Cyclone Dana | ‘দানা’ আছড়ে পড়তেই বদলে গেল Puri র ছবি! |ওড়িশার জনপ্রিয় সৈকতগুলির মধ্যে অন্যতম পুরী ৷ শুধু সমুদ্র নয়, পুরীর অন্যতম আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দিরও ৷ এই সময় পর্যটকদের ভিড়ে থিকথিক করে পুরীতে ৷ সোমবার থেকেই সেই সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য বদলাতে শুরু করেছে। সাইক্লোন দানা ল্যান্ডফলের আশঙ্কায় আগে থেকে ট্যুরিস্টদের ফেরত পাঠাচ্ছিল প্রশাসন, তারপরেও যে হাতে গোনা কয়েকজন পর্যটক ছিলেন তাঁদের নিয়ে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেয় ওড়িশা রাজ্য প্রশাসন, গভীর রাতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সাক্ষী পুরী৷ এখন কী অবস্থা দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch Bangla News Video)৷
Tag Archives: Cyclone Dana
Cyclone Dana in Howrah: সাইক্লোন দানার প্রকোপে সকাল থেকে সন্ধ্যা, ভরা বৃষ্টিতে ব্যহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
হাওড়া: দানা থেকে রেহাই মিললেও অতিবৃষ্টিতে নাকাল জেলাবাসী৷ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে৷ শুক্রবার সকালে তার রেশ | উপকূলে ঝড়ের দাপট থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি ‘দানা’ ৷ বেশ কিছু জায়গায় রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে,সঙ্গে কোথাও কোথাও ছিল ঝোড়ো হাওয়া৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবারও ভারী বর্ষণ চলবে| বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পূর্বাভাস মতই ধামড়া এবং ভিতরকণিকার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ডানা | প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর | তবে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত | এদিন রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা কম, বন্ধ ফেরি পারাপার৷ প্রশাসনের সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হবে পরিষেবা৷
সারা রাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় দানা’র পরিস্থিতির নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সকালে প্রথমে ৭ জেলাশাসকের ফোনে কথা বলেন তিনি৷ পরে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করতে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী| পূর্বঘোষণা মোতাবেক, সকাল ১০টায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়৷ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ শিয়ালদহ এবং বারাসত থেকে হাসনাবাদ শাখাতেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল৷
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনেও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ৷ সময়েই চলেছে ট্রেন, এদিন সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই চেনা ভিড় নজরে পড়েনি৷ কার্যত হাওড়া, শিয়ালদহ জনশূন্যই ছিল স্টেশন দুটি৷ তবে পরিষেবা শুরু হতেই ধীরে ধীরে বাড়ছে ভিড় , চেনা ছন্দে ফিরছে স্টেশন৷ তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় ছবিটা একেবারেই আলাদা৷ হাওড়া বাসস্ট্যান্ডেও সকালের দিকে বাস কম ছিল৷ বেলায় অবশ্য বাসের সংখ্যা বাড়ে । জেলার ফেরি পরিষেবাতে দানার প্রভাব পড়েনি। ফলে সবুজ সংকেত পেলেই ফেরি পারাপার শুরু হবে।
Rakesh Maity
Hurricane Kristy alert- Cyclone Dana: গতিতে দানার তিনগুণ! মহাসাগরে দানা বাঁধছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় কৃষ্টি, তছনছ করে দিতে পারে সব
Cyclone Dana in West Bengal: ধ্বংস কম চালালেও প্রাণ সেই কেড়েই নিল ‘দানা’! বাংলাতে মর্মান্তিক মৃত্যু, কোথায় ঘটল জানেন?
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভয়ঙ্কর রূপে এ রাজ্যে আছড়ে না পড়লেও, ব্যাপক প্রভাব তো পড়েইছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি। গোটা রাত জেগে নবান্নে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে সকালে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সচিবরা। সেই বৈঠক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ‘দানা’-র হামলায় রাজ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাড়িতেই কাজ করার সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ব্যক্তি পাথরপ্রতিমার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রবল রূপ না নিলেও দানা-র কারণে মৃত্যু আটকানো গেল না রাজ্যে।
রাজ্যের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। ‘দানা’র হানায় রাজ্যে মৃত্যু, ভেঙেছে বাড়ি-ঘর, ফাটল বাঁধে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র গতিবিধি নজরে রাখতে রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরেও তিনি সেখানেই রয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে একাধিক বার নিজের ১৪ তলার দফতর থেকে কন্ট্রোল রুমে নেমে এসে দুর্যোগ-পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর ফের নিজের দফতরে ফিরে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: দানার প্রলয়ে কী এমন ঘটল নিউ দিঘায়! নেমে পড়ল নৌসেনা, ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রতটে কী ঘটে গেল?
ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়ছে কিনা তা নিয়েও মুখ্য সচিবের থেকে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট নেওয়ার পর ফের দুপুর একটা নাগাদ দুর্যোগপূর্ণ ৭ জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতা নিয়ে আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। সেই মতো জোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দানার জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই বেশি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখনও পর্যন্ত ৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ২৫০-এর ও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে।
Cyclone Dana Latest Updates: ‘দানা’র প্রভাবে শনিবারেও চরম দুর্যোগ? এই মুহূর্তে দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুরে কী পরিস্থিতি? জানুন আপডেট
Cyclone Dana- Kolkata Rainfall: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি কলকাতায়! শহরের কোথায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি? বিরাট আপডেট
আশঙ্কা ছিল, তবে ঘূর্ণিঝড় দানার তেমন প্রভাব পড়ল না সুন্দরবনের এই অংশে!
দানার প্রভাব সুন্দরবন উপকূলে। সকাল থেকে বৃষ্টি চলছে বকখালিতে। নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জেও বৃষ্টি। অবিরাম বৃষ্টিতে ফের দুর্ভোগের আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার রাতেই ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। কিন্তু দানার থাবায় তেমন প্রভাব পড়ল না সুন্দরবন এলাকায়। গতকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া ও তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হলেও দানার তেমন প্রভাব দেখা গেল না এই অংশে ।
তবে সুন্দরবন এলাকার বেশ কিছু জায়গায় কৃষি জমিতে জল জমে গিয়েছে৷ বেশ কিছু ফসল দমকা হওয়ার দাপটে নুয়ে পড়েছে। একই রকম ভাবে সুন্দরবন এলাকায় নদীগুলোতে বেড়েছে জলস্ফীতি। নদীর জল কানায়-কানায় জলপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি গতকাল মধ্যরাতে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়ছে ‘দানা’। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা-সহ দঙ্গিণবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সাগর রয়েছে উত্তাল।তবে এখনওপর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ সহ বিভিন্ন এলাকায় তেমন বড় কিছু ক্ষয়ক্ষতি এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।
Cyclone Dana Effect: আপনি কি চিংড়ি ভালবাসেন? বড় খবর, বাজারে অমিল হতে চলেছে চিংড়ি! কেন?
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চিংড়ি চাষের।
এমনই আশঙ্কা করছেন চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। ফলে এই রাজ্যের চিংড়ি শুধু দেশে নয়, বিদেশেও রফতানির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
অন্যদিকে, ভাগ্যক্রমে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে চিংড়ির চারা উৎপাদন কেন্দ্রগুলি। তবে চাষিরাই যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত। তাই বিপুল পরিমাণ চিংড়ির চারা কিনবে কে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে হ্যাচারির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন তাঁরা মানুষের পাশে আছেন। প্রয়োজনে এখন সব লাভ-ক্ষতি ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তাঁরা। সাহায্য করতে চান রাজ্যের মৎস্য দফতরকে।
আরও পড়ুন: ‘দানা’-র ঘূর্ণি সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলল বাংলার কোন জেলায়? কোথায় ক্ষয়ক্ষতি কত? রিপোর্ট এল নবান্নে
ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি আগামী মাসেই ভেড়ি থেকে তুলে বিদেশে বিক্রি করার কথা ছিল। এছাড়া দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও রফতানি হয় এই সব চিংড়ি। এর আগেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অংশে। প্রভাব পড়েছে উত্তর ২৪ পরগণাতেও। এবারেও ভারী বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে বিঘের পর বিঘে চিংড়ি চাষের ভেড়ির ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৯টি ব্লকে সমুদ্র তীরবর্তী ভেড়িতে চিংড়ির চাষ হয়। সমুদ্র লাগোয়া ভেড়িতে বিভিন্ন খালের মাধ্যমে নোনা জল ঢোকে।
আরও পড়ুন: বাকি আর ২ ঘণ্টা, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র লেজের অংশ পুরোপুরি স্থলে ঢুকলেই বাড়বে বৃষ্টি! বড় আপডেট
এই জল চিংড়ি চাষে আদর্শ। চিংড়ির ওজন ২০ গ্রাম হলেই জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে তা তুলে বিক্রি করে দেওয়া হয়। মৎস্য ব্যবসায়ীরা যা হিসেব দিয়েছেন তা শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই চিংড়ি চাষে ক্ষতি হতে পারে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার। ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে সব ভেড়িতেই বৃষ্টির মিষ্টি জল ও সমুদের নোনা জল এমনভাবে ঢুকেছে যে সব চিংড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে এই রাজ্যে মাত্র তিনটি জায়গাতেই চিংড়ির হ্যাচারি আছে। দুটি আছে নিউ দীঘায়, একটি আছে তাজপুরে।
সাধারণত এই রাজ্য চিংড়ির চারা উৎপাদনের আদর্শ নয়। কারণ সমুদ্র দিঘা থেকে শঙ্করপুর অবধি মেলে চিংড়ির চারার জন্যে। দানার প্রভাবে তাদের উৎপাদনে ব্যাঘাত না ঘটলেও সমস্যা হয়েছে চারা আদৌ বিক্রি হবে তো? কারণ যারা চারা কিনবেন তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। এরকমই এক হ্যাচারির মালিক জানাচ্ছেন, “আমরা এখন সরকারের পাশে দাঁড়াতে চাই। প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আমরা বিনামূল্যে চারা দেব। সরকার সাহায্য করুক।”
বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের জল হ্যাচারিতে নিয়ে আসা হয়৷ তারপর সেই জল ফিল্টার করে লার্ভা থেকে চারা করা হয়। সেই চারা বড় করার জন্যে রয়েছে ল্যাবরেটরি ও একাধিক প্রক্রিয়া৷ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে হ্যাচারির শেড উড়ে গেলেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হ্যাচারির মালিকরা। তারা এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।
আবীর ঘোষাল
Cyclone Dana: ‘দানা’ বিপর্যয়ে এ কী হাল দেশের বিখ্যাত আশ্রমের? দেখুন সেই ভয়ানক ভিডিও
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টি রাজ্য জুড়ে। ভারী বৃষ্টিতে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি আশ্রমের কাছে জলমগ্ন মেলা মাঠের একাংশ। যার জেরে জল থৈ থৈ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। এই পরিস্থিতি বৃষ্টির জল জমে হয়েছে। সমুদ্রের জল বাড়েনি বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম কর্মকার। গত রাত থেকে অবিরাম অতি ভারী বৃষ্টির ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে একাধিক এলাকায়। কপিলমুনি আশ্রমে নিত্য পুজোপাঠ চলছে যথারীতি। এ নিয়ে কপিলমুনি আশ্রমের পুজারি রামানন্দ দাস জানিয়েছেন, পুজো চলবে। কপিলমুনির আশীর্বাদে কারুর কোনো ক্ষতি হবেনা।
আরও পড়ুন- ‘এতদিনে খোলাখুলি স্বীকার করে নেওয়ার সময় এসেছে’…, দাম্পত্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক?
শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে যাদের মাটির বাড়ি রয়েছে তাদের চিন্তা সব থেকে বেশি। যদিও সমস্ত রকম খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।ঘূর্ণিঝড় দানা সরাসরি আঘাত না আনলেও এর প্রভাব পড়েছে এলাকায়। গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায় বৃষ্টির জেরে অনেক নীচু এলাকায় জল জমেছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়লে বিপদ আরো বাড়বে। তবে বিকালের পর থেকে পরিস্থিতির একটু উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এইরকম বৃষ্টি চললে সমস্যা আরও বাড়বে।
নবাব মল্লিক
Cyclone Dana Effect: দানার প্রলয়ে কী এমন ঘটল নিউ দিঘায়! নেমে পড়ল নৌসেনা, ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রতটে কী ঘটে গেল?
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলে নামানো হল নৌ বাহিনীর বিশেষ দল। এছাড়া আকাশ পথে সমুদ্রে নজরদারি চালাবে উপকূল রক্ষী বাহিনী। সাইক্লোন চলে গেলেও, এই রাজ্যের নিউ দিঘা থেকে খেজুরি অবধি দীর্ঘ ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রতট জুড়ে নৌ-বাহিনীর পাশাপাশি নজর রাখতে চলেছে ভারতীয় উপকূলীয় বাহিনী। হলদিয়া থেকে উপকূলীয় বাহিনীর জাহাজে নজর রাখা হচ্ছে। নৌ বাহিনীর এই বিশেষ দলটি এসেছে বিশাখাপত্তনম থেকে। মোট তিনটি টিম এসেছে।
এই দলের অন্যতম সদস্য জানিয়েছেন, দুটি রেসকিউ টিম ও একটি ডাইভিং টিম নিয়ে আসা হয়েছে। ঝড়ের আগেই সমুদ্রের পাড় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। তার পরেও যদি কেউ সমুদ্রে তলিয়ে যান তাহলে এই বিশেষ ডাইভিং টিম উদ্ধার কাজে নেমে পড়বেন। আর যদি কোথাও মাটির বাড়ি বা পাকা বাড়ির নীচে কেউ চাপা পড়ে যান বা দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে নৌ-বাহিনীর এই বিশেষ দল কাজ করবে। গত কয়েকদিন ধরেই ডরনিয়ার বিমানে চেপে চক্কর কাটছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। মাঝ সমুদ্রে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ ও ভেসেল যা আছে তাদের উপকূলে ফেরানোর ব্যবস্থা করানো হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে মাইকিং করেছিল।
আরও পড়ুন: তখন ঠিক মাঝরাত, আছড়ে পড়ল দানা, কিন্তু অন্ধকার শুনশান দিঘার সৈকতে কে ওটা! শুনলে চমকে উঠবেন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, নেভির দুটো ডাইভিং টিম, ৫ খানা ফ্লাড রিলিফ টিম ও বিশেষ নৌকা আনা হয়েছে। এই টিম থাকছে উড়িষ্যার উপকূলে। এছাড়া একটি ফ্লাড রিলিফ টিম বাংলা সীমান্তের কাছেই স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে। এই সব দল গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা, আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা, রিলিফ মেটিরিয়াল পৌছে দেওয়ার কাজ করবে। এছাড়া নৌ বাহিনীর তরফ থেকে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তুত আছে।
এই নৌ বাহিনীর জাহাজ থেকে প্রয়োজনে এয়ারড্রপ করানোর ব্যবস্থা থাকছে। রাজ্য সরকার যখনই তাদের কাছে সাহায্য চাইবে ত্রাণ পাঠানো বা উদ্ধার কাজের জন্যে তখনই এই টিম ঝাঁপিয়ে পড়বে। এছাড়া চিকিৎসকদের একটি দল প্রস্তুত আছে। সাইক্লোনের পরেই তারা বিভিন্ন এলাকায় পৌছে যাবে।