Tag Archives: West Bengal BJP

Sukanta Majumdar: কেন গ্রেফতার নন ধর্মেন্দ্র প্রধান? অভিষেকের প্রশ্নের জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: নিট দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের মঞ্চ থেকে রবিবার প্রশ্ন তোলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হলে কেন ধর্মেন্দ্র প্রধান নয়? তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের বক্তব্যের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা‌ বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে প্রশাসন যুক্ত। এখনও পর্যন্ত আমাদের বিরোধীরা এ ব্যাপারে কোনও তথ্য‌ প্রমাণ সামনে আনতে পারেনি যে, নিট কেলেঙ্কারির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্ত‌ কিংবা সংশ্লিষ্ট দফতর যুক্ত।’’

আরও পড়ুন– ভোট বিপর্যয়; ‌দিলীপের গলায় আক্ষেপের সুর, ‌‘সাবালক’ নয় দল…সুকান্তর বক্তব্যে শোরগোল!

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত অভিযোগ সামনে এসেছে যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি মাত্র এফআইআর দায়ের হয়েছে। আমরা আইআইটিকে দিয়ে এ ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করিয়েছি। যাতে এই প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে কোনও প্যাটার্ন আছে কিনা গোটা দেশে বা কোনও একটি বিশেষ শহরের ছাত্র-ছাত্রীরা সুযোগ পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে। ‌ আমরা এর সম্পূর্ণ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাব।’’

আরও পড়ুন– সোম-মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত এও বলেন, ‘‘রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত বিরোধিতা করা হচ্ছে আর অন্যদিকে নিট নিয়ে শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকর প্রচার করা হচ্ছে। উনি দুটো বিষয়কে গুলিয়ে ফেলছেন। বুঝতে অসুবিধা হলে আসবেন বুঝিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরাসরি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তোলেন যে, নিট কেলেঙ্কারির পর কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও গ্রেফতার করা হবে না ?’

অভিষেক এও বলেন, ‘‘একুশে জুলাই ২০২২ সালের ঠিক পরের দিন ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রেড করে তাঁকে গ্রেফতার করে৷ যদি কেউ দোষ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আমরা কোনও দোষকে, কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিনা ৷ কিন্তু, তথাকথিত এসএসসি বা টেট কেলেঙ্কারির নাম করে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রেড করে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে, তাহলে স্বাধীন ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি নিট কেলেঙ্কারি, সেই নিট কেলেঙ্কারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে ইডি কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়িতে রেড করে তাঁকে অ্যারেস্ট করবে না? কেন এই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ? কেন এই দ্বিচারিতা?’’

Dilip Ghosh-Sukanta Majumdar: ভোট বিপর্যয়; ‌দিলীপের গলায় আক্ষেপের সুর, ‌‘সাবালক’ নয় দল…সুকান্তর বক্তব্যে শোরগোল!

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: লোকসভা ভোটে ভরাডুবির জন্য এবার দলের অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ। ‘‘আমরা সংগঠন জানি। আন্দোলন জানি।‌ কিন্তু আমরা ভোট করাতে জানি না।’’ ভোটে ভরাডুবি নিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই ফের মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের নিশানায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

রবিবার বিষ্ণুপুরে দলীয় সভায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভা ভোটে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এও বলেন, ‘‘আমাদের অভিজ্ঞতা কম আছে। কীভাবে ভোট করাতে হবে তা জানতে হবে, শিখতে হবে।’’ দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরেই।

আরও পড়ুন– সোম-মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

দলীয় বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আগামী নির্বাচনে যাতে ভালো ফল হয় তা করতে হবে। পদ পেয়ে গিয়েছি, আসছি যাচ্ছি। এসব করে কোনও লাভ নেই। একুশের ভোটে আমরা ৭৭ টি আসন পেয়েছিলাম কিন্তু অনেকেই ভেবেছিল বিজেপি ক্ষমতায় আসবে কিন্তু আসেনি। নিশ্চয়ই কোথাও আমাদের ফাঁক ছিল।’’

এদিকে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজের দলকে কার্যত ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘‘বিজেপি এই রাজ্যে নতুন পার্টি। আমরা ২০১৭-১৮ সালে এই রাজ্যে লড়াইয়ে এসেছি। স্বাভাবিকভাবে মানুষকে শিখতে সময় লাগে। মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েই তো তো সবাই সবকিছু শিখে আসে না। আমরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখছি।’’

আরও পড়ুন– প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করার মাঝেই আরপিএফ-এর হানা, তারপর যা জানা গেল… আপাতত শ্রীঘরে ‘টিকিট পরীক্ষক’

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে বঙ্গ বিজেপি এখনও সাবালক হয়নি। লোকসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই একের পর এক পদ্ম নেতা দলীয় নেতৃত্বকে নিশানা করেই প্রকাশ্যে সুর চড়িয়েছেন। এই তালিকায় দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কিম্বা বাহুবলি নেতা হিসেবে পরিচিত অর্জুন সিং।‌ প্রত্যেকেই সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই যে লোকসভা ভোটে বিপর্যয় হয়েছে তা কবুল করে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ভালো ফল করার জন্য সংগঠনকে মজবুত করার উপর যেমন জোর দিয়েছেন বিজেপির একাধিক নেতা ঠিক তেমনি সৌমিত্র খাঁ কোনও রকম রাগঢাক না করেই স্পষ্টভাবে অবিলম্বে নতুনদের সুযোগ দিয়ে সাংগঠনিক রদবদল জরুরি বলে জোর সওয়াল করে সম্প্রতি নিজের দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বকেই নিশানা করে এও মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ ব্যর্থদের পছন্দ করে না।’’

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বারবারই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে সংগঠন মজবুত করার ব্যাপারে বারবার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে।‌ বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে লোকসভা ভোটের আগেও একাধিকবার বুথকে শক্তিশালী করতে অভিযানে নেমেছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।‌ কিন্তু তারপরও চব্বিশের লোকসভা ভোটে ‘ডাহা ফেল’ বঙ্গ পদ্ম শিবির। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। আর এবার ভোট করাতে না পারার আক্ষেপ সরাসরি প্রকাশ করে দলেরই সাংগঠনিক নেতৃত্বকে টার্গেট করলেন দিলীপ ঘোষ? উঠছে প্রশ্ন।

West Bengal BJP: লক্ষ্য ২৬, ‘দিশাহারা’ বঙ্গ পদ্ম শিবির! এক এক বিজেপি নেতার এক এক বক্তব্যে উঠছে প্রশ্ন

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: চব্বিশের লোকসভা ভোটে ‘ধরাশায়ী’ বিজেপি। এতে কি পদ্ম শিবির দিশাহারা? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন কারণ বঙ্গ বিজেপির এক এক নেতার এক এক রকম মন্তব্য।

একুশের পর চব্বিশেও বঙ্গে ‘ধরাশায়ী’ বিজেপি। আগের থেকে লোকসভায় আসন সংখ্যা কমেছে। হেরে গিয়েছেন একের পর এক হেভিওয়েট পদ্ম প্রার্থী। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আসন সংখ্যা কমলেও ভোট বেড়েছে বিজেপির। চব্বিশের লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বুধবার ছিল রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বর্ধিত কমিটির প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠকে এক এক জন নেতার এক এক রকম বার্তা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘রাজ্যে আমাদের একটা স্টপেজ হয়েছে। এখনও গন্তব্যে পৌঁছইনি। শুধুমাত্র একটা স্টপেজ হয়েছে। ছাব্বিশের বিধানসভাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যেখানে আমাদের ক্ষত বা রক্তক্ষরণ হয়েছে সেই জায়গাতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সঙ্ঘবদ্ধ রয়েছি।’’

আরও পড়ুন- রাজ্য জুড়েই বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘আগে ভোট করাতে হবে।উপদ্রুত এলাকা আইন লাগু করে ভোট করতে হবে। রাষ্ট্রপতি শাসন চাই না। নবান্ন চাই না। যেদিন ভোটে জিতব সেদিন ঢুকব।’’ বিজেপির বাহুবলি নেতা হিসেবে পরিচিত অর্জুন সিং বলছেন, ‘‘আপনি ভোট করাবেন কি করে। সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। তাই তো ভোট করাতে পারা যাচ্ছে না। আগে সাংগঠনিক দুর্বলতাকে ঠিক করতে হবে। বিশেষ করে নিচুতলার সংগঠন খুব দুর্বল।’’

আরও পড়ুন– প্রয়াগরাজে গঙ্গা নদীবক্ষে দেখা মিলছে ১০০ মিটার দীর্ঘ এক অদ্ভুত কালো বস্তুর, আশ্চর্য হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও; জিনিসটা আসলে কী?

বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আবার বলছেন, ‘‘নতুনদের জায়গা দেওয়া উচিত।’’ সৌমিত্র এও বলছেন, ‘‘নেতৃত্ব দিশা না দেখাতে পারলে পুরো ফেল করে যাব। সাংগঠনিক রদবদলের নিশ্চই দরকার আছে। ব্যর্থদের কেউ চায় না।’’ গত বুধবার কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির এই বৈঠকে ছিলেন দিলীপ ঘোষও। কিন্তু, তিনি একেবারে নীরব।

নিউজ এইট্টিন বাংলার প্রশ্নের উত্তরে শুধু বললেন, ‘‘কোনও বার্তা নেই। সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করছি, এই পর্যন্তই।’’ কিন্তু এই দিলীপ ঘোষই চব্বিশে বঙ্গ বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর সবার আগে সুর চড়ান। দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল কাঠিবাজি ও চক্রান্তের কথাও। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে দিলীপের মুখে প্রায় ‘তালা।’ এদিনের বৈঠকেও তিনি ছিলেন নীরব।

বিজেপির টার্গেট এখন ২০২৬। বিধানসভা ভোটে তারা চায় বাংলায় বিজেপির সরকার গড়তে। তবে সেটা কোন পথে। এ নিয়ে কি বিজেপির নেতারাই দ্বিধা বিভিক্ত? তাই কি এক এক নেতার গলায় এক এক রকম সুর? প্রশ্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘দল ভাল ফল করলে তখন কেউ এসব বলে না।‌ হারলেই এসব বলে। এটাও আমি বলছি দলকে জেতানোর সংগঠনের ভূমিকা থাকে ২৫ শতাংশ। তবে বঙ্গ বিজেপি সংঘবদ্ধ রয়েছে।’’

Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ‘ত্যাগ’ ইস্যুতে শুভেন্দুর পাশে নেই সুকান্ত, সুকান্তকে বিরাট ‘জবাব’ শুভেন্দুর !

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: সংখ্যালঘু ‘ত্যাগ’ ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর ‘মত’ দলের মত নয় বলে আরও একবার স্পষ্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিতে গিয়ে পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘‘বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসেবে উনি স্বীকার করুন বা না করুন আমার মতের সঙ্গে ওনাকে সহমত হতেই হবে।‌ প্রকাশ্যে না করলেও মনে মনে করতেই হবে।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৯ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘দলের রাজ্য‌ সভাপতি কিংবা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যিনি ‘ফর দা পিপল’, ‘বাই দা পিপল’, ‘অফ দ্য পিপল’ বলে শপথ নিয়েছেন, ওনার পক্ষে প্রকাশ্যে আমার বক্তব্যকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে বলতে পারবেন না। তবে আমি আমার পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে বলেছি। আমি এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। এই নীতিতেই কাজ করি। আমার নির্বাচনী কেন্দ্রেও আমি এই নীতিতেই কাজ করি।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘দলের স্ট্যান্ড আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি। যেটা দলের স্ট্যান্ড সেটাই হচ্ছে আমাদের সকলের স্ট্যান্ড। কেউ তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত জানাতেই পারেন। তবে পার্টির মত নরেন্দ্র মোদির পথ। সবার সঙ্গে সবার উন্নয়নে পাশে থাকাই আমাদের অবস্থান। আমরা জানি সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে ভোট দেবেন না। ভোট পাব না। তাতে অসুবিধার কিছু নেই। মোদিজির স্লোগানকে পাথেয় করেই আমরা এগিয়ে যাব।’’

আরও পড়ুন– ‘এমন মানুষদের লজ্জা হওয়া উচিত’; আইএএস পূজা খেড়কর মামলায় মুখ খুললেন এক আইপিএস অফিসার

বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রথম বর্ধিত রাজ্য কমিটির কর্মসমিতির বৈঠকে প্রকাশ্য সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আপনারও বলেছেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আমি আর বলব না। এবার বলব যো হামারে সাথ। হম উনকা সাথ।’’

শুভেন্দু অধিকারীর এই ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের পরপরই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। একুশের পর চব্বিশেও বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সংখ্যালঘুরাও বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতায় বিজেপির বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেছিলেন, ‘‘আমি বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। আপনারও বলেছেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আর বলব না। বলব, যো হামারে সাথ। হম উনকা সাথ। সবকা সাথ সবকা বিকাশ বনধ করো। নো নিড সংখ্যালঘু মোর্চা।’’

যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি যা বলেছি সেটা আমার ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগান বা কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ এই নিয়ে চর্চা এখনও অব্যাহত বিজেপি অন্দরেও।‌ যার নতুন সংযোজন‌, শুভেন্দুর বক্তব্যকে সরাসরি খারিজ করলেন বিরোধী দলনেতার দলেরই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা সুকান্তকে তাঁর ‘মত’ মনে মনে মানতেই হবে বলে স্পষ্ট জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। ‌

Tathagata Roy-Suvendu Adhikari: ‘যা বলেছ তা আমাদের হৃদয়ের কথা…’ শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ালেন তথাগত

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘শুভেন্দু, গতকাল তুমি সায়েন্স সিটির মঞ্চ থেকে যা বলেছ তা অগণিত বিজেপি কর্মীর হৃদয়ের কথা। আমারও। অভিনন্দন।’’ ঠিক এই ভাষাতেই সংখ্যালঘু ‘ত্যাগ’ বার্তা ইস্যুতে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ালেন তথাগত রায়।

বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রকাশ্য সভায় একটি ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি শিবিরেও রীতিমতো ঝাঁকুনি পরিলক্ষিত হয়। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যে বক্তব্য রেখেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মত, দলের এ ব্যাপারে অনুমোদন নেই।

আরও পড়ুন- অস্বস্তিতে বিজেপি! ‘ব্যর্থদের কেউ পছন্দ করে না…’ বিস্ফোরক সৌমিত্রর নিশানায় কে? আর কী বললেন অর্জুন?

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘বৈঠকে ডেলিগেটস হিসেবে কেউ প্রস্তাব দিতেই পারেন। এটা পার্টির বক্তব্য নয়।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও শুভেন্দুর বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে প্রতিক্রিয়া দেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর মত তাঁরও মত বলেও স্পষ্ট জানালেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির কট্টর নেতা হিসেবে পরিচিত তথাগত রায়। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে তথাগত রায়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়ানোর পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে কমেন্টস বক্সে তথাগত রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে সমাজমাধ্যমে যেমন সমর্থন করা হয়েছে তেমনি কটাক্ষ করতেও দেখা গিয়েছে অনেককেই।

আরও পড়ুন- গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা, ২০ বছর বয়সীদের নতুন গাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে!

বলা বাহুল্য, বুধবার দলীয় বৈঠকে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মঞ্চে উপস্থিত থাকাকালীনই নিজের ভাষণে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘‘নো নিড সংখ্যালঘু মোর্চা, রাষ্ট্রবাদি মুসলিম চাই না। সব কা সাথ সব কা বিকাশ বলা বন্ধ করো। বলব, জো হামারি সাথ হাম উনকে সাথ।’’ শুভেন্দুর এই বক্তব্য দল যে সমর্থন করে না তা দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিলেও শুভেন্দুর বক্তব্যকে সরাসরি সমর্থন জানিয়ে বিরোধী দলনেতাকে এই মন্তব্য করায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেন্দুর পাশেই দাঁড়ালেন তথাগত রায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ‘রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে হাঁটতে চাওয়ার মনোভাবই স্পষ্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা।

Suvendu Adhikari-Sukanta Majumdar: শুভেন্দুর সংখ্যালঘু ‘ত্যাগ’ বার্তা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: নিজের মন্তব্যে ‘অনড়’ শুভেন্দু। ‘‘মনের অনেক যন্ত্রণা থেকে বলেছি। ‌তবে আমার বক্তব্যের সঙ্গে এনডিএ সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানকে মেলাবেন না।’’ বললেন শুভেন্দু অধিকারী। মোদি সরকার তাঁর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নেও‌ এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকার পাশে থেকেছে। কিন্তু সেই সমস্ত মানুষজন যখন বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেন তখন তো খারাপ লাগে বলেও নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় বলেন শুভেন্দু। ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির মুখে বারবার ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর কথা শোনা গিয়েছিল। একুশের পর চব্বিশেও বাংলায় ভরাডুবি পদ্মের।

আরও পড়ুন– বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা প্রবল! উইকেন্ডে জমিয়ে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে

সাংগঠনিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। নির্বাচনে হেরেই কি অবস্থান বদল গেরুয়া শিবিরের? উঠছে প্রশ্ন। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বুধবার সাইন্স সিটি অডিটোরিয়ামে দলের বৈঠকে প্রকাশ্য সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আপনারও বলেছেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আমি আর বলব না। এবার বলব জো হামারে সাথ। হম উনকে সাথ।’’ শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পরপরই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। শুভেন্দুর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ‘‘এটা প্রমাণ হল, বিজেপি শুধু তাঁদের সঙ্গে থাকবে যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবে। তাদের সঙ্গে থাকবে না, যারা বিজেপিকে ভোট দেবে না।’’ ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় থেকে নরেন্দ্র মোদির স্লোগান ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ…..।‌’ নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন বক্তব্যেও উঠে এসেছে এই স্লোগান।

আরও পড়ুন- অস্বস্তিতে বিজেপি! ‘ব্যর্থদের কেউ পছন্দ করে না…’ বিস্ফোরক সৌমিত্রর নিশানায় কে? আর কী বললেন অর্জুন?

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় এই স্লোগান বদলে হয়, ‘সবকা সাথ…সবকা বিকাশ…সবকা বিশ্বাস।’ মোদির এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু, এ রাজ্যে তাতে কোনও লাভ হয়নি। একুশের পর চব্বিশেও বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।

সংখ্যালঘুরাও বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বুধবার কলকাতায়, বিজেপির বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। শুভেন্দু অধিকারী বুধবার বলেন, ‘‘আমি বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। আপনারও বলেছেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আর বলব না। বলব, জো হামারে সাথ। হম উনকে সাথ। সবকা সাথ সবকা বিকাশ বনধ করো। নো নিড সংখ্যালঘু মোর্চা।’’

এতেই অনেকের প্রশ্ন, চব্বিশের ভোটে ভরাডুবি হওয়ার কারণেই কি সুর বদল বঙ্গ বিজেপির? এবার থেকে কি আরও বেশি করে মেরুকরণে শান? শুভেন্দুর মন্তব্যের দায় নিতে নারাজ বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমরা পরিষ্কার করে বলছি, দল এই বক্তব্যকে অনুমোদন করে না। কেউ প্রস্তাব দিতেই পারেন। এটা দলের সিদ্ধান্ত নয় এটা পরিস্কার করে দিচ্ছি। আজকে কেউ ডেলিগেটস হিসেবে প্রস্তাব দিতেই পারেন। কিন্তু এটা পার্টির বক্তব্য নয়।’’

মোদির মন্ত্র ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। শুভেন্দু বললেন, ‘জো হামারে সাথ। হম উনকে সাথ।’ তাহলে কি বিজেপির ভিতরে দু’রকম সুর? এ নিয়ে পদ্ম শিবিরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন,’‌ নিজের মনের কথা শুভেন্দু বলেছেন। সেকথা পার্টির সিদ্ধান্ত হয় না। এটা কেন্দ্রীয় চিন্তা। সেই চিন্তা পরিবর্তন করতে হলে সেটা কেন্দ্রীয় পার্টি করবে।’ শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। এটা বুঝতে পেরে এদিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের বক্তব্যের ব্যাখা দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন,’ এটা সত্য শুধু হিন্দুরাই ভোট দিয়েছেন। মুসলিমরা দেননি। সে‌ কারণে আমি বাস্তব পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক অ্যাঙ্গেল থেকে বলেছি। এর সঙ্গে মোদির সবকা সাথ স্লোগানের সম্পর্ক নেই। এর সঙ্গে এনডিএ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানকেও দয়া করে মেলাবেন না।’

Saumitra Khan-Arjun Singh: অস্বস্তিতে বিজেপি! ‘ব্যর্থদের কেউ পছন্দ করে না…’ বিস্ফোরক সৌমিত্রর নিশানায় কে? আর কী বললেন অর্জুন?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: পদ্মের অস্বস্তি বাড়ালেন পদ্ম শিবিরেরই দুই নেতা। লোকসভা ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপির ভরাডুবির কারণ প্রসঙ্গে দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। ‌আর এবার লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে আরও বিস্ফোরক এই পদ্ম সাংসদ।

লোকসভা ভোটের পর প্রথম বিজেপির বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে বুধবার সৌমিত্র খাঁ বললেন, ‘‘এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল। সঠিক দিশা না পেলে দল ফের ‘ফেল’ করবে।’’ পাশাপাশি সায়েন্স সিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এও বলেন, ‘‘দলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অবিলম্বে সাংগঠনিক রদবদলের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যর্থদের কেউ পছন্দ করে না, দলের সাংগঠনিক পরিকাঠামোয় নতুনদের জায়গা দেওয়া উচিত।’’

আরও পড়ুন- অনুমতি বিতর্ক! আজ CESC অভিযান নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি

দলীয় নেতৃত্বকে সৌমিত্র খাঁর পরামর্শ, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে গ্রাম বাংলায় বেশি করে প্রচার করা উচিত।’’ নেতৃত্বের তরফে সঠিক দিশা না পেলে যে বঙ্গে আগামী দিনে বিজেপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে তাও কার্যত বুঝিয়ে দেন সৌমিত্র। তবে সৌমিত্র খাঁর ‘ব্যর্থ’-দের কেউ পছন্দ করে না বলতে কাকে ব্যর্থ বলে নিশানা করলেন তা অবশ্য এদিন খোলসা না করলেও এই পদ্ম সাংসদের নিশানায় যে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশই বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

আরও পড়ুন- রাশিফল ১৮ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

অন্যদিকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত প্রার্থী অর্জুন সিং রাজভবনের সামনে শুভেন্দু অধিকারীর ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় রবিবার নিজের দলের নেতৃত্বের একাংশকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘‘শুধুমাত্র ঘরে বসে আর প্রেস কনফারেন্স করে আন্দোলনে নামছি, লড়াই করছি করব বললেই হবে না। নন্দীগ্রামের মত গণ আন্দোলনে নামতে হবে।’’ আর বুধবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে যোগ দিতে এসে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বললেন, ‘‘সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে বলেই তো এই ফল হয়েছে। আগে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। বিশেষ করে নিচু তলার সংগঠন খুব দুর্বল।’’

দলেরই দুই গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতা সৌমিত্র আর অর্জুনের বক্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দল যদি ভাল ফল করত তাহলে আজ এসব কথা উঠত না। একজন প্রার্থীর জেতার বিষয়ে সংগঠনের ভূমিকা ২৫ শতাংশ থাকে। আমরা আগামী দিনে সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করে বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।’’

West Bengal BJP: অনুমতি বিতর্ক! আজ CESC অভিযান নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগ। প্রতিবাদে আগামী ২২ জুলাই বিজেপির সিইএসসি অভিযানে‌ অনুমতি বিতর্ক। ‌১৪ জুলাই কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতির আবেদন জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পক্ষ থেকে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না, অভিযোগ বিজেপির। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে পদ্ম শিবির।‌

আরও পড়ুন- রাশিফল ১৮ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।‌ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অস্বাভাবিক হারে গ্রাহকদের আগাম কোনও কিছু না জানিয়েই বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করেছে CESC, এ ব্যাপারে সম্প্রতি ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসে গিয়ে সিইএসসি আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপি শিবির।

আরও পড়ুন– সংখ্যাতত্ত্বে ১৮ জুলাই; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন; জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

অবিলম্বে বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহার করা না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।‌ কিন্তু ডেপুটেশনের পরেও এ ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ সিইএসসি কর্তৃপক্ষ না নেওয়ায় আগামী ২২ জুলাই সিইএসসি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয় রাজ্য বিজেপির তরফে। কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে চলতি মাসের ১৪ তারিখ চিঠি পাঠানো হয় উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের তরফে। বুধবারও ফের কলকাতা পুলিশ প্রশাসনকে অনুমতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও পুলিশ কোনও উত্তর না দেওয়ার অভিযোগ সামনে রেখে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।

Suvendu Adhikari: বিজেপির নতুন পোর্টাল, ভোট না দিতে পারলে নথিভুক্ত করা যাবে নাম, লড়াইয়ে কাদের ডাক শুভেন্দুর?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: রবিবার ঘোষণা। সোমবার আত্মপ্রকাশ। পূর্ব ঘোষণা মত নিজের অফিসিয়াল পোর্টাল চালু করলেন বিরোধী দলনেতা‌ শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় পোর্টাল চালুর কথা বলেছিলেন‌ বিরোধী দলনেতা।‌ এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোর্টালের লিঙ্ক সোমবার রাতে জনসমক্ষে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৬ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

https://savedemocracywb.com এই লিঙ্কের মাধ্যমে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে রাজ্যবাসীকে শামিল হওয়ার আবেদন জানিয়ে শুভেন্দুর আত্মপ্রকাশ করা লিঙ্কে ক্লিক করলেই সেই পেজে এই লেখাও ভেসে আসছে যে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন, সকল গণতন্ত্রপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের গণদেবতার কাছে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এবং ৪টি বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিক যে বা যারা শাসক দল তৃণমূলের অত্যাচারে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি তারা নিজেদের তথ্য-সহ অভিজ্ঞতা এই পোর্টালে নথিভুক্ত করুন। অভিযোগকারীদের পরিচয়-সহ সমস্ত তথ্য ১০০ শতাংশ গোপন রাখা হবে।’’

বলা বাহুল্য, শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই নন, রাজ্য বিজেপি নেতাদের প্রত্যেকের বক্তব্যেই বারবারই উঠে আসে ‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই’, এই দাবি। যে কোনও নির্বাচনের পরেই ভোট লুট, ভোটদানে বাধা, রিগিং, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অভিযোগকে সামনে রেখে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে সুর চড়ান পদ্ম নেতারা। ‌লোকসভা ভোট পর্ব মিটটেই ভোট পরবর্তী অশান্তির ভুরি ভুরি অভিযোগেও সরব হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বঙ্গ পদ্ম শিবিরের অন্যান্যরা। আর এই আবহেই এবার ভোটে যাঁরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি সেই সমস্ত মানুষজনের জন্য বিশেষ পোর্টাল চালু করার নয়া উদ্যোগ নিলেন বিরোধী দলনেতা।‌

আরও পড়ুন- রহস্যই রয়ে গেলেন ডি বি কুপার, উড়ান থেকে মুক্তিপণ নিয়ে আচমকাই গায়েব হন এই দুঁদে অপরাধী! এখনও ধন্দে মার্কিন গোয়েন্দারা

শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, ‘‘পোর্টালের আত্মপ্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। ‌বিভিন্ন অভাব অভিযোগ নিয়ে অনেকেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে শুরু করেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের কথায়, ‘‘বর্তমান ব্যস্ত সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা ক্রমেই বাড়ছে। খুব দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে।‌ আর তাই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক দল ও সরকার বিরোধী শিবিরের কাছে পৌঁছতেই এখন থেকে মূলত জনসংযোগের লক্ষ্যেই বিরোধী দলনেতার এই পোর্টাল ভাবনা।’’

Suvendu Adhikari: আজ শুভেন্দু অধিকারীর নয়া পোর্টালের আত্মপ্রকাশ, কাদের জন্য পোর্টাল?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘দিদিকে বলো’ কিংবা ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র কথা তো সবারই জানা। এবার আজ, সোমবার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নতুন অফিসিয়াল পোর্টালের আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে। নিজেই পোর্টাল চালু করার খবর জানিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘‘পঞ্চায়েত, লোকসভা এবং সদ্য সমাপ্ত চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদের জন্য বড়সড় গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁরা সোমবার থেকে বিরোধী দলনেতার নতুন পোর্টালে অভাব অভিযোগ-সহ নাম নথিভুক্ত করুন। আমি সোমবার সমাজ মাধ্যমে বিস্তারিত পোর্টাল সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরব। যাঁরা পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করবেন তাঁদের নাম পরিচয় গোপন থাকবে।’’

আরও পড়ুন- দশ দিনে ৯ কোটি টাকা রোজগার যুবকের! পুলিশ হানা দিতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য, ধৃত ২

 সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রের ১০০ জন ভোটারকে নিয়ে যাদের আঙুলে ভোটের কালি পরেনি তাঁদের নিয়ে রাজভবনে শীঘ্রই আসব বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘যেভাবে নন্দীগ্রামে গণ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম ঠিক সেভাবেই যাঁরা ভোট দিতে পারেননি সেই সমস্ত অত্যাচারিত মানুষজনের বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাশে থাকব।’’

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর মুখে ফের নবান্ন অভিযান, ২১ জুলাই-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিরোধী দলনেতার

তবে শুধুমাত্র যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁরাই নন, ভোট পরবর্তী অশান্তি থেকে শুরু করে যে কোনও অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষজনও বিরোধী দলনেতার নয়া পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। পোর্টাল মারফত‌ বিরোধী দলনেতা অভাব অভিযোগ পেয়ে শুভেন্দু‌ অধিকারী সেই সমস্ত বিষয়ে মানুষকে কিভাবে সাহায্য এবং সেই সমস্ত মানুষদের পাশে থাকা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, যে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়েই দেখা গিয়েছে কখনও মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের মোবাইল নম্বর জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন আবার কোথাও বা হালে শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে পথে প্রচারে জনসংযোগের সময় শাসক দলের চোখরাঙানি থেকে অনৈতিক কাজ সহ যে কোনও ধরনের সমস্যা হলেই তাঁকে সরাসরি ফোন কিম্বা হোয়াটসঅ্যাপ করার কথাও শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে।

আর এবার সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের নয়া মাধ্যম হিসেবে সোমবার থেকে ‘বিরোধী দলনেতার’ পোর্টাল চালু করার কথা নিজেই ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই মূলত জনসংযোগের লক্ষ্যেই শুভেন্দুর এই উদ্যোগ। অন্যদিকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শাসক দল এবং সরকারকে হামেশাই নিশানা করেন শুভেন্দু। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারী বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে এও বলেন, ‘‘শীঘ্রই এ রাজ্যের আট সাংসদ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাকে উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাবেন।’’