Tag Archives: Folk Art

Patachitra: এই ঐতিহাসিক শিল্পে যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের ছোঁয়া

পট শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'পট্ট' থেকে। যার অর্থ হল বস্ত্র। পটচিত্র মানে চলতি ভাষায় কাপড়ের উপর অঙ্কিত চিত্রাবলী। সেই রং-চিত্রে উঠে আসে ভারতের পুরাণের কথা।
পট শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘পট্ট’ থেকে। যার অর্থ হল বস্ত্র। পটচিত্র মানে চলতি ভাষায় কাপড়ের উপর অঙ্কিত চিত্রাবলী। সেই রং-চিত্রে উঠে আসে ভারতের পুরাণের কথা।
মুকন্দরামের কবিকঙ্কণে উঠে এসেছে পট জীবিকার কথা। আবার বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষসে রয়েছে যমপটের কথা। বাণভট্টের হর্ষচরিতেও রয়েছে যমপট ব্যবসায়ীর কথা। এর থেকে বোঝা যায় এই শিল্পের প্রচীনতা এবং বিশালতা।
মুকন্দরামের কবিকঙ্কণে উঠে এসেছে পট জীবিকার কথা। আবার বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষসে রয়েছে যমপটের কথা। বাণভট্টের হর্ষচরিতেও রয়েছে যমপট ব্যবসায়ীর কথা। এর থেকে বোঝা যায় এই শিল্পের প্রচীনতা এবং বিশালতা।
প্রাচীন শিল্প চেতনাকে বজায় রেখে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ ব্লকের নয়াডিহি এবং ছাতনার শুশুনিয়ার ভরতপুর ২০২৪ সালেও এঁকে চলেছে এই পট চিত্রগুলি। বাড়ির পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই আঁকেন ছবি। প্রত্যেকের নামের পাশে রয়েছে 'চিত্রকর' উপাধি।
প্রাচীন শিল্প চেতনাকে বজায় রেখে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ ব্লকের নয়াডিহি এবং ছাতনার শুশুনিয়ার ভরতপুর ২০২৪ সালেও এঁকে চলেছে এই পট চিত্রগুলি। বাড়ির পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই আঁকেন ছবি। প্রত্যেকের নামের পাশে রয়েছে ‘চিত্রকর’ উপাধি।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বিশ্ববরেণ্য শিল্পী যামিনী রায় গোটা পৃথিবীর কাছে চিনিয়েছিলেন পটচিত্রকে। পট শিল্পের বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য ঘরানাগুলির মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত ঘরানা হল বাঁকুড়ার পটচিত্র। তবে বর্তমান যুগে এই শিল্পকলা কিছুটা যেন অবহেলিত।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বিশ্ববরেণ্য শিল্পী যামিনী রায় গোটা পৃথিবীর কাছে চিনিয়েছিলেন পটচিত্রকে। পট শিল্পের বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য ঘরানাগুলির মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত ঘরানা হল বাঁকুড়ার পটচিত্র। তবে বর্তমান যুগে এই শিল্পকলা কিছুটা যেন অবহেলিত।
বাংলার পটচিত্রের অঙ্কনশৈলী ও বর্ণনার রীতি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ঘরানা থেকে এসেছে। মূলত দুটো ঘরানার বিশেষ প্রচলিত, বেঙ্গল স্কুল ঘরানা ও সাঁওতালি অঙ্কনরীতি।
বাংলার পটচিত্রের অঙ্কনশৈলী ও বর্ণনার রীতি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ঘরানা থেকে এসেছে। মূলত দুটো ঘরানার বিশেষ প্রচলিত, বেঙ্গল স্কুল ঘরানা ও সাঁওতালি অঙ্কনরীতি।
বেঙ্গল স্কুলের ভাবনায় তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুর-তমলুক-কালীঘাট-ত্রিবেণী সামাজিক ঘরানা। বীরভূম ঘরানার মধ্যে ছিল বীরভূম-কান্দি-কাটোয়া। সাঁওতালি অঙ্কনরীতির মধ্যে পড়ে আদিবাসী বা সাঁওতালি পটচিত্র। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় এই রীতির চর্চা হয়।
বেঙ্গল স্কুলের ভাবনায় তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুর-তমলুক-কালীঘাট-ত্রিবেণী সামাজিক ঘরানা। বীরভূম ঘরানার মধ্যে ছিল বীরভূম-কান্দি-কাটোয়া। সাঁওতালি অঙ্কনরীতির মধ্যে পড়ে আদিবাসী বা সাঁওতালি পটচিত্র। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় এই রীতির চর্চা হয়।

Masland Madur: মসলন্দ মাদুরের নাম শুনেছেন? শিল্পীর প্রতিভা দেখলে চমকে যাবেন

মাদুর আমরা বসা কিংবা শোয়ার জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু সেই মাদুরে শৈল্পিক নিপুণতা ফুটে ওঠে, তৈরি হয় মসলন্দ মাদুর। আর এই মাদুর বানিয়ে মিলেছে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান।
মাদুর আমরা বসা কিংবা শোয়ার জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু সেই মাদুরে শৈল্পিক নিপুণতা ফুটে ওঠে, তৈরি হয় মসলন্দ মাদুর। আর এই মাদুর বানিয়ে মিলেছে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান।
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত ব্লক সবং। নাম না জানা এক গ্রাম সারতা। সেই গ্রামের এক গৃহবধূ পুষ্পরানি জানা বছর চল্লিশ আগে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। তাঁর হাতের জাদু এবং শৈল্পিক নিপুণতা এনেছে এই বিশেষ সম্মান।
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত ব্লক সবং। নাম না জানা এক গ্রাম সারতা। সেই গ্রামের এক গৃহবধূ পুষ্পরানি জানা বছর চল্লিশ আগে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। তাঁর হাতের জাদু এবং শৈল্পিক নিপুণতা এনেছে এই বিশেষ সম্মান।
মসলন্দ মাদুর বুনে পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। ১৯৮০ সালে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির হাত থেকে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
মসলন্দ মাদুর বুনে পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। ১৯৮০ সালে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির হাত থেকে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
মাদুর কাঠিকে সুক্ষ্মভাবে বুনে নানান ছবি, বিভিন্ন চিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়। একদিকে যেমন হালকা তেমনই দেখতে বেশ হয় এই মাদুর।
মাদুর কাঠিকে সুক্ষ্মভাবে বুনে নানান ছবি, বিভিন্ন চিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়। একদিকে যেমন হালকা তেমনই দেখতে বেশ হয় এই মাদুর।
দশটি হাত না থাকলেও হাতের দশ আঙুল যেন কথা বলত। পুষ্পরানি'র হাতে বোনা মাদুর আজ গোটা বিশ্বে সমাদৃত। মসলন্দ মাদুর এনে দিয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
দশটি হাত না থাকলেও হাতের দশ আঙুল যেন কথা বলত। পুষ্পরানি’র হাতে বোনা মাদুর আজ গোটা বিশ্বে সমাদৃত। মসলন্দ মাদুর এনে দিয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
মাদুর অনেকেই বোনে, তবে মসলন্দ মাদুর বেশ দারুণ। একদিকে যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই শৈল্পিক নিপুণতাও বেশ।
মাদুর অনেকেই বোনে, তবে মসলন্দ মাদুর বেশ দারুণ। একদিকে যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই শৈল্পিক নিপুণতাও বেশ।

Folk Art: ‘হাতি ঘোড়া’ দেখেছেন কখন‌ও? বাংলার এই জেলায় এলে রত্নভাণ্ডার খুলে যাবে

মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার পরিচিতির অন্যতম অঙ্গ হল পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী। মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। নতুন সংযোজন মাটির গয়না।
মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার পরিচিতির অন্যতম অঙ্গ হল পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী। মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। নতুন সংযোজন মাটির গয়না।
মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় 'মুড়া' বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় ‘মুড়া’ বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।
বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।

Malda News: কাকভোরে গৌড়বঙ্গের রাজপথে গম্ভীরা নাচের প্রাচীন উৎসবে সাজো সাজো রব

হরষিত সিংহ, মালদহ: হঠাৎ শহরের রাস্তায় নৃত্যে মেতে উঠলেন চামুণ্ডা, মশানকালী এবং নরসিংহ। কাকভোরে ঘুম থেকে উঠেই মহিলারা উলুধ্বনি দিচ্ছেন, বাতাসা ছিটিয়ে দিচ্ছেন রাস্তায়। রাস্তার দু’ ধারে প্রতিটি বাড়িতেই মহিলারা দরজায় দাঁড়িয়ে ধূপের ধোঁয়া থেকে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে আরাধনা করছেন। হাতজোড় করে প্রণাম করছেন দেবী চামুণ্ডাকে। ভোর হলেও অগণিত ভক্তের সমাগম পুরাতন মালদহ শহরের রাস্তায়।

ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চলে চামুণ্ডাকালী-সহ বিভিন্ন দেবদেবীর নৃত্য। যা দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। এই বছর প্রথম নয়, প্রতি বছর এই রীতি পালিত হয়ে আসছে পুরাতন মালদহ শহরে। গম্ভীরা শিল্পী পার্থ বসাক বলেন, ‘‘বাপ ঠাকুরদার কাছে এই নৃত্য শিখেছি। সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য আমরা এই মুখোশনাচ করে থাকি। বর্তমান প্রজন্মকে শেখানোর চেষ্টা করছি।’’

এদিন ছিল পুরাতন মালদহের গম্ভীরার ছোট তামাশা। প্রাচীন রীতি মেনে আজও ছোট তামাশা উপলক্ষে পুরাতন মালদহের চামুণ্ডা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন দেবদেবীর নৃত্য দেখা যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন দেবদেবীর মুখোশ পরে নাচ করতে দেখা যায় গম্ভীরা শিল্পীদের। এদিন দিনভর চলবে পুরাতন মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট তামশার মুখোশ নৃত্য।

আরও পড়ুন : সকালে ঘুম থেকে উঠে সহজ কিছু নিয়ম মানুন! গরমেও কমবে হাই ব্লাড প্রেশার! দূরে থাকবে হার্টের অসুখ

মালদহের প্রাচীন ঐতিহ্য গম্ভীরা। পুরাতন মালদহের সব্বরী এলাকায় প্রায় ৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই গম্ভীরা উৎসব। এখানে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় গম্ভীরা। প্রথম দিন ঘট ভরা, দ্বিতীয় দিন কাটা নৃত্য, তৃতীয় দিন ছোট তামশা, চতুর্থ দিন বড় তামশা। মন্দিরের পুরোহিত বাবাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই গম্ভীরা উৎসব হয়ে আসছে। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় গম্ভীরা উৎসব। মা চামুণ্ডা কালীর পুজো হয়। বহু ভক্ত এখানে আছেন মনস্কামনা করেন। মনস্কামনা পূরণ হলে বিভিন্ন রীতি রেওয়াজ রয়েছে।’’