Tag Archives: Disaster management

Malda Disaster: গঙ্গা ভাঙনে আগেই হারিয়েছিল ভিটেমাটি, এবার অস্থায়ী বাড়িও গেল অগ্নিকাণ্ডে

মালদহ: গঙ্গার গ্রাসে বাড়িঘর থেকে ভিটেমাটির সমস্ত কিছু আগেই হারিয়েছিলেন তাঁরা। অসহায় পরিবারগুলি অস্থায়ী বাড়ি তৈরি করে ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে কিছুটা দূরে বসবাস শুরু করেছিলেন। কিন্তু এবার আগুনের গ্রাসে সর্বস্ব খুইয়ে বাঁচার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে বসল ১৫ টি পরিবার।

গত কয়েক বছর ধরেই অস্থায়ী বাড়িতে বসবাস করছিলেন মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার পার অনুপনগর গ্রামের এই ১৫ টি পরিবার। কিন্তু সেই অস্থায়ী বাড়িও আর থাকল না। আগুনের লেলিহান শিখা অস্থায়ী বাড়ি ভস্মীভূত করে দিয়েছে। ফলে ফের ভিটেহারা হলেন গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামের অসহায় পরিবারগুলো।

আর‌ও পড়ুন: ভোট আসে-যায়, পরিস্থিতি বদলায় না! নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকে গোটা গ্রাম

এদিন দুপুরে হঠাৎই ওই এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তা সফল হয়নি। নিমেষের মধ্যেই পরপর গ্রামের ১৫ টি বাড়িপুড়ে ছাই হয়ে যায়। দ্রুত আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছে গ্রামের এক মহিলা ও শিশু। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও গবাদি পশুও অগ্নিদগ্ধ হয়ে জখম হয়েছে। বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এলাকায় দমকল গিয়ে পৌঁছায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, গঙ্গা ভাঙনে ভিটেমাটি অনেক আগেই হারিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। এবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাড়িঘর সহ সমস্ত কিছু পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় কিছু করার উপায় নেই আমার। তবে দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছিল ওই পরিবারগুলো। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থী। তাঁরা ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।

হরষিত সিংহ

Alipurduar Disaster: মিনি টর্নেডোর পর আগুনের থাবা! বিপর্যয়ের পর বিপর্যয় কামসিং-এ

আলিপুরদুয়ার: একে রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। মিনিট টর্নেডোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এবার আগুনের থাবা। উপর্যুপরি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে কামসিং-এ।

আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের উত্তর কামসিংবাসীর পরিস্থিতি নিতান্তই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। মিনি টর্নেডোর পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। এই অগ্নিকাণ্ডে ফলে ভস্মীভূত হয়েছে গ্রামের চারটি বাড়ি। বুধবার সকালে উত্তর কামসিং এলাকায় চারটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এই আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ক্ষতি হয় বাসিন্দাদের গবাদি পশু সহ আসবাব পত্রের। এছাড়াও ভোটার, আধার, রেশন কার্ড সহ প্রায় সব নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় চিন্তিত তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন: এই দেবীর পুজোর দিন বাড়িতে উনুন জ্বালতে নেই, গ্রামের সকলে পান্তা খেয়ে থাকেন

এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। উল্লেখ্য, মিনি টর্নেডোতে এই উত্তর কামসিং এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এখনও সবটা গুছিয়ে উঠতে পারেননি এলাকাবাসীরা। সুপারি বাগান, ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। গাছ পড়ে রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক বাসিন্দার বাড়ির টিন নেই। ঝড়ের পর এই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সেই বিপদের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল।

অনন্যা দে

Garden Reach Disaster: গার্ডেনরিচের আতঙ্ক এবার কোচবিহারে! দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের

কোচবিহার: গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার আতঙ্ক ছড়াল এবার কোচবিহার শহরে। এখানকার বড় বাজার এলাকায় নৃপেন্দ্র নারায়ণ রোডের দু’ধারে সারিসারি বহুতল দাঁড়িয়ে। এরই মধ্যে একটি বহুতলের পেছনের অংশে উপর থেকে নিচের দিক পর্যন্ত চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানকার আবাসিকদের আশঙ্কা যে কোন‌ও মুহূর্তে এটি ভেঙে পড়তে পারে।

আর‌ও পড়ুন: ইডি-সিবিআই নয়, অভিযান অন্য সরকারি দফতরের! জেরার মুখে অসুস্থ ব্যবসায়ী

গোটা ঘটনায় এলাকার মানুষ প্রবল আতঙ্কে ভুগছে। বাড়ির নিচের অংশে রয়েছে বড় দোকান। আর উপরের অংশে বসবাস করেন বেশ কিছু পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে সকলেই দিশেহারা। এমনিতেই কোচবিহার ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। সেখানে বহুতলে এত বড় ফাটল যে কোন‌ও মুহূর্তে কলকাতার গার্ডেনরিচের মত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সবাই।

এলাকার স্থানীয় দুই বাসিন্দা প্রদীপ কুমার বণিক ও সমীর সাহা জানান, সমস্যার বিষয়ে কোচবিহার পুরসভাকে অবগত করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও পুরপ্রধান ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন‌ও ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাতে কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ওই বাড়ির মালিক রণজয় বণিক জানান, বহুতলটির বয়স অনেক। কয়েকবছর আগে তাঁদের বাড়ির পাশে আরেকটি বাড়ি তৈরি হওয়ার পর থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত। নিয়ম না মেনে পাশের ওই বাড়ি তৈরি হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। বিষয়টি বারংবার পুরসভাকে জানানো হলেও কোন‌ও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকেও সরকারিভাবে কোন মন্তব্য করা হচ্ছে না বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বাড়ির মালিক এবং আবাসিকদের মধ্যে।

সার্থক পণ্ডিত