Tag Archives: jewelry

Helmet Ban: বেড়ে চলা ডাকাতি ঠেকাতে সোনার দোকানে হেলমেট পরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গয়নার দোকানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া অথবা টাকা জমা দেওয়ার সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ পুলিশের।

এদিন বারুইপুরের সোনার তরী কমপ্লেক্সে বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন পুলিশ কর্তারা। সেখানে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মতের আদান-প্রদান হয়। এই বৈঠকে বারুইপুর পুরসভার আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: বাজারে সবজির দামে আগুন, চাষিদের ভাগ্যে জুটছে না কিছুই

যেভাবে একের পর এক সোনার দোকানে চুরি ও ডাকাতি হচ্ছে তাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় যাতে হ্রাস টানা যায় সেই বিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীত বিশ্বাস বেশকিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন এই বৈঠকে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি আবার খতিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেকটা দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূল। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঠিকমতো রেকর্ডিং হচ্ছে কিনা সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, রেকর্ডিং স্টোরেজের জায়গা সেই দোকান ছেড়ে অন্য জায়গায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সেইসঙ্গে প্রতিটি দোকানে ও ব্যাঙ্কে অ্যালার্ম সিস্টেম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ফোনের ইমার্জেন্সি ডায়ালে নিকটতম পুলিশ আধিকারিকদের ফোন নম্বর সেভ করে রাখতে হবে। হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পরে দোকানে ঢোকা নিষিদ্ধ করার কথা বলেন তিনি। দোকানের সামনে যে কাঁচের দরজা থাকে তাতে কোন‌ওরকম পর্দা বা ব্ল্যাক ফ্লিম না লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে সবটা পরিষ্কার দেখা যায়। সেই সঙ্গে পুরানো সোনা কেনার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে দোকানদারদের। সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।

সুমন সাহা

Folk Art: ‘হাতি ঘোড়া’ দেখেছেন কখন‌ও? বাংলার এই জেলায় এলে রত্নভাণ্ডার খুলে যাবে

মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার পরিচিতির অন্যতম অঙ্গ হল পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী। মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। নতুন সংযোজন মাটির গয়না।
মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার পরিচিতির অন্যতম অঙ্গ হল পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী। মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। নতুন সংযোজন মাটির গয়না।
মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় 'মুড়া' বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় ‘মুড়া’ বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।
বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।

Jamai Sasthi 2024: জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির জন্য কিনুন এই উপহার

উত্তর দিনাজপুর: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই জামাইষষ্ঠী। তবে এই দিন শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার আগে জামাইরা একটু হলেও বেশ চিন্তিত থাকেন। কারণ শ্বশুরবাড়িতে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। ফলে শাশুড়িকে উপহার দেওয়ার একটা বিষয় থেকেই যায়। কিন্তু কী উপহার দেবেন শত চিন্তা করেও অনেকেই সেটা বুঝে উঠতে পারেন না।

এবার জামাই ষষ্ঠীতে শাশুড়ির জন্য কী উপহার নিয়ে যাবেন তার দুর্দান্ত সমাধান এসে গিয়েছে। আজকের দিনেহাতে সময় কম। এদিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শাশুড়িদের সাজসজ্জাতেও পরিবর্তন এসেছে। তাই এই সময় শাশুড়ির জন্য উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন ইউনিক জুয়েলারি সেট। শাড়ি কিংবা সালোয়ারের সঙ্গে দিতে পারেন নতুনত্বের এই টেরাকোটার জুয়েলারি।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গেল বীরভূম, বৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি

সময় বদলেছে। শাশুড়িরা এখন রীতিমতো আধুনিক ও স্টাইলিশ জিনিসপত্র পরেন। শুধু শাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না বর্তমানের শাশুড়িরা। কেউ পরেন সালোয়ার কামিজ, তো কেউ জিন্স। তাই উপহার হিসেবে শাশুড়ির জন্য আপনাকেও এমন জুয়েলারি বা গয়না বেছে নিতে হবে যা সমস্ত পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। আর এইরকম একটি জুয়েলারির সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ হাট পাড়ারর টেরাকোটা শিল্পীরা।

টেরাকোটার শিল্পীদের হাতেই তৈরি হচ্ছে আধুনিক ডিজাইনের পোড়ামাটির গয়না। এই টেরাকোটার জুয়েলারি বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি। ৫০ টাকা থেকে এর দাম শুরু। আপনি পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের মাটির কারুকার্য করা রংবেরঙের এই জুয়েলারি। এই প্রসঙ্গে এলাকার এক টেরাকোটা শিল্পী জানান, সোনার দাম আকাশছোঁয়া। সেখানে এবারের জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির উপহার হিসেবে জামাইদের কাছে মুশকিল আসান হতে পারে টেরাকোটার এই গয়না। অনেকেই এই গয়না কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

পিয়া গুপ্তা

Jewelry: সোনাদানা নয়, কোনও ধাতুও নয়! কাপড়ের গয়নাতেই বাজিমাত, দামও খুবই কম

বীরভূম: সূচ-সুতোর অলংকার! হ্যাঁ, বর্তমানে এই গয়নাই হয়ে উঠেছে নয়া ট্রেন্ড। ধাতুর গয়না নয়, সোনাদানাও নয় বরং ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কাপড়ের গয়নার বাহার। বোতাম স্টিচ, নকশিকাঁথার ফোঁড়, চেন সেলাই, গুজরাতি স্টিচের মতো সূচ-সুতোয় করা হরেক রকম নকশায় বানানো হয় এই বাহারি গয়না।

বর্তমানে অনেকেই ভারী গয়না এড়িয়ে চলেন। সামনেই বিয়েবাড়ির মরশুম। একেবারে গয়না ছাড়া সাদামাটা ভাবে যাবেন কেন? অতএব, ওজনে হাল্কা এই কাপড়ের গয়না ফ্যাশনের সঙ্গে বেশ খানিকটা স্বস্তিও দিতে পারে আপনাকে।

আরও পড়ুন: বসন্তে তাপের পারদ ছুঁল ৪০! গ্রীষ্মে কী হবে? কবে থেকে ঝড়বৃষ্টি? আবহাওয়ার নতুন আপডেটে স্বস্তির আশ্বাস

সাজকে জমকালো রূপ দিতে চান, পাশাপাশি আরামের সঙ্গেও আপস করতে চান না? তবে এই কাপড়ের গয়না আপনার জন্য একেবারে আদর্শ। সাদাসিধে অথবা জমকাল সাজ যে কোনও লুকের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে কাপড়ের গয়না। পোশাকের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে পরতে পারেন।

গলায় ভারী কাজের নেকলেস পরলে হয় কানের গয়না একেবারে বাদ দিন, অথবা বেছে নিন একদম ছোট কোনও দুল। হাতে কাপড়ের তৈরি কয়েক গাছা চুড়ি পরতে পারেন শাড়ি, কুর্তি অথবা সালোয়ারের সঙ্গে। প্রকৃতপক্ষেই ব্যক্তিত্বে এক আভিজাত্যের ছোঁয়া নিয়ে আসবে এই অন্য রকম গয়না। আর একদম অন্য ধরনের এই গহনা আপনার সম্পূর্ণ লুক পরিবর্তন করে দিতে পারবে।

তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, অন্যান্য গয়নার তুলনায় কাপড়ের গয়না তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সুতো উঠে আসা, রঙের জৌলুস কমে যাওয়া, সহজে দাগ ধরা বা ময়লা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তার সঙ্গী। তাই বাড়তি যত্ন নিতেই হয়। তবে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা যায় এই গয়না।

এই গহনা নিতেআপনাকে আসতে হবে বোলপুর শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটে। হাটে আপনি প্রত্যেক সপ্তাহে শনি এবং রবিবার পেয়ে যাবেন কাপড়ের তৈরি গহনা। সেই গহনার মধ্যে থাকবে হাতের বালা থেকে শুরু করে কানের দুল এবং তার সঙ্গে গলার মালা।

যার প্রত্যেকটির দাম হচ্ছে মাত্র ৬০ টাকা করে। শুধু যে ৬০ টাকা দামেরই গহনা পাবেন সেটা নয়, আপনি যদি কোনও গহনা পছন্দ করে বানিয়ে নিতে চান সে গহনাও আপনি পেয়ে যাবেন এই সোনাঝুরি হাটে এলেই। কিন্তু সেই অলংকারের দাম হবে তার পারিশ্রমিক দেখে।

সৌভিক রায়