Tag Archives: statue

PM Modi: ‘শিবাজি মহারাজের পায়ে মাথা রেখে ক্ষমা চাইছি’, মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনায় মর্মাহত মোদি

নয়াদিল্লি: গত বছর রাজকোট ফোর্টে ৩৫ ফুট লম্বা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মূর্তির উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে পড়েছে সেই মূর্তি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা মহারাষ্ট্রে। অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে মূর্তি তৈরি করাতেই এই বিপত্তি। এই ঘটনায় এবার ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় বাঁধবন বন্দর প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ শুধু একজন রাজা নন। তিনি আমাদের কাছে দেবতা। আমি তাঁর পায়ে মাথা রেখে ক্ষমা চাইছি।’’ শিবাজি মহারাজের অনুগামী এবং যাঁরা তাঁকে ‘আরাধ্য দেব’ মানেন, তাঁদের কাছেও এদিন ক্ষমা চান মোদি।

আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ যাওয়ার কথা ভাবছেন? ট্রেনের টিকিটের চিন্তা? বড় সুখবর দিল রেল, এখনই জানুন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজকে আরাধ্য মানেন, তাঁদের কাছেও মাথা নত করছি। এই ঘটনায় যাঁরা গভীর দুঃখ পেয়েছেন, তাঁদের কাছেও আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি অন্যরকম মূল্যবোধের মানুষ। আমার কাছে আরাধ্যের চেয়ে বড় আর কিছু নেই।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে বীর সাভারকরকে অপমান ও আক্রমণ করার জন্য বিরোধীদেরও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদির কথায়, “আমাদের কাছে দেবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। কিছু লোক বীর সাভারকরকে গালাগাল দেয়। কিন্তু তাঁকে অপমান করার জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি নয়। বরং তারা আদালতে গিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত।’’

আরও পড়ুন: আর ভুল নয়, সকালে খালি পেটে ঠান্ডা জল নাকি গরম জল, কোনটা খাওয়া উচিত? ওজন কমাতে এখনই জানুন

উল্লেখ্য, গত বছর ভারতীয় নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সিন্ধুদূর্গ জেলার রাজকোট ফোর্টে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ৩৫ ফুটের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র। গত ২৬ অগাস্ট ভেঙে পড়ে সেই মূর্তি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, মূর্তিটি ভারতীয় নৌবাহিনীর তৈরি। ঘটনায় নৌসেনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মূর্তির কাঠামোর পরামর্শদাতা চেতন পাটিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Durga pujo 2024: সপরিবারে উলুবেড়িয়া থেকে সোজা কানাডার টরোন্টোর পথে উমা! প্রতিমা শিল্পী সঞ্জীব চন্দ্রের ফাইবারের মূর্তি এই সপ্তাহেই উঠবে কানাডাগামী জাহাজে

উলুবেড়িয়া, সন্তু মালিক:  দুর্গাপুজো আসতে এখনও প্রায় মাস তিনেক দেরি রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে প্রায় সর্বত্রই খুঁটি পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে।   এই বাংলা থেকে অনেক মূর্তি এখন থেকেই বিদেশে পাড়ি দেয়৷
উলুবেড়িয়া, সন্তু মালিক:  দুর্গাপুজো আসতে এখনও প্রায় মাস তিনেক দেরি রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে প্রায় সর্বত্রই খুঁটি পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে।   এই বাংলা থেকে অনেক মূর্তি এখন থেকেই বিদেশে পাড়ি দেয়৷
এমনই এক প্রতিমা শিল্পীর নাম সঞ্জীব চন্দ্র৷  তাঁর বানানো প্রতিমাটি উলুবেড়িয়া ময়রাপাড়া থেকে কানাডার টরোন্টোয় পাড়ি দেবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সপ্তাহেই জাহাজে করে সপরিবারের কানাডার পথে পাড়ি দেবেন উমা।
এমনই এক প্রতিমা শিল্পীর নাম সঞ্জীব চন্দ্র৷  তাঁর বানানো প্রতিমাটি উলুবেড়িয়া ময়রাপাড়া থেকে কানাডার টরোন্টোয় পাড়ি দেবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সপ্তাহেই জাহাজে করে সপরিবারের কানাডার পথে পাড়ি দেবেন উমা।
৬ ফুট উচ্চতার এই ফাইবারের দুর্গা প্রতিমাটি তৈরী করেছেন উলুবেড়িয়া ময়রাপাড়ার শিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র। ইতিমধ্যে প্রতিমার যাবতীয় কাজ শেষ। তবে শুধু দুর্গা প্রতিমা নয় তার সঙ্গে এই রাজ্য থেকে ঢাক সহ পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী ও কানাডায় পাঠানো হচ্ছে।
৬ ফুট উচ্চতার এই ফাইবারের দুর্গা প্রতিমাটি তৈরী করেছেন উলুবেড়িয়া ময়রাপাড়ার শিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র। ইতিমধ্যে প্রতিমার যাবতীয় কাজ শেষ। তবে শুধু দুর্গা প্রতিমা নয় তার সঙ্গে এই রাজ্য থেকে ঢাক সহ পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী ও কানাডায় পাঠানো হচ্ছে।

 

সঞ্জীব চন্দ্র জানান ‘‘ফেসবুকে আমার প্রতিমার কাজ দেখে কানাডা থেকে প্রতিমা গড়ার জন্য আমন্ত্রন আসে । পুরো প্রতিমাটি ফাইবার দিয়ে তৈরী। প্রতিমাটি তৈরী করতে ৪০ দিন সময় লেগেছে।’’
সঞ্জীব চন্দ্র জানান ‘‘ফেসবুকে আমার প্রতিমার কাজ দেখে কানাডা থেকে প্রতিমা গড়ার জন্য আমন্ত্রন আসে । পুরো প্রতিমাটি ফাইবার দিয়ে তৈরী। প্রতিমাটি তৈরী করতে ৪০ দিন সময় লেগেছে।’’
এই সপ্তাহেই জাহাজে করে রওনা দেবে প্রতিমাটি৷ আগামী দুইমাসের মধ্যেই উমা সপরিবারে কানাডার টরেন্টোয় পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিজের হাতে তৈরি প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেওয়ায় খুবই খুশি সঞ্জীব। তবে তাঁর তৈরি প্রতিমা এই প্রথম বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে না৷  এর আগেও দুবাই‌, লাক্সেমবার্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল সঞ্জীবের হাতের তৈরী ফাইবারর দুর্গা প্রতিমা।
এই সপ্তাহেই জাহাজে করে রওনা দেবে প্রতিমাটি৷ আগামী দুইমাসের মধ্যেই উমা সপরিবারে কানাডার টরেন্টোয় পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিজের হাতে তৈরি প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেওয়ায় খুবই খুশি সঞ্জীব। তবে তাঁর তৈরি প্রতিমা এই প্রথম বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে না৷  এর আগেও দুবাই‌, লাক্সেমবার্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল সঞ্জীবের হাতের তৈরী ফাইবারর দুর্গা প্রতিমা।

Bangla Video: ঠোঁটের ডগায় গীতার সব শ্লোক, মাত্র ৪ বছর বয়সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন কৃষ্ণভক্ত ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী

পশ্চিম বর্ধমান: আর পাঁচটা বছর চারেকের শিশু যা করে তিনি তা করেন না। কচি বয়সে হাই, হ্যালোর বদলে এই খুদের মুখে সবসময় শোনা যায় কৃষ্ণ নাম। কৃষ্ণভক্ত চার বছরের এই বালক ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তার প্রত্যেকটি ভিডিওতে থাকে মিলিয়ন ভিউ। দেশের মাটি ছাড়িয়ে কৃষ্ণ নামের প্রচারে এই ছোট্ট বালক ইতিমধ্যেই বিদেশেও ঘুরে এসেছে। বৃন্দাবনের সেই বিস্ময় বালক ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী এবার এই বাংলায়।

আসানসোলে গেলেই দেখা পাবেন মাত্র চার বছর বয়সের স্বনামধন্য কৃষ্ণভক্ত ভাগবত দশ ব্রহ্মচারীর। ২০২০ সালে মথুরায় জন্মগ্রহণ করে। বাবা-মা দুজনেই কৃষ্ণভক্ত। তাঁদের হাত ধরেই একেবারে ছোটবেলা থেকে কৃষ্ণপ্রেম শুরু এই খুদের। বর্তমানে ভগবত দাস ব্রহ্মচারী গৌরাঙ্গ ইনস্টিটিউট ফর বৈদিক শিক্ষার গুরুকুলে অধ্যায়নরত। এই চার বছর বয়সেই সে অবলীলায় বলে দিতে পারে গীতার বিভিন্ন কঠিন কঠিন শ্লোক। পুরোপুরি সনাতন ধর্মের প্রাচীন রীতি অনুসরণ করে জীবন যাপন করে এই বালক।

আরও পড়ুন: টাইম কল থাকলেও এই গ্রামের মানুষ পরম তৃপ্তিতে পুকুরের জল পান করে!

ভগবত দাস ব্রহ্মচারী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার একজন তারকা হয়ে উঠেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। এই বিস্ময় বালককে দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন। কথা শুনতে পছন্দ করেন বহু মানুষ। সেই কৃষ্ণভক্তের এবার দেখা পাবেন আসানসোলে গেলেই। সৌজন্যে আসানসোলের ভাস্কর্য শিল্পী সুশান্ত রায়।

আসানসোলের ভাস্কর্য শিল্পে সুশান্ত রায় তাঁর ওয়াক্স মিউজিয়ামে তৈরি করে ফেলেছেন ভাগবত দাস ব্রহ্মচারীর একটি মোমের মূর্তি। যা সদ্য দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভিডিও দেখেই এই মূর্তি তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুশান্তবাবু। তারপর দেড় মাস সময় লেগেছে খুদে কৃষ্ণভক্তের মূর্তি তৈরি করতে। যা বর্তমানে এই ওয়াক্স মিউজিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এই কৃষ্ণ ভক্তের মূর্তি তৈরি করতে পেরে শিল্পী নিজেও ভীষণ খুশি।

নয়ন ঘোষ

Rabindranath Tagore: অঞ্জনা নদীর তীরে বসে কবিতা লিখেছিলেন রবি ঠাকুর, সেই স্মৃতি ধরে রাখতে…

নদিয়া: আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতুহলভরে –
১৩০২ বঙ্গাব্দের ২ ফাল্গুন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অঞ্জনা নদীর তীরে বসে এই কবিতাটি রচনা করেন সুরে সুরে মিলিয়ে। এরপর কালের নিয়মে বয়ে গিয়েছে শতাধিক ফাল্গুন মাস। অবহেলায় ও বাঙালির বিস্তৃতি রোগে অঞ্জনা নদীর পাড়ের এই রবীন্দ্র স্মৃতি প্রায় ভুলে গিয়েছে। অঞ্জনা নদীর দূষণ এবং নদীর বাঁধ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি করা হলেও সেই নদীর মাহাত্ম্য যে কতখানি এতদিন পর্যন্ত অনেকের কাছেই তা ছিল অজানা।

আরও পড়ুন: বাঘের ডেরায় বনবিবির আরাধনা, ভোগে দেওয়া হল জ্যান্ত মোরগ

আর সেই কারণেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক আবক্ষ মূর্তি অঞ্জনা নদীর তীরে কৃষ্ণনগর ঐক্যতান, জলঙ্গি নদী সমাজ, অঞ্জনা বাঁচাও কমিটি ও বিভিন্ন স্থানীয় বিদ্ধজনেদের উদ্যোগে স্থাপন এবং উন্মোচন করা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি ভারতী বাগচী সহ একাধিক আমন্ত্রিত অতিথি।

স্বাভাবিকভাবেই কৃষ্ণনগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পুনরায় কৃষ্ণনগরবাসীর সামনে নিয়ে আসার এই প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।

মৈনাক দেবনাথ

Fiber Statue: মতুয়া মেলার আগে ফাইবারের মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

উত্তর ২৪ পরগনা: আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই ঠাকুরনগরে শুরু হবে মতুয়া ধর্মের সবচেয়ে বড় বারুনি মেলা ও স্নান। মতুয়া ধর্মালম্বীদের আরাধ্য দেবতা হলেন হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুর ও শান্তিমাতা বীণাপাণি দেবী। আর তাই এই বারুনি মেলার আগে ঠাকুরবাড়ি পার্শ্বস্থ মূর্তি তৈরির কারখানায় রাত দিন ধরে চলছে ফাইবারের মূর্তি তৈরির কাজ।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকেও শিল্পিরা এসে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠাকুরনগরে। ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছোট-বড় নানা আকৃতির মূর্তি। রাজ্যে পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও এই মূর্তির চাহিদা রয়েছে বলে জানান শিল্পী। অর্ডার মেলায় নানা রকমের ফাইবারের এই মতুয়া ধর্মালম্বী মানুষদের আরাধ্য দেবতার মূর্তি তৈরি করছেন শিল্পীরা। বারুনি মেলা সামনে থাকায় কাজের চাপ এখন অনেকটাই বেশি বলে জানালেন তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের আগেই ভোট! স্কুলে ইভিএমে রায়দান খুদেদের

২০০০ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার বা তার অধিক দামেও বিক্রি হয় এই ফাইবারের মূর্তিগুলো। তবে দামের বিষয়টি নির্ভর করে আকার আকৃতির উপর। মাটির উপর ফাইবারের ছাঁচ তৈরি করে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই মূর্তি। এক একটি মূর্তি তৈরিতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছয় দিন। সারা বছর অন্যান্য দেব দেবীর মূর্তির চাহিদা থাকলেও বারুনি মেলা ও ঠাকুরবাড়ির বিশেষ স্নান পর্বকে ঘিরে এই মূর্তির চাহিদা বহু অংশে বেড়ে যায়। আর তাই লাভের মুখ দেখার জন্যই এখন এই মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত ঠাকুরনগরের ফাইবার শিল্পীরা।

রুদ্রনারায়ণ রায়