Tag Archives: ayurvedic
Ayurvedic Plant: ওষুধের বাবা এই মহৌষধ…! শিরায় শিরায় ভরে দেবে শক্তি! গুণ শুনলেই খুঁজতে বেরোবেন আপনিও
কলকাতা: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য আমরা নানা উপায় অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু একটি ওষুধ রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে তো শক্তিশালী করেই, সেই সঙ্গে দেহের নানা সমস্যাকে তুড়ি মেরে দূর করে। আর এই ওষুধটির নাম হল বংশলোচন। যা তাবাশির নামেও পরিচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক এই বংশলোচন দেখতে অনেকটা সাদা রঙের ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো। এটি সেবন করলে শারীরিক দুর্বলতা, পুরুষত্বহীনতা, ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্র সংক্রমণ, বক্ষ ব্যাধি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। বলা ভাল, এটি নিয়মিত সেবন করলে এক ডজন রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের বক্তব্য:
উত্তরপ্রদেশের বাগপতের খেকড়ার নিধি ক্লিনিকে বসেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সুনীতা সোনাল ধামা। তাঁর কথায়, বংশলোচন একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ। যা বাজারে বেশ সহজলভ্য। যে কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানে সহজেই পাওয়া যায় এটি। আসলে বংশলোচন একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। যা দামে বেশ সস্তাও বটে! প্রচুর রোগের হাত থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচায় এই বংশলোচন।
দ্রুত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ওষুধ। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতা দূর করতেও বেশ কার্যকর। প্রস্রাব সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাধি দ্রুত সারাতে সহায়ক বংশলোচন। এখানেই শেষ নয়, ধীরে ধীরে সমস্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে এর মধ্যে। দুধের সঙ্গে বংশলোচন মিশিয়ে তা সেবন করা যেতে পারে। এই পানীয় শরীরের দ্রুত উপকার করে।
বংশলোচনের পুষ্টিগুণ:
বংশলোচনের অনেক নাম রয়েছে। একে তাবাশির, বাঁশ কাবর, বংশকর্পূর বা বাঁশ কর্পূর নামেও ডাকা হয়ে থাকে। বংশলোচনে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি লাড্ডুতে মিশিয়ে বংশলোচন ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন দুধের সঙ্গে বংশলোচন মিশিয়ে তা সেবন করা যেতে পারে। কারণ বংশলোচনকে মিহি করে পিষে এর গুঁড়ো বানিয়েও নেওয়া যায়। এরপর তা যে কোনও ওষুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
Nadia News: দাম মাত্র ১০ টাকা, এক চুমুকেই শরীর ফিট! কুলেখাড়া-থানকুনির জুস খেতেই ভিড় জমছে এই দোকানে, কোথায় জানেন?
নদিয়া: অসুস্থ রোগী এবং শরীর সচেতন নাগরিকরা চায়ের বদলে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজ পার্শ্বস্ত এই দোকানে, সকাল থেকে ভিড় জমানো ক্রেতারা চুমুক দেন বিভিন্ন ভেষজ জুসে। নদিয়ার শান্তিপুর শহরের শান্তিপুর কলেজের পাশেই একটি দোকানে কাগজের কাপ হাতে নিয়ে ভেষজ জুসে চুমুক দিয়ে চলে খোশ মেজাজে গল্প , তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কেউ মর্নিং ওয়াক করতে এসে কেউ বা নানান ব্যস্ততার কাজের মধ্যে দিয়ে এই দোকানে একবার ঢুঁ দিয়ে যান কখনও নিজে খেয়ে পরিবারকেও সুস্থ রাখতে বোতলে করে নিয়ে যান এই ভেষজ জুস।
একদিকে যেমন ব্রাহ্মী শাক, কুলেখাড়া, থানকুনি সজনের মত বহু গুণের পাতা রয়েছে তেমনি অর্জুন, ছাতিম, দারচিনি, নানান ভেষজ ঔষধি গাছের ছালের রস, রয়েছে বিভিন্ন শিকড়েরও রস, আনারস থেকে তুলসী, কালমেঘ, অ্যালোভেরা, পুদিনা, কারিপাতার রস। রয়েছে কাঁচা হলুদ, বিট, গাজর, লাউ, শসা-সহ নানান উপাদানের রস। আর এই রস নিয়মিত পান করেই কোনওরকম ঔষধ ছাড়াই তাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ রয়েছে বলেই দাবি করেন সেই দোকানে নিয়মিত আসা খরিদ্দারেরা। নিয়মিত খরিদ্দারের সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ জন। তবে রস যাই হোক দাম ১২০ মিলির কাগজের গ্লাসে মাত্র ১০ টাকা। ক্রেতারা জানাচ্ছেন এই দামে পাতি লেবুর শরবত মেলে, সেখানে এত রকমের উপাদান যা অত্যন্ত উপকারী তা পেতেই তাদের নিয়মিত আসা।
কেউ জানাচ্ছেন সুগারের জন্য নিমপাতা কিংবা করলার রস করা বাড়িতে যথেষ্ট সমস্যা, হাই প্রেসার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসা ক্রেতারা জানাচ্ছেন থোড় কেটে তা রস করা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ প্রথম প্রথম তা বাড়িতে হলেও গাফিলতির কারণে আর খাওয়া হতো না, ওই দোকান হওয়ার পর থেকে নিয়মিত খাওয়া শুরু হয়েছে আবার তার ফলে রোগ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
শুধু রোগের জন্যই নয় অনেকেই আসেন যারা শুধুমাত্র সকালবেলায় ভেষজ বিভিন্ন ধরনের এই পথ্য খেতে। তবে কখন কখনও আমলকি কিংবা অ্যালোভেরা কিংবা পুদিনা এ ধরনের উপাদান জোগাড় করতে একটু বেশি অর্থ লাগে তখন দাম বেড়ে বড় জোর ১৫ থেকে ২০ টাকা হয় তবে সব রকম মিক্সড জুস সারাবছর ১০ টাকা। আর এই দশ টাকার বিনিময়ে একদিকে যেমন বাঁচছে সময় তেমন ঝামেলা ঝঞ্ঝাট নিয়মিত ঔষধের মতন পথ্যও খাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
Mainak Debnath