Tag Archives: Cancer Treatment

Union Budget 2024: বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার! ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ এবার অনেকটাই কমবে

নয়া দিল্লি:  মারণরোগ ক্যানসার থাবা বসালে সর্বস্বান্ত হয়ে যান সাধারণ মানুষ। এই রোগের চিকিৎসার খরচ যেমন বিপুল, ওষুধের দামও আকাশছোঁয়া। মঙ্গলবার সংসদে ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে সুখবর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ক্যানসারের তিনটি ওষুধের উপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হল। এতে আগামী দিনে ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ অনেকটাই কমবে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে স্বস্তিদায়ক।

ক্যানসারের চিকিৎসার অধিকাংশ ওষুধ বিদেশ থেকেই আমদানি করতে হয়। সেগুলির শুল্ক অতিরিক্ত। নতুন বাজেটে এই খরচ কম হওয়ায় ক্যানসারের চিকিৎসার ধকল কমবে বলেই আশা করা যায়।

ওষুধের পাশাপাশি দাম কমল মোবাইল, চার্জার সহ বৈদ্যুতিন সামগ্রীরও।  কারণ আমদানি শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্ত তাতেও। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় উপকৃত হয়েছেন ৮০ কোটি মানুষ ৷

মঙ্গলবার তৃতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। লোকসভা নির্বাচনের কারণে চলতি বছর গোড়ায় নিয়মমাফিক পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা সম্ভব হয়নি। এবারের বাজেটে ৯টি বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কৃষি উৎপাদন, কমর্সংস্থান, পরিকাঠামো৷ বাজেটে নজর দেওয়া হচ্ছে গরিব, যুব, মহিলা ও কৃষকদের উপরে ৷ মঙ্গলবার সংসদে ২০২৪-২৫ সালের বাজেট প্রস্তাব পেশ করার আগে সোমবার নির্মলা আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছেন।

বিহার এবং অন্ধপ্রদেশের জন্য মোট ৪১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নীতীশ কুমারের বিহারে বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে, ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। চন্দ্রবাবুর রাজ্য অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য এই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে।

আরও পড়ুন- নীতীশের বিহারের জন্য বাজেটে দরাজহস্ত নির্মলা, একের পর এক ঘোষণা! 

স্বাধীন ভারতে প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে লাগাতার সপ্তমবারের জন্যে বাজেট পেশ করলেন নির্মলা। এর আগে মোরারজি দেশাই টানা ৬টি বাজেট পেশ করেছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে।

Free Biopsy Test: এই জেলায় বিনামূল্যে বায়োপ্সি টেস্টের সুযোগ

দক্ষিণ দিনাজপুর: দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও আর চিন্তা নেই। এবার জেলাতেই মুশকিল আসান। আধুনিক চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত ও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাস থেকেই বিনামূল্যে বায়োপ্সি পরীক্ষা হবে জেলায়।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা নবজাতক শিশুদের জন্য এসএনসিইউ এগুলি আগেই তৈরি হয়েছে। সেই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাচ্ছেন জেলার মানুষ। এবার আর‌ও একধাপ এগিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে বিনামূল্যে বায়োপ্সি টেস্ট। যা এতদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পাওয়া যেত না। বায়োপ্সি পরীক্ষা জেলায় শুরু হলে তা ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জেলাতে বড় পদক্ষেপ হবে বলে চিকিৎসক মহলের ধারণা।

আরও পড়ুন: গণ প্রতিরোধ গড়ে টাওয়ার বসানো আটকে দিলেন গ্রামবাসীরা

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানিয়েছেন, আগে মালদহ, শিলিগুড়ি অথবা কলকাতা থেকে বায়োপ্সি রিপোর্ট আনতে হত। যা ছিল সময় সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। এখন থেকে এই সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জেলাতেই পাওয়া যাবে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নতুন ১০ তলা ভবনের অষ্টম তলায় এই বায়োপ্সি পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এবার শুধু শুরু করার অপেক্ষা। এর আগেই জেলা হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু হয়েছে পিপিপি মডেলে।

সুস্মিতা গোস্বামী

বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ম্যেলয়েড লিউকোমিয়া চিকিৎসা, তরুণীর জীবন দিল HCGEKO ক্যান্সার সেন্টার

#কলকাতা: HCGEKO ক্যান্সার সেন্টার সফলভাবে বোনম্যারো পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে বছর ২৭-র তরুণীকে নতুন জীবন দিল। ওই রোগিণী প্রচন্ডভাবে পিঠের ব্যাথায় ভুগছিলেন এবং প্রায় শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। হেমাটোঅঙ্কোলজি এবং BMD বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক জয়দীপ চক্রবর্তী এবং তাঁর টিম ও HCGEKO ক্যান্সার সেন্টার তরুণীর চিকিৎসা সম্পন্ন করেন।

২৭ বছর বয়সী সাথী কর্মকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। তিনি বহুদিন ধরে পিঠে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছিলেন। HCGEKO-তে পরামর্শ নেওয়ার আগে তিনি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে জান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু কোনও চিকিৎসকই তাঁর সমস্যা ঠিক কী, তা ধরতে পারেননি। ২০১৯ সালের পক্টবর মাস থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। তাঁর ব্যাথা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অবস্থা এমনই জটিল হয়ে যায়, যে তিনি তখন বসতে পর্যন্ত পারতেন না। তাঁর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। ঠিক সেইসময় তিনি চিকিৎসক চক্রবর্তীর সন্ধান পান।

প্রথমে, সাথী কর্মকারের ব্লাড কাউন্ট টেস্ট করা হয়। দেখা যায়, নানাবিধ জটিল, হাঁই রিস্ক-সহ তিনি কঠিন ম্যেলয়েড লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত। অ্যাকিউট মাইএলজিনাস লিউকমিয়া একধরনের ক্যান্সার, যা সাধারণত বোনম্যারোতে হয়। এই রোগের চিকিৎসা না হলে, তা দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং দ্রুততার সঙ্গে কোষ থেকে কোষে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কোষগুলি কর্মক্ষমতা হারাতে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা, ইত্যাদির উপসর্গ দেখা যায়। শুরু হয় চিকিৎসা।

রোগীকে প্রথম HCGEKO ক্যান্সার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ?বোনম্যারো অম্পিরেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় কেমো সাইকেল সম্পন্ন হয়। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ?বোনম্যারো প্রতিস্থাপন হয় সাথী কর্মকারের। সাথীর বোন ছিলেন দাতা। অনেক জটিলতার মধ্যে দিয়ে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন সাথী। প্রতিস্থাপনে ১০ মাস পড়ে সুস্থ রয়েছেন সাথী। সুতরাং, এ কথা বলাই যায় সাথী কর্মকারের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে HCGEKO ক্যান্সার সেন্টার এবং চিকিৎসক জয়দীপ চক্রবর্তী।