Tag Archives: Bazar

Vegetable Price Hike: সাতসকালে তুলকালাম সবজি বাজারে! ক্রেতারা খানিক স্বস্তি পেল

পশ্চিম বর্ধমান: হঠাৎ করেই যেন সকাল সকাল ব্যাগ হাতে বাজারে যাওয়ার নিয়মে ভাটা পড়েছে বাঙালির। কার্যত বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। আগে যে টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেত, এখন সেই টাকায় ব্যাগের অর্ধেকটাও ভর্তি হচ্ছে না। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী বিভিন্ন সবজির দাম। শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল, অথবা মাছ-মাংস সবকিছুর দাম‌ই অত্যন্ত চড়া। আলু, পটল, কুমড়ো, ঢেঁড়সের মতো বাঙালির নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়েছে হু-হু করে। এমন অবস্থায় কী কিনবেন, আর কী কিনবেন না তা ভেবে উঠতে পারছে না মধ্যবিত্ত বাঙালি। নিত্য প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজের ব্যাপক দাম রীতিমত মধ্যবিত্তের হেঁসেলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

আরও পড়ুন: ওদের সব দিয়েছেন ‘দাদু’! এক ছাতার তলায় থেকে মিলছে পড়াশোনার সুযোগ

কিন্তু হঠাৎ কেন এই দাম বৃদ্ধি? মঙ্গলবার‌ই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন টাস্ক ফোর্সকে। এরপরই বুধবার সাতসকালে আসানসোলের সবজি বাজারে হাজির হন মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। ছিলেন পুলিশের বিশেষ বিভাগের কর্তারাও। এছাড়াও মেট্রলজি দফতরের আধিকারিকরা সঙ্গে ছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি মার্কেটে যে দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে সেই দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে খুচরো বাজারে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

অতিরিক্ত দাম নিয়ে সমস্ত ক্রেতারাই রীতিমত বিরক্ত। আসানসোলের বাজারে এদিন জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। তাছাড়াও বাঁধাকপি, ঢেঁড়সের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। যদিও পটলের দাম এদিন বেশ কিছুটা কম ছিল। তবে সামগ্রিকভাবে সবজির অতিরিক্ত দাম দেখে ক্রেতারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বাজার করাই বন্ধ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে মাছ, মাংসের ছড়া দাম সাধারণ মানুষের পুষ্টিতেও প্রভাব ফেলছে।

পাশাপাশি, এদিন আসানসোলের বাজারে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ওজন মেশিনে গলদ দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে সমস্ত বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স ওজন মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকজন বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে কেন পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারে দাম এত বেশি হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চান মহকুমাশাসক। অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন বিক্রেতাদের।

নয়ন ঘোষ

Vegetable Price Hike: অগ্নিমূল্যের বাজারে কচুর জয়জয়কার! স্বস্তির সন্ধানে মধ্যবিত্ত

জলপাইগুড়ি: ভয়ের চোটে নিত্যদিন বাজারে যাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালি। উচ্চ মধ্যবিত্তদের অনেকেও যতটা সম্ভব সবজি বাজার এড়িয়ে চলছেন। কারণ ঝিঙে থেকে টমেটো, বাঁধাকপি থেকে শসা সবকিছুরই দামে যেন আগুন লেগেছে। হাত ছোঁয়ালেই পুড়ে যাওয়ার জোগাড়! একটা ৫০০ টাকার নোট নিয়ে বাজারে গিয়ে অর্ধেক ব্যাগও ভর্তি হচ্ছে না, বাড়ি ফিরে আসতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ।

তবে এটা যে কলকাতা বা তার আশেপাশের এলাকার ছবি তা নয়। জেলাগুলিতেও কাঁচা আনাজের দাম এমনই ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অনেকে ব্যাগ ছেড়ে ক্যারি ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন, তাতেই দু’চারটে সবজি কিনতে ফুরিয়ে যাচ্ছে টাকা। এই যেমন জলপাইগুড়ির বয়েলখানা বাজারে একই পরিস্থিতি। তবে এরই মধ্যে একটিমাত্র সবজির দাম কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতাদের। কচুর দাম তুলনায় কম হওয়ায় আমজনতা বাজার করতে এসে এখানে মূলত বেশি করে কচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: যে কোন‌ওদিন ভেঙে পড়তে পারে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতু

উত্তরে একটানা ভারী বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকদের চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে সবজি চাষে ভালই ক্ষতি হয়েছে। সেই কারণে দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতাদের দাবি। তবে এরই মাঝে স্বস্তি দিচ্ছে কচু!

সুরজিৎ দে

Bangla Video: যুগের ধাক্কায় অস্তিত্ব সঙ্কটে শতাব্দী প্রাচীন ‘সব পেয়েছির’ হাটে

মালদহ: নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে গরু-ছাগল, আসবাবপত্র। সমস্ত কিছুই মিলত এক জায়গায়। এ এক আজব কেনাকাটার জায়গা। কিন্তু আজ অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে মালদহের শতাব্দী প্রাচীন আইহো হাট। ক্রেতাদের আনাগোনা ক্রমশ কমতে থাকায় বিক্রেতারাও এই হাটে আসা ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছেন।

বর্তমানে গুটি কয়েক ব্যবসায়ী এখানে তাঁদের পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে আসেন। সাপ্তাহিক এই হাটের একসময় কদর ছিল গোটা এলাকা জুড়ে। প্রতি রবিবার মালদহের হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রামে বসে এই হাট। টাঙ্গন নদীর তীরে বিশাল এলাকা জুড়ে এই হাটের ব্যাপ্তি ছিল। ধীরে ধীরে হাটের জায়গাও কমে এসেছে। একসময় বিশাল গরুর হাট ছিল। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই হাট বসে। বর্তমানে প্রশাসনের নির্দেশে গরুর হাট আর বসে না। তবে অন্যান্য সমস্ত কিছুই পাওয়া যায়। কিন্তু আধুনিকতার দাপট ও বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট বাজার বসে যাওয়ায় থাকায় আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে প্রাচীন এই হাট।

আরও পড়ুন: শাসক-বিরোধী তরজায় কাজ বন্ধ কারখানায়

স্থানীয় বাসিন্দা ফজলু শেখ বলেন, এক সময় দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এই হাটে আসতেন। স্থানীয় জমিদার এই হাটের সূচনা করেছিলেন। বর্তমানে হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের নানান সমস্যায় জর্জরিত এই হাট।

এক সময় বহু দূর দূরান্ত থেকে এই হাটে ক্রেতা থেকে বিক্রেতা আসতেন। শনিবার রাত্রে গরুর গাড়ি নিয়ে হাটে আসতেন। সারাদিন রান্নাবান্না করে খেয়ে হাটে কেনাবেচা করে পরের দিন ভোরবেলা বেরিয়ে যেতেন। লম্বা লাইন পড়ত গরুর গাড়ির। জমিদার আমলে শুরু হয়েছিল এই হাট। বর্তমানে এই হাট দেখাশোনা করেন তাঁদের বংশধর।

এই ঐতিহ্যবাহী হাটের অস্তিত্ব সঙ্কট প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা দ্বিজেন সাহা বলেন, আগে হাটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনাবেচা হত। এখন আর সেরকম কেনাবেচা হয় না। বর্তমানে হাটে লোকজন অনেক কম আসছে।

এই হাট এখন চলে গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। এছাড়াও আস্তে আস্তে হাটের অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে বসেছে। এই নিয়ে সকলে চিন্তিত রয়েছে। হয়ত কোন একদিন হাট আর থাকবে না। এই হাটে ধান, গম, পাট সহ কাঁসা -পিতল, গরু, ছাগল হাঁস মুরগি সবই বিক্রি হত একসময়, এখন আর সেইসব নেই বললেই চলে।

হরষিত সিংহ