Category Archives: অন্যান্য খেলা

দেশ সার্বিয়ার জন্য টোকিও থেকে সোনা নিয়ে ফিরতে চান জোকোভিচ

#টোকিও: সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তিনি যে টোকিওতে নামবেন সেটা আবার পরিষ্কার করে দিলেন নোভাক জোকোভিচ। ব্যক্তিগত ক্যাবিনেটে সবকটা ট্রফি আছে। নেই খালি অলিম্পিক পদক। কিন্তু অলিম্পিকস মানে দেশের হয়ে লড়াই। সেই লড়াইয়ে সার্বিয়ার হয় সোনা জিততে চান জোকার। জানিয়ে দিলেন দেশের জার্সি গায়ে খেলার সময় আলাদা মোটিভেশন পান।

গ্যালারিতে দর্শক না থাকলেও মোটিভেশন জোগাড় করতে অসুবিধা হবে না। তিনি এখন স্বপ্নের সওদাগর। যাতে হাত দিচ্ছেন, তাতেই সোনা ফলছে। যেন জাদু মন্ত্রে দীক্ষিত। বছরটা এমনিতেই জকোভিচের জন্য পয়া। এ পর্যন্ত বছরে যে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম, সব কটি জিতেছেন জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন জেতা জকোভিচের লক্ষ্য এবার অলিম্পিকে সোনা জয়।

একদিক থেকে বিবেচনা করলে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে যেকোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের চেয়ে অলিম্পিকে সোনা জেতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ জকোভিচের কাছে। কারণ, জকোভিচের অর্জনের খাতায় এই একটা জিনিসই নেই। কিছুদিন আগে রাফায়েল নাদাল টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। উইম্বলডনের পর একই সিদ্ধান্ত নেন রজার ফেডেরার।

শোনা যাচ্ছিল, পুরুষ টেনিসে ‘ত্রিমূর্তি’র আরেকজন নোভাক জকোভিচও নাকি অলিম্পিকে খেলা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। এতে ২৩ জুলাই জাপানের টোকিওতে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিকের টেনিস ইভেন্ট আলো হারানোর পথে ছিল। কিন্তু জকোভিচ সেটা হতে দিচ্ছেন না। অলিম্পিকে তিনি খেলবেন।

জকোভিচের এই বিজয়রথ তাঁকে এনে দিতে পারে ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যামের শিরোপা। চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং অলিম্পিক্সে সোনার পদক একই বছরে জিতলে পাওয়া যায় এই শিরোপা। ১৯৮৮ সালে স্টেফি গ্রাফ এই অমূল্য কীর্তি গড়েছিলেন। ছেলেদের টেনিস বিশ্বে এখনও অবধি কেউই এই দুর্লভ রেকর্ড গড়তে পারেননি। কিন্তু টোকিওতে যখন সার্বিয়ান তারকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন চ্যাম্পিয়ন না হয়ে ফেরার বান্দা নন তিনি।

Deepak Kabra at Tokyo Olympics: দারুণ খবর ! অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও ভারতীয় জায়গা পেলেন জিমন্যাস্টিক্সের বিচারক মণ্ডলীতে

নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগেই ভারতীয় ক্রীড়ামহলের জন্য দারুণ খবর ৷ এবারের অলিম্পিক গেমসে জিমন্যাস্টিক্সের বিচারকের প্যানেলে জায়গা পেলেন ভারতের দীপক কাবরা (Deepak Kabra) ৷ এই প্রথমবার অলিম্পিকের জিমন্যাস্টিক্সের বিচারক মণ্ডলীতে জায়গা পেলেন কোনও ভারতীয় ৷ এই খবর জানার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপকের জন্য উপচে পড়ে অভিনন্দন বার্তা ৷ ভারতের তারকা জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারও অভিনন্দন জানিয়েছেন দীপক কাবরাকে ৷ ট্যুইটারে দীপকের সঙ্গে নিজের এবং তাঁর কোচের একটি ছবি পোস্ট করে দীপা লেখেন, ‘‘ ভারত থেকে প্রথমবার কোনও জিমন্যাস্টিক্সের বিচারক জায়গা পেলেন অলিম্পিক গেমসে ৷ দীপক কাবরা দাদাকে অনেক অনেক অভিনন্দন ৷ #Tokyo2020-র জন্য শুভেচ্ছা রইল ৷ ’’

মুম্বইয়ের দীপক কাবরাকে এর আগে ২০১৯ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ৷ ওই বছরই এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্স ইউনিয়ন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হন তিনি ৷ জিমন্যাস্টিক্সে দীপকের মতো টোকিও অলিম্পিকের শ্যুটিংয়ের বিচারক মণ্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন আরেক ভারতীয় পবন সিং ৷ যা অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার ৷ কারণ এর আগে কোনও ভারতীয় বিচারককে অলিম্পিকের শ্যুটিং ইভেন্টে দেখা যায়নি ৷

৪১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন অ্যাশলে বার্টি

#লন্ডন: বেশ কয়েক বছর ধরে মহিলাদের টেনিসে তিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতের লম্বা রেসের ঘোড়া প্রমাণ করেছিলেন আগেই। কিন্তু টেনিস বিশ্বের প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে কুলীন উইম্বলডন জেতা বড় মাপকাঠি। সেটাই এতদিন ছিল না বর্টির। অনেক টেনিস পন্ডিত মনে করেন নিজেকে ধরে রাখতে পারলে আধুনিক প্রজন্মের অন্যতম সেরা মহিলা খেলোয়াড় হতে পারেন এই মেয়েটি। টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণই থাকে মহিলাদের সিঙ্গলস লড়াইকে ঘিরে। এবার সেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেলেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টি।

প্রত্যাশা মতোই জিতলেন বিশ্বের এক নম্বর অস্ট্রেলিয়ার তারকা অ্যাশলে বার্টি। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ ছিল ফাইনালটি। একেবারে নজরকাড়া। এই ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন বার্টি। ৬-৩, ৭-৬, ৬-৩ সেটে জিতলেন তিনি। ২০১২ সালের পর এই প্রথম নারীদের কোনো ফাইনাল গড়াল তিন সেটে।

এদিন শুরু থেকেই চেনা ফর্মেই খেলা শুরু করেন বার্টি। প্রথম সেটটি জিতে নেন ৬-৩ সেটে। সবাই যখন ধরে নিয়েছে সহজে দ্বিতীয় সেটেও জিতে যাবেন বার্টি। তখনই ঘুরে দাঁড়ালেন ক্যারোলিনা। দ্বিতীয় সেটটি ৭-৬ ব্যবধানে জিতে নেন রাশিয়ান টেনিস খেলোয়াড়। কিন্তু তৃতীয় সেটেই বার্টি প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়।

৬-৩ ব্যবধানে ওই সেট এবং ম্যাচটি জিতে নেন বার্টি। এটি তার প্রথম উইম্বলডন। শেষ বার অস্ট্রেলীয় হিসেবে উইম্বলডন জিতেছিলেন এভোনে গুলাগং, যাঁকে বার্টি নিজের আদর্শ বলে মানেন। শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালের সেই ফাইনালে গুলাগং যে পোশাক পরে নেমেছিলেন, সেই ধাঁচে নিজের ফাইনালের পোশাক তৈরি করেছিলেন বার্টি। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই আবেগে ভেসে যান তিনি।

Milkha Singh: ‘এবার অন্তত মিলখাকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক’, গণদাবির উত্তর দিল ক্রীড়ামন্ত্রক

#নয়াদিল্লি: কেউ বলছেন, মিলখা সিংয়ের পরিবারের ট্র্যাক রেকর্ড একবার দেখে নিন। খেলাধূলা তাঁদের রক্তে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে মিলখা সি মোট আটটি সোনার পদক জিতেছেন। তাও মিলখার শৈশব ছিল দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত। তাঁকে ভারতরত্ন না দেওয়া হলে আর কাকে দেওয়া হবে! ধ্যানচাঁদের সঙ্গে তাঁকে যেন ভারতরত্ন দেওয়া হয়। কেউ আবার লিখলেন, আমাদের দেশে মানুষ প্রয়াত হলেই তাঁকে সম্মানজ্ঞাপনের কথা ভাবা হয়। বেঁচে থাকতে কিংবদন্তিদের কদর হয় না। মিলখা সিং ভারতরত্নের যোগ্য দাবিদার। এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতেই পারে না। সরকার সেটা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করলে প্রতিবাদ জানানো উচিত ক্রীড়াপ্রেমীদের। আমরা পথে নামতেও রাজি। কারও আবার দাবি, ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য ভারতরত্ন খুব নগন্য একটা পুরস্কার। তবে এর থেকে বেশি তাঁকে আর কিছু দেওয়ার নেই। বেঁচে থাকতে তো আমরা তাঁকে এই সম্মানে ভৃষিত করতে পারলাম না। এবার অন্তত মিলখাকে সেই সম্মান দেওয়া হোক।

স্ত্রীর মৃত্যুর পাঁচদিনের মাথায় গোটা দেশকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন মিলখা সিং। করোনা আরও এক কিংবদন্তিকে কেড়ে নিল। প্রায় দেড়শো কোটির দেশে দ্বিতীয় মিলখা সিং জন্মাবে না। এমন কথা এখন সবাই বলছে। তবুও কেন মিলখার মতো একজন কিংবদন্তিকে ভারতরত্নের জন্য ভাবল না সরকার! এই প্রশ্নের জবাব কারও কাছে নেই। মিলখা সিং প্রয়াত হওয়ার পরই এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে উঠল। ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবিতে অনেকদিন ধরেই ক্রীড়াপ্রেমীরা সরব। এবার মিলখার জন্যও আওয়াজ উঠল। যদিও মিলখা সিংয়ের পরিবারের তরফে এই ব্য়াপারে এখনও কোনও দাবি তোলা হয়নি। তবে মিলখার ভক্তরা তাঁর জন্য সওয়াল করলেন। এমন একজন ক্রীড়াবিদ হয়তো শতাব্দীতে একবারই জন্মান। খিদে, দারিদ্র, দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়েও রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছিলেন মিলখা।

ক্রীড়াপ্রেমীদের গণদাবি চাপ সৃষ্টি করল ক্রীড়ামন্ত্রকের উপর। আসলে হক ছিনিয়ে নিতে হলে আওয়াজ তো তুলতেই হয়। মিলখার ভক্তরা সেই আওয়াজ তুললেন। ক্রীড়ামন্ত্রী সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখলেন, আমি এখন মিলখার শেষযাত্রায় অংশ নিতে চণ্ডিগড় যাচ্ছি। তাঁর পরিবারে প্রতি সমবেদনা রয়েছে। মিলখা সিং ভারতের গর্ব। তিনি কিংবদন্তি। একটা প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা। সারাজীবনে তিনি যে সাহজ ও উদ্যম দেখিয়েছেন তা বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি আসলে সবরকম পুরস্কারের অনেক উপরে। পুরস্কার দিয়ে তাঁকে বিচার করা যাবে না। তাঁর মতো কিংবদন্তির যোগ্য কোনও পুরস্কারও হয়তো নেই।

French Open 2021: রোলা গাঁরোয় ইন্দ্রপতন! প্রথম বার সেমিফাইনালে হেরে ফরাসি ওপেন থেকে বিদায় নাদালের

প্যারিস: ক্লে কোর্টের রাজাকেও হার স্বীকার করতেই হল ৷ এই প্রথমবার ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিলেন রাফায়েল নাদাল ৷ জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলার ফল  ৬-৩, ৩-৬, ৬-৭, ২-৬।

একমাত্র প্রথম সেটেই এদিন স্বমেজাজে দেখা গিয়েছিল নাদালকে ৷ ৬-৩-এ সেট জিতেও নেন তিনি ৷ কিন্তু তারপরেই ম্যাচে দাপট শুরু জোকারের ৷ তৃতীয় সেটে হাড্ডাহাড্ডির লড়াই হলেও চতুর্থ সেটে ২-৬-তে জিতে জয় নিশ্চিত করেন সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচ ৷

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ শুক্রবার স্বস্তি পেয়েছেন ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে রাজায় রাজায় যুদ্ধ দেখে।

এদিনের ম্যাচের আগে ফরাসি ওপেনে ১৩ বার সেমিফাইনাল খেলেছেন নাদাল। কখনও হারেননি তিনি। তবে এ বার আর পারলেন না। জোকোভিচ থামিয়ে দিলেন নাদালের জয় যাত্রা।

Dingko Singh Passes Away: প্রয়াত এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী বক্সার ডিঙ্কো সিং

ইম্ফল: অকালেই চলে গেলেন ১৯৯৮ সালের এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় বক্সার ডিঙ্কো সিং ৷ করোনাকে জয় করলেও খুব বেশি দিন বাঁচতে পারলেন না মণিপুরের এই বক্সার ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর ৷ বৃহস্পতিবার মণিপুরে নিজের গ্রামের বাড়িতে মৃত্যু হয় ডিঙ্কো সিং-এর ৷

তাঁর প্রয়াণে ট্যুইটারে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি লেখেন, ‘‘ডিঙ্কো সিং ছিলেন একজন সুপারস্টার, দুর্দান্ত বক্সার ৷ দেশে বক্সিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়াতে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে ৷ ওঁর মৃত্যুর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক ৷ ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল ৷ ’’

গত বছর তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। সে সময় দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ডিঙ্কো ৷ ফেরার সময় করোনায় আক্রান্ত হন ৷  সেই লড়াইয়ে সাফল্যও পান তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না।

২০১৬ সালে তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১৭ সালে দিল্লির ইন্সটিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে নিয়মিত চেক আপের জন্য ডিঙ্কোকে দিল্লি যেতে হত। শেষপর্যন্ত মারণ ক্যানসারই কেড়ে নিল ভারতের সোনাজয়ী বক্সারের প্রাণ ৷

Shooter Dadi Chandro Tomar: করোনার শিকার ‘শার্পশ্যুটার দাদি’ চন্দ্র তোমর, মন খারাপ তাপসী-ভূমির!

#মুম্বই: শার্পশ্যুটার চন্দ্র তোমর (Chandro Tomar), যাঁকে ‘শ্যুটার দাদি’ (Shooter Dadi) নামেই সবচেয়ে বেশি চিনতেন সকলে, শুক্রবার ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। চন্দ্র তোমর করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাঁর ননদ প্রকাশী তোমর ট্যুইট করে এই খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গ ত্যাগ করে চলে গেলেন, চন্দ্র কোথায় চলে গেলে!’

বলিউডে ২০১৯ সালে চন্দ্র ও প্রকাশীকে নিয়ে ছবি হয়েছিল ‘ষান্ড কি আঁখ’ (Saand Ki Aankh)। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তাপসী পান্নু (Taapsee Pannu) ও ভূমি পেডনেকর (Bhummi Pednekar)। শুক্রবার চন্দ্র তোমরের মৃত্যুতে দুই অভিনেত্রীই নিজেদের শোকপ্রকাশ করেছেন। ট্যুইটারে চন্দ্র তোমরের সঙ্গে নিজের ছবি শেয়ার করে তাপসী লিখেছেন, ‘সারাজীবনের অনুপ্রেরণা আপনি… চিরকাল আপনি বহু মহিলার অনুপ্রেরণাময় জীবনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। আমার কিউটেস্ট রকস্টার, চিরকাল আপনি ভালোবাসা ও শান্তিতে থাকুন।’ ছবিতে প্রকাশীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তাপসী।

ছবিতে চন্দ্র তোমরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ভূমি পেডনেকর। তিনিও এদিন চন্দ্রের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করে পোস্ট করেছেন। ভূমি ছবির সেট থেকে একাধিক ছবির কোলাজ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সারাজীবন তোমাকে মিস করব, চিরকাল চন্দ্র তোমর’। হ্যাশট্যাগে তিনিও শ্যুটার দাদি লিখেছেন। প্রকাশী তোমর ট্যুইটারে নিজেদের ছবি শেয়ার করে মন খারাপের কথা বলেছেন। লিখেছেন, ”আমার সঙ্গ ত্যাগ করে চলে গেলেন, চন্দ্র কোথায় চলে গেলে!’

দেশের সবচেয়ে বয়স্ক দুই শার্পশ্যুটার ছিলেন চন্দ্র তোমর এবং আরেকজন প্রকাশী। প্রায় ৩০টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। এই দুই অবিস্মরণীয় মহিলার জীবন নিয়েই বলিউডে ছবি হয়েছিল ‘ষান্ড কি আঁখ’। ছবিটি প্রথম পরিচালনা করে বলিউডে পা রেখেছিলেন তুষার হিরানন্দানি। প্রযোজনা করেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। এক ভিলেন ও ঢিশুম ছবি লিখেছিলেন তুষার।

ফের করোনা পজিটিভ হলেন সাইনা, ছিটকে গেলেন থাইল্যান্ড ওপেন থেকে

#ব্যাঙ্কক:  অলিম্পিক ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী ও প্রাক্তন এক নম্বর শাটলার সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal) থাইল্যান্ড ওপেনের (Thailand Open) ঠিক আগে কোভিড পজিটিভ (Covid-19) হলেন৷ সাইনা নেহওয়ালকে টুর্নামেন্ট আয়োজকরা হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখেছেন৷ এর ফলস্বরূপ তাঁর প্রথ রাউন্ডের প্রতিপক্ষ কিসোনা সেলভাদুরি ওয়াক ওভার পেয়ে যাচ্ছেন৷ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ক্যালেন্ডারে এটাই প্রথম ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ছিল৷ কারণ করোনা ভাইরাস অতিমারির জেরে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট৷

সাইনা নেহওয়াল ছিটকে যাওয়ার পরে এখন এই টুর্নামেন্টে মহিলাদের সিঙ্গলসে পিভি সিন্ধু একমাত্র ভারতীয় মহিলা প্রতিযোগী৷ সাইনার পাশাপাশি কোভিড পজিটিভ হয়েছেন এইচ এস প্রণয়ও৷

থাইল্যান্ডে পৌঁছনোর পর সাইনা অভিযোগ করেছিলেন তাঁর সঙ্গে ফিজিও ও ট্রেনারদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এবং পুরো টুর্নামেন্ট চলাকালীনই এই দেখা না করতে দেওয়ার ফরমান ছিল৷ তিনি পুরো দলের মাত্র একঘণ্টার অনুশীলনের বিষয় নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন৷

এর আগে ভারতের তারকা শাটলার সাইনা নেহওয়াল, কিদম্বি শ্রীকান্ত, সাই প্রণীথ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ড গিয়েছেন৷ BWF Super 1000 tournaments -সমস্ত তারকা শাটলাররাই খেলেন তাতে অংশ নিতেই এঁরা গিয়েছেন৷ সেই সময় সকলেই কোভিড নেগেটিভ হয়েছিলেন৷

সাইনা সদ্য সদ্যই করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছিলেন৷ অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য ফর্মে ফিরতে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে অত্যধিক আগ্রহী ছিলেন৷

 সাইনা ও সিন্ধু Denmark Open Super 750  ও SaarLorLux Super 100 অংশ নিতে পারেননি কারণ করোনা অতিমারির জেরে BWF সেগুলি আয়োজন করতে পারেনি৷ যার ফলে মার্চে All England Championship -র পর আর টুর্নামেন্ট খেলতে পারেননি৷

ভারতীয় দল এবং অ্যাথলিট ও স্টাফরা সকলেই করোনা পরীক্ষা দিয়েছিলেন ব্যাঙ্ককে পৌঁছনোর পরেই৷ ২২ দলের ২১৬ প্লেয়ার সহ ৮২৪ জনই তখন করোনা নেগেটিভ হয়েছিলেন৷

India vs Australia: মেলবোর্নে বুমরাহ-অশ্বিনদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া শেষ ১৯৫ রানে, ভারত ১ উইকেটে ৩৬

অস্ট্রেলিয়া: ১৯৫ (৭২.৩ ওভার)

ভারত: ৩৬/১ (১১ ওভার)

প্রথম দিনের খেলা শেষে স্কোর

#মেলবোর্ন: বক্সিং ডে টেস্টে শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৯৫ রানেই শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। এমসিজিতে এদিন একেবারেই সুবিধা করে উঠতে পারেননি অজি ব্যাটসম্যানরা ৷ বুমরাহ-অশ্বিনদের দাপটে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস স্থায়ী হল ৭২.৩ ওভার ৷ অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লেন পেসার মহম্মদ সিরাজও ৷ ১৫ ওভার বল করে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি ৷ অন্যদিকে বুমরাহের ঝুলিতে ৪ উইকেট এবং অশ্বিন পেয়েছেন ৩টি উইকেট ৷ একটি উইকেট জাদেজার ৷

দিনের প্রথম সেশনেই ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জো বার্নস (০), ম্যাথু ওয়েড (৩০), স্টিভ স্মিথ (০) ফিরেছিলেন দ্রুত। এরপর ক্যাঙারুদের ইনিংস টানছিলেন লাবুশানে-হেড জুটি ৷ কিন্তু সিরাজের বলে লাবুশানে (৪৮) এবং বুমরাহের বলে ট্র্যাভিস হেড (৩৮) রান করে আউট হতেই ফের চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া ৷ চা বিরতির পর মাত্র ৫৯ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

ব্যাট করতে নেমে ভারতও শুরুতেই ওপেনার ময়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট হারায় ৷ কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়ানে ফেরেন তিনি ৷ দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান ৷ ২৮ রানে ব্যাট করছেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া আরেক ক্রিকেটার শুভমান গিল ৷ পূজারা অপরাজিত ৭ রানে ৷

দুই বোন দুই মেরু, কুস্তির আখড়ায় নয় ট্যুইটারে শুরু লড়াই ববিতা ও ভিনেশ ফোগটের

#নয়াদিল্লি : কৃষক আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক মহল সরগরম৷ নতুন কৃষি আইন (New Agriculture Laws 2020) -র বিরুদ্ধে দিল্লি বর্ডারে (Delhi Borders) কৃষক আন্দোলন প্রচণ্ড উত্তাপ ছড়াচ্ছে৷ এই আন্দোলন নিয়ে পক্ষে -বিপক্ষে বহু সেলিব্রিটি নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন৷ খেলাধুলো থেকে বিনোদন বিভিন্ন জায়গার মানুষই নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন৷ এরই জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পক্ষ অন্যপক্ষের মত পোষনকারীদের ছেড়ে কথা বলছেন না৷ সম্প্রতি কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranut) ও দিলজিত দোসাঞ্জের (Diljit Dosanjh) ট্যুইট যুদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল৷ এবার এই আন্দোলন নিয়ে দুই ফোগট বোনের মতান্তর সামনে চলে এসেছে৷ তাঁরা কুস্তির আখড়ায় নয় ট্যুইটে করছেন লড়াই৷

পেশাদার কুস্তিগির ববিতা ফোগট এখন বিজেপি নেতাও৷ তিনি কৃষক আন্দোলন নিয়ে নানা সময়ে নানা কিছু ট্যুইট করছেন৷ নিজের মত প্রকাশে কোনও দ্বিধা রাখছেন না৷ তিনি বর্তমানে ট্যুইট করে জানিয়েছেন টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং কৃষক আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়েছে৷ ববিতার এই ট্যুইটের পরে তাঁকে সরাসরি নিশানা করে জানিয়েছন ক্রীড়াবিদদের কথা বলেছেন৷

যার অর্থ , ‘এখন মনে হচ্ছে কৃষক আন্দোলনকে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং হাইজ্যাক করে নিয়েছে৷ সমস্ত কৃষক ভাইদের হাত জোড় করে বিনম্র অনুরোধ কৃপা করে নিজের বাড়ি ফিরে যান৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের অধিকার কখনও মরতে দেবেন না৷ কংগ্রেসি ও বামপন্থীরা কখনও কৃষকদের ভালো করতে পারবে না৷ ’

এছাড়াও ববিতা এসবাইএল (সতলুজ যমুনা লিঙ্ক ) -র ইস্যু নিয়েও কথা বলছেন৷ তিনি অন্য ট্যুইটে লিখেছেন এসবাইএল হরিয়ানার জীবনরেখা৷ তাই পঞ্জাবের কাছে আবেদন কপছে হরিয়ানার কৃষকদের তাঁদের জন্য বরাদ্দ জল দেন৷ হরিয়ানার কৃষকদের জন্য সবসময় তাঁদের ভালো কিছু ভাবা উচিত৷ শতদ্রুর জল যেখানে গিয়েই নষ্ট হোক কিন্তু হরিয়ানার কৃষকদের দেব না এটা কোনও বুদ্ধিমানের কথা নয়৷

এদিকে ববিতার ট্যুইটের উত্তরে একেবারে বিস্ফোরক ট্যুইট করেছেন তাঁর তুতো বোন ভিনেশ ফোগট ৷ তিনি নিজের ট্যুইটে সোজা কথায় লিখেছেন ক্রীড়াবিদদের উচিত ক্রীড়াবিদই থাকা তাঁরা যে ক্ষেত্রেই চলে যান৷ রাজনীতি করা ভালো জিনিস কিন্তু ক্রীড়াবিদরা যেরকম খেলে নিজের পরিবার, জায়গা, দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন সেরকমই করা উচিত৷ তাঁদের এমন কিছু বলা উচিত নয় যাতে মানুষের ভাবাবেগ আহত হয়৷ কারণ মনে রাখা উচিত ক্রীড়াবিদ তৈরিতে সকলেরই যোগদান থাকে৷

একই ভাবে আরেক ফোগট বোনের স্বামী বজরং পুনিয়াও কৃষক আন্দোলনের সমর্থণেই ট্যুইট করেছিলেন৷ ববিতা ফোগটের ট্যুইটের নিচে বজরং পুনিয়ার ট্যুইটও রয়েছে৷

আসলে কৃষক আন্দোলন নিয়ে একেবারে বিভিন্ন মহলে জোর আলোড়ন পড়েছে৷ সকলেই নিজের মত সামনে রাখছেন৷ ২০১৯ সালে ববিতা ফোগট বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তিনি চখরি দাদরি সিট থেকে নির্বাচনেও লড়াই করেছিলেন ৷ কিন্তু তিনি নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন৷