার মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানরাও তাঁর কাছে সংসদের নিয়মাবলী শিখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার পরে আর সেভাবে আগ্রহ দেখাননি তাঁরা৷ সুদীপের কথায়, ‘নুসরতও বলেছিল শিখবে, পরে আর আসেনি৷  রচনা সেটা করবে না৷ সংসদ তো মাত্র তিন মাস হয়, খুব বেশি হলে সারা বছরে হয়তো একশো দিন চলে৷ না আসার তো কিছু নেই৷’

হুগলির সাংসদ রচনার কথায়, ‘আমার একশো শতাংশ ইচ্ছে আছে কাজ করার, শেখার৷ হুগলি জেলা আমার উপরে ভরসা রেখেছে, আমার সেই ভরসার মর্যাদা রাখতে হবে৷ আমি নতুন এসেছি, একটাই লক্ষ্য কাজ করতে হবে৷’

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে রচনা বলেন, ‘আজকে দাদা যা বক্তব্য রাখলেন, সবাই মোহিত হয়ে গিয়েছে৷ ওনার যা অভিজ্ঞতা, সেটাই স্বাভাবিক৷ তাই আমি সুদীপদার কাছ থেকেই শিখতে চাই৷’

North Kolkata Election Results 2024 : কলকাতা উত্তরের উত্তর সুদীপই, দল বদলে ৯২ হাজারের বেশি ভোটে হার তাপসের

কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাপস রায়। বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে লড়েছিলেন লোকসভা ভোটে। তার পরে একাধিক অধ্যায় পেরিয়ে গিয়েছে, অনেক কথা হজম করেও নীরব ছিলেন সুদীপ।

প্রচারে বেরিয়ে তাপস রায়কে নিয়েও তেমন আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়নি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু উত্তর কলকাতার মানুষ ভরসা রেখেছন তাপস রায়ের উপর। ২০০৯ সাল থেকে উত্তর কলকাতার উত্তর তাপস রায়। প্রতিদ্বন্দ্বী বদলেছে, কিন্তু সাংসদের নাম বদলায়নি। তাপস রায়কে ৯২,৫৬০ ভোটে হারিয়ে পাঁচ বারের সাংসদ হলেন সুদীপ। কলকাতা বরাবরই তৃণমূলের গড়, এ বারও রক্ষা হল সেই গড়। উত্তর কলকাতায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য, তিনি ১,১৪,৯৮২টি ভোট পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব তাসেই বনগাঁ জয় বিজেপির? বিশ্বজিৎ দাসকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার সাংসদ হলেন শান্তনু ঠাকুর

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার মধ্যে সব ক’টিই ২০২১-এর বিধানসভায় নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল। এবারও আধিপত্য বজায় রইল। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় কিছুটা ভোট কমেছে তৃণমূল এবং বিজেপির। সেই কারণেই ভোট বেড়েছে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর।

রাজ্যেও খুবই ভাল ফল করছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত ২৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে ভোটের ফলের পরে ইন্ডিয়া জোটের পাশে থাকবে তৃণমূল। পূর্ণ ফল প্রকাশ হলে কী হয় সেটাই দেখার।

North Kolkata Election Results 2024 : উত্তর কলকাতায় ‘নীরব বিপ্লবের’ পথে সুদীপ, দল বদলে লড়াই করে ২৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে তাপস

কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগেই দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাপস রায়। বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে লড়েছিলেন লোকসভা ভোটে। তাপস রায়ের দল বদলের পড়ে উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সমস্ত কিছুর পরেও নীরব ছিলেন সুদীপ। এমনকী উত্তর কলকাতার ভোটের দিনও সুদীপকে বিজেপির প্রার্থী তাপসকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন যা বলার ফলাফলের দিন বলবেন।

প্রচারে বেরিয়ে তাপস রায়কে নিয়েও তেমন আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়নি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু উত্তর কলকাতার মানুষ ভরসা রেখেছন তাপস রায়ের উপর। ২০০৯ সাল থেকে উত্তর কলকাতার উত্তর তাপস রায়। চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত গণনার শেষে ২৫ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। এ বার জিতলে পাঁচ বারের সাংসদ হতে পারেন সুদীপ। কলকাতা বরাবরই তৃণমূলের গড়, এ বারও বজায় থাকতে পারে সেই ধারা।

রাজ্যেও খুবই ভাল ফল করছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত ২৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে ভোটের ফলের পরে ইন্ডিয়া জোটের পাশে থাকবে তৃণমূল। পূর্ণ ফল প্রকাশ হলে কী হয় সেটাই দেখার।

Kunal Ghosh praises Tapas Roy: তাপস রায় পিছিয়ে নেই, বিজেপি প্রার্থীকে পাশে নিয়ে দাবি কুণালের! খোঁচা সুদীপকে

কলকাতা: কলকাতা উত্তরে আর ঠিক একমাস বাদে নির্বাচন৷ তার আগেই বিরাট চমক৷ ভোটের আগে একই মঞ্চে হাজির তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়৷ দু জনে এই সাক্ষাৎকে অরাজনৈতিক বললেও কুণাল এবং তাপস প্রকাশ্যেই পরস্পরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ এমন কি, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাপসকে তিনি এক ইঞ্চি পিছিয়ে রাখতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেও তৃণমূল এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন কুণাল৷

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা উত্তরের সাংসদ এবং তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়৷ এর পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তাপস৷ কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থীও করে বিজেপি৷ দল বদলের পরও তাপস এবং কুণালের সম্পর্কে চিড় ধরেনি, এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ৷ বরং এ দিনও তাপসের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে নাম না করেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন কুণাল ঘোষ৷

আরও পড়ুন: গাড়ি থেকে নামিয়ে ছিলেন,সেই কাঞ্চনকে নিয়ে প্রচার করে কল্যাণকেই জবাব দিলেন দেব?

কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরে এ দিন আমন্ত্রিত ছিলেন তাপস রায় এবং কুণাল ঘোষ৷ ঘটনাচক্রে দু জনে একই সময়ে ওই রক্তদান শিবিরে হাজির হন৷ মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের বিরোধী শিবিরের প্রার্থী তাপস রায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কুণাল৷
তাপস রায় সম্পর্কে কুণাল বলেন, ‘তাপসদা আমাদের খুব প্রিয় পাত্র৷ তাঁর দরজা সারাদিন সারারাত কর্মী, সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে৷ তাপসদা জানেন আমরা শেষ চেষ্টা করেছিলাম এক পরিবারের মধ্যে রাখতে৷ দুর্ভাগ্য, রাজনীতির ময়দানে আমরা অন্যদিকে চলে গিয়েছি৷’

এর পরেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন৷ কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাপসদাকে এক ইঞ্চি পিছিয়ে রাখতে পারব না৷ পরে সাংবাদিক বৈঠক করেও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে নাম না করে সুদীপকে খোঁচা দিয়েই কুণাল বলেন, যাঁরা নিয়মিত এলাকায় যোগাযোগ রাখেন, ওই রক্তদান শিবিরে তাঁদেরকেই ডাকা হয়েছিল৷ শুধু ভোটের সময় রাস্তায় বেরোলে তো হয় না৷ কেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্তদান শিবিরে ডাকল না, ভেবে দেখা উচিত৷ তাপস রায় ভাল বলেই তো তাঁকে দলে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ খারাপ হলে তো দলে রাখার চেষ্টা হত না৷’

ঘটনাচক্রে এ দিন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে বড় রোড শো করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু সেখানে হাজির না হয়ে অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কুণাল যেভাবে তাপসের প্রশংসা করলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷

পাল্টা কুণালের প্রশংসা করেছেন তাপসও৷ বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘ব্যক্তি কুণাল ঘোষ আমার অত্যন্ত স্নেহের ছোট ভাইয়ের মতো৷ বরাবর মন দিয়ে সংগঠনটা করে৷ আমি অবাক হয়ে যাই, দু বছর দশ মাস ওকে অন্যায় ভাবে জেলে রাখা সত্ত্বেও তৃণমূলের হয়ে এ ভাবে গলা ফাটায়৷ কুণাল যখন জেলে ছিল, সেই সময় কিন্তু খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেটাও নিশ্চয়ই কুণাল ঘোষের মনে আছে৷ ও যা কথা বলে সহজ, সত্যি কথা৷ মানুষের সমর্থন কার দিকে রয়েছে সেটা আপনারা সময় মতো জানতে পারবেন৷’

এর আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুণাল, তাপসের বিদ্রোহেও শেষ পর্যন্ত কলকাতা উত্তরের সাংসদের পাশেই ছিল দল৷ ক্ষোভে দলের পদও ছেড়েছিলেন কুণাল৷ এবার ভোটের মুখে কুণালের এ দিনের মন্তব্য তৃণমূলের অন্দরে নতুন বিতর্ক তৈরি করে কি না, সেটাই দেখার৷

Sudip Bandyopadhyay: ‘জিতে মেসির মতো মাঠ ছাড়ব…’, বার্তা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: ‘‘আমি ৯ বারের জনপ্রতিনিধি ৷ এবার জিতে মেসির মতো মাঠ ছাড়ব।’’ অবসরের ইঙ্গিত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘ভোট থাকুক মনে, দেবেন ঘরের কোণে’, ইতিমধ্যেই বলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজপি প্রার্থী তাপস রায় ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষ অবসর নিতে বাধ্য করবে ওনাকে।’’  প্রসঙ্গত চার বার বিধায়ক ও পাঁচ বার সাংসদ হয়েছেন তিনি ৷ তবে তাঁর প্রতিপক্ষ তাপস রায় জানিয়েছেন, ‘‘এবারেই ওর মাঠ ছাড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর যতবার সাংসদ বা বিধায়ক হোন না কেন, উনি হয়েছেন আসলে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতার প্রচার বেশ জমে উঠেছে। বিশেষ করে সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী তাপস রায় উত্তর কলকাতার প্রার্থী হয়ে যাওয়ায় জমজমাট হয়ে গিয়েছে ভোটের প্রচার।

আরও পড়ুন– রাজ্যে উষ্ণ আবহাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা, কোন কোন জেলায় আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস? জেনে নিন

উত্তর কলকাতার ভোট প্রচার নিয়ে অবশ্য সতর্ক করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ৷ বিশেষ করে তাপস রায় প্রধান প্রতিপক্ষ হওয়ায় দলের সমস্ত নেতা কর্মী যারা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বসে আছেন, তাদের আরও বেশি করে ময়দানে নামতে বলছেন তিনি৷ কুণাল অবশ্য জানিয়েছেন, উত্তর কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। যেহেতু প্রতিপক্ষ মুখ তাপস রায় বিজেপির। তার সঙ্গে উত্তর কলকাতার অনেকের আত্মিক পরিচয় আছে। তাঁকে আবার অনেকে বিজেপি বলে ধরে না। তাই আমাদের দলের কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বা আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। তাই সতর্কতার সঙ্গে ভোট করতে হবে। সবাইকে নামাতে হবে। আশা করি লিড অব্যাহত থাকবে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রভাব যাতে ভোটে না পড়ে।’’

আরও পড়ুন– পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস রয়েছে, যার গন্ধে ভয় পায় সাপ ? জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন

প্রসঙ্গত উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত নাম তাপস রায়। দীর্ঘদিন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি অভ্যস্ত থেকেছেন ৷ যদিও তাঁর সঙ্গে সুদীপের দূরত্বের কথা কারও অজানা নয়। সুদীপের জন্যই তিনি দল ছেড়েছেন বলে অনেকে মনে করে ৷ যেহেতু তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন, তাই নিচু তলার কর্মীদের কাছে তিনি অত্যন্ত পরিচিত ৷ তাই সাবধানবাণী শোনালেন কুণাল ঘোষ।