Tag Archives: Uttar Pradesh News

Uttar Pradesh News: শ্রমিকদের দুর্দশার দিন এবার শেষ! এই এক যন্ত্রেই এবার মুহুর্তে পরিষ্কার করা যাবে নর্দমা

কানপুর: ড্রেন পরিষ্কার করতে নেমে অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হন শ্রমিকরা৷ বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে এসে কখনও কখনও তাদের মৃত্যুও ঘটে৷ এবার হয়তো সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে৷ আইআইটি কানপুরের ইনকিউবেটর সংস্থা একটি রোবটিক মেশিন তৈরি করেছে৷ এর সাহায্যে ড্রেন এবং নর্দমা পরিষ্কার অনেক সহজ হবে৷ শ্রমিকদেরও আর নর্দমায় প্রবেশ করতে হবে না৷

আইআইটি কানপুরের ইনকিউবেটর কোম্পানি আর্ক রোবোটিক্স এই ডিভাইসটি তৈরি করেছে। আইআইটি কানপুরের তৈরি এই ডিভাইসটির দাম ৫৫ লাখ টাকা। কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে এমনিতে মেশিনগুলির দাম প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা৷ সেখানে আইআইটি কানপুর দ্বারা তৈরি রোবটিক যন্ত্রটির দাম অনেকটাই কম, এটি অনেক বেশি উন্নত এবং কার্যকরী।

আরও পড়ুন : ফেসবুকে লাইভস্ট্রিমিং, তারপরই রহস্যমৃত্যু ১ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের, শুরু পুলিশি তদন্ত

জানা গিয়েছে, রোবটিক মেশিন দিয়ে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই নর্দমা ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যাবে। যে মেশিনটিকে চালাবে তাকে নর্দমার ভিতরে ঢুকতে হবে না৷ সে এটিকে বাইরে থেকেই চালাতে পারে। এই চালানোও খুব সহজ বলে জানা গিয়েছে৷

আরও পড়ুন : ৫০ বছরের পুরোনো দোকান, এখানকার সিঙাড়ার স্বাদ একবার পেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে

আর্ক রোবোটিক্সের সিইও শুভম বিশ্বকর্মা লোকাল 18 কে বলেছেন যে এটি একটি স্মার্ট ডিভাইস এবং এটি খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। অমৃত ভারত মিশন প্রকল্পের অধীনে মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে এই যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে। শীঘ্রই এটিকে দেশের অন্যান্য জেলা এবং রাজ্যগুলিতেও ব্যবহার করা শুরু হবে। বাজারে এই মুহূর্তে এমন ধরনের অনেক যন্ত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে৷ তবে এই যন্ত্রের দাম বাকিদের তুলনায় বেশ কম এবং এর চাহিদাও বেশি।

Uttar Pradesh News: ৫০ বছরের পুরোনো দোকান, এখানকার সিঙাড়ার স্বাদ একবার পেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে

বুলন্দশহর: খাওয়া-দাওয়ার কথা এলে জিভে জল আনা অনেক খাবারের নামই মাথায় আসবে। তালিকায় বেশ উপর দিকেই থাকবে সিঙাড়া। মশলাদার ও খাস্তা এই খাবার হৃদয় জিতে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের মানুষ সিঙাড়া খেতে খুব ভালোবাসেন৷ আর সেটা যদি মাতরুর সিঙাড়া হয়, তাহলে তো কথাই নেই৷

আরও পড়ুন: IAS-কে বাঁচাতে দশ হাজার টাকা চেয়েছিল ডুবুরিরা! যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে একাই চারজনকে বাঁচালেন তরুনী

বুলন্দশহরের পাহাসু শহরে, মাতরু সিঙাড়াওয়ালার সিঙাড়া সাধারণ মানুষের খুব প্রিয়। বুলন্দশহর প্রধান শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়সু শহরে অবস্থিত এই দোকানটি। বুলন্দশহরের লোকেরা বলে যে এখানে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষই মাতরু সিঙাড়ার ডাই হার্ট ফ্যান৷

কেন বিখ্যাত এই সিঙাড়া? দোকানের এক কর্মচারী লোকাল ১৮ কে জানিয়েছেন, এই দোকানটির বয়স প্রায় ৫০ বছর। শুরু থেকেই এই দোকানে সামোসা তৈরি ও বিক্রির কাজ হয়ে আসছে। ময়দার বদলে মূলত আটা দিয়েই এই সিঙাড়াগুলি তৈরি করা হয়৷ পদটির বিশেষ আকর্ষণ আলু পুরটি৷ এটি তৈরি করা হয় বিশেষ মশলা দিয়ে৷ শুধু রান্না নয়, দোকানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার মতো ব্যাপারগুলিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ৷

আরও পড়ুন : কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ, ছড়িয়েছে ২৭টি দেশে, শীতে ফের মহামারীর আশঙ্কা

সিঙাড়া যখন এত বিখ্যাত তখন এটির দামটিও জেনে নিন৷ না চিন্তার কোনও কারণ নেই, সিঙাড়ার দাম এমন কিছুই নয়৷ প্রতি পিসের দাম মাত্র ১৫ টাকা। একবার যা খেলেই আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে৷

বুলন্দশহরে গেলে শুধু সিঙাড়াই খেতে হবে তার কোনও মানে নেই৷ এখানে ধোসাও বিখ্যাত৷ তাই এরপর বুলন্দশহরে গেলে শুধু সিঙাড়া নয়, ধোসাটাও খেয়ে আসবেন মনে করে৷

Uttar Pradesh News: IAS-কে বাঁচাতে দশ হাজার টাকা চেয়েছিল ডুবুরিরা! যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে একাই চারজনকে বাঁচালেন তরুনী

আগ্রা: উত্তরপ্রদেশে প্রায় একই সময় দুটো ভিন্ন ঘটনা সামনে চলে এসেছে। যে ঘটনা কার্যত কাণপুরের ডুবুরিদের রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

ব্যাপারটা কী? কিছুদিন আগের এক ঘটনা৷ গঙ্গায় ডুবে যাচ্ছিলেন আইএএস আদিত্য বর্ধন সিং৷ সেই সময় কাছেই ছিলেন ডুবুরিরা৷ তবে আদিত্যকে বাঁচানোর বদলে পাড়ে বসে মজা দেখছিল তারা৷ আইএএসের আর্তনাদেও সাড়া দেয়নি কেউ৷ বরং দেওয়া হয়েছিল শর্ত৷ এটাই যে, ডুবুরিদের অ্যাকাউন্টে দশ হাজার টাকা না ঢোকা অবধি কেউ জলে নামবে না৷ যে কারণে মৃত্যু হয়েছিল সেই আইএএসের৷

আরও পড়ুন : ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপ সতর্কতা…! অক্টোবরের প্রথম-দ্বিতীয় সপ্তাহে কী হতে চলেছে বাংলায়? বিরাট আপডেট দিল IMD

প্রায় একই ঘটনায় এবার অন্য ছবি৷ এক মেয়ে বাঁচিয়ে দিলেন চার ডুবতে বসা তরুণকে৷ গণেশ পুজোর বিসর্জনে গিয়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন এই তরুণরা৷ মোহিনী নামের এই মেয়েটি যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন৷ মোহিনী এখন রীতিমতো সাধারণ মানুষের হিরো হয়ে উঠেছেন৷ তাঁর অসামান্য বীরত্বের প্রদর্শনের ঘটনা ঘুরছে সাধারণের মানুষের মুখে মুখে৷

ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়, মোহিনী বটেশ্বরের রাণী ঘাটে পুজোর কিছু সামগ্রী কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন৷ যমুনা নদীতে সেই সময় প্রবল কোলাহল দেখে ছুটে যায় সে৷ দেখেন চার যুবক ডুবতে বসেছেন৷ মোহিনী এক মুহূর্ত নষ্ট না করে যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে বসেন৷ এরপর প্রত্যেককে এক এক করে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন তিনি। মোহিনীর এই সাহস দেখে মন্দির কর্তৃপক্ষও তাকে সম্মান জানায়।

আরও পড়ুন : সরকারের তরফে মিলবে বিশাল অনুদান, এই চাষ করলে মা লক্ষ্মীর আশির্বাদ কৃষকরা পাবেনই

মোহিনী জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি যমুনা নদীতে সাঁতার কাটছেন। একটানা অনুশীলনের ফলে সাঁতারে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন তিনি। তরুণদের চিৎকার শুনে তিনি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি৷ আগে পিছু কিছু না ভেবেই যমুনায় ঝাঁপ দেন তিনি। মোহিনী জানিয়েছেন, তিনি কখনও সাঁতার কেটে কারও জীবন বাঁচাবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি৷

কানপুরের ডুবুরিদের চিন্তা-ভাবনা যদি মোহিনীর মতোই হত, তাহলে হয়তো আইএএস আদিত্য বর্ধনের জীবনটাও বাঁচানো যেত। সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে৷ এখনও তাঁর পরিবার মৃতদেহ খুঁজে পায়নি।

Farming: সরকারের তরফে মিলবে বিশাল অনুদান, এই চাষ করলে মা লক্ষ্মীর আশির্বাদ কৃষকরা পাবেনই

বারাবাঙ্কি: যে সমস্ত ফসলগুলিতে কৃষকদের ভালো আয় হয় সেগুলির মধ্যে অন্যতম ফল ও ফুলের চাষ৷ এই চাষগুলি কৃষকদের প্রায় সারা বছরই ভালো আয়ের উৎস। কৃষকরা কম সময়ে ও কম খরচে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। ফল ও ফুলের চাষকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং কৃষকদের আরও বেশি করে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের তরফে অনেক পরিকল্পনাও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ, ছড়িয়েছে ২৭টি দেশে, শীতে ফের মহামারীর আশঙ্কা

সরকারের তরফে ফুল ও ফলের চাষের সম্প্রসারণের জন্য অনুদান ঘোষণা করেছে। যেখানে গ্লাডিওলাস ফুল চাষে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।

সিনিয়র হর্টিকালচার ইন্সপেক্টর গণেশ চন্দ্র মিশ্র লোকাল 18-কে বলেন, কৃষকরা যদি এক হেক্টর জমিতে গ্লাডিওলাস চাষ করেন, তাহলে হর্টিকালচার বিভাগ ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। তিনি বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় কৃষকরা গ্লাডিওলাস চাষ করে বেশি আয় করতে পারে। জেলার অনেক কৃষক ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশন স্কিম ও সুরক্ষিত চাষের আওতায় গ্ল্যাডিওলাস চাষ করছেন। গ্ল্যাডিওলাস চারা রোপণের জন্য কৃষকদের ৪০ শতাংশ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এক একরে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার চারা সহজেই রোপণ করা যায়। এবং তা থেকে আয়ও হয় দারুন৷

আরও পড়ুন : বাহরাইচের পর এবার এই জেলায় হিংস্র জন্তুর হানা, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

গণেশ চন্দ্র মিশ্র লোকাল-18 কে আরও জানিয়েছেন, কৃষকদের গ্লাডিওলাস চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বারাবাঙ্কিতে অনেক কৃষকই এর চাষ করছেন। প্রতি ইউনিট গ্লাডিওলাস চাষে আনুমানিক খরচ প্রায় ১.২৫ লাখ টাকা। হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট এক বছরে অনুদান হিসাবে মোট খরচের ৪০ শতাংশ দেওয়া ছাড়াও প্রতি হেক্টর চাষের জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে৷ বারাবাঙ্কিতে কৃষকদের চার হেক্টর জমিতে এই ফুলের চাষ করার টার্গেট বেধে দেওয়া হয়েছে৷ যার মধ্যে ৩ হেক্টর সাধারণ কৃষক এবং ১ হেক্টর তফসিলি জাতির কৃষকদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে, কৃষকদের হর্টিকালচার বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম তুলতে হবে৷ তারপরেই তারা পাবে সরকারের তরফে বিশেষ আর্থিক সুবিধা৷

Uttar Pradesh News: বাড়ি, গুদামের তালা ভেঙে সোনা-টাকা চুরি করত ইঁদুর! অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

নয়ডা: দিন ভালোই কাটছিল ইঁদুরের। চুরি করেই কাটছিল দিন। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই ইঁদুরের কার্যকলাপ ফাঁস।

গ্রেটার নয়ডাতে এমনই এক ঘটনা হয়েছে। ইঁদুর মানে গণপতির বাহন নয়। পুলিশের দাবি, ধৃত ইঁদুরের কাছ থেকে নগদ ১.১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ধরা পড়া ইঁদুর দলবলসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাড়ি, দোকান ও গুদামের তালা ভেঙে চুরি করে বেড়াত।

আরও পড়ুন : বাহরাইচের পর এবার এই জেলায় হিংস্র জন্তুর হানা, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

পুরো ব্যাপারটা কি? পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৩ আগস্ট এক ব্যক্তির তরফে থানায় রিপোর্ট করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরের আলমারির তালা ভেঙে সোনা ও রূপোর গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। মামলার তদন্ত করতে নামতেই বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার করা হয় স্বলিন ওরফে চুহাকে৷ জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামি জানায়, সে তার সহযোগী সালমান চাঁদ ও আবিদ মিলে চিতাইহার গ্রামের গ্যাস গুদামের পাশে একটি বন্ধ বাড়ির গেট ও আলমারি ভেঙ্গে সোনা ও টাকা চুরি করেছে।

আরও পড়ুন : হাতে দামি ই-সিগারেট! নয়ডার কাগজ কুরানির দৈনিক আয় জানলে লজ্জা পাবেন আপনিও

এখানেই শেষ নয়৷ আসামি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চুরি করে মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেছে তারা৷ সঙ্গে বেশ কিছু সোনার গয়না৷ পুরো ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের খোঁজ করছে পুলিশ।

অভিযুক্তকে কেন ইঁদুর বলা হয়েছে? পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্বলিন ইঁদুরের মতোই কাজকর্ম করত৷ এবং এতটাই দক্ষতার সঙ্গে করত যে কেউ জানতেই পারত না৷ ইঁদুরের মতো সে চুপচাপ চুরি করত, এবং ছোট জায়গা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত৷ এইভাবে একাধিক চুরি করেছে সে। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, এবং পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের খোঁজে দলও তৈরি করেছে৷

Uttar Pradesh Wolf Attack: বাহরাইচের পর এবার এই জেলায় হিংস্র জন্তুর হানা, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

আলিগড়: উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলায় রাতে হোক বা দিনে। বাইরে বেরোলেই নেকড়েদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে  একটি নেকড়ে এসে দুই গ্রামবাসীসহ চার থেকে পাঁচটি শিশুকে হামলা করে। বন রেঞ্জার বলেছেন যে নেকড়েটির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটা অন্য কোনও প্রাণীর আক্রমণ হতে পারে। বর্তমানে বন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন এবং আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : ফের হিংস্র জন্তুর আক্রমণের শিকার একাধিক, নেকড়ে না অন্য কিছু! চিন্তায় বন দপ্তর

সূত্রের খবর, ইগলাস এলাকার জহরাউলী গ্রামে রাতে ঘুমে ডুবেছিল সবাই। গ্রামবাসী ঘনশ্যাম সিং জানিয়েছেন, তিনি বাড়ির বাইরে  ঘুমাচ্ছিলেন। রাতের অন্ধকারে হঠাৎ নেকড়েটি তাঁকে আক্রমণ করে। সেই সময় তিনি হাত দিয়ে নেকড়ের চোয়ালটি চেপে ধরেছিলেন এবং সেটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেন। প্রাণের ভয় নিয়ে এরপর বাড়ির দিকে ছুট লাগান।

গ্রামবাসীরা তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাতে প্রায় চার-পাঁচটি নেকড়ে আক্রমণ করেছে। ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। আহত হয়েছে গৃহপালিত পশুরাও। শিশুরাও বাদ যায়নি নেকড়েদের আক্রমণ থেকে৷ গোটা গ্রাম এখন এতটাই আতঙ্কে রয়েছে যে, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা একা বাইরে যেতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে এখন।

আরও পড়ুন : প্রবল বন্যায় বাড়ি-ঘড় ছাড়া অগুনতি মানুষ, ভয়ঙ্কর অবস্থা এই রাজ্যে, একাধিক গ্রাম জলের তলায়

ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার ইগ্লাস সারবীর ভারতী অবশ্য অন্য কথা বলছেন৷ তিনি  জানিয়েছেন, হিংস্র জন্তুটি নেকড়েই কি না তা নিয়ে তাঁর যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ তদন্তের পর বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা যেটিকে নেকড়ে বলে সন্দেহ করছে সেটা পাগলা কুকুরও হতে পারে। কারন, এখনও পর্যন্ত নেকড়েটির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি এলাকায়। এমন অবস্থায় বনকর্মীরা চুপচাপ বসে নেই৷ গ্রামে ক্যাম্প বসিয়েছে তারা৷ হিংস্র পশুটিকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।

Income Of Ragpicker: হাতে দামি ই-সিগারেট! নয়ডার কাগজ কুরানির দৈনিক আয় জানলে লজ্জা পাবেন আপনিও

নয়ডা:  এই বিশ্বে কোনও কাজই ছোট নয়। একথার প্রমাণ দিলেন এক নয়ডার এক কাগজ কুড়ানি। তাঁর আয় শুনলে মাথা ঘুড়ে যেতে পারে আপনার।

আগে মানুষ উপার্জনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো কাজ বেছে নিত। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। লাখ লাখ টাকা খরচের পরও অনেকে সামান্য বেতনে কাজ রাজি হয়ে যান। চাকরির বাজার খারাপ থাকায় অনেকেই ব্যবসা নামেন। সেটাও সহজ নয়।

আরও পড়ুন : আলোয় ফেরার সুযোগ, বন্দীদের বদলাতে কারাগারেই পাঠাগার! কোথায় জানুন…

ভারতের একটা ব্যাপার মোটামুটি সবাই মানে৷ মনে করা হয়, শুধুমাত্র বড় কোম্পানিতে কাজ করলেই ভালো উপার্জন সম্ভব। বাস্তব কিন্তু সেটা বলে না৷ সবজির দোকানের কর্মচারী থেকে ভিক্ষুকের আয়ের কথা এখন ভিড়মি খাইয়ে দেয় লোকজনকে৷ চাকরি নিয়ে যারা অহংকার করে, তারাও লজ্জায় মুখ ঢাকে৷ এমনই এক ঘটনা এবার প্রকাশ্যে৷

আরও পড়ুন : স্কুলের রান্নাঘরে ঘাপটি মেরে বসেছিল ভয়ঙ্কর বিপদ, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রাঁধুনী

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে দেখা গিয়েছে, নয়ডায় এক কাগজ কুরানি পিঠে একটি বস্তা নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন৷ তাঁর হাতে ই-সিগারেট! এক ব্যক্তি সেটা ভিডিয়ো করেন৷ এরপর ওই কাগজ কুড়ানির আয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই তাজ্জব সবাই৷

এক কাগজ কুড়ানির কাছে এত দামি ই-সিগারেট কোথা থেকে আসল? পরে জানা যায় সে নাকি সেটি কিনেছে৷ তাঁর দৈনিক আয়ের প্রসঙ্গ উঠলে কাগজ কুড়ানি বলেন পাঁচ হাজার টাকা৷ গোটা ঘটনা যিনি ভিডিয়ো করছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন হয়তো মাসে পাঁচ হাজার টাকার কথা বলছে সে৷ ফের একই প্রশ্ন করা হলে জবাব আসে, প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকা আয় রয়েছে তার৷

প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা মানে ভাবতে পারছেন? মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করে ওই কাগজ কুড়ানি৷ ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই তার কমেন্ট সেকশনে মজার মজার কমেন্ট আসতে শুরু করে৷ অনেকে নিজেদের বেতন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ অনেকে আবার ওই কাগজ কুড়ানির কাছে চাকরিও চেয়ে বসেছেন৷

Uttar Pradesh News: আলোয় ফেরার সুযোগ, বন্দীদের বদলাতে কারাগারেই পাঠাগার! কোথায় জানুন…

বারাবাঙ্কি: বন্দীদের জীবন উন্নত করতে এবার বিশেষ উদ্যোগ৷ উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কিতে জেলের ভিতরে তৈরি করা হচ্ছে পাঠাগার৷ আশা করা হচ্ছে এতে কিছুটা হলেও বন্দীদের একঘেয়েমি কাটবে৷

বারাবাঙ্কি জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০০ বন্দী৷ তবে এখানে প্রায় ১৩০০ থেকে ১৬০০ বন্দী থাকেন৷ এদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন মহিলা রয়েছে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, ছিনতাই ও মাদক পাচারের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত প্রায় ৩০০ বন্দি এবার জীবন বদলানোর সুযোগ পাচ্ছেন৷ বইয়ের মাধ্যমে মানসিক স্বস্তি ও শিক্ষার সুযোগ পাবে তারা। কারা কর্তৃপক্ষের আপাতত একটাই লক্ষ্য, এই বন্দিরা যখন সাজা শেষ করে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে, তখন যেন তাদের জীবন যেন বদলে যায়৷ অন্ধকার জগৎ থেকে বেড়িয়ে এসে তারা যেন সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন : স্কুলের রান্নাঘরে ঘাপটি মেরে বসেছিল ভয়ঙ্কর বিপদ, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রাঁধুনী

ব্যাপারটা এই জেলেই প্রথম হয়েছে তা নয়৷ সেই প্রসঙ্গ উঠতেই জেল সুপার জেপি তিওয়ারি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নয়ডা জেলে এমন পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এবং তাতে রেজাল্ট এসেছে দারুণ৷ তাই বারাবাঙ্কি জেলে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তিনিও এখানে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।

আরও পড়ুন : প্রবল বন্যায় বাড়ি-ঘড় ছাড়া অগুনতি মানুষ, ভয়ঙ্কর অবস্থা এই রাজ্যে, একাধিক গ্রাম জলের তলায়

জেল সুপারের বিশ্বাস, অবসর সময়ে ভালো বই পড়লে তা বন্দীদের বুদ্ধি, চিন্তা, ভালো কিছু করে দেখানোর ক্ষমতাকে ইতিবাচক পর্যায়ে নিয়ে যাবে৷ এটা দেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতেও সাহায্য করবে। এর ফলে তারা নিজেদের অপরাধ জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে এবং ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবে।

Uttar Pradesh Snake News: স্কুলের রান্নাঘরে ঘাপটি মেরে বসেছিল ভয়ঙ্কর বিপদ, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রাঁধুনী

রামপুর: প্রবল বন্যায় একাধিক গ্রাম ভেসে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে৷ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়া তো হয়েছেনই, তবে এখানেই সমস্যার শেষ নয়৷ বন্যার জলে ভেসে বিষাক্ত সাপও ঢুকে গিয়েছে বাড়ি-স্কুলে৷ কয়েকটি জায়গায় জল নেমে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ বাড়ি, ঘর, স্কুলে থেকে গিয়ে বিষাক্ত সাপ৷ আর সেটাই আপাতত চিন্তার অন্যতম প্রধান কারণ৷

এতদিন বন্যার কারণে গ্রামে ঢুকে গিয়েছিল জল৷ রামপুরের চামরাউয়া ব্লকের আহমেদ নগর খেদা গ্রামের সরকারি স্কুলও তাই বন্ধ ছিল৷ জল নামার পর ফের স্কুল খোলে৷ রান্নাঘরে এক বালতিতে দেখা গিয়েছে সাপটিকে৷ রাঁধুনী জলের জন্য এক বালতিতে হাত দিতেই দেখেন সামনে সাক্ষাৎ মৃত্যু৷ সাপটি গোখড়ো ছিল বলেই জানা গিয়েছে৷ ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় শিক্ষক থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে৷

আরও পড়ুন : প্রবল বন্যায় বাড়ি-ঘড় ছাড়া অগুনতি মানুষ, ভয়ঙ্কর অবস্থা এই রাজ্যে, একাধিক গ্রাম জলের তলায়

ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল৷ বেশ কয়েকদিন স্কুল বন্ধের পর ফের তা খুলে যায়৷ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সকাল ৮টায় শিশু ও শিক্ষকরা ক্লাসে বসে। সকাল সকাল রান্নাঘরের কাজ শুরু করেন রাঁধুনী কিরণ। রান্নার জলের জন্য এক বালতিতেই হাত দিতেই সে দেখে ভিতরে কিছ একটা নড়ছে৷ এরপর তিনি ভালোভাবে খেয়াল করতেই দেখেন, বালতির ভিতরে একটা কিং কোবরা। রান্না ফেলে প্রবল আতঙ্কে চিৎকার করতে করতে বাইরে চলে আসেছ৷ শোড়গোল শুনে বাইরে চলে আসে শিক্ষক ও পড়ুয়ারাও৷ স্কুলে প্রবল বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।

আরও পড়ুন : ফের হিংস্র জন্তুর আক্রমণের শিকার একাধিক, নেকড়ে না অন্য কিছু! চিন্তায় বন দপ্তর

স্কুলের অধ্যক্ষ এরপর বিষয়টি গ্রামপ্রধানকে জানান। গ্রামের প্রধান এরপর কয়েকজন গ্রামবাসীকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছন৷ বিষাক্ত সাপটিকে এরপর উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন স্কুলের কর্মচারী ও শিশুরা।

গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে রামপুরে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদের জন্য সোমবারও স্কুল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ছুটির পর বুধবার স্কুল খোলার সময় ঘটনাটি ঘটে।

Uttar Pradesh News: প্রবল বন্যায় বাড়ি-ঘড় ছাড়া অগুনতি মানুষ, ভয়ঙ্কর অবস্থা এই রাজ্যে, একাধিক গ্রাম জলের তলায়

লখিমপুর খেরি: লাগামছাড়া বৃষ্টি। বেড়ে গিয়েছে নদীর জল। আর তার জেরেই আপাতত প্রবল সমস্যায় উত্তর প্রদেশের মানুষ৷ শারদা-ঘাঘরার মতো নদীগুলি আপাতত ছাপিয়ে গিয়েছে৷ তার জেরে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম৷

টানা বৃষ্টি তার উপর বনবাসা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে৷ এই দুই-এর যোগে শারদা, মোহনা ও ঘাঘরা নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে অনেকটা৷ প্রবল বন্যায় পলিয়া, বিজুয়া, টিকুনিয়া ও ধৌরাহারা-এর মতো গ্রামগুলির অবস্থা বেশ শোচনীয়৷ এলাকার প্রায় ৬০টির বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত। নীচের ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় এই গ্রামগুলিতে মানুষ আপাতত বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে৷ রাস্তাঘাট বলে কিছু নেই৷ সবই দলের তলায়৷ এমন পরিস্থিতিতে গ্রামগুলিতে নৌকাই আপাতত হয়ে উঠে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম৷

আরও পড়ুন : ফের হিংস্র জন্তুর আক্রমণের শিকার একাধিক, নেকড়ে না অন্য কিছু! চিন্তায় বন দপ্তর

শারদা নদীর তীরে অবস্থিত দীপনগর, রঘুনগর, ইন্দর নগর, তান্ডা, রঘুনন্দন পূর্বা, জনকপুর, কৌদিয়ালার মতো গ্রামগুলিতে মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। বন্যার কারণে এই মুহূর্তে ভিরা-পালিয়া রাজ্য সড়ক বন্ধ, যার জেরে যান চলাচলও ব্যাহত।

আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে ‘নতুন’ হুঁশিয়ারি…! আবহাওয়ার বিরাট রদবদলের ইঙ্গিত! বজ্রপাত-বৃষ্টি-ঝড় সতর্কতা রাজ্যে রাজ্যে! পুজোয় ভিজবে বাংলা? বড় খবর দিল IMD

শারদা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে গোলা তহসিলের সাত নম্বর বন, গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজরে কুনারপুর শাহপুর, বাঘেরা, রেবতীপুরওয়া, রামেশ্বরপুর, রায়নাগঞ্জ, রামনগর, চাঁদপুরা, রাদাবাজার, বেলহা সিকতিহা, কারসাউর, হুজুরপুরওয়া, বেঞ্চপুরোয়া, রুরাসুলপুর, পূজাগাঁও আষাঢ়ী, মুদিয়া পূজাগাঁও জোহারা, গুজারা, সিংগিয়া ও মেহেন্দি গ্রামের বাড়ি-ঘর ভেসে গিয়েছে। গ্রামের মানুষও আপাতত বাড়ির ছাদে উঠে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। প্যাকেটে করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের কাছে৷

নিঘাসন তহসিল এলাকায় শারদা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে প্রায় ছটি গ্রামের অবস্থা ভয়ঙ্কর৷ বন্যায় বেশিরভাগ ধানের জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের।