আলিপুরদুয়ার: বেহাল অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনির নিকাশি ব্যবস্থা। প্রায় সমস্ত নর্মদায় নোংরা জমে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে বুঝতে পারছে না এলাকাবাসীরা।
নিকাশি ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থার জেরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। একাধিকবার প্রশাসনের আশ্বাসের পরও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, বহুবার প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নিকাশির কাজ হচ্ছে না। এমনকি নর্মদা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছর বর্ষাকালে বৃষ্টি এলেই সমস্ত নোংরা আবর্জনা রাস্তা থেকে বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। এমনিতেও নোংরা প্রবেশ করে ঘরগুলিতে। এদিকে দ্রুত নিকাশির এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যোগেন্দ্র প্রসাদ সাহ। যদিও কবে সমস্যা দূর হবে সেই অপেক্ষায় আছেন গ্রামবাসীরা।
মুর্শিদাবাদ: হোলির আনন্দে সবাই যখন ব্যস্ত, তখনই মাছের মড়ক লাগল বহরমপুরের লালদিঘিতে। গত দু’দিনে প্রায় ৪০ কুইন্টাল মাছ মারা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, বহরমপুর পুরসভার অন্তর্গত এই সুভাষ সরোবর লালদিঘি পার্ক নামে পরিচিত। লালদিঘি বা সুভাষ সরোবরকে ঘিরে এক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। দুপুর হলেই পার্কে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। এখানকার জলাশয়ে আছে প্রচুর মাছ। কয়েকজন মৎস্যজীবী লালদিঘি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন। সেই মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে পুকুরের জলে বিষ মিশিয়ে মাছগুলোকে মেরে ফেলেছে। পুকুর পাড়ের এক জায়গায় ঘাস ও আগাছা মরে যাওয়ায় সেখানেই বিষ বা কোনও বিষাক্ত কেমিক্যাল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি।
প্রায় ৪০ কুইন্টাল মাছ মরে জলে ভেসে ওঠায় কার্যত পথে বসার দশা ওই মৎস্যজীবীদের। এদিকে বিপুল পরিমাণ মাছ মরে জলে ভেসে ওঠায় এলাকায় পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধের টেকা দায় হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।