Tag Archives: folk artist

Masland Madur: মসলন্দ মাদুরের নাম শুনেছেন? শিল্পীর প্রতিভা দেখলে চমকে যাবেন

মাদুর আমরা বসা কিংবা শোয়ার জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু সেই মাদুরে শৈল্পিক নিপুণতা ফুটে ওঠে, তৈরি হয় মসলন্দ মাদুর। আর এই মাদুর বানিয়ে মিলেছে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান।
মাদুর আমরা বসা কিংবা শোয়ার জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু সেই মাদুরে শৈল্পিক নিপুণতা ফুটে ওঠে, তৈরি হয় মসলন্দ মাদুর। আর এই মাদুর বানিয়ে মিলেছে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান।
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত ব্লক সবং। নাম না জানা এক গ্রাম সারতা। সেই গ্রামের এক গৃহবধূ পুষ্পরানি জানা বছর চল্লিশ আগে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। তাঁর হাতের জাদু এবং শৈল্পিক নিপুণতা এনেছে এই বিশেষ সম্মান।
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত ব্লক সবং। নাম না জানা এক গ্রাম সারতা। সেই গ্রামের এক গৃহবধূ পুষ্পরানি জানা বছর চল্লিশ আগে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। তাঁর হাতের জাদু এবং শৈল্পিক নিপুণতা এনেছে এই বিশেষ সম্মান।
মসলন্দ মাদুর বুনে পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। ১৯৮০ সালে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির হাত থেকে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
মসলন্দ মাদুর বুনে পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। ১৯৮০ সালে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির হাত থেকে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
মাদুর কাঠিকে সুক্ষ্মভাবে বুনে নানান ছবি, বিভিন্ন চিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়। একদিকে যেমন হালকা তেমনই দেখতে বেশ হয় এই মাদুর।
মাদুর কাঠিকে সুক্ষ্মভাবে বুনে নানান ছবি, বিভিন্ন চিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়। একদিকে যেমন হালকা তেমনই দেখতে বেশ হয় এই মাদুর।
দশটি হাত না থাকলেও হাতের দশ আঙুল যেন কথা বলত। পুষ্পরানি'র হাতে বোনা মাদুর আজ গোটা বিশ্বে সমাদৃত। মসলন্দ মাদুর এনে দিয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
দশটি হাত না থাকলেও হাতের দশ আঙুল যেন কথা বলত। পুষ্পরানি’র হাতে বোনা মাদুর আজ গোটা বিশ্বে সমাদৃত। মসলন্দ মাদুর এনে দিয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
মাদুর অনেকেই বোনে, তবে মসলন্দ মাদুর বেশ দারুণ। একদিকে যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই শৈল্পিক নিপুণতাও বেশ।
মাদুর অনেকেই বোনে, তবে মসলন্দ মাদুর বেশ দারুণ। একদিকে যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই শৈল্পিক নিপুণতাও বেশ।

Folk Art: ‘হাতি ঘোড়া’ দেখেছেন কখন‌ও? বাংলার এই জেলায় এলে রত্নভাণ্ডার খুলে যাবে

মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার পরিচিতির অন্যতম অঙ্গ হল পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী। মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। নতুন সংযোজন মাটির গয়না।
মৃৎশিল্পীদের গ্রাম হিসেবে তালড্যাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের নাম-ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার পরিচিতির অন্যতম অঙ্গ হল পোড়া মাটির হাতি, ঘোড়া, মনসার চালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও গৃহসজ্জার নানান সামগ্রী। মাটি দিয়ে এইসব কাজ করতেই সিদ্ধহস্ত শিল্পীরা। নতুন সংযোজন মাটির গয়না।
মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় 'মুড়া' বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় ‘মুড়া’ বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।
বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।

LokSabha Election 2024:’হিংসা চাই না, শান্তিতে ভোট দিতে চাই!’ ভোটের মুখে গান বাঁধলেন এই বাউলশিল্পী

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: শান্তিতে ভোটদানের আবেদন নিয়ে গান বেঁধেছেন রায়গঞ্জের প্রবীণ লোকশিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাস। আসন্ন লোকসভা ভোটে সরকারি সহায়তা, গ্রামের মানুষের মাথা গোঁজার আশ্রয়, কর্মসংস্থান-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে গান বেঁধেছেন রায়গঞ্জের কাশিবাটির ওই লোকশিল্পী। তাঁর গান ইতিমধ্যে মন কেড়েছে এলাকার নবীন থেকে প্রবীণদের। উত্তর দিনাজপুরের কাশিবাটির ছত্রপুরের বাসিন্দা তরণীমোহন বিশ্বাস ।

তরণীমোহন বলেন, ‘‘এবারের গান সম্পূর্ণভাবে ভোট সচেতনতার গান। ভোটে সন্ত্রাস চাই না, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। অধিকারকে খর্ব করার চেষ্টা করে নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব মনে করাতে গান বেঁধেছি। এছাড়া রাজ্যে কর্মসংস্থান না থাকাই সাধারণ মানুষ ছুটে যাচ্ছেন অন্য রাজ্যে অন্য দেশে।’’

আরও পড়ুন : এ এক ম্যাজিক-বোতল! খুললেই ‌যা বেরিয়ে আসছে চমকে ‌যাবেন! কোথায় মিলছে জানুন 

গ্রামের মানুষ অভাবে থাকলেও একটা সরকারি ঘর পাচ্ছেন না এসব দেখে মন খারাপ তরণীবাবুর। নিজের শিল্পসত্তাকে শুধু পেশাগত দিকেই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও প্রসারিত করেছেন তিনি। সমাজ যখন হানাহানির পথে এগোয়, তখন শিল্পীই পারেন মানুষকে সংস্কৃতির মাধ্যমে শান্তির পথ দেখাতে।