Tag Archives: garbage

Bangla Video: ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট কালচিনিবাসী

আলিপুরদুয়ার: বেহাল অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনির নিকাশি ব্যবস্থা। প্রায় সমস্ত নর্মদায় নোংরা জমে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে বুঝতে পারছে না এলাকাবাসীরা।

নিকাশি ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থার জেরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। একাধিকবার প্রশাসনের আশ্বাসের পরও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, বহুবার প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নিকাশির কাজ হচ্ছে না। এমনকি নর্মদা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।

আর‌ও পড়ুন: ওরাও পারে! মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের

এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছর বর্ষাকালে বৃষ্টি এলেই সমস্ত নোংরা আবর্জনা রাস্তা থেকে বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। এমনিতেও নোংরা প্রবেশ করে ঘরগুলিতে। এদিকে দ্রুত নিকাশির এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যোগেন্দ্র প্রসাদ সাহ। যদিও কবে সমস্যা দূর হবে সেই অপেক্ষায় আছেন গ্রামবাসীরা।

অনন্যা দে

Garbage Stench: আবর্জনার বুক চিরে চলে গিয়েছে এক ফালি রাস্তা! এখানে এলে এমনটা মনে হতে পারে

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঠিক যেন আস্তাকুঁড়। রাজ্য সড়কের পাশে দিনের পর দিন জমছে গোটা শহরের আবর্জনা। ডাবের খোল থেকে থার্মোকল, প্লাস্টিক থেকে ড্রেনের নোংরা জমানো হচ্ছে রাস্তার পাশে। যখন তখন লাগানো হচ্ছে আগুনও। একদিকে আবর্জনার নোংরা পচ দুর্গন্ধ, অন্যদিকে ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ স্থানীয় মানুষ থেকে রাজ্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা পথচারী সকলে। বারংবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জানানো হলেও সুরাহা মেলেনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের দাবি, স্থায়ী সমাধানের।

সোজা চলে গিয়েছে ওড়িশা ট্র্যাঙ্ক রোড, যা বর্তমানে রাজ্য সড়ক হিসেবে পরিচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্রমে গড়ে উঠছে আস্তাকুঁড়। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, নারায়ণগড় ব্লকের অন্যতম একটি শহর। রয়েছে কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, এমনকি ব্লক প্রশাসনের অফিসও। তবে নিত্যদিন নোংরা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে সমস্যায় পড়তে হয় বেলদার মানুষজনকে। ইতিমধ্যে সেই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল ব্লক প্রশাসনের তরফে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করেছিল প্রশাসন, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

আর‌ও পড়ুন: চার বছর ধরে পানীয় জল পায় না এখানকার মানুষ!

দিনের পর দিন বেলদা কালী মন্দিরস্থিত রাজ্য সড়কের পাশেই স্তুপ করে রাখা হয় নোংরা আবর্জনা। নিত্যদিন সেখানে জমানো হয় বেলদা বাজারের সমস্ত আবর্জনা। হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার, নর্দমার নোংরা আবর্জনা, থার্মোকল, ডাবের খোল ইত্যাদি প্রতিদিনই ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় এই রাস্তার পাশেই। যার ফলে পচা দুর্গন্ধে টেকা দায় এখানে। পাশেই রয়েছে মন্দির, আশ্রম, এমনকি জনবসতিও। রয়েছে একটি বেসরকারি গ্যাস অফিস এবং বেলদা ইলেকট্রিকের ডিভিশনাল অফিসও। স্বাভাবিকভাবে পথ চলতি মানুষদের নাকে চাপা দিয়েই পেরোতে হয় এই জায়গা। দ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন সকলে।

এছাড়াও এই আবর্জনায় যখন-তখন লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। গরমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে একাধিক সমস্যায় ভুগতে হয় এলাকাবাসীকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণের দাবি দ্রুত এই স্থান থেকে আবর্জনা সরিয়ে অন্যত্র খেলা হোক।

প্রশাসন সূত্রে খবর, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু হলে গৃহস্থলী কিংবা বাজারে নোংরা, আবর্জনা, প্লাস্টিক সংগ্রহ করে জৈব ভঙ্গুর পদার্থকে জৈব সারের রূপান্তর এবং জৈব অভঙ্গুর অর্থাৎ প্লাস্টিক জাতীয় আবর্জনাকে পুনর্নবীকরনের করা হবে।

আর‌ও পড়ুন: ভাণ্ডার নিয়ে পা মেলালেন মা লক্ষ্মী! সে কী উৎসাহ

সাধারণ মানুষের দাবি, দ্রুত এই আবর্জনা পরিষ্কার করুক প্রশাসন।সকলের স্বার্থে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রকল্পে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।তবে কবে মিটবে এই সমস্যা? কবে বাস্তবায়িত হবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প? তা সময় বলবে।

রঞ্জন চন্দ

Solid Waste Management: বর্জ্য বহন করবে পরিবেশ বান্ধব এই যান

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এতদিন যা দেখে এসেছেন সেটা সম্পূর্ণ বদলে যেতে চলেছে। এবার থেকে টোটোতেও বওয়া হবে বর্জ্য পদার্থ। মথুরাপুর-২ ব্লকের ১১ টি অঞ্চলেই সেজন্য জায়গা দেখার কাজ শেষ হয়েছে।এই কাজ শেষ হলে সমগ্র ব্লক হয়ে উঠবে বর্জ্য পদার্থ মুক্ত ব্লক।

প্রশাসনের এই ধরনের পদক্ষেপ এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে জোর দেওয়া হয়েছে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাপনার উপর। গাড়িতে করে বর্জ্য পদার্থগুলি সংগ্রহ করে প্রথমে সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এরপর সেগুলিকে বাছাই করা হবে। একেবারে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুড়িয়ে ফেলা হবে।

আর‌ও পড়ুন: নিরক্ষর বৃদ্ধাদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালাতে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

মূলত দূষণমুক্ত ও নির্মল গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। নির্মল ভারত অভিযান কর্মসূচির অধীনে এই কাজ করা হবে। পরিবেশকে বর্জ্য মুক্ত রাখার পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কতগুলি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন আবর্জনা সর্বদা ডাস্টবিনে ফেলা, বাড়িতে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনাকে রাখার জন্য আলাদা পাত্র ব্যবহার করা। এলাকাকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এই প্রকল্প সফল হলে এই ব্লক জেলার মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সফল ব্লক হয়ে উঠবে।

নবাব মল্লিক

Digital Waste Management: কিউআর কোড দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ! এমনটা আগে কখনও দেখেননি

উত্তর ২৪ পরগনা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবার ডিজিটালাইজেশন! বসিরহাটে কিউআর কোড ব্যবহার করে সংগ্রহ করা হবে বর্জ্য। যে উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে মানুষের মধ্যে।

ইছামতি নদীর তীরে সীমান্ত শহর বসিরহাট। জেলা তথা রাজ্যে জন ঘনত্বের নিরিখে প্রথম সারিতে অবস্থান শহর বসিরহাটের। আর এই শহর বসিরহাটের উপর দিয়েই ভারত-বাংলাদেশের ঘোজাডাঙা সীমান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলে। নিত্যদিনে যানজটে জর্জরিত বসিরহাট শহর। জনঘনত্বের বেড়াজালে বর্জ্য ব্যবস্থনাপনায় রাজ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। বসিরহাট পুরসাভার ২৩ টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন ৩৫ টন আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। যা থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। তবে বসিরহাট পুরসভা প্রতিদিন বাড়ি থেকে দৈনন্দিন সঠিক পরিমাণে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তা জানতে এবার বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিটি বালতিতে বসাবে কিউআর কোড।

আর‌ও পড়ুন: চিকিৎসকের অভাবে সঙ্কটে রায়দিঘির হাসপাতাল

বসিরহাট পুরসভার ট্যাক্স সহ একাধিক পরিষেবা ইতিমধ্যে ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। এবার বর্জ্য সংগ্রহকে ও তারা ডিজিটাল করল। বর্জ্য সংগ্রহকারী বালতিতে বসানো কিউআর কোড থেকে জানা যাবে যে কারা কবে বর্জ্য পদার্থ পুরসভার কাছে জমা দিচ্ছে। একটা সুস্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

জুলফিকার মোল্যা

Bengali News: ‘জঞ্জাল ট্যাক্স’, শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে নয়া পদক্ষেপ

আলিপুরদুয়ার: সলিড ওয়েস্ট ম‍্যানেজমেন্ট প্রকল্প গড়ে উঠেছে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায়। এই প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন‍্য পুরবাসীদের থেকে কর নেওয়া হবে বলে ঠিক করেছে পুরসভা। আগামীতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চালু হবে এই প্রকল্প।

আরও পড়ুন: পাঁতিয়াল গ্রামের মণ্ডলাকালী ভক্তের কোনও বাসনা অপূর্ণ রাখেন না

নোংরা আবর্জনা ফেলার জন্য নাগরিকদের ৫০ টাকা করে কর দিতে হবে আলিপুরদুয়ার পুরসভাকে।আগামী আর্থবর্ষ থেকে এই নতুন কর লাগু হতে চলেছে। এদিকে চলতি মাসের আগামী সপ্তাহে চালু হয়ে যাবে পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। এবারে পুরসভা এলাকা থেকে নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করবার জন্য প্রতিটি পরিবারকে ৫০ টাকা করে কর দিতে হবে। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর জানান, প্রতি ঘর পিছু ৫০ টাকা নূন্যতম কর নেওয়া হবে বলে বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর দাবি, অন‍্যান‍্য পুরসভায় এই কর অনেকটা বেশি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ইতিমধ‍্যেই পুর এলাকায় আবর্জনা সংগ্রহের জন‍্য দু’ধরনের গাড়ি চলাচল করছে। একটির মধ‍্যে কঠিন ও অন‍্যটির মধ‍্যে তরল বর্জ‍্য পদার্থ তোলা হয়। এবারে এই প্রকল্পটিকেই বড় আকারে করার উদ‍্যোগ নিয়েছে পুরসভা।

অনন্যা দে

Bengali News: আবর্জনা দিলেই ‘ছেঁকা লাগা’ রসুন ফ্রি-তে পাবেন! কোথায়, কীভাবে জানুন

পূর্ব বর্ধমান: বাজারে রসুনের দামে আগুন। হাত ঠেকালে মনে হতে পারে সোনা ছুঁয়েছেন! নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তের একাংশেরও ধরাছোঁয়ার বাইরে এই মুহূর্তে রসুন। কিন্তু পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে সেই রসুন নিয়েই এবার অভিনব উদ্যোগ এক কাউন্সিলরের। যার ফলে আপনি কার্যত বিনামূল্যেই পাবেন রসুন।

আরও পড়ুন: বেসরকারি সংস্থার ‘সামান্য’ হিসাবরক্ষকের বাড়িতে আয়কর হানা, তাতেই…

সাতসকালে বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হওয়া আবর্জনার ভ্যানে জৈব ও অজৈব ময়লা ভাগ করে সঠিকভাবে ফেললে পরিবর্তে বিনা খরচেই পেয়ে যাবেন রসুন! ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য এমন দুর্দান্ত সুযোগ চালু করেছেন বর্ধমান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত কুমার শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইচ অন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। বলতে গেলে আবর্জনা দিলেই বর্ধমান শহরের এই ওয়ার্ডে বিনা পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে রসুন।

বাড়ির আবর্জনা পুরসভার নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলতে হয়েছে সঠিকভাবে ভাগ করে। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা আলাদাভাবে পুরসভার দেওয়া বালতিতে ভাগ করে ফেললেই পাবেন রসুন। জানা গিয়েছে, সুইচঅন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও বর্ধমান সদর সামাজিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় মানুষকে সচেতন করতে বর্ধমানের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলর সুমিত শর্মা বলেন, বাড়ির আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে সঠিকভাবে ভাগ করে পুরসভার নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলার সচেতনতা গড়ে তুলতেই একটু অন্যরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন মোট ৬০ টি বাড়িতে ৩০০ গ্রাম করে রসুন উপহার দেওয়া হয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী