Tag Archives: Tarakeswar

Sawan 2024: ‘ভোলে বাবা পার করেগা’- গলায় এই মন্ত্র, বাঁকে নিজের শিশু, দু’দিনের পথ পাড়ি দিয়ে মহাদেবের মাথায় জল ঢালা

হুগলি: ঋষি শ্রবণের পৌরাণিক গল্প অনেকেরই জানা। যেখানে নিজের বৃদ্ধ মা বাবাকে তীর্থ করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধে বাঁক নিয়ে তাতে মা ও বাবাকে বসিয়ে তীর্থ করছিলেন অন্ধ মুনির পুত্র ঋষি শ্রবণ। সেই কাহিনীর কোথায় ঠিক মনে পড়ে যায় তারকেশ্বরের এক পুণ্যার্থীকে দেখলে। তারও কাঁধে বাঁক, তার একদিকে রয়েছে শিবের মাথায় ঢালার এক ঘড়া জল ও অন্যদিকে রয়েছে তাঁর ছোট্ট মেয়ে। এই নিয়েই শেওড়াফুলি থেকে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর যাচ্ছেন পুণ্যার্থী৷

শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে বাবা তারকনাথের কাছে জল ঢালতে যাওয়ার প্রথা বহু প্রাচীন। সেখানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসে কাঁধে বাঁক নিয়ে মহাদেবের কাছে জল ঢালতে। শ্রাবণের শেষ সোমবারে উপচে পড়া ভিড় সেখানেই কাঁধে বাক নিয়ে তার মধ্যে বাচ্চাকে বসিয়ে মানসিক পূরণ করতে যাচ্ছেন চন্দননগরের বাসিন্দা রবিন অধিকারী। শেওড়াফুলি থেকে জল তুলে কাঁধের বাঁকের মধ্যে নিজের ছোট্ট মেয়েকে বসিয়ে পথ হাঁটছেন বাবা। সঙ্গে সঙ্গী রয়েছেন তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

আরও পড়ুন – Indian Cricketer Love story: তারিখের ফেরেই সব, প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়েছিলেন, এবার তারিখ মিলিয়েই বিয়ের মেগা সিদ্ধান্ত, চিনে নিন ভারতীয় ক্রিকেটারের মিষ্টি হবু বউকে

এই বিষয়ে রবিন অধিকারী বলেন, বাচ্চার জন্য মানসিক করা ছিল সেই কারণেই কাঁধে বাচ্চাকে নিয়ে তারা যাচ্ছেন জল ঢালতে। পথ যতই দুর্গম হোক না কেন কোন রকম কষ্টই তাদের কাছে লাগছে না কারণ তাদের ব্রত, ‘ভোলে বাবা পার কারেগা।’ দুদিন ধরে পথ হেঁটে তারা পৌঁছাবেন তারকেশ্বর মন্দিরে। সেখানে গিয়ে তারা পুজো দেবেন জল ঢালবেন।

প্রসঙ্গত, পুরাণের কাহিনী অন্ধক মনি ও ঋষি শ্রবণ এর ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি ঘটছে তারকেশ্বর জলযাত্রীদের কাছে। পুরাণের কাহিনীতে ছেলে কাঁধে করে নিয়ে তীর্থ করতে যাচ্ছিল মা-বাবাকে আর তারকেশ্বরের ক্ষেত্রে বাবা নিজের সন্তানকে নিয়ে বাঁকে বসিয়ে যাচ্ছেন মহাদেবের কাছে জল ঢালতে।

Sawan 2024: শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীদের ভিড় তারকেশ্বরে

হুগলি : শ্রাবনের প্রথম সোমবারে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম তারকেশ্বর মন্দিরে। গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবনী মেলা চলবে আগামী ১৭ ই আগস্ট রাখি পূর্ণিমার দিন পযন্ত। মূলত শ্রাবনী মেলায় প্রতি সোমবার লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বর মন্দিরে। অন্যান্য বছরে তুলনায় এই বছর শ্রাবণ মাসের রবি ও সোমবারের সংখ্যা এক দম কাঁটায় কাঁটায়, তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে জল ঢালতে আসর পুণ্যার্থীদের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাবে। জেলা তথা জেলার বাইরে থেকে ও বহু মানুষ শ্রাবণ মাসের এই বিশেষ সময় বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালার জন্য আসেন পায়ে হেঁটে।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৭৫ টি দেশকে পিছনে ফেলে নজির হুগলির শিক্ষকের

শেওড়াফুলি থেকে  ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা পুণ্যার্থীরা কাঁধে বাঁক নিয়ে জল ঢালতে আসেন তারকেশ্বরে।  তারকেশ্বরে শ্রাবনী মেলা উপলক্ষে যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে তারকেশ্বর ব্লক ও জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত তিনি জানান, অন্যান্য বছরের থেকে আলাদা এই বছর তিথি অনুযায়ী চারটি সোমবার ও ৫ টি রবিবার পড়েছে। সেই কারণে হাতে অল্প দিন থাকায় এই দিন গুলিতে একটু বেশি ভিড় হবে। তবে ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। মন্দির কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে সকল ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে পুজো দেওয়া ও জল ঢালা যাতে সম্পন্ন হয় তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাহী হালদার

Eastern Railway: ভাবাদিঘি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় রেল, তবে কি জট কাটল?

কলকাতা: পূর্ব রেলওয়ের  উল্লেখযোগ্য প্রকল্প গুলির মধ্যে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি  লাইন সংযোগ এর কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি  প্রকল্প।  কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর জয়পুরে প্রস্তাবিত স্টপেজগুলির বিষ্ণুপুরের সঙ্গে হুগলি জেলার পূর্ব রেলওয়ে অংশের সঙ্গে সংযোগ করার চাবিকাঠি এই রেল প্রকল্পটি।

এই প্রকল্পের  এর মধ্যে অবস্থিত ভাবাদিঘির বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে রেলওয়ে আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুত তার  সঙ্গে কাজ করে চলেছে যাতে প্রজেক্টটি  তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়। রেলওয়ে আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হুগলি, অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ল্যান্ড একুইজিশন হুগলি এবং সাব ডিভিশনাল অফিসার আরামবাগ) দের সঙ্গে ভাবাদিঘী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি  ও  দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ অনুযায়ী ভাবাদিঘি এলাকার ১.২৪ একর জমি ১৬.৭.২০১২ তারিখে এবং ১.৮১ একর জমি ১২.০৩.২০১২ তারিখে রেল কর্তৃপক্ষ কে (রেলওয়ে অথরিটি)  জমি হ্যান্ডওভার করা হয়েছিল । এবং রেলওয়ে প্রকল্পটির কাজ এ বছরই ১৬ জুলাই তারিখ থেকে শুরু করার পরিকল্পনা ছিল । রাজ্য সরকারের পুলিশ বিভাগ  আপাতত কোনোরকম  নিরাপত্তা  দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন। এই পরিপেক্ষিতে রেলওয়ে আধিকারিকরা পুনরায় রাজ্য সরকারের  কাছে এই প্রজেক্টটি চালু করার জন্য অনুমতি নেবে এবং আশা করা যায় খুব  শীঘ্রই এই উক্ত প্রকল্প চালু করতে পারবে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের সময়ে এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভবাদিঘির  স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন।  গ্রামবাসীদের কাছে ভাবাদিঘি / পুকুর এলাকার তাৎপর্য স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন যে,  স্থানীয় জীবিকার উপর কোনো বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য সক্রিয় নিরীক্ষণ থাকবে।  তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল  প্রকল্পটির মধ্যে গোঘাট – কামারপুকুর ও জয়রামবাটির মধ্যে লাইন সংযোগ এর কাজ শেষ হলে  এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে । সুমধুর ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, রেলের এই  উদ্যোগটি, এই অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। ঐতিহাসিক এই পরিদর্শনের মাধ্যমে পূর্ব রেলওয়ে কামারপুকুর ও জয়রামবাটির রেলপথের উন্নত ভবিষ্যত ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে |

Tarakeshwar: তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে স্পেশাল ট্রেন! কোন কোন দিন ক’টা থেকে? জেনে নিন

কলকাতা: বর্ষা আসলেই যার অপেক্ষা থাকে, তা হল তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা। জুলাই থেকে অগাস্ট মাস ধরে এই মেলায় ভিড় জমান অজস্র মানুষ। তাই এই জনপ্রিয় মেলা উপলক্ষে পূর্ব রেলওয়ে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নির্ঘণ্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অসংখ্য ভক্তকে আকৃষ্ট করে। তাঁরা শিবের আশীর্বাদ নিতে এবং ভক্তি ও ঐক্যের আবহে নিজেদের নিমগ্ন করতে আসেন। শ্রাবণ মাসে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় শিবের ‘জলাভিষেক’ এর জন্য। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শিবের ‘জলাভিষেক’ এর জন্য তারকেশ্বরে আসেন। শ্রাবণী মেলার সময়, তারকেশ্বর এবং শেওড়াফুলি স্টেশনে ভক্তের ঢল নামে।

ভক্তদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগ শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরে ছয় জোড়া অতিরিক্ত ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ট্রেন হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় সব রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চলবে।
হাওড়া থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে ভোর ৪টে বেজে ৫ মিনিটে এবং দুপুর ১২টা বেজে ৫০ মিনিটে ছাড়বে। সেগুলি যথাক্রমে সকাল ৫টা ৩৫ মিনিট এবং দুপুর ২টো ২০ মিনিটে তারকেশ্বরে পৌঁছাবে। একই ভাবে, শিব দর্শনের পর ভক্তদের হাওড়া ফেরত নিয়ে আসার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বর থেকে সকাল ১০টা৫৫ এবং রাত ৯টা১৭ মিনিটে ছাড়বে। সেই ট্রেনগুলি যথাক্রমে দুপুর ১২টা৩০ এবং রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছাবে।

এছাড়াও, শেওড়াফুলি থেকে গঙ্গার জল তারকেশ্বরে জলাভিষেকের জন্য নিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব বিবেচনা করে, পূর্ব রেলওয়ে শেওড়াফুলি এবং তারকেশ্বরের মধ্যে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। শেওড়াফুলি – তারকেশ্বর ইএমইউ স্পেশাল শেওড়াফুলি থেকে সকাল ০৬:৫৫, সকাল ০৯:২০, বিকেল ০৪:২০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৪০-এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৭:৪৫, সকাল ১০:১৫, বিকেল ০৫:১০ এবং রাত ০৮:৩০-এ তারকেশ্বরে পৌঁছাবে।

অন্য দিকে, তারকেশ্বর – শেওড়াফুলি ইএমইউ স্পেশাল তারকেশ্বর থেকে সকাল ০৫:৫৫, সকাল ০৮:১০, দুপুর ০২:৫০ এবং সন্ধ্যা ০৬:৪০-এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৬:৪৫, সকাল ০৯:০৩, বিকেল ০৩:৪০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৩০-এ শেওড়াফুলিতে পৌঁছাবে।

আরও পড়ুন- জল বাড়ছে নদীর! মাটির বাঁধ, আতঙ্কে দিন কাটছে অসম-বাংলা সীমান্তের মানুষের

পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি, এই ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার সময় সব রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চালানো হবে। তাঁর উল্লিখিত তারিখগুলি হল- ১৭.০৭.২০২৪, ২১.০৭.২০২৪, ২২.০৭.২০২৪, ২৮.০৭.২০২৪, ২৯.০৭.২০২৪, ০৪.০৮.২০২৪, ০৫.০৮.২০২৪, ১১.০৮.২০২৪, ১২.০৮.২০২৪, ১৫.০৮.২০২৪, ১৮.০৮.২০২৪ & ১৯.০৮.২০২৪। তিনি আরও জানান, এই বিশেষ ট্রেনগুলি রুটের সব স্টেশনে থামবে।

Indian Railways: তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইনের কাজ এগলো কতদূর? বড় আপডেট দিল ভারতীয় রেল

তারকেশ্বর: তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রকল্পের গোঘাট ও ময়নাপুর এরমধ্যে লাইন সংযোগের কাজ পুরোদমে চলছে। আশা করা হচ্ছে যে ময়নাপুর এবং বড় গোপীনাথপুরের মধ্যে ৭.৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেললাইনের প্রসারণের কাজটি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে এবং তারপরে বড় গোপিনাথপুর এবং জয়রামবাটির মধ্যে পরবর্তী প্রকল্প চালু করা হবে।

বড় গোপীনাথপুর-ময়নাপুর লাইনের নির্মাণ কাজ ৯০% সম্পন্ন হয়েছে। বড় গোপীনাথপুরে রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্টেশন বিল্ডিং স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সমস্ত বড় এবং ছোট সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে (৩৩টির মধ্যে, ৩১টি ছোট সেতু / সীমিত উচ্চতার সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩টি বড় সেতু নির্মাণের কাজের জন্য সাবস্ট্রাকচার এবং গার্ডার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে)। পয়েন্ট ও ক্রসিং এর সাথে ট্র্যাকের সংযোগ  এবং ব্যালাস্টিং এর কাজ চলছে। ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য ভিত্তি  নির্মাণ করা হয়েছে। সিগন্যালিং ক্যাবল (ওএফসি) বসানোর কাজও শুরু হতে চলেছে ১ বা ২ দিনের মধ্যে।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

বড় গোপীনাথপুর এবং জয়রামবাটি (৭.১ কিমি) এর মধ্যে ট্র্যাকের ভিত্তি স্থাপন এবংসেতু নির্মানের কাজ চলছে। ২৬টির মধ্যে ২১টি ছোট সেতু/সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে/রোড আন্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, ৮ টির মধ্যে ৫ টি বড় সেতুর জন্য পরিকাঠামো ও গার্ডার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জয়রামবাটিতে স্টেশন বিল্ডিং এর  নির্মাণ কাজ চলছে।  আশা করা হচ্ছে যে, বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত পুরো সংযোজনের কাজ এই বছরের শেষের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কামারপুকুর স্টেশন বিল্ডিংঅনেক আগেই নির্মিত হয়েছে এবং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু কামারপুকুরে স্লিপার এবং লাইন ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে এবং এই স্টেশনটিতে এখন জয়রামবাটির সাথে সংযোগ করার জন্য ট্র্যাকের সংযোজনের  অবশিষ্ট অংশ নির্মাণের জন্য  প্রস্তুতি চলছে। যদিও জয়রামবাটি এবং কামারপুকুরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা ইতিমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে কিন্তু প্রায় ১.৫ কিলোমিটার প্রসারিত এই দুটি স্টেশনের মধ্যে একটি নিচু এলাকা রয়েছে যার জন্য এই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য রেলওয়ে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

গোঘাট প্রান্ত থেকে রেলওয়ে ট্র্যাকটি গোঘাট স্টেশনের বাইরে প্রায় ১.৫ কিমি পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে এবং গোঘাটকে কামারপুকুরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য উভয় দিক থেকে মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, সমস্ত (২৮টি) ছোট সেতু/সীমিত উচ্চতার সেতুর কাজ গোঘাট ও কামারপুকুরের মধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু ভবাদিঘির ওপর দিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণের কাজ স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে থমকে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্রিয় সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই এই সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যাবস্থার উন্নতির জন্ন্য ও পরিবহন সহজলভ্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রোজেক্টটিতে  বিশেষ আলোকপাত করেছে এবং সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি উচ্চ ফলনশীল কৃষিপ্রধান প্রকৃতির, তাই তারকেশ্বর এবং বিষ্ণুপুরের মধ্যে উচ্চগতির যোগাযোগ একটি নতুন পরিবর্তন  নিয়ে আসবে যেটি ভবিষ্যতে উন্নত পরিকাঠামো এবং আধুনিক পরিবহনের  সহযোগী হয়ে উঠবে।