Tag Archives: West Bengal BJP

Suvendu Adhikari: ‘উনি শুধু একটা নবান্ন অভিযানের ‘কল’ দিন, বুঝে নেব…’ নির্যাতিতার বাবার কাছে আবেদন শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘ওনাকে যেতে হবে না। ‌উনি একটা শুধু ‘কল’ দিন।’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কাকে ‘কল’ দেওয়ার আবেদন করলেন শুভেন্দু? সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবার আছে আবেদন করলেন জাতীয় পতাকা হাতে নবান্ন যাওয়ার একটা কল দেওয়ার।

আরও পড়ুন– আরশাদ নাদিম নন; বরং জ্যাভলিন থ্রোয়ের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা হয়ে থেকে যাবেন জার্মানির এই ক্রীড়াবিদ, পার করেছিলেন ১০০ মিটারের গণ্ডি

মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে পশ্চিমবঙ্গে নারী স্বাধীনতা থেকে নারী সুরক্ষা, নারী নিরাপত্তা সম্পূর্ণটাই আজ বিপন্ন বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু। মহিলা সুরক্ষায় নয়া সরকারি অ্যাডভাইজারি জারি করা নিয়েও তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা। আরজি কর কাণ্ডকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এ রাজ্যের পাশাপাশি প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এ রাজ্যের প্রতিবাদীদের বারবারই কণ্ঠরোধ থেকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের।

আরও পড়ুন– বিনামূল্যে আইনি সাহায্যের বিরাট ঘোষণা শুভেন্দুর, কাদের বার্তা বিরোধী দলনেতার?

এই পরিস্থিতিতে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে নবান্ন অভিযানের বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতার বাবার কাছে এবার বড় আবেদন করে বললেন, ‘‘উনি এবার মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে পদত্যাগ করার দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। নবান্ন অভিযানে ওঁর বাবাকে আসতে হবে না। উনি শুধু একটা কল দিন। নবান্ন যাওয়ার বাকিটা আমরা করে দেবো। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজের মত করে লাগাতার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’’ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সবাই মিলে ‘নবান্ন চলো’ বলে আরও একবার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম এখন ৭০%, টার্গেট ৯০%…’ কী বোঝাতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী ?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘জো হামারে সাথ হাম উনকে সাথ’। সম্প্রতি বিজেপির এক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর প্রকাশ্যে এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। রীতিমতো ঝড় ওঠে বিজেপি শিবিরের অন্দরেও। যদিও বঙ্গ পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতারা প্রকাশ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন না করলেও বাংলায় ক্ষমতার স্বাদ পেতে গেলে বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে শুভেন্দুর বক্তব্যই যে দলের লাইন হওয়া উচিত তা পদ্ম শিবিরের অনেকেই ‘গোপন’ কথাবার্তায় মেনে নেন।

আরও পড়ুন- ফের ট্রেন দুর্ঘটনা ! ১৩০০ যাত্রী নিয়ে কানপুরের কাছে লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেস

শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার আইসিসিআর হলে এক আলোচনা সভা এবং পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি যে ‘‘জো হামারে সাথ হাম উনকে সাথ’’ কার্যত এই বক্তব্যেই এখনও অনড় রয়েছেন তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরও একবার‌ হিন্দুত্ব অস্ত্রে শান দিয়ে ফের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন।‌

শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আমার বিধানসভায় এখন ৭০ শতাংশ হিন্দু এক হয়ে গিয়েছে। পরের বিধানসভার আগে ৯০ শতাংশ হিন্দুকে এক করব। সব ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু সংখ্যালঘু এক বিশেষ সম্প্রদায়ের শতকরা ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট বিজেপিকে দেবে না।’’

আরও পড়ুন– নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা গাঙ্গেয় বঙ্গে

একইসঙ্গে শুভেন্দু এও বললেন, ‘‘আমার শ্রম, সময় এবং আবেদনের মূল্য আছে। যে আবেদন করলে আমি নির্বাচন রাজনীতিতে জিততে পারবো। আমার লক্ষ্যকে কার্যকর করতে পারব‌ সেই ভোটারদেরই আমি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছি। আমি মনে করি আমার যে সনাতনী ভোটব্যাঙ্ক তাঁদেরকে যদি সঙ্ঘবদ্ধ করতে পারি তাহলেই পশ্চিমবঙ্গে একটা সরকার তৈরি হবে যে বিজেপি সরকার মানব ধর্ম পালন করবে, যে সরকারের দুটো চোখ খোলা থাকবে‌, একটা চোখ বন্ধ থাকবে না।’’

সুকান্ত পৌঁছনোর আগেই ভাঙল মঞ্চ! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনড় বিজেপি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: সুকান্ত মজুমদার পৌঁছনোর আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে ধরনা মঞ্চ ভাঙার গুরুতর অভিযোগ উঠল। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি আজ, শুক্রবার থেকে শুরু করার ঘোষণা করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল শ্যামবাজার এক নম্বর মেট্রো গেটের সামনে লাগাতার ধরনা অবস্থান কর্মসূচি।‌

আরও পড়ুন– চা চক্রে রাজভবনে গরহাজির কেন? কারণ ব্যাখ্যা শুভেন্দু অধিকারীর

রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শ্যামবাজারে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। শ্যামবাজারে বিজেপির সেই মঞ্চই ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আরজি কর ঘটনার বিচার চেয়ে আজ থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান শুরু করার কথা ছিল। পুলিশ বলপূর্বক আমাদের মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। ডেকোরেটর কর্মীদের হুমকি দিয়েছে। আমরা আন্দোলনের পথ থেকে সরছি না। পুলিশ দিয়ে বিজেপির আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’’

আরও পড়ুন– ফের নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা ! গাঙ্গেয় বঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

পুলিশের বক্তব্য, ‘‘ধরনা কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল ন।’’ বিজেপির বক্তব্য, ‘‘বিজেপির যে কোনও আন্দোলনেই পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায় না। আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়।’’ শ্যামবাজারে আরজি কর ঘটনার বিচারের দাবিতে ধরনা অবস্থান আন্দোলনের আবেদন জানিয়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্যামবাজারের ‌ আন্দোলন স্থলে পৌঁছবেন। এদিকে আরজি করার ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে আজ, শুক্রবার দুপুর দু’টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি হাজরা মোড় থেকে কালীঘাট পর্যন্ত মোমবাতি ও মশাল মিছিল করবে বিজেপি।

Suvendu Adhikari: চা চক্রে রাজভবনে গরহাজির কেন? কারণ ব্যাখ্যা শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজভবনের চা চক্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করেননি। গতকাল, বৃহস্পতিবার কেন তিনি রাজভবনে হাজির হলেন না চা চক্রে? নিজেই তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– ফের নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা ! গাঙ্গেয় বঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজভবনে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বসে থাকার একটি ছবি ও রাজভবনের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠানো আমন্ত্রণ পত্র পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজভবনের চা চক্রে মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্যদের সঙ্গে এদিন দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও সৌজন্যতার বিড়ম্বনা সৃষ্টি হলে, আমার ছোট্ট ডাক্তার বোনটির বিদেহী আত্মা হয়তো কষ্ট পেতো। তাই আমন্ত্রণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।’’

আরও পড়ুন– অ্যাপ ক্যাব বুক করতেই গাড়ি নিয়ে এলেন মহিলা চালক; লড়াইয়ের কাহিনি শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন যাত্রীও

আরজি কর ইস্যুকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তথা কলকাতা পুলিশকে বারবারই নিশানা করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। ডাক দিয়েছেন সরকার উৎখাতের। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে প্রয়োজনে দলীয় পতাকা সরিয়ে রেখে সবাইকে একসঙ্গে নবান্ন অভিযানে নামার ডাক দিতেও শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে আজ থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজ্য বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চা চক্রে রাজভবনে মুখোমুখি হলে যে শুভেন্দু অধিকারীকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হত বলেই স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনের চা চক্রে গরহাজির থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মত রাজনৈতিক মহলেরও।

RG Kar Case: তদন্তে সিবিআই, আরজি কর নিয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কি বলবেন সুকান্ত মজুমদার?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের রহস্যভেদ কি করতে পারবে সিবিআই? আরজি করে‌ মেডিক্যাল পড়ুয়ার হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে‌ কি অপরাধীরা সাজা পাবে? আসল মাথাকে কি ধরতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই এবার সিবিআই তদন্তে যাতে কোনও রকম গাফিলতি না হয়, সঠিক পথে যেন তদন্ত হয়, দ্রুত যেন বিচার হয় সে ব্যাপারে আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানাব বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন– ‘দুধ কা দুধ পানি কা পানি…’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর বিবৃতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডার

বুধবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আজই একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আমার দেখা হবে। সেখানেই যাতে আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত সঠিক পথে হয় সে ব্যাপারেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব।’’

আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলায় সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হিসেবে ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরবর্তীকালে খুন এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তবে পুলিশি তদন্তে আস্থা ছিল না বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি মৃতার পরিবারেরও। শুধু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন আরও অনেকেই। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতেও পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দীর্ঘ শুনানির পর শেষমেষ আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সিবিআই তদন্তে আপত্তি নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন– সাবধান! বিমানবন্দরে ভুলেও মুখে আনবেন না এই ৫টা শব্দ, কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে, দিল্লি-কোচিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার ৩

সোদপুরে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তদন্তে কোনও অগ্রগতি না হলে সিবিআইকে হস্তান্তর করব। তবে রাজ্যে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের ‘সাকসেস রেট’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা না করে মঙ্গলবার ঘটনার তদন্তভার আদালতের নজরদারিতে সিবিআইকে তুলে দেয়। এ রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনায় একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতি এবং তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তদন্তের গতি শ্লথ বলে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বঙ্গ পদ্ম নেতারা।

এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে‌ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অত্যন্ত পারদর্শী। ‌ কিন্তু যে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করা তো রাজ্য সরকারের কর্তব্য। ‌ তবে তদন্তের কাজ‌ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তথা পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার জন্যই অনেক সময় তদন্তের গতির শ্লথ হয়ে পড়ে। তবে আরজি করের ঘটনায় আসল মাথা ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।’’

Bishnu Prasad Sharma: দলের উল্টো লাইনে গিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় বিষ্ণুপ্রসাদ, অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির, হুঁশিয়ারি জিএনএলএফেরও!

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: দলের বিপরীত লাইনে গিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে এখনও অনড় বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এক কথায় ফের বিজেপির বিষ্ণু-অস্বস্তি। এবার বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে তোপ বিষ্ণুপ্রসাদের। বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে দলের বিরুদ্ধেই বোমা ফাটানোর পর কার্শিয়ংয়ের পদ্ম বিধায়কের স্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘পাহাড়ের মানুষের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই জারি থাকবে।’’

আরও পড়ুন– ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

কার্শিয়ংয়ের পদ্ম বিধায়ক বলছেন, ‘‘ভুল বুঝিয়ে তাঁকে বিজেপিতে আনা হয়েছিল।‌ কেন্দ্রের বড় বড় নেতারা আমার বাড়িতে আসেন, বিজেপি জয়েন করার আগে। আর আমাকে আলাদা রাজ্যের জন্য সেই সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভুল বুঝিয়ে নিয়ে এসেছেন। পার্টি দিল্লিতে, আমাদের উত্তরবঙ্গে এসে বলে, আপনাদেরকে রাজ্য বিভাজন করে দেব। এখানে আমাদের এই ভয়েসটা রেজ করতে দিচ্ছে না।’’

গত সোমবার বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব তৃণমূল আর বিজেপি ঐকমত্যের ভিত্তিতে পাশ হয়। তৃণমূল-বিজেপি একসুরে সরব হয়। শাসক-বিরোধীর এই বিরল ঐক্যের মাঝেই অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। সেটাও আবার বঙ্গভঙ্গ ইস্যু নিয়েই। আবারও বিজেপির বিষ্ণু-বিড়ম্বনা।

আরও পড়ুন– ভারোত্তোলনেও পদক এল না ভারতের, চতুর্থ স্থানে শেষ করলেন মীরাবাঈ চানু

কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা ফের বিজেপির বিরুদ্ধে সরব। একদিকে যখন বঙ্গ পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা অখন্ড বাংলার পক্ষে জোর সওয়াল করছেন ঠিক তখনই উল্টো পথে হেঁটে বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা পৃথক রাজ্যের দাবিতে নিজের দলকেই বিড়ম্বনায় ফেলেছেন।‌ বিষ্ণুপ্রসাদের দাবি, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে পৃথক গোর্খাল্যান্ড করার কথা বলা হলেও আজ দ্বৈত ভূমিকা পালন করছেন বিজেপি নেতারা।’ তবে তিনি যে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সড়ছেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিষ্ণুপ্রসাদ। পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে বিজেপি বলেও নিজের দলের নেতাদের তোপ দেগেছেন বিষ্ণপ্রসাদ।

বিজেপি পার্টির ঘোষণাপত্র ২০১৪ তে পৃথক রাজ্যের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি বিষ্ণুপ্রসাদের। বিষ্ণু প্রসাদকে নিয়ে বিজেপির অস্বস্তি নতুন নয়। চব্বিশের লোকসভা ভোটে দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেই তিনি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। বিজেপি প্রার্থীকে বহিরাগত বলেও তোপ দাগেন। ফের বিজেপির বিষ্ণু-অস্বস্তি। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ নিজের দলের বিধায়কের উল্টো লাইন প্রসঙ্গে শুধু বলেন,’পার্টির নীতি নিয়ে বিষ্ণুর যা বক্তব্য, তাতে বিচ্যুতি থাকলে পার্টির পক্ষ থেকে বলা হবে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘দল বিষ্ণু প্রসাদের বক্তব্যকে অনুমোদন করে না। বিজেপি সম্পূর্ণভাবে বঙ্গভঙ্গের বিরোধী।’’

এবার লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়েছে জিএনএলএফ। তারাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। পাহাড় সমস্যার সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছে। সম্প্রতি কালো পতাকায় মুড়ে দেয় দার্জিলিং-কার্শিয়ং-কালিম্পঙের নানা এলাকা। পাহাড় সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছে জিএনএলএফ। ইতিবাচক সাড়া না পেলে ফের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জিএনএলএফ।

‘অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক…’ অখিল গিরি ইস্যুতে আজ পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি‌

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: অখিল গিরি ইস্যুতে আজ, সোমবার পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি‌। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা আজ, সোমবার প্রতিবাদ মিছিল করতে চলেছে কলকাতায়। মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি কাণ্ডে অখিল গিরিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে বিজেপির সেন্ট্রাল আভিনিউ সংলগ্ন মুরলীধর সেন লেন কার্যালয়ের সামনে থেকে বেলা তিনটেয় শুরু হবে মিছিল। ‌

আরও পড়ুন– অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! মঙ্গলবার থেকে আরও বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

পদ্ম শিবিরের তরফে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি ফাল্গুনী পাত্রের নেতৃত্বে হবে মিছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি যেভাবে একজন মহিলা রেঞ্জারকে নজিরবিহীনভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

বন দফতরের মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেছে বিজেপি। শুধুমাত্র মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা বা পদত্যাগ করাই নয়, অবিলম্বে অখিল গিরির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন– সাপ্তাহিক রাশিফল ৫ অগাস্ট – ১১ অগাস্ট: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই দেশে একটা আইনের শাসন আছে। সরকারি অধিকারিককে কাজে বাধা দিলে ব্যবস্থা নেবে আদালত। সুব্রত বক্সি তো বিচারপতি বা আদালত নয়, তিনি কিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেবে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। যারা সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল। তাদের তৃণমূল বাঘ বলেছে। অখিল গিরি ভেবে ফেলেছেন উনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ তাই মহিলা রেঞ্জারের সঙ্গে এই দুর্ব্যবহার করার সাহস দেখিয়েছেন।’’

রাজ্য বিজেপি শিবিরের কথায়, ‘‘অখিল গিরির হুমকির যে ভিডিও সামনে এসেছে তাতে উনি বন দপ্তরের দুর্নীতির কথাও বলেছেন।‌ কী সেই দুর্নীতি সেটাও ফাঁস করার‌ আমরা দাবি জানাচ্ছি।’’ বলা বাহুল্য, অখিল গিরিকে রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোন করে ওই মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা এবং পদত্যাগ পত্র দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অখিল গিরি ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে মোটেই যে তিনি অনুতপ্ত নন সে কথা জানিয়ে শুধুমাত্র পদত্যাগ করার ঘোষণা করেছেন। ‌এই আবহেই আজ, সোমবার অখিল গিরিকে গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।

Dilip Ghosh Birthday: বিধানসভায় শুভেন্দুর ঘরে দিলীপ, উত্তরীয় পরিয়ে মিষ্টিমুখ, জন্মদিন পালন দিলীপ ঘোষের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: শুভেন্দুর উদ্যোগে রাজ্য বিধানসভায় আজ, বৃহস্পতিবার জন্মদিন পালন হল দিলীপ ঘোষের। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে আচমকা উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ। জন্মদিন উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারী এদিন দিলীপ ঘোষকে বিধানসভায় আমন্ত্রণ জানান বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন– ছাত্র সমাবেশের পোস্টার লঞ্চ তৃণমূলের, এবারের সমাবেশে থাকবে বিশেষ গান ও পুস্তিকা

শুভেন্দু- দিলীপের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়, মিষ্টিমুখ এবং দিলীপ ঘোষকে উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক দিয়ে দিলীপ ঘোষকে সংবর্ধনা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার ঘরে তখন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য বিধায়করাও। এদিন দিলীপ ঘোষ যখন বিধানসভায় আসেন তখন বিধানসভার অধিবেশন চলছে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা তখন অধিবেশন কক্ষে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে দিলীপ ঘোষ প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভেন্দু ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে দিলীপ ঘোষের জন্মদিন পালন করেন।

আরও পড়ুন– ছাত্র সমাবেশের পোস্টার লঞ্চ তৃণমূলের, এবারের সমাবেশে থাকবে বিশেষ গান ও পুস্তিকা

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকেই দিলীপ ঘোষ বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে তাঁর পরাজয়ের নেপথ্যে দলেরই একটা অংশকে কার্যত দায়ী করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছিলেন। পরবর্তীকালে অবশ্য সংবাদমাধ্যমে কার্যত ‘চুপ’ রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকেই দিলীপ- শুভেন্দুর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে দিলীপ ঘোষের জন্মদিন পালনের মাধ্যমে সেই দূরত্ব অনেকটাই কমল। দীর্ঘদিন পর শুভেন্দু – দিলীপ মুখোমুখি হওয়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।‌ তবে অনেকেই এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের সাক্ষাতে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিতও পাচ্ছেন।

PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের সাক্ষাৎ, কথোপকথন প্রকাশ্যে আনলেন সৌমিত্র খাঁ

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বঙ্গ বিজেপির নবনির্বাচিত ১২ জন সাংসদ। সোমবার সুকান্ত মজুমদার, সৌমিত্র খাঁ, শান্তনু ঠাকুর-সহ বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত ১২ জন সাংসদ একত্রিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কি নিয়ে আলোচনা হল নবনির্বাচিত সাংসদদের?

নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তা খোলসা করলেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র লিখেছেন, ‘‘এই সাক্ষাৎপর্বে প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন এবং তিনি আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের স্বার্থে আমাদের আরও কাজ করতে অনুপ্রাণিত করলেন।’’

আরও পড়ুন- গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা, বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সমাজমাধ্যমে সৌমিত্র খাঁ আরও লেখেন, ‘‘আমরা তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং সংসদীয় কাজের ক্ষেত্রে কিভাবে সংকীর্ণ রাজনীতি বারংবার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে সেই বিষয়ে আবারও অবগত করলাম। রাজ্যজুড়ে যেভাবে সংঘঠিত দুর্নীতি চলছে তার বিষয়ে অবগত করিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানালাম।’’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ফাঁকেই নিজের সংসদীয় ও অন্যান্য কেন্দ্রের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ের কথাও তিনি তুলে ধরেছেন বলে দাবি করে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুর, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া-সহ আমার সংসদীয় ক্ষেত্রের আরও উন্নয়নের স্বার্থে বিষ্ণুপুরের ব্রিটিশ এয়ারপোর্ট তথা বিষ্ণুপুর এয়ারোড্রোমের পরিত্যক্ত প্রায় ২ হাজার একর জমি ব্যবহার করে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম অথবা DRDO র উৎপাদন কেন্দ্র, বেলিয়াতোড়-দুর্গাপুর, বাঁকুড়া-রানীগঞ্জ নতুন রেলপথ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি। এ ছাড়াও কৃষি কাজে জলসেচের সুবিধা, মৎস পালনের সুবিধা-সহ একাধিক কারণে প্রকাশ ঘাট ব্রিজ, রাঙ্গামাটি-রণডিয়া ব্রিজ, সোনামুখী-পানঘর বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণের আবেদনের সাথে সাথে যমুনা বাঁধ, শ্যাম বাঁধ, কালিন্দী বাঁধ, লাল বাঁধ, কৃষ্ণ বাঁধ, গাতার বাঁধ এবং পোকা বাঁধ এর সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যকরণের আবেদনও রাখলাম। আমি দৃঢ় প্রত্যয়ী, বিগত ১০ বছর ধরে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সমগ্র দেশের সাথে সাথে আমার বিষ্ণুপুর সংসদীয় এলাকা জুড়ে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উন্নয়নের কাজ চলছে, আগামী দিনেও আরও অনেক উন্নয়নের পরিকল্পনায় আমার প্রিয় বিষ্ণুপুর সংসদীয় এলাকাকে সমৃদ্ধ করতে পারব ৷ ’’ এমনটাই জানান সৌমিত্র খাঁ।

আরও পড়ুন– রাশিফল ৩০ জুলাই: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

প্রধানমন্ত্রী এদিন এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সুদিন দূরে নয় বলে ভোকাল টনিক দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মত, চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় যা ফল হয়েছে তা প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন নয়। বিজেপি সূত্রের আরও খবর, দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য কী করা যায়, তা নিয়ম করে জানাতে হবে। নিজেদের এলাকার কী কী উন্নয়ন করা যায়, সাংসদদের সেই পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। বিজেপি সূত্রে এও খবর, বাংলার ১২ জন বিজেপি সাংসদদের প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, সকলকে ভাল করে কাজ করতে হবে। বাংলার উন্নয়নে‌ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা যাতে বাংলার মানুষ আরও বেশি করে‌ পান সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে‌। বঙ্গ সাংসদদের তরফে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দুর্গাপুজোয় বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয় বলেও বঙ্গ পদ্ম শিবির সূত্রের খবর।‌

West Bengal BJP: বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাদের বার্তা দিয়ে পদ্মের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুকান্ত- শমীক

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আবারও মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি। এবার দাবি তুললেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক। গৌরীশঙ্কর ঘোষের পর এবার সুব্রত মৈত্র। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের উত্তরবঙ্গ-প্রস্তাবকে সমর্থন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদের। এ নিয়ে পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ তৃণমূলের। গৌরীশঙ্কর ঘোষের পর এবার সুব্রত মৈত্র। ফের মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি বিজেপি বিধায়কের। মুর্শিদাবাদের বিধায়কের পর এবার সরব বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তাঁর কথায়, ‘‘আজকে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে যেভাবে অনুপ্রবেশ মায়ানমার, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ঘটে চলেছে, তাতে আমাদের সনাতনিরা ভীষণভাবে আতঙ্কিত। যার জন্যই দরকার কেন্দ্রীয় আইন-শাসন ব্যবস্থা।’’

আরও পড়ুন- সপ্তাহজুড়েই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কলকাতায় বৃষ্টি বাড়বে কবে?

শাসক শিবির বলছে, ‘‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই বিজেপি এটা করছে। এগুলো অযৌক্তিক কথা। বাংলাদেশ থেকে কোনও মুসলমান আসেনি। বর্ডারে বিএসএফ আছে। কেন ঢুকবে। তাদের গোয়েন্দা আছে। বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে খুঁজে বের করুক।’’

এর আগে মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং বিহারের তিন জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে সংসদে সরব হন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সংসদে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মালদহ-মুর্শিদাবাদ থেকে লোকজন এসে আমাদের লোকদের হঠিয়ে দিচ্ছে। একের পর এক হিন্দু গ্রাম খালি হচ্ছে। স্পিকার মহোদয়, আমার অনুরোধ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং পুরো সাঁওতাল পরগনাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করুন। এটা না হলে হিন্দু খালি হয়ে যাবে। এনআরসি কার্যকর করুন। ২০১০ সালের আইন কমিশনের রিপোর্ট কারযকর করুন। যাতে বলা আছে, ধর্মান্তরণ ও বিয়ের জন্য অনুমতি জরুরি।’’

বিজেপি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। তারপরেই প্রকাশ্যে আসেন মুর্শিদাবাদের আরেক বিজেপি বিধায়ক। গৌরীশঙ্কর ঘোষ জানান, মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে তিনি ২০২২ সালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজভবনে চিঠি দেন।

আরও পড়ুন– ইউরোপ-এশিয়ার সুন্দর দেশগুলির থেকে কোনও অংশে কম নয়; ধীরে ধীরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে রাশিয়ায়, রইল ভ্রমণের খুঁটিনাটি

পদ্ম বিধায়ক সুব্রত মৈত্র, গৌরীশঙ্কর এবং নিশিকান্তর দুবের মন্তব্যকে তিনি সমর্থন করেন বলে স্পষ্ট জানান। মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্তরবঙ্গ নিয়ে প্রস্তাব দেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ নিয়েও রাজ্য রাজনীতিতে জোর শোরগোল পরে। এ পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের পাশে দাঁড়ান জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। বলেন, ‘‘আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ তো এমনিতেই বঞ্চিত। উনি উত্তরবঙ্গকে ভাল করে জানেন, উনি বালুরঘাটের সাংসদ। এবং তিনি চাইছেন এখানে উন্নয়ন হোক। আমি ওনাকে ২০০ শতাংশ সমর্থন করি। তবে বিজেপি যে বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে তা রাজ্যসভার সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ বিভাজনের বিরুদ্ধে। এটাই পার্টির অবস্থান।’’

এ ব্যাপারে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে তৃণমূলের কটাক্ষ,’বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে না পেরে বাংলাকে টুকরো টুকরো করে তারা রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড পেতে চাইছে। তারা নাকি রাজ্যভাগের বিরুদ্ধে। কিন্তু পর পর তাদের একাধিক নেতা যেভাবে বলছে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। নাটকবাজি বন্ধ করে বিজেপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক।’