Tag Archives: Uttar Pradesh News

Uttar Pradesh News: ফের হিংস্র জন্তুর আক্রমণের শিকার একাধিক, নেকড়ে না অন্য কিছু! চিন্তায় বন দপ্তর

আলিগড়: উত্তরপ্রদেশে ফের বন্য প্রাণীর আক্রমণ! এবার কোন জন্তুর আতঙ্কে গ্রামবাসীরা? বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সেটি নেকড়ে, হায়না অথবা শিয়াল হতে পারে৷

গত কয়েকদিনে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক বন্য জন্তুর আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে৷ কখনও নেকড়ে, কখনও চিতাবাঘ আবার কখনও হিংস্র বাঁদরের দল আক্রমণ করেছে৷ হঠাৎ এই বন্য জন্তুরা এত আক্রমণাত্মক হয়ে গিয়েছে কেন সেটাও চিন্তায় রেখেছে বন বিভাগের কর্মীদের৷

আরও পড়ুন : ঘরের বিছানায় ফনা তুলে বসে রয়েছে গোখড়ো, খেয়াল না করলেই…

আলিগড় জেলার তহসিল আত্রৌলি এলাকায় গত পাঁচ দিন ধরে ফের বন্য প্রাণীর আতঙ্ক। জানা গিয়েছে সেটির আক্রমণে প্রায় নয়জন গ্রামবাসী আহত৷ ১১ সেপ্টেম্বর, দাদনের ভবানীপুরে সেটি একটি ছাগল শিকার করেছে। বন বিভাগের মতে, হিংস্র হয়ে ওঠা জন্তুটি শিয়াল হতে পারে৷ তবে তারা নিশ্চিত নয়৷ গ্রামবাসীদের তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তিন দিন আগে নাহাল গ্রামের তিন ব্যক্তি এই হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের হাতে ও পায়ে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে মাঠ থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়ই তাঁদের উপর আক্রমণ করে জন্তুটি। ১১ সেপ্টেম্বরও এই একই প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন আরও দুজন৷ বিজৌলি ব্লকের দাতাচলি, খুরদিয়া, ধুররা এবং মন্দপুর গ্রামেও বেশ কয়েকজনের উপর আক্রমণের খবর সামনে এসেছে৷ আহতদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে৷

আরও পড়ুন : এবার চন্দ্রযান ৪, চাঁদের মাটি থেকে নমুনা নিয়ে ফিরে আসবে পৃথিবীতে, বরাদ্দ ২,১০৪ কোটি টাকা

কোন জন্তুর আক্রমণে এমন ঘটছে সেটা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও আশঙ্কার আঙুল নেকড়েদের উপরই৷ কারণ ইদানীং রাজ্যে একের পর এক নেকড়ে হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে এবং সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এই প্রাণীটিও নেকড়ে হতে পারে। যদিও বন বিভাগের তরফে বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এ এলাকায় নেকড়ে বা হায়না সাধারণত দেখা যায় না৷

এমন পরিস্থিতিতে বন বিভাগের তরফে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷ ফরেস্ট রেঞ্জার আত্রৈলী মাহফুজ আলী জানিয়েছেন, হঠাৎ হিংস্র হয়ে ওঠা প্রাণীটি শেয়াল হতে পারে। গ্রাম থেকে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে যে প্রাণীটি কোনও কিছু শিকার করলে সেই একই জায়গায় বারবার ফিরে আসছে৷ এমন অবস্থায় গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং প্রাণীটিকে দেখতে পেলেই সেটির একটি ছবি তুলে রাখার কথা বলা হয়েছে, যাতে এটিকে সহজেই চেনা যায়৷।

Uttar Pradesh News: নেকড়ে, চিতাবাঘের পর উত্তর প্রদেশে এবার এই হিংস্র পশুর তাণ্ডব, দুই মাসে শিকার ২

পিলভিট: গত কয়েকদিনে ইউপির বিভিন্ন শহরে একাধিক বন্যপ্রাণীর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। পিলিভিটে প্রায় প্রতিদিনই বাঘের আক্রমণের খবর থাকে। এবার এখানে বানরের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে পিলিভিটের কারেলি এলাকায় একটি গ্রামে বানরের আক্রমণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

বাহরাইচে নেকড়ের আক্রমণের ঘটনার জেরে গত এক মাস ধরে খবরের শিরোনামে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হিংস্র বন্যপ্রাণী আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। কোথাও বাঘ, কোথাও চিতাবাঘ, কোথাও নেকড়ে আবার কোথাও শেয়াল অবিরাম হানা দিচ্ছে। পিলিভীটে এবার বানরের সন্ত্রাসের খবর প্রকাশ্যে। বানরের ভয়ে এবার গ্রামের লোকজন বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর৷

আরও পড়ুন : বৃষ্টির পর প্রবল জলস্রোত, বিহারে সেতুর পিলারে ধস, ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক

বানরের আক্রমণের  ঘটনাটি ঘটে পিলভিটের কারেলি থানা এলাকার তিলচি গ্রামে। যেখানে হিংস্র বানরের আক্রমণে একটি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ওই এলাকার বাসিন্দা নাজভীন বারান্দায় কাপড় শুকোতে দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই হঠাৎ একদল বানর তাঁকে আক্রমণ করে। হামলায় মেয়েটি ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

দুর্ঘটনার সময় মেয়েটি বাড়িতে একাই ছিল বলে জানা গিয়েছে। মেয়েটির চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের বাড়ির লোকজন৷ দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ বাভ হয়নি৷  হাসপাতালেই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন : ব্যস্ত রাস্তায় ‘মৃত’ সেজে রিলস! ভাইরাল হতে গিয়ে যুবকের ঠাঁই হল শ্রীঘরে! উত্তরপ্রদেশের ভিডিও ভাইরাল

এই নিয়ে পিলভিটে গত দুই মাসে দুজনের প্রান হারানোর খবর প্রকাশ্যে৷ আগের ঘটনাটিও বেশদিন আগের নয়৷ সেবারও ভিলেনের ভূমিকায় ছিল হিংস্র বানরের দলই৷ গ্রামের এক মহিলাকে বানরের দল আক্রমণ করেছিল৷ সেই ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙ্গে  প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই আক্রান্ত।

Uttarpradesh Leopard Attack : নেকড়ে, বাঁদরের পর এবার উত্তর প্রদেশে মানুষখেকোর উৎপাত, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর

বিজনোর :  মাহসি তহসিলে ১০টি হত্যাকাণ্ডের জন্য শুধু বাহরাইচের নেকড়েরা দায়ী নয়। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলায়, ৮৫টি গ্রামের ৬০ হাজারের বেশি মানুষ রয়েছেন। যেখানে অন্তত ৫০০টি চিতাবাঘ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষ খেকো চিতাবাঘের শিকার হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। গত দেড় বছর ধরে এই হত্যাকাণ্ড চলছে।

উত্তর প্রদেশের বনবিভাগ প্রায় ১০৭টি খাঁচা পেতেছিল মানুষ খেকো বাঘগুলিকে ধরার জন্য। তবে এটাও স্থানীয়দের স্বস্তি দিতে পারেনি। গ্রামবাসীরা এখনও বাড়ির ভিতরে ভয় ভয়েই বসবাস করছেন।

আরও খবর : বঙ্গোপসাগর ছুঁয়েছে ঘূর্ণাবর্ত…! আসছে নতুন অশনি! ৭ রাজ্য কাঁপাবে অতিভারী বৃষ্টি! কী সতর্কতা বাংলায়? জানিয়ে দিল আইএমডি

পিলানা, বিজনোরের চাঁদপুর তহসিলের এক প্রাণবন্ত গ্রাম ছিল। এখন তা নিস্তব্ধ। এখানে একসময় নারী-পুরুষরা একসঙ্গে মাঠে কাজ করতেন, দোকানপাট জমজমাট থাকত, স্থানীয়রা চায়ের স্টলে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতেন। এখন সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। যে শিশুরা একসময় রাস্তায় ক্রিকেট খেলত, তারাও অনুপস্থিত, মহিলারা আর দল বেঁধে আড্ডাও দেন না।

মানুষখেকো চিতাবাঘের ভয় গ্রামবাসীরা বিকাল পাঁচটার পরে বাড়ির বেড়োচ্ছেন না। গ্রামের এক সময়ের ব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনে ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। যা চোখে লাগার মতো।

আরও খবর : হাসপাতালে কেটে দেওয়া হল সিসিটিভি, দরজায় তালা, মদ্যপ অবস্থায় নার্সের উপর হামলা ডাক্তারের, বিহার পুলিশ যা বলল

পিলানা গ্রামের বাসিন্দা কুলদীপ মুদগাল বলছিলেন, “আমাদের গ্রামের উপর কারও খারাপ নজর পড়েছে। গ্রামের বর্তমান অবস্থা আর আগের মতো নেই। আমাদের গ্রাম খুব হাসিখুশি ছিল। এখন সেসব অতীত।” কুলদীপ এই পরিবর্তনের জন্য মানুষখেকো চিতাবাঘকেই দায়ী করেছেন।

“গভীর জঙ্গল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে চিতাবাঘ দেখা মেলে। স্থানীয় ভাষায় লোকেরা এটিকে ‘গুলদার’ বলে ডাকেন। সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে হঠা‍‍ৎই দৃশ্যপট বদলে যায়৷” কুলদীপ নিউজ 18-কে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, চিতাবাঘের আক্রমণ এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এটাই গ্রামের জীবনযাত্রাকে সম্পূর্ণ রূপে বদলে দিয়েছে।

চিতাবাঘের আক্রমণে পিলানা সম্ভবত একমাত্র গ্রাম নয়। ইউপি-র বন বিভাগের রেকর্ড অনুসারে, প্রায় ৮৭টি গ্রাম রয়েছে। “চিতাবাঘের দেখা এবং মানুষ-প্রাণীর সংঘর্ষের ভিত্তিতে, আমরা বিজনোরের চারটি তহসিলে অতি সংবেদনশীল বিভাগের অধীনে প্রায় ৮৭টি গ্রাম চিহ্নিত করেছি। এই গ্রামগুলি ঘন জঙ্গল এলাকায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে,” বিজনোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জ্ঞান সিং বলছিলেন।

জ্ঞান সিং আরও বলেছিলেন যে, বনবিভাগ মানুষখেকো চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য বনকর্মীদের একটি দলকে নির্দেশ দিয়েছে এবং তারা ভয়ঙ্কর একটি অভিযানও শুরু করে দিয়েছে। সিং বলেছিলেন, লোকেদেরকে গৃহপালিত পশু নিয়ে আসার জন্য জঙ্গলে একা যেতে বারণ করা হয়েছে৷ মাঠে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে বা রেডিওতে জোরে গান বাজিয়ে দলে দলে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া অন্ধকারে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷ মানুষখেকো চিতা ধরতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১০৭টি খাঁচা বসানো হয়েছে। তবে গ্রামবাসীর ওপর চিতা বাঘের হামলা এখনও চলছে৷ বিরাম নেই তাতে।

চিতাবাঘের আক্রমণে বিজনোরের চাঁদপুর তহসিলে ২৯ আগস্ট রাতে একজন ৩০ বছর বয়সী কৃষক মারা গিয়েছেন৷ সেটাই চিতাবাঘের আক্রমণের সিরিজের সর্বশেষ ঘটনা।

স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজপাল সাইনি নামে ওই কৃষক তার গবাদি পশু চড়াতে মাঠে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে। “পরিবারের সদস্যরা ব্রিজপালের চিৎকার শুনে মাঠে ছুটে গেলে রক্তের ছাপ দেখতে পান। প্রায় এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর গ্রামবাসীরা মাঠে পড়ে থাকা কৃষকের মৃতদেহ দেখতে পান,” বলেন তারা।

ইউপি বন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ডঃ অরুণ কুমারও চিতাবাঘ আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং স্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেন। তিনিই ঘনঘন চিতাবাঘ দেখা যায় এমন এলাকায় খাঁচা এবং ক্যামেরা ফাঁদ স্থাপনের নির্দেশ দেন এবং রাতের বেলা নিরাপত্তার উন্নতির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেন।

এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫টি চিতাবাঘকে ধরে ফেলেছে বন বিভাগ। ১০ সেপ্টেম্বর নাগিনা তহসিলের হুর নাগলা গ্রামে ধরা পড়ে সর্বশেষটি। “আমরা নাগিনা তহসিলের হুর নাগলা গ্রামের কাছে একটি মাঠে খাঁচাটি রেখেছিলাম। পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা মাঠে গেলে খাঁচায় একটি স্ত্রী চিতাকে দেখতে পাওয়া যায় খাঁচায়। তারাই বনবিভাগকে খবর দিয়েছিলেন৷” জানিয়েছেন বনবিভাগের এই কর্তা। তিনি আরও বলেন, ওই দিনই তারা আরেকটি চিতাবাঘের খবর পান যেটি দুর্ঘটনাবশত শুকনো কূপে আটকা পড়েছিল। সেটিকে উদ্ধার করে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়৷

গত ১৯ দিনে, এলাকায় ১১ তম চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। পরিসংখ্যান বলে, গত ১৮ মাসে প্রায় ৬৭টি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। এরপরও চিতাবাঘের সংখ্যা এই অঞ্চলে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এটাই এই অঞ্চলে সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে৷ সিং জানিয়েছেন, অঞ্চলে চিতাবাঘের সংখ্যা এখন প্রায় ৫০০-এর কাছাকাছি পৌঁচেছে৷

সম্প্রতি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঙ্কিত আগরওয়ালের সভাপতিত্বে ক্রমবর্ধমান চিতাবাঘের হুমকির বিষয়ে ডাকা একটি বৈঠক চলাকালীন, বিজনোরের সামাজিক বনায়নের বিভাগীয় পরিচালক, চিতাবাঘের কারণে ক্রমবর্ধমান মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাত মোকাবেলায় আরও ১০০ টি খাঁচা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীরা অবশ্য চিতাবাঘের হাত থেকে বাঁচতে নিজেরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন। লোহার রড ছাড়াও স্পেশাল অস্ত্র ব্যবহার করছে তারা৷ যা মূলত চিতাবাঘকে ভয় দেখানোর জন্য৷ এতেও কি আদৌ সমস্যার সমাধান হবে? সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অবশ্য সেই আশা দেখাচ্ছে না৷

Bus accident: বাসের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মুহূর্তে নেমে এল হাহাকার! মৃত বহু

লখনউ: ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা! বাসের সঙ্গে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল ১০ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের সালেমপুরে বদায়ুঁ-মীরাট রাজ্য সড়কের উপরে। ঘটনার পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এই দুর্ঘটনায় শুধু ১০ জনের মৃত্যুই নয়, আহতও হয়েছেন ২৭ জন, যার মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। গুরুতর আহতদের পাঠানো হয়েছে হায়ার সেন্টার মেডিক্যাল কলেজে। জানা দিয়েছে বেসরকারি এই বাসটি দিবাই থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাচ্ছিল, অন্য দিকে পিকআপ ভ্যানটি গাজিয়াবাদ থেকে আলিগড়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন: সাপের বিষে প্রাণ যায় বহু প্রাণীর, কিন্তু উটকে খাওয়ানো হয় বিষাক্ত সাপ, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বদায়ুঁ-মীরাট রাজ্য সড়কের উপরে যানবহন দু’টির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলাশাসক এবং সিনিয়র পুলিশ সুপার হাসপাতালে গিয়ে আহতদের জন্য উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার সুপারিশ করেন। সংঘর্ষের পরেই পুলিশ এবং প্রশাসন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়।

আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী নিম্নচাপ, রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ভয়ঙ্কর বৃষ্টি, কত দিন চলবে?

আহতদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাস এবং পিকআপ ভ্যানটিতে মোট ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর নিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের যাতে উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই বিষয় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Uttar Pradesh news: ধর্ষণের ফলে মৃত সন্তানের জন্ম কিশোরীর, সমাজের ভয়ে নীরবে মাটিতে পুঁতে দিল পরিবার

লখনউ: বৃদ্ধ প্রতিবেশীর ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল নাবালিকাকে। অভিযোগ, সাত মাস পরে সেই ধর্ষণের ফলেই মৃত একটি শিশুর জন্ম দেয় কিশোরী। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না জানিয়েই মাটিতে সেই মৃত সন্তানের দেহ পুঁতে দেয় নির্যাতিতার পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাহরাইচে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। সেই সঙ্গে মৃত শিশুর দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নিয়ে পলাতক ভাই, দিদিকে গণধর্ষণ তরুণীর পরিবারের! অভিযোগ রেকর্ড করা হয় দৃশ্য

নির্যাতিতা কিশোরীর বয়স ১৪ বছর, তার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এক বৃদ্ধ প্রতিবেশির ধর্ষণের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। কিশোরীর পরিবার ঘটনাটি যখন জেনেছে তখন সেই কিশোরী সাত মাসের সন্তানসম্ভবা, সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছিন মুর্তিহা থানার পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ আরও জানায়, গত শুক্রবার নাবালিকা মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। তার একদিন পরে নাবালিকার দিদি থানায় অভিযোগ জানায়।

আরও পড়ুন: বর্ধমানে মেলা থেকে ফেরার পথে বন্ধুর সামনেই গণধর্ষণের শিকার তরুণী, ধৃত তিন অভিযুক্ত

পুলিশ জানিয়েছে, জেলাশাসকের নির্দেশ পাওয়ার পরেই শিশুটির দেহ মাটি থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Crime news: স্ত্রীকে মারধর করে খুন! গোপনাঙ্গে বেলন ঢুকিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

নৃশংস ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশের এটাওয়াতে। মদ্যপ স্বামীর হাতে নৃশংস ভাবে খুন হতে হল গৃহবধূকে। ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলার স্বামী। জানা গিয়েছে, সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। সুরজিৎ বলে এক যুবককে ১০ বছর আগে বিয়ে করেন ২৮ বছরের তরুণী রেশমা।
নৃশংস ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশের এটাওয়াতে। মদ্যপ স্বামীর হাতে নৃশংস ভাবে খুন হতে হল গৃহবধূকে। ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলার স্বামী। জানা গিয়েছে, সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। সুরজিৎ বলে এক যুবককে ১০ বছর আগে বিয়ে করেন ২৮ বছরের তরুণী রেশমা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের বিবাহ হলেও, বিবাহের কিছু দিন পরেই সংসারে সমস্যা শুরু হয়, মূলত এর কারণ ছিল তরুণীর স্বামীর মদ্যপানের প্রতি আসক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের বিবাহ হলেও, বিবাহের কিছু দিন পরেই সংসারে সমস্যা শুরু হয়, মূলত এর কারণ ছিল তরুণীর স্বামীর মদ্যপানের প্রতি আসক্তি।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার খুবই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে অভিযুক্ত যুবক। ফিরেই লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকে পাশবিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার খুবই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে অভিযুক্ত যুবক। ফিরেই লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকে পাশবিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার খুবই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে অভিযুক্ত যুবক। ফিরেই লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকে পাশবিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার খুবই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে অভিযুক্ত যুবক। ফিরেই লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকে পাশবিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। তারপর সেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে দেখা যায় মহিলার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই সঙ্গে গোপনাঙ্গ থেকে একটি বেলন পাওয়া যায়।
ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। তারপর সেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে দেখা যায় মহিলার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই সঙ্গে গোপনাঙ্গ থেকে একটি বেলন পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে রেশমাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ফিরোজাবাদের পুলিশ সুপার সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, মহিলার ভাই এই বিষয় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সুরজিৎকেও গ্রেফতার করে তদন্ত করছে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে রেশমাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ফিরোজাবাদের পুলিশ সুপার সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, মহিলার ভাই এই বিষয় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সুরজিৎকেও গ্রেফতার করে তদন্ত করছে পুলিশ।

Uttar Pradesh news: আম নিয়ে শিশুদের লড়াই থেকে তিনজনের যাবজ্জীবন… ৪০ বছর পরে কমল শাস্তি

নয়াদিল্লি: আম নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছিল শিশুদের মধ্যে। সেই লড়াই ধীরে ধীরে বৃহত্তর রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত খুন হতে হয় একজনকে। ঘটনার জেরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেতে হয় ৩ জনকে। ৪০ বছর পরে সেই সাজা কমল তিনি আসামির। তাঁদের আপাতত ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

ঘটনাটি ১৯৮৪ সালের। আম নিয়ে শিশুদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। সেই অশান্তি থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তার পরে লাঠির আঘাতে একজন গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৬ সালে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হন, যাবজ্জীবনের সাজা হয় তিন আসামির। ২০২২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজা বহাল রাখে।

আম চুরি নিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা ভোগ করতে করতে মারা যান ৫ জনের মধ্যে ২ আসামি। জীবিত ৩ জন সাজা ভোগ করছিলেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ জানান এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত নয়। তাই ৩ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন থেকে ৭ বছরের জন্য করা হয়। সেই সঙ্গে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা খুন হওয়া পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Bus accident: বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা গাড়ির! মুহূর্তে হাহাকার, চলে গেল ৭টি প্রাণ, আহত বহু

লখনউ: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে স্লিপার বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে একটি গাড়ির। ঘটনার জেরে ৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪৬ জন।

শনিবার মধ্যরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ইটাওয়ার কাছে। বাস এবং গাড়ি উভয়ই প্রচণ্ড গতিতে আসছিল। তাই মুখোমুখি ধাক্কা লাগার ফলে দুমরেমুছড়ে যায় বাস এবং গাড়িটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়িটির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তাই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পাশের লেনে ঢুকে পড়ে।

আরও পড়ুন: আবার ট্রেন দুর্ঘটনা! উত্তর প্রদেশে ইয়ার্ডে যাওয়ার পথে বেলাইন ট্রেন, দেশে ১৮ দিনে দশম দুর্ঘটনা

সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। এত জোরে গাড়িটির সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে যে অভিঘাত সহ্য করতে না পেরে উল্টে যায় বাসটি। স্লিপার বাস হওয়ায়, বাসটির উপরেও অনেক যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন, তাঁরা ছিটকে পড়েন মাটিতে। মৃতদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন বাসটির যাত্রী, আর অন্য ৩ জন ওই গাড়িটিতে ছিলেন।

আরও পড়ুন: মাইথন, পাঞ্চেত থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ল ডিভিসি, বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

ঘটনা নিয়ে ইটাওয়ার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ স‍ঞ্জয় কুমার বর্মা বলেন, “একটি দোতলা বাস রায়বেরিলি থেকে দিল্লি যাচ্ছিল, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বাসটিতে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ৪ জন মারা গিয়েছেন। গাড়িটিতে ৩ জন যাত্রী ছিলেন, তাঁরা সকলেই নিহত হয়েছেন। মোট ৭ জন মারা গিয়েছেন এই ঘটনায়”।

Crime news: কলকাতার মেয়েকে নাকি কালা জাদু করে মেরেছেন! সন্দেহের বশে খুন উত্তর প্রদেশের মহিলা

বালিয়া: মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশে। দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যেকার গন্ডগোলের জেরে খুন হতে হল এক মাঝ বয়সি মহিলাকে। মৃত মহিলার বাড়ি উত্তর প্রদেশে, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি কালা জাদু করে ১২৮০ কিলোমিটার দূরে কলকাতায় থাকা এক কিশোরীকে মেরে ফেলেছেন!

আরও পড়ুন: প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী! দেহ সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… জানলে আপনিও শিউরে উঠবেন

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের হাদিহা কলা গ্রামে। এই অদ্ভুত অভিযোগের ভিত্তিতেই অশান্তি বাঁধে দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার মারামারিতে আহত হয়েছেন মোট ৪ জন। আর মারামারির জেরে নিহত হন ৪৫ বছর বয়সি রাজ মুণি দেবী। বইরিয়া এলাকার পুলিশের সার্কেল অফিসার মহম্মদ উসমান জানান, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটি গোষ্ঠীর সন্দেহ নিহত রাজ মুণি দেবী নাকি তুকতাক এবং কালা জাদু করে সুদূর কলকাতায়া থাকা ১৫ বছরের এক কিশোরীকে মেরে ফেলেন।

আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

এই নিয়েই দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। যার যেরে রাজ মুণি দেবী-সহ পাঁচ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাজ মুণি মারা যান। পুলিশের পক্ষ খেকে জানানো হয়েছে, রাজ মুণি দেবীর ছেলে সন্তোষের অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Pregnant woman death: প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী! দেহ সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… জানলে আপনিও শিউরে উঠবেন

মেরঠ: চিকিৎসকদের ভারতে ঈশ্বর হিসাবে মানা হয়। তাঁরা নাকি ঈশ্বরের মতো মৃত মানুষের শরীরের প্রাণ ফেরাতে পারে। কিন্তু অনেক সময় ঈশ্বরের মতো চিকিৎসকদেরও ভুলভ্রান্তি হয়। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় সাধারণ মানুষকে।

আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি একটি ঘটনা নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। মেরঠে সন্তানপ্রসব করতে গিয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয় এক মহিলার। ভাগ্যের পরিহাস মেনে নিয়ে মৃত মহিলার দেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার। তারপরে সমস্ত ধর্মীয় আচার মেনে মৃতদেহ সৎকার করা হয়। মৃতদেহ সম্পূর্ণ দাহ হলে সেখান থেকে চিতাভষ্ম সংগ্রহ করার সময় শিউরে ওঠে পরিবার। চিতাভস্ম থেকে এমন জিনিষ পাবেন তা সেই মহিলার পরিবারের সদস্যরা আশাই করেননি।

আরও পড়ুন: দু’সপ্তাহের মধ্যেই আবার বিশ্বজয় ভারতের! ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হলেন তৃণমূল সাংসদ

ঘটনাটি ঘটেছে রথৌরা খুর্দ গ্রামের হস্তিনাপুর থানা এলাকায়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মেরঠের জেকে হাসপাতালে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অপারেশন চলাকালীন প্রাণ হারান সেই মহিলা। তাঁর অস্থিভস্ম সংগ্রহ করার সময় পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে একটি সার্জিক্যাল ব্লেড খুঁজে পান। ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মৃত মহিলার পরিবার। সম্পূর্ণ ঘটনা তাঁরা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের পরেও মহিলার শরীরে ছিল সার্জিক্যাল ব্লেড, যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার।

ঘটনার পরে মেরঠের চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত হাসপাতালের লাইসেন্স।