Tag Archives: Teacher Recruitment Scam

Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নেই! বহু স্কুলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ‘বিজ্ঞান বিভাগ’, চাকরি বাতিলের প্রভাব এবার স্কুলের পঠনপাঠনেও

কলকাতা: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের প্রভাব এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ‘বিজ্ঞান শিক্ষায়’। একাধিক স্কুলে ‘বিজ্ঞান বিভাগ’ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা। তার জেরে এবার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বা গেস্ট টিচার দেওয়ার নিয়োগ করে বিজ্ঞান বিভাগ চালানোর পরামর্শ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। তার জন্য সংসদ এর নিয়ম শিথিল করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

জানা গিয়েছে, অনেক স্কুল থেকে বলা হচ্ছে চাকরি বাতিল হওয়ার জন্য বিজ্ঞান বিভাগ চালাতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। তার জন্যই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

এক জন দু’জন নয়৷ গত ২২ এপ্রিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ এখানেই শেষ নয়, আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টাকা ফেরাতে হবে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জন চাকরি প্রাপককে।

গত বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল৷ পরীক্ষা হওয়ার ঠিক ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ এবার কোন বিষয়ে কত নম্বর পেলে একাদশ শ্রেণির কোন শাখায় ভর্তি হওয়া যাবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ৷

আরও পড়ুন : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে গেলে কোন বিষয়ে কত নম্বর পেতে হবে, বিষয় ভিত্তিক নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে গেলে কোন বিষয়ে কত নম্বর পেতে হবে, তা ঠিক করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে গেলে মাধ্যমিকে অঙ্কে পেতে হবে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। ফিসিক্স ও কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়তে হলে ভৌত বিজ্ঞানে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর৷ বায়োলজি নিয়ে পড়তে গেলে জীবন বিজ্ঞানে পেতে হবে ৩৫ শতাংশ নম্বর।

পাশাপাশি, কমার্স ও আর্টসেরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে ন্যূনতম নম্বর কত হতে হবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে সংসদ। এতদিন সংসদের তরফে জানানো হয়, এতদিন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে ন্যূনতম নম্বর নির্দিষ্ট করে বলা হত না৷ এবার থেকে সেমেস্টার সিস্টেম চালু করা হচ্ছে, তাই সংসদের তরফে বিষয় ধরে নম্বর স্পষ্ট করে দেওয়া হল। জানালেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এর সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন:মাধ্যমিকে এখন কত নম্বর পেলে পাশ হয় জানেন? পেতে হয় আগের চেয়েও কম…একটু খাটলেই হয়ে যায় মাধ্যমিক পাশ

চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি৷ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি৷ মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯,২৩,০১৩ জন৷ এদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪,০৫,৯৯৪। ছাত্রী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৫,১৭০,১৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৬৭৫টি। চলতি বছর মাধ্যমিক পাশ করেছে মোট ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ পরীক্ষার্থী। এই বছর মাধ‍্যমিকের পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। প্রথম ১০-র কৃতী তালিকায় ছিল মোট ৫৭ জন।

২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন কোচবিহার থেকে। ওই ছাত্রের নাম চন্দ্রচূড় সেন। সে কোচবিহারের রামগোলা হাই স্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। সে পেয়েছে ৯৯% নম্বর। দ্বিতীয় পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। তৃতীয় হয়েছেন তিনজন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে উদয়ন প্রাসাদ ( বালুরঘাট হাই স্কুল), বীরভূম থেকে পুষ্পিতা বাসুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নৈঋত রঞ্জন পাল (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন)।

North 24 Parganas News: ৩৫ শিক্ষক চাকরিহারা…! ‘সৎ রঞ্জনের’ এলাকায় কারও ফোন সুইচড অফ, কারও দরজায় তালা! শ্মশানের নিস্তব্ধতা গ্রাম জুড়ে

উত্তর ২৪ পরগনা: তবে কি মুছে গেল চন্দনের ফোঁটা! চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে বাগদার একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকার। এই বাগদা ব্লকের মামাভাগ্নে গ্রামের চন্দন মণ্ডলের হাত ধরেই শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন অনেকে। ‘সৎ রঞ্জনের’ কৃপায় চাকরি মিলেছিল বহু অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদেরও। বদলে দিতে হয়েছিল মোটা অঙ্কের টাকা।

এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে আদালতের রায়ের পর গোটা গ্রামে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা আজ। বিশেষ করে বাগদা ব্লকের মামাভাগ্নে, চড়ুইগাছি, রামনগর, কুরুলিয়া এলাকা জুরেই পড়েছে এর প্রভাব। স্থানীয় বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গোপাল মণ্ডলের দাবি, এই চারটি গ্রামেই চাকরি গিয়েছে প্রায় ৩৫ জনের। গোটা এলাকা যেন এখনও থমথমে। চাকরি হারিয়ে এই এলাকার শিক্ষক শিক্ষিকারা একপ্রকার নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন বলেই যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাকরি মেলার পরই, কেউ ঋণ নিয়ে বাড়ি করছিলেন। কেউ লোন করে গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে রীতিমত আকাশ ভেঙে পড়েছে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবনে।

গ্রামে ঘুরে জানা গেল, চাকরি হারিয়ে কারও ফোন সুইচ অফ। কারও বাড়িতে ঝুলছে তালা। গ্রামের মানুষজনও সেভাবে মুখ খুলছেন না কেউই। স্থানীয় এক মহিলা জানালেন, এলাকার অনেকেরই চাকরি চলে গিয়েছে। তারা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। ঘরে চুপচাপ বসে আছেন। কেউ বিয়ে করেছে, কারও ছোট বাচ্চা। কী ভাবে সংসার চলবে কেউ জানেন না।

চন্দন মণ্ডলের হাত ধরেই মিলেছিল চাকরি। তারপর থেকেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসায় এমনিতেই ভয় ছিল তাঁরা। সিবিআই এর হাতে চন্দন মণ্ডল গ্রেফতার হলেও, পাওয়া চাকরি যে এভাবে হারাতে হবে তা হয়তো ভাবতেই পারেনি এই শিক্ষকরা।

চাকরি চলে গিয়েছে সন্তোষ কুমার মণ্ডলের ভাইপো প্রণয় কুমার মণ্ডলের। তিনি পাঁচপোতা এলাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সন্তোষ বাবু জানান, “অনেকেই চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও, সবার চাকরি অবৈধ নয়। অনেকেই যোগ্যতার ভিত্তিতে পেয়েছে। আমার ভাইপো পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিল।” চাকরি পাওয়ার তালিকায় যোগ্যরা যেমন আছেন, তেমন এই কয়েক গ্রামের অযোগ্যরাও রয়েছেন। চন্দন মণ্ডলের বাড়ির কাছেই বাড়ি হারান বিশ্বাসের। তিনি বলেন, “এখানে যাদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে চাকরিতে ঢুকেছিল। অনেকে সাদাখাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছিল। বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গোপাল মণ্ডলের দাবি, “তৃণমূলের বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মেয়ে, প্রাক্তন সিপিএম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে-সহ অনেকেরই চাকরি গিয়েছে। চন্দন গ্রেফতার হলেও তার ডান হাত অভিজিৎ পোদ্দার এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কী করে! এখন রাজ্যের নানা প্রান্তের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি এই গ্রামের চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারাও তাকিয়ে আদালতের দিকে। শেষ অব্দি কী হয় এখন সেদিকেই নজর সকলের।

Rudra Narayan Roy

Kolkata High Court: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার মুখ্য সচিবকে নির্দেশ হাইকোর্টের! ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব

কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশ্যে নোটিস জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ শুক্রবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এই নোটিস জারি করে বলে জানা গিয়েছে৷ নিয়োগ দুর্নীতির জামিন সংক্রান্ত মামলায় এই নোটিস জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এসএসসি কাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য সহ একাধিক ব্যক্তির জামিন মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ঘরের ‘এই’ দেওয়ালে ঘড়ি রেখেছেন নাকি!…ওই জন্যেই সময় খারাপ যাচ্ছে, হাতেও থাকছে না টাকা!

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য CBI-এর তরফ থেকে রাজ্যের কাছে যে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল৷

সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব হবে? তা জানতে চেয়েই নির্দেশ জারি করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ! ঠিক কোন মামলায় কেন গ্রেফতার হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, জানুন কারণ

বিচারপতির বাগচীর মন্তব্য, ‘‘উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা আইনের এবং জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে। আর্থিক দুর্নীতির গুরত্ব শুধুমাত্র সাজার মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না। প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মানুষের আস্থা এবং সমাজের ওপর এর একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে। ’’

তিনি বলেন, ‘‘সৎ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে। কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে সেটা বলা যায় না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে দেরি হওয়াটা দুঃখের বিষয়।’’

Teacher Recruitment: একসঙ্গে ১৭৫৯ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বীরভূমে, এমন ‘স্বচ্ছতা’ নজিরবিহীন দাবি সংসদ কর্তার

বীরভূম: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিতর্কের মধ্যেই এবার খুশির খবর। বীরভূমে একসঙ্গে ১৭৫৯ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হল। সকলেই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন।

জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে ভিডিওগ্রাফি করে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে বীরভূমে। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোন‌ওরকম সংশয় না থাকে তাই এমন পদক্ষেপ। এই দেখে সন্তুষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, এমন স্বচ্ছতার সঙ্গে একসঙ্গে প্রায় ৭৫০ জন প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি রাজ্যে এই প্রথম। নিজের পছন্দমত স্কুলে প্রধান শিক্ষকতার দায়িত্ব পেয়ে খুশি শিক্ষকরাও। তাঁদের কথায়, এই প্রথম যোগ্যতার ক্রমের ভিত্তিতে কোনও রং না দেখে পদোন্নতি হল।

আরও পড়ুন: মুখোমুখি অটোকে ধাক্কা ডাম্পারের, বরাত জোরে প্রাণে বাঁচল আট যাত্রী

প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে যেখানে বিতর্ক, দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছে, সেখানে এমন নিয়োগ রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। বীরভূমের ২৪০১ টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ১৭৫৯ টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দিয়েই গত দশ বছর ধরে স্কুল চলছিল। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক কাজকর্ম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছিল। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৪ সালের পরে আর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়নি। কমপক্ষে ২০ টি মামলা ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে নিয়ে। নানান প্রশ্ন তুলে আটকে রাখা হয়েছিল পদোন্নতি। ২০১৯ সালে সংসদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে একে একে সব মামলা খারিজ করান প্রলয় নায়েক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে যারা প্রধান শিক্ষক হতে রাজি তাঁদের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। চাকরির সিনিয়ারিটি অনুযায়ী জেলার ৩২টি চক্রের সব স্কুলে সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কানাইপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক বুদ্ধদেব দাস জানান, সাতদিন আগেই আমাদের ক্রম তালিকা ও প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকা স্কুলের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই মত প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বুধবার থেকে শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু হয় সিউড়ির বিদ্যাসাগর ভবনে। সিউড়ি পশ্চিম চক্র ও মুরারইয়ের পাইকর চক্রের নিয়োগ হয়েছে। পাইকরে ৫৯ টি ও সিউড়ি চক্রে ৪৪ টি প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ছিল। জায়ান্ট স্ক্রিনে সেই সব শূন্য পদের স্কুলের নাম জ্বলজ্বল করছিল। ক্রমান্বয়ে এক একজন স্কুল পছন্দ করছেন, তাঁকে সেখানেই নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র পেলেই সেই স্কুলের নাম মুছে গিয়েছে তালিকা থেকে। এই প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতার সঙ্গে গোটা বিষয়টি হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা সংসদ কর্তাদের দাবি।

সৌভিক রায়

Teacher Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়কে ৭ দিনের ইডি হেফাজত

কলকাতা: সকালে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডির দফতরে ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে তলব করা হয়েছিল। তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্য গোপন-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে। আজ মঙ্গল বার প্রসন্ন রায়কে নগর দায়রা আদালতে পেশ করল ইডি।

এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিছুদিন আগে সুপ্রিমকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পান তিনি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে নতুন ৩ মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন মমতার! প্রচুর সরকারি সাহায্য, সিউড়ি থেকে বিরাট ঘোষণা

মামলা চলাকালীন প্রসন্ন রায়ের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, প্রসন্ন একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি ইনকাম ট্যাক্স জমা দেন ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। প্রসন্নর ৫০ টিরও বেশি কোম্পানি আছে। ইডি যে টাকার কথা বলছে সেটার থেকেও একজনের ফান্ডামেন্টাল রাইট গুরুত্ত্বপূর্ণ। এবং জামিনের আবেদন করে তারা।

পরবর্তীতে জামিনের বিরোধিতা করে ইডির তরফে বলা হয়েছে, নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলালায় গ্রেফতার প্রসন্ন। ইডির দাবি, ৯০ টি কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে। যার ডিরেক্টর প্রসন্নর পরিবারের সদস‍্য।

অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের টাকা নিয়ে ভুয়ো অ‍্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ইস্যু করা হয়েছে। ইডির আরও দাবি, ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি প্রচুর সম্পতীর হদিশ পাওয়া গেছে যার রেজিস্ট্রশন করা হয়েছে বাজার দর থেকে অনেক কম দামে।

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ২০০টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে প্রচুর অর্থ লেনদেন হয়েছে। টাকা ব্যাবহার করা হয়েছে দুর্নীতির ক্ষেত্রে। মূলত প্রসন্ন এখানে মিডিলম্যান হিসাবে কাজ করত।পরবর্তীতে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় নগর দায়রা আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ শে ফেব্রুয়ারি।

Justice Abhijit Ganguly: বাদ পড়তে পারেন ‘এই’ ৪০০০ পরীক্ষার্থী! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বড় নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা: ১৮ মাসের ডিএলএড প্রশিক্ষণরতরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোর্টে জানাতে হবে।

প্রশিক্ষণ না নিয়েই অনেকে স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। ২০১৭ সালে চাকরিরতদের জন্য ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল (এনআইওএস)-এর মারফত ‘ওপেন অ্যান্ড ডিস্ট্যান্স লার্নিং’ কোর্স করানো শুরু হয়।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন ফলে সবচেয়ে বেশি ‘প্রোটিন’ থাকে…? নাম শুনলেই চোখ কপালে উঠবে!

চাকরিরত হলেও বহু চাকরিপ্রার্থী সেখান থেকে ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স করেন। এদিকে তাঁদের অনেকে আবার চাকরির জন্য নতুন করে আবেদনও করেছেন। তাদেরই চাকরি প্রক্রিয়া থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা বলে সূত্রের খবর।