Tag Archives: Mela

Tarakeshwar: তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে স্পেশাল ট্রেন! কোন কোন দিন ক’টা থেকে? জেনে নিন

কলকাতা: বর্ষা আসলেই যার অপেক্ষা থাকে, তা হল তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা। জুলাই থেকে অগাস্ট মাস ধরে এই মেলায় ভিড় জমান অজস্র মানুষ। তাই এই জনপ্রিয় মেলা উপলক্ষে পূর্ব রেলওয়ে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নির্ঘণ্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অসংখ্য ভক্তকে আকৃষ্ট করে। তাঁরা শিবের আশীর্বাদ নিতে এবং ভক্তি ও ঐক্যের আবহে নিজেদের নিমগ্ন করতে আসেন। শ্রাবণ মাসে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় শিবের ‘জলাভিষেক’ এর জন্য। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শিবের ‘জলাভিষেক’ এর জন্য তারকেশ্বরে আসেন। শ্রাবণী মেলার সময়, তারকেশ্বর এবং শেওড়াফুলি স্টেশনে ভক্তের ঢল নামে।

ভক্তদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগ শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরে ছয় জোড়া অতিরিক্ত ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ট্রেন হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় সব রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চলবে।
হাওড়া থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে ভোর ৪টে বেজে ৫ মিনিটে এবং দুপুর ১২টা বেজে ৫০ মিনিটে ছাড়বে। সেগুলি যথাক্রমে সকাল ৫টা ৩৫ মিনিট এবং দুপুর ২টো ২০ মিনিটে তারকেশ্বরে পৌঁছাবে। একই ভাবে, শিব দর্শনের পর ভক্তদের হাওড়া ফেরত নিয়ে আসার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বর থেকে সকাল ১০টা৫৫ এবং রাত ৯টা১৭ মিনিটে ছাড়বে। সেই ট্রেনগুলি যথাক্রমে দুপুর ১২টা৩০ এবং রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছাবে।

এছাড়াও, শেওড়াফুলি থেকে গঙ্গার জল তারকেশ্বরে জলাভিষেকের জন্য নিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব বিবেচনা করে, পূর্ব রেলওয়ে শেওড়াফুলি এবং তারকেশ্বরের মধ্যে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। শেওড়াফুলি – তারকেশ্বর ইএমইউ স্পেশাল শেওড়াফুলি থেকে সকাল ০৬:৫৫, সকাল ০৯:২০, বিকেল ০৪:২০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৪০-এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৭:৪৫, সকাল ১০:১৫, বিকেল ০৫:১০ এবং রাত ০৮:৩০-এ তারকেশ্বরে পৌঁছাবে।

অন্য দিকে, তারকেশ্বর – শেওড়াফুলি ইএমইউ স্পেশাল তারকেশ্বর থেকে সকাল ০৫:৫৫, সকাল ০৮:১০, দুপুর ০২:৫০ এবং সন্ধ্যা ০৬:৪০-এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৬:৪৫, সকাল ০৯:০৩, বিকেল ০৩:৪০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৩০-এ শেওড়াফুলিতে পৌঁছাবে।

আরও পড়ুন- জল বাড়ছে নদীর! মাটির বাঁধ, আতঙ্কে দিন কাটছে অসম-বাংলা সীমান্তের মানুষের

পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি, এই ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার সময় সব রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চালানো হবে। তাঁর উল্লিখিত তারিখগুলি হল- ১৭.০৭.২০২৪, ২১.০৭.২০২৪, ২২.০৭.২০২৪, ২৮.০৭.২০২৪, ২৯.০৭.২০২৪, ০৪.০৮.২০২৪, ০৫.০৮.২০২৪, ১১.০৮.২০২৪, ১২.০৮.২০২৪, ১৫.০৮.২০২৪, ১৮.০৮.২০২৪ & ১৯.০৮.২০২৪। তিনি আরও জানান, এই বিশেষ ট্রেনগুলি রুটের সব স্টেশনে থামবে।

Sundarban Seed Fair: বীজ মেলা সুন্দরবনে, ফল-ফুল-সবজি বীজের সম্ভার

উত্তর ২৪ পরগনা: নানান প্রজাতির ফল, ফুল, সবজির বীজের সমাহারে বীজ মেলা সুন্দরবনে। সুন্দরবন এলাকার চাষি তথা প্রান্তিক মানুষদের চাষের প্রতি আগ্রহী করতে আয়োজিত হল বীজ মেলা। মূলত ভাল বীজ চেনা ও তা থেকে ভাল মানের ফসল তৈরিই কৃষির মূলমন্ত্র।

কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে প্রযুক্তিতে যেমন নজর দিতে হবে তার থেকেও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বীজে। সেজন্য ভাল মানের সঠিক বীজের গুরুত্ব দেশের কৃষক ও কৃষিকাজে সংশ্লিষ্টদের বোঝাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় আয়োজিত হল বীজ মেলা। এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বীজ মেলায় সুন্দরবন এলাকার মানুষের যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল।

আর‌ও পড়ুন: মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! সবংয়ে বোনা হচ্ছে এই নতুন মাদুর

এলাকার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল, সবজির পরিচিত ঘটনার পাশাপাশি কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যম হিসেবে উৎসাহিত করতে এই বীজ মেলায় বিভিন্ন জাতের বীজের সমাহারে একাধিক স্টল বসে। যেখানে রংবেরঙের ও রকমারি ধরনের ফল, ফুলের দেশীয় বীজের সমাহারে ভরে ওঠে বীজ মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন এলাকার চাষি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যেখানে তারা একে অপরের মধ্যে বিভিন্ন ফল, ফুল, সবজির বীজ আদান-প্রদান করেন পাশাপাশি অনেকেই কেনাবেচাও করেন। সবমিলিয়ে সুন্দরবন এলাকার চাষি থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির বীজের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সমন্বয় গড়ে ওঠে।

জুলফিকার মোল্যা

Buddha Purnima 2024: শতাব্দী প্রাচীন তালশাঁসের মেলা! বুদ্ধ পূর্ণিমায় উদয়নারায়ণপুরে গেলে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন

হাওড়া: তালশাঁসের মেলা! এমনটা শুনেছেন কখন‌ও? কিন্তু হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শত বর্ষেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে এই তালশাঁসের মেলা।

এই গ্রীষ্মকালে তালশাঁস ছোট-বড় সকলের মন জয় করে। বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামে গঞ্জে আজও যথেষ্ট খাওয়া হয় তালশাঁস। শক্ত খোলকের মধ্যে নরম শাঁস, তার মধ্যে যৎসামান্য মিষ্টি পানীয় মুখে গেলে যেন মনে হয় ঠিক অমৃত। শতাব্দী প্রাচীন এই তালশাঁসের মেলা‌ই হয়ে আসছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। এবারেও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সেই মেলা বসেছে।

আরও পড়ুন: ভোটের জন্য তৈরি পুরুলিয়া, রইল প্রস্তুতির ভিডিও

একসময় গ্রামবাংলায় আকছার তালশাঁস পাওয়া যেত। যদিও বর্তমানে এর প্রচলন অনেকটাই কমেছে।কিন্তু হাওড়ার এই গ্রামে অন্য ছবি। এখানে মেলার দিন পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বহু বিক্রেতা আসেন তালশাঁস নিয়ে। এই মেলা তালশাঁস মেলা নামেই বেশি পরিচিত মানুষের কাছে। উদয়নারায়ণপুর ব্লকের কল্যানচক গ্রামে শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে এই মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে।

গ্রামের তৎকালীন জমিদার দুয়ারী পরিবারের এই মেলা শুরু করেন। প্রথমে রথের সময় মেলা শুরু হলেও প্রজাদের অনুরোধে সময় পাল্টে বুদ্ধ পূর্ণিমায় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। একইসঙ্গে নানা জিনিসের পসরা বসে। গরমের দিনে এই রথের মেলায় একইসঙ্গে দেখা যেত তালশাঁস বিক্রি হতে। ধীরে ধীরে এই মেলায় তালশাঁসের জনপ্রিয়তা দারুনভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তা থেকে এই মেলার এমন নামকরণ। আজও তালশাঁস খাওয়ার টানে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এই মেলায় ছুটে আসেন।

রাকেশ মাইতি

Charak Puja: এখানে চৈত্র সংক্রান্তিতে নয়, বৈশাখে হয় চড়ক!

দক্ষিণ দিনাজপুর: বৈশাখ মাসের সংক্রান্তি তিথিতে বৈশাখী চড়ক মেলা বসল বালুরঘাটের একাধিক জায়গায়। তাতে মেতে উঠলেন বালুরঘাট শহরে বাসিন্দারা।

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে চৈত্রের শেষের দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে সাধারণত চড়ক পুজো হয়। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের উত্তমাশা ক্লাব সংলগ্ন মাঠের চড়ক পুজো আর দশটা পুজোর থেকে একটু অন্য ধরনের। বালুরঘাট ব্লকের ডাঙি এলাকায় বটতলার বিস্তীর্ণ মাঠে চরক সন্ন্যাসীরা একত্রিত হয়ে চড়কের আয়োজন করেছিলেন। বৈশাখের সংক্রান্তির দিন সকাল থেকেই বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় চড়ক পুজোর ভক্তেরা ঘাড়ে করে ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেবদেবী এবং সং সেজে রাস্তায় শোভাযাত্রা করেন।

আরও পড়ুন: কলেরা ঠেকিয়েছিলেন মা বুরুজ কালী!

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ভক্ত চৈত্র চড়ক পালন করেন। তাঁদের মধে অনেকেই বৈশাখী চড়কে মেতে উঠেন। যা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। চলতি বছরেও এর কোন‌ও পরিবর্তন হয়নি। এদিনের চড়ক পুজো উপভোগ করতে বালুরঘাট শহর সহ শহর লাগোয়া এলাকার বহু সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

সুস্মিতা গোস্বামী