হাওড়া:প্রতিদিন হাওড়া শহর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে রঙিন মাছ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চরম ব্যস্ততা চলে দাশনগর সিটিআই রোড সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটলেই কয়েক হাজার মানুষ হাত লাগায় রঙিন মাছ প্যাকিং-এর কাজে। গত কয়েক বছরে এলাকায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে রঙিন মাছের ব্যবসা।
আগে হাতে গোনা কয়েকজন এই রঙিন মাছ ব্যবসায় যুক্ত ছিল। অল্প দিনে এই ব্যবসা লাভের মুখ দেখে। পরর্বতী সময়ে বহু মানুষ রঙিন মাছের ব্যবসায় যুক্তি হয়। দাশনগর সিটিআই এলাকায় বেশ কিছু রঙিন মাছের দোকান গড়ে উঠেছে। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশী, ছোট-বড় নানা সাইজের মাছ দেশের বিভিন্ন শহরে এমনকি দেশের বাইরেও পৌঁছে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত রঙিন মাছ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামাঞ্চলের পুকুরে চাষ করেন চাষিরা। শহরের ব্যবসায়ীদের অর্ডার মত চাষিরা শহরে মাছ নিয়ে হাজির হন।
রঙিন মাছের এই ব্যবসা প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১০ বছরে দারুনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এই ব্যবসা। এখানে ১ টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত এক একটি মাছ পাওয়া যায়। কিছু মাছ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ফোনে অর্ডার আসে, সেই মত দেশের বিভিন্ন শহরে ট্রেন ও প্লেনে পাঠানো হয়। দিল্লি ও মুম্বই থেকে সবচেয়ে বেশি মাছ সাপ্লাই হয়।
কয়েক দিন পর দোল, রঙের উৎসব। রঙ খেলা ছাড়া এই উৎসব অসম্পূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষই এই দিন রঙ খেলায় মেতে ওঠে। তবে বেশির ভাগই সিন্থেটিক রং ব্যবহার করেন, যা ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। কিন্তু হার্বাল রঙ সহজে পাওয়া যায় না, পেলেও তার দাম অনেকটা হয়। তাই বাড়িতেই কীভাবে বানিয়ে নিতে পারবেন ভেষজ রং, রইল টিপস।প্রাকৃতিকভাবে লাল রঙ করতে, বিট কেটে বেটে নিন। এবার এতে অ্যারারুট পাউডার, ময়দা বা চালের গুঁড়ো মিশিয়ে লাল রঙ করে নিন। তারপর তা রোদে শুকিয়ে নিন। এর ফলে কিছু অংশ জমাট বেঁধে যেতে পারে। তাই সবটা ভাল করে গুঁড়িয়ে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। বাড়িতেই কম খরচায় তৈরি হবে যাবে লাল রঙ।সবুজ রং করতে পালং শাক বা মেথি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য পালং শাক বেটে নিন। এই বাটা পাতা অ্যারারুট পাউডার, ময়দা বা চালের গুঁড়ো মিশিয়ে সবুজ রঙ করে নিন। তারপর তা রোদে শুকিয়ে নিন। এর ফলে কিছু অংশ জমাট বেঁধে যেতে পারে। তাই সবটা ভাল করে গুঁড়িয়ে ছাকনী দিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রঙ।হোলিতে হলুদ রঙ করতে কাঁচা হলুদ বেটে নিন এবার এতে অ্যারারুট বা মসৃণ ময়দা মিশিয়ে একই পদ্ধতিতে হলুদ রঙ করুন।হালকা হলুদ রঙের জন্য হলুদ গাঁদা ফুল বেটে ব্যবহার করতে পারেন। কমলা রঙের জন্য কমলা গাঁদা ফুল ব্যবহার করতে পারে।নীল রঙের জন্য অপরাজিতা ফুল শুকিয়ে পিষে নিন। অথবা অপরাজিতা ফুল বেটে পেস্ট বানিয়ে ভেজা রঙও তৈরি করতে পারেন। জলে গুলেও জল রঙ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা অপরাজিতা ফুল বেটে অ্যারারুট বা মসৃণ ময়দা মিশিয়ে একই পদ্ধতিতে রঙ বানাতে পারেন। (দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
সরকারি হোক বা বেসরকারি যে কোনও চাকরির পরীক্ষাতে মাঝে মাঝে এমন কিছু প্রশ্ন এসে থাকে যা অনেককেই চিন্তায় ফেলে দেয়। খুব সহজ মনে হলেও আদতে পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই জানেন না উত্তরটি।এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি প্রশ্ন আপনাদের সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশ্নটি হল আমরা চোখ বন্ধ করলে যে রঙ দেখি তার নাম কী? এর উত্তর কালো নয় তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হল।এসএসসি, ব্যাঙ্কিং, রেলওয়ে ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্নগুলি আসে। তবে শুধু চাকরির পরীক্ষার জন্য নয়, এমনতিও সাধারণ জ্ঞান হিসেবে এই প্রশ্ন গুলির উত্তর জেনে রাখা দরকার।এই প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগ মানুষই বলে থাকে কালো। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে আমরা যে রংটি অনুভব করতে পারি তা কিন্তু কালো নয়। এর সঠিক নাম কী এবং কেন তা আমরা দেখতে পাই এর উত্তর অনেকের কাছে অজানা।সঠিক উত্তরটি হল চোখ বন্ধ করলে আমরা যে রংটি দেখতে পাই বা অনুভব করতে পারি সেটির নাম হল আইগেনগ্রাও (Eigengrau, #16161D)। এটি একটি ইউনিক রং। যা কালো নয়।যখন আমাদের ব্রেন ভিজ্যুয়াল ইনফরমেশন তৈরি করে, তখন উজ্জ্বলতার চেয়ে কন্ট্রাস্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেটা দেখছি অন্ধকার সেই উজ্জ্বল জিনিসের সাথে আপেক্ষিক। উদাহরনস্বরূপ, রাতের আকাশ আইগেনগ্রাও (Eigengrau)-এর থেকে বেশি কালো। কারণ তারা আলো কন্ট্রাস্টের কাজ করে। মজার বিষয় হল, হেক্স কালার চার্টে, যেখানে কালো #000000, EIGENGRAU #16161D।আরও একটি উদাহরণ দিয়ে আইগেনগ্রাও (EIGENGRAU) বোঝানো যায়। একটি কালো বস্তু নিন ও মনোযোগ সহকারে সেটিকে দেখুন। এরপর কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ করে ফের চোখ খুলুন। দেখবেন আগের থেকে বস্তুটিকে বেশি কালো দেখাচ্ছে। কারণ লাইটের সঙ্গে কন্ট্রাস্ট। আর যে রংটি আপনি চোখ বন্ধ করে অনুভব করেছেন সেটি কালোর থেকে হাল্কা।আইগেনগ্রাও (EIGENGRAU) হল অন্ধকার ধূসর ছায়া। আপনি দেখতে পাবেন যখন কোন আলো নেই। এটিকে অপটিক স্নায়ু থেকে ভিজ্যুয়াল সংকেতের ফলাফল বলা হয়। EIGENGRAU হল একটি জার্মান শব্দ। ‘EIGEN’ মানে ‘নিজস্ব’ এবং GRAU শব্দের অর্থ ‘ধূসর’।