Category Archives: দার্জিলিং
Travel: বড়দিনের ছুটিতে কোথায় যাবেন ভাবছেন? ঘুরে আসুন এই ফার্ম স্টে-তে
প্রতিদিনের কর্মব্যস্তময় জীবন থেকে ছুটি নিয়ে আমরা সবাই ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। আমাদের কাছে পাহাড় মানেই দার্জিলিং। তবে এই গ্রাম দার্জিলিংয়ে নয়। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে পানিঘাটা অঞ্চলের সাইনগরের এই চেংগা বস্তিতে গড়ে উঠেছে এই ফার্ম স্টে। যার নাম চেংগা ফার্ম স্টে। এখন সকলের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে এই গ্রাম। এখানে সুন্দর সুন্দর কটেজগুলিতে ক্যাম্পিংয়ের সুব্যবস্থা যেমন রয়েছে । ঠিক তেমনি অর্গানিক খাবার দাবার ও সুইমিং পুলের ব্যবস্থাও রয়েছে। আবার রাতে বার্বিকিউ । থাকা খাবার খরচ প্রতিজন হিসেবে মাত্র ১৫০০ টাকা।
Travel: পাহাড়ের কোলে ছোট্ট সুইমিংপুল, বড়দিন কাটান এই ফার্ম স্টে-তে! রইল বিস্তারিত
দার্জিলিং: প্রতিদিনের কর্মব্যস্তময় জীবন থেকে ছুটি নিয়ে আমরা সবাই ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। এ ক্ষেত্রে কারও পছন্দ সমুদ্র, আবার কারও পাহাড়। তবে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা আমাদের অনেক বেশি ডাকে। আর পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
আমাদের কাছে পাহাড় মানেই দার্জিলিং। তবে এই গ্রাম দার্জিলিংয়ে নয়। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে পানিঘাটা অঞ্চলের সাইনগরের এই চেংগা বস্তিতে গড়ে উঠেছে এই ফার্ম স্টে। যার নাম চেংগা ফার্ম স্টে। এখন সকলের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে এই গ্রাম।
আরও পড়ুনঃ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের জেলায় জেলায়, মিগজাউমের প্রভাবে কোথায় কত বৃষ্টি হবে? রইল পূর্বাভাস
এই চেংগা ফার্ম স্টে হতে পারে আপনাদের উইকেন্ড রাত্রিযাপনের সেরা ঠিকানা। বাঁশের তৈরি সুন্দর কটেজ রাখা রয়েছে। শুধু সেখানে বসে সবুজ আর আশেপাশের পাহাড় দেখেই আপনার দিন কেটে যাবে। শুনতে পাবেন পাখির কোলাহলও। এখানে এমনই প্রকৃতির রূপ, যা দেখে আপনি উপন্যাসও লিখে ফেলতে পারবেন। সুন্দর সুন্দর কটেজগুলিতে ক্যাম্পিংয়ের সুব্যবস্থা যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনই অর্গানিক খাবার দাবার ও সুইমিং পুলের ব্যবস্থাও রয়েছে। আবার রাতে বার-বি-কিউ। থাকা খাবার খরচ প্রতিজন হিসেবে মাত্র ১৫০০ টাকা।
ফার্মস্টের ম্যানেজার সুনীল মিঞ্জ বলেন, ‘শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছেই এই ফার্মস স্টে। বাইক স্কুটি কিংবা পার্সোনাল গাড়ি নিয়ে এখানে খুব সহজেই চলে আসা যায়। তবে এখানে থাকতে গেলে আগেভাগে বুকিং করে আসতে হবে। সেই অনুযায়ী সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে রাখা হয়।’ পর্যটক সৌরভ দত্ত বলেন, ‘বাইক নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। আজ আমরা রাতে এখানে থাকব। খুবই সুন্দর জায়গা শান্ত পরিবেশ। দারুন লাগছে।’
অনির্বাণ রায়
Kalimpong News: পাহাড়ে ট্রাক ধর্মঘট শুরু হতেই খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা
কালিম্পং: জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাহাড়ে ট্রাক এবং মিনি বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ছ’টা থেকে কালিম্পং এবং সিকিম জুড়ে বন্ধ আছে মালবাহী ট্রাক চলাচল। ট্রাক চালকদের সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘটের জেরে পাহাড়ে আবার খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেগুনি বাঁধাকপি চাষে ফলবে সোনা, ঘরে আসবে লক্ষ্মী! কীভাবে করবেন জানুন
পাহাড়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছনোর ক্ষেত্রে মূল ভরসা পণ্যবাহী গাড়ি। কিন্তু ট্রাক ধর্মঘটের জেরে সেটাই চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে বাস ধর্মঘটন শুরু হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় থেকে পর্যটক সকল ধরনের যাত্রীরা।
ট্রাকচালক সংগঠনের ডাকা বনধকে পাহাড়ের মিনিবাস সংগঠনগুলি সমর্থন করেছে। তবে কেউ যদি মিনিবাস চালাতে চায় তাদের আটকানো হবে না বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত অক্টোবর মাসে সিকিমের হড়পাবানের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুরু হয় রাস্তা সারাইয়ের কাজ। কিন্তু দেড় মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা স্বাভাবিক হয়নি। মূলত লিকুভির গেইল খোলা এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে শুধুমাত্র ছোট চার চাকার গাড়ি চলাচল করছে। কালিম্পং-সিকিমগামী বড় ট্রাক এবং বাসগুলিকে লাভা হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সময় অনেকটা বেশি লাগছে তেমনই খরচের পরিমাণ বাড়ছে গাড়ির মালিকদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ট্রাক চালক সংগঠনের নেতা মিলাপ ছেত্রির কথায়, জীবন হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায়। ট্রাকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তার ক্ষতিপূরান্ত কেউ দিচ্ছে না। জেলা প্রশাসনকে ২১ নভেম্বর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারপরও রাস্তা সংস্কারে গতি আসেনি। বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
অনির্বাণ রায়
Moonlight Tea Plucking: ওকাইটি বাগানে মুনলাইট প্লাকিং! উৎসবের মেজাজ চা শ্রমিকদের
Pure Honey: শীতে মধু খাওয়া উপকারী, কিন্তু আসল-খাঁটি মধু চিনবেন কীভাবে? জানুন
দার্জিলিং: মৌ পালন করে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি গ্রাম ফাজে বস্তির রতন ৷ মৌ পালন আজ এই রাজ্যে যথেষ্ট ভাল জায়গায় রয়েছে৷ এই ব্যবসার জোরে উপার্জনও যথেষ্ট করা যায়৷ রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে মৌ পালন করে বহু লোক স্বনির্ভর হচ্ছেন। পাহাড়ের ওই ছোট্ট গ্রামে মৌমাছি চাষ করে গ্রামবাসীদের আয়ের পথ দেখাচ্ছেন রতন রানা।
পাঁচ বছর আগে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন রতন। তারপর নিজের বাড়িতে মৌমাছির পাঁচটা ঘর দিয়ে শুরু। এখন তার বাড়িতে প্রায় কুড়িটি মৌমাছির ঘর রয়েছে এবং সেখান থেকে বছরভর মধু সংগ্রহ করেন তিনি।তবে জানেন কি এ রাজ্যেই সাত থেকে আট ধরনের মধু পাওয়া যায়, যার রঙ ও স্বাদ আলাদা। মধু সাধারণত কালচে লাল রঙের হয় বলেই সকলের ধারণা৷ তবে যে এলাকায় যেমন ফুল, সেখানে থেকে তেমন মধু সংগ্রহ করবে মৌমাছি৷
আরও পড়ুন: ১০০ টাকারও কম খরচে দিঘা পৌঁছে যাবেন, অবাক লাগছে? এখনই জানুন
তাই সেই মধুর রঙ ও স্বাদ হবে সম্পূর্ণ আলাদা। বিভিন্ন সিজনের ফুল বিভিন্ন রকম হয় তাই বিভিন্ন সিজনে কালচে থেকে শুরু করে হালকা সোনালি রঙের মধু হয় বলে দাবি রতনের। মৌ পালন করে এই মধু সংগ্রহ করতে হয়৷ বাজারের বহু নামী দামি কোম্পানি মধু পাওয়া যায়, যার বেশিরভাগটাই ভেজাল বলে দাবি রতনের৷ আসল মধু হলে সেই মধু কিছুদিন থাকার পর জমাট বাঁধতে থাকবে। পাশাপাশি মধুর স্বাদ অনুভব করলেও অনেকটা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: ‘বিড়ি’ খেয়েই কমবে খুশখুশে কাশি! অবাক লাগছে? ম্যাজিক ঘরোয়া টিপস
রতনের বাড়িতে গেলেই দেখা যাবে পাহাড়ি বাগানে সারি সারি বক্স, আর তাতে বেশ কয়েকটি ফ্রেমে লাখ লাখ মৌমাছি৷ আছে একটি দরজাও, যেখান থেকে সূর্য উঠলেই শ্রমিক মৌমাছি বেরিয়ে পড়ে ফুলের থেকে মধু সংগ্রহ করতে৷ প্রতিটা বক্সে একটি রানি মৌমাছি আর কয়েকটা পুরুষ মৌমাছি থাকে৷ বাদ বাকি সব শ্রমিক মৌমাছি। নিজের মতো বক্সের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায় তারা৷ আবার সূর্য ডোবার আগে প্রত্যেকে ফিরে আসে নিজের বাসস্থানে অর্থাৎ বক্সে।
a
রতন বলেন, ” সরকারি কোর্স করে পাঁচ বছর আগে আমি মৌমাছি প্রতিপালন শিখেছিলাম। এখন বাড়িতেই মৌমাছি পালন করে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করি এবং সেটা বিক্রিও হয়। ১২০০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে আমি মধু বিক্রি করে থাকি।” রতনকে দেখে গ্রামের আরও স্থানীয়রাও মৌ পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
অনির্বাণ রায়
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Winter Weather Updates : জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে! লেপ-কম্বল সব নামিয়ে ফেলুন! জানুন কোন কোন জায়গা কাঁপবে
Bangla News: এখনও হয়নি খেজুর গুড়, কীভাবে চিনবেন আসল জয়নগরের মোয়া? দেখুন ভিডিও
ভোজন রসিক বাঙালির শীতের স্বাদ লুকিয়ে নলেন গুড় আর তাঁর গন্ধমাখা জয়নগরের মোয়ায়। কিন্তু মোয়াপ্রেমী বাঙালিদের জন্য দুঃসংবাদ। এখনো সেভাবে। এখনও তৈরি হচ্ছে না নলেন গুড়। তাও জয়নগর এলাকায় মোয়ার দোকানে ছেয়ে গিয়েছে।
Travel: স্বপ্নের মতো সুন্দর, ঝুপ করে ঘরে ঢোকে মেঘ, শীতে ঘুরে আসুন পাহাড়ি গ্রাম গুরদুমে
Ghoom Festival 2023: পাহাড়ের বাহারি সব খাবারের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার! শুরু হতে চলেছে ঘুম উৎসব
শিলিগুড়ি: উৎসব শেষ বলে মন খারাপের কোনও জায়গা নেই। সেই মরশুম শেষ হওয়ার আগেই দার্জিলিংয়ে শুরু হতে চলেছে ‘ঘুম উৎসব’। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাহাড়ের বুকে চলবে ঘুম উৎসব। এই নিয়ে তৃতীয়বার শৈলশহরে আয়োজিত হতে চলেছে ঘুম উৎসব। পর্যটকদের মন কাড়তে গত দু’বছর ধরে এই উদ্যোগ নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। গত দু’বছর বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই কার্নিভাল। এ বছরও আশায় বুক বাঁধছে পর্যটক থেকে পর্যটন শিল্পে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। মূলত পর্যটন শিল্পের প্রচারের জন্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এবং স্থানীয় প্রশাসন মিলে আয়োজন করে ঘুম উৎসবের।
দার্জিলিং-এ পর্যটকদের সংখ্যা এই সময় কিন্তু বেশ অনেকটাই বেড়ে যায়।দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ের সংস্কৃতির মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ রয়েছে ঘুম উৎসবে। নাচ, গান, খাদ্য থাকছে। তার সঙ্গে ঘুরে দেখতে পাবেন দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় কিছু চা বাগান। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কী চরম দুর্দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে! যা বললেন আইনজীবী, মাথায় হাত অনুগামীদের
আরও পড়ুন: দক্ষিণ দমদমে বেআইনি নির্মাণ, পুরপ্রধানকে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
২৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। উৎসব চলাকালীন সপ্তাহান্তে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে শৈলশহরে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে ১০ ডিসেম্বর একটি বড় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জমজমাট ভাবে উৎসবের সমাপ্তি হবে। সব মিলিয়ে এই সময় দার্জিলিং গেলে এক অনন্য সময়ের সাক্ষী হতে পারবেন সকলে।
অনির্বাণ রায়