Tag Archives: Bengal Bypoll

West Bengal Bypolls 2024: দুই ফুলের মুখোমুখি লড়াইয়ে কাঁটা ‘হাত’

উত্তর দিনাজপুর: লোকসভা ভোট শেষ হতে না হতেই রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। এই কেন্দ্রের আগামী ১০ জুলাই ভোট গ্রহণ হবে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। যদিও তখন বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি‌। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণ কল্যানীকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী করলে তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়াই করেন। যদিও নির্বাচনে বিজেপির কার্তিক পালের কাছে পরাজিত হন। সেই সূত্রেই এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে।

এই উপনির্বাচনে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে। বিজেপি আসনটি ধরে রাখার জন্য প্রার্থী করেছে মানস ঘোষকে। অপরদিকে তৃণমূলের টিকিটে এই উপনির্বাচনে লড়াই করছেন সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত।

আর‌ও পড়ুন: অস্থায়ী শিক্ষকের কাণ্ড! ফেলে দেওয়া জিনিসে সাজছে স্কুল

বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষ তাঁর প্রচারে মূলত হাতিয়ার করেছেন কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে। পাশাপাশি রাজ্যের রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং ব্যাপক দুর্নীতিকে তিনি প্রচারে টেনে আনছেন। কৃষ্ণ কল্যাণী আবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে প্রচারে হাতিয়ার করছেন। অপরদিকে জোটের পক্ষ থেকে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত প্রচারে একযোগে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, রায়গঞ্জের প্রকৃত উন্নয়ন কংগ্রেসের যতদিন বিধায়ক ছিল ততদিন হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি কিছুই করেনি। তারা রায়গঞ্জে এইমস হতে দেয়নি বলে মোহিতবাবু অভিযোগ করছেন।

সব মিলিয়ে জমজমাট রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচার পর্ব। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট কাটাকাটির অঙ্ক যিনি মেলাতে পারবেন তিনিই জয়ী হবেন।

পিয়া গুপ্তা

Babul Supriyo | Dilip Ghosh: “খড়গপুরে করে দেখান…”, দিলীপ ঘোষকে ‘বিরাট’ চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাবুল! কী সে কাজ?

#কলকাতা: বিজেপিতে থাকাকালীনই একাধিক সময়ে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে বিতর্ক ও মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যে জড়িয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। বিশেষ করে মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর বাবুলের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ট্যুইটে সমানে তার টক্কর দিয়েছেন বাবুল। এমনকি বিজেপি ছাড়ার পরেও দিলীপ-বাবুলের (Babul Supriyo | Dilip Ghosh) তোপ-পালটা তোপ দেখেছে বাংলার মানুষ। এবার বালিগঞ্জ থেকে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরেও ফের একবার দিলীপ ঘোষকে নজিরবিহীন আক্রমণ বাবুল সুপ্রিয়ের (Babul Supriyo)।

আরও পড়ুন : নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে বাবুল! বালিগঞ্জের দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকলেন জোড়াফুল

বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে এবার বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই সোমবার থেকেই মাঠে নেমে পড়েন বাবুল (Babul Supriyo | Dilip Ghosh)। বালিগঞ্জে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে তাঁর খেলা শুরু হয়েছে উপনির্বাচনের ময়দানে। সোমবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। আর সেখানেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি একযোগে দিলীপ ঘোষ এবং তথাগত রায়কে তীব্র আক্রমণ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।

এদিন বাবুল বলেন, “দিলীপ ঘোষের (Babul Supriyo | Dilip Ghosh) মন্তব্যের উত্তর এতদিন দিয়ে এসেছি! কিন্তু ওনার কথায় কিছু বলাটাও রুচিতে বাধে।” দিলীপ ঘোষ মিথ্যা কথা বলেন বলেও এদিন কটাক্ষ শানান তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তিনি বলেন, “উনি ভুলে গিয়েছেন রাজনীতিতে উনি আমার থেকেও জুনিয়র। বাংলায় আসার আগে কোথায় ছিলেন সবাই আমরা জানি! শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষকে ‘এন্টারটেনমেন্ট ফ্যাক্টর’ বলেও তীব্র আক্রমণ করেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আরও পড়ুন : পুরসভায় পদ পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত নয়, কড়া বার্তা তৃণমূলের

বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo | Dilip Ghosh) বলেন, “পার্কে রোজ সকালে হাঁটতে যান…আর কিছু বলেন, আর খোরাক হন! তা নিয়েই সারাদিন সবাই পড়ে থাকে।” এরপরেই দিলীপ ঘোষকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাবুল। বলেন, “আসানসোল আমি হাতের তালুর মতো চিনি! সাধারণ মানুষকে চিনি। কিন্তু খড়গপুরকে দিলীপ ঘোষ কি চেনেন? ফের খড়গপুর জিতে দেখাক তখন কথা বলব। আমি আসানসোলে যেভাবে রাস্তায় মানুষের ভালোবাসা নিয়ে হাঁটতাম, উনি খড়গপুরে ওরকম এক কিলোমিটার হেঁটে দেখান!”

এভাবেই এদিন সরাসরি বিজেপি নেতাকে (Dilip Ghosh) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, এদিন একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা শোনা যায় বাবুলের মুখে। তিনি বলেন, “আমি তো রাজনীতি থেকে সরেই গিয়েছিলাম। দিদিই আমাকে আবার নিয়ে এসেছে। ওনার নির্দেশ মতো বাংলায় কাজ করব।

আরও পড়ুন : রাজ্যে একদিনে দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা! ওয়াক আউট বিজেপির

বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo) বলেন, “আমি সর্বোতভাবে চেষ্টা করব তাঁর আস্থার মর্যাদা রাখতে। বিধায়কের দায়িত্ব বড় দায়িত্ব। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রবাদপ্রতীম সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার মানে প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে যায় তাঁর মত নেতার কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ানো। আমি আগেও বলেছিলাম, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে রয়েছেন। তাই আশা করছি, এবং চেষ্টা করব রেকর্ড মার্জিনে জেতার।

Abhishek Banerjee to BJP: ‘শব্দবাজিমুক্ত দীপাবলির শুভেচ্ছা’, চারে চার করে বিজেপিকে ঠেস অভিষেকের

#কলকাতা: সম্প্রতি দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চার উপনির্বাচনে কার্যসিদ্ধির পর বিজেপিকে কটাক্ষ করে সেই শব্দবাজি প্রসঙ্গই তুলে আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, “আক্ষরিক অর্থেই অর্থেই বিনা শব্দবাজি দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বিজেপির কর্মী সমর্থকদের।”

অভিষেকের ট্যুইট

অভিষেক এদিন যখন ট্যুইট করেন ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে  চার কেন্দ্রে কোনও আশা নেই বিজেপির। টুইট করে ফেলেছেন স্বয়ং  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে লিখেছেন, এই জয় মানুষের জয় মানুষ মিথ্যে প্রচার এর এবং ঘৃণার পরিবর্তে উন্নয়নকে বেছে নিয়েছে। মানুষের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে আমরা চেষ্টা করব বাংলা কে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট

প্রসঙ্গত অভিষেক দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন এই জয় নিয়ে কোনও রকম বিজয়মিছিল না করতে। জয়ের পর যাতে কোনও ভাবে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে হাই কমান্ড।

প্রসঙ্গত কমিশনের সূত্রে তিন কেন্দ্রেই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপির। শান্তিপুরের মতো কেন্দ্র, যেখানে  ২০১১ সালের পরিবর্তনের ঝড়েও দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল, জয় আসেনি শেষ বিধানসভায়, সেখানেও তৃণমূল সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।  গোসাবায় এক লক্ষ ৪৩ হাজার ৫১ ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত নস্কর।  খড়দহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোট ব্যবধানে। দিনহাটায় উদয়ন ঘোষ সৃষ্টি করেছেন নতুন রেকর্ড। তাঁর জয়ের মার্জিন ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৯ ভোট। এই বিপুল জয়ের পরে তৃণমূল সতর্ক কারণ সদ্যদসমাপ্ত  বিধানসভা ভোটের পরেই পোস্টপোল ভায়োলেন্স বা ভোট হিংসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তৃণমূল কোনও ভাবেই চায় না এই অতীতের পুনরাবৃত্তি হোক।