Tag Archives: footpath

Footpath Eviction: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করতে হবে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত! সতর্কবার্তা পেতেই যা করলেন হকাররা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মালপত্র গুটিয়ে নিয়ে। খালি করে দিতে হবে রাস্তা। বারুইপুরে বাইপাস এলাকার নয়নজুলির পাড়ে অবস্থিত দোকানগুলোর জন্য এমন‌ই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে।

বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে বারুইপুর বাইপাসের ধারে খালের পাশে রাস্তা দখল করে বসে থাকা দোকানগুলি তুলে ফুটপাত পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানদারদের উঠে যাওয়া নির্দোষ দিয়েছে থানা। বারুইপুর শাসন থেকে বংশী বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বেআইনি দোকান আছে। এই সবগুলিকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তায় বেরিয়ে প্রকৃতির ডাক এলেই হাজির হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান বায়ো টয়লেট!

রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক ফুটপাত মুক্ত নীতি মেনে এই পদক্ষেপ করেছে বারুইপুর থানা। তবে ফুটপাত জুড়ে সেখানে যে কেবল হকাররা দোকান দিয়ে বসে আছে তা নয়। বেশ কিছু গাড়ি, টোটো ফুটপাতে রাখা থাকে। সেগুলোও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর দোকানের জিনিসপত্র গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন হকাররা।

সুমন সাহা

Footpath Eviction: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর ফুটপাত খালি করতে অতি তৎপর প্রশাসন, চোখে জল হকারদের

উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করেই চলছিল দোকান। কারোর দোকানের বয়স ২০ বছর তো কারোর আবার ৩০। এই দোকানের ভরসাতেই হকারদের সংসার চলে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক এক প্রশাসনিক বৈঠকে। তারপরই দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত ফিরিয়ে আনতে অতি তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন। আর তাতেই চোখে জল অসহায় হকারদের।

দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে এসেছেন হকাররা। ফুটপাতে বসার ক্ষেত্রে তাঁরা কারোর অনুমতি নেননি। যা এক অর্থে বেআইনি কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলতে চলতে গোটা বিষয়টায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এতদিন পুলিশ বা প্রশাসন কেউ আপত্তিও করেনি। এদিকে জেলা প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর দোকান ভেঙে দেওয়ায় আকুল পাথারে পড়েছেন হকাররা।

আর‌ও পড়ুন: দখল করা জলাভূমিও উদ্ধার করবে জেলা প্রশাসন! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুরু অভিযান

হঠাৎই মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ফুটপাত দখল মুক্ত করা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আর তাতে ঘোরতর সমস্যায় পড়েছেন রাস্তার ধারে অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পেট চালানো ছোট ব্যবসায়ী ও হকাররা। চোখের সামনেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে জীবিকার আস্তানা। এরপর কী হবে, সংসার চলবে কি করে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। বিকল্প ব্যবস্থা না করেই এভাবে বিধাননগর, সল্টলেক এলাকায় ফুটপাত দখল মুক্ত করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় শতাধিক ছোট ব্যবসায়ী।

এদিকে এতদিন কিছু না বলে হঠাৎ করে কেন হুঁশ ফিরল প্রশাসনের তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সল্টলেকের নাগরিকরা। এই ছোট ব্যবসায়ী ও হকাররা যখন ফুটপাতে বসেছিলেন তখন কেন প্রশাসন বাধা দেয়নি সেই প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকরা। ফুটপাতে দোকান করে ব্যবসা চালানো এইসব ব্যবসায়ীদের দাবি, বিকল্প একটা কোন‌ও ব্যবস্থা করে তবেই প্রশাসনের তরফ থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা গ্রহণযোগ্য হত।

এদিন উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায় স্থানীয় ওই সকল ব্যবসায়ীদের। বিধাননগর দক্ষিণ থানার ১৬ নম্বর ট্যাঙ্ক লাগোয়া কেবি ব্লকের ফুটপাতের উপর বেআইনি দোকানগুলোকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিধাননগর পুরনিগম এবং দক্ষিণ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। অপরদিকে, নিউটাউন কোল ভবন সংলগ্ন ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকানগুলোকেও ভেঙে ফেলা হচ্ছে এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ এবং নিউটাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। উচ্ছেদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Illegal Business: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও মালদহে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চলছে

মালদহ: শহর জুড়ে ফুটপাতের দখল নিয়েছে বিক্রেতারা। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে অস্থায়ী দোকান। সাধারণ মানুষ হাঁটতে পারছে না ফুটপাত দিয়ে। বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যার সন্মুখীন মালদহ শহরের সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেও স্থানীয় প্রশাসনের যেন হেলদোল নেই।

ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুরি বলেন, রাজ্যের শাসক দলের মদতেই মালদহ শহরের সমস্ত রাস্তার ফুটপাত দখল হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন ও পুলিশের কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

আর‌ও পড়ুন: দাবার চালে বার্ধক্যেও সচল মগজ! সন্তানকে শেখানো নিয়ে চিকিৎসকরা কী বলছেন?

মালদহ শহরের এমন কোন‌ও রাস্তা নেই যেখানে ফুটপাত দখল হয়নি। শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি মোড় থেকে শুরু করে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ, ফোয়ারা মোড়, মকদমপুর সর্বত্রই ফুটপাত দখল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি শহরের একাধিক রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং-এর অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পর‌ও ইংরেজবাজার পুরসভার এই নিষ্ক্রিয়তা অবাক করেছে সকলকে। যদিও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং শুরু হয়েছে। তবে সক্রিয় পদক্ষেপ তেমন একটা নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ফুটপাত দখল করে রয়েছেন তাঁদের নিয়ে আমরা বৈঠক করব। ফুটপাত দখল মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ব্যবসায়ীদের এই বিষয়ে বোঝানো হবে।

হরষিত সিংহ