Tag Archives: Ganga Pollution

Ganga Pollution: জয়নগরের কাছে আবর্জনায় পূর্ণ গঙ্গা! বন্ধ হয়েছে স্নান, দুর্গন্ধে টেকা দায়

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগর-মজিলপুর পুর এলাকার মতিলাল গঙ্গায় রোজ ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। প্লাস্টিক জমে ছড়াচ্ছে দূষণ। এতে অতিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। সংলগ্ন স্কুলের ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকারাও এই সমস্যায় তিতিবিরক্ত।

জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই চিত্র যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীদের। এটা আবার পুরপ্রধানের ওয়ার্ডও। স্কুলের তরফে ইতিমধ্যেই জয়নগর-মজিলপুর পুরসভায় এই ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে ছাত্রীদের। যেভাবে প্রতিনিয়ত গঙ্গায় প্লাস্টিক থেকে শুরু করে খাবার ফেলা হচ্ছে তাতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। ক্ষতি হচ্ছে সকলের। জল ক্রমাগত কালো হয়ে যাচ্ছে। পুরসভা থেকে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি।

আর‌ও পড়ুন: জল জমার সমস্যা দূর করতে গিয়ে এ কী বেরিয়ে এল! দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন

এই প্রসঙ্গে জয়নগর-মজিলপুরের পুরপ্রধান সুকুমার হালদার বলেন, কিছু বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী নিয়ম না মেনে এইভাবে আবর্জনা ফেলে চলেছে গঙ্গা। আমরা মাইকিং করে সচেতনতার বার্তাও দিয়েছিলাম। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এই গঙ্গার কাছেই জয়নগর ইন্সস্টিটিউট অব গার্লস উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। স্কুলে যাওয়া আসার পথে দুর্গন্ধ নিত্যসঙ্গী ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকাদের। আবর্জনার গন্ধে সাধারণ পথচারীদেরও নাকে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। বাসিন্দারা বলেন, অসচেতনতাই এর জন্য দায়ী। এলাকার মানুষ চাইছে, পুরসভা এই বিষয়ে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করুক।

সুমন সাহা

Social Work: সাত বছর ধরে একাই আবর্জনা মুক্ত করছেন গঙ্গাকে! ব্যবসায়ীর কাণ্ড দেখে বিস্মিত হবেন

হাওড়া: হরেনবাবুর দেখানো পথেই গঙ্গা দূষণমুক্ত করতে নেমেছে দিলীপ, মিনাদের মত অনেকে। আদিকাল থেকে মাতৃরূপে গঙ্গাকে পুজো করা হয়ে আসছে। অন্যদিকে গঙ্গার উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন বহু মানুষ। তবুও তিলে তিলে নষ্ট হচ্ছে এই গঙ্গার নির্মলতা। নদীর স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ। নদী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চলছে গোটা দেশ জুড়ে। তবে শুধু সরকারের ভরসায় থাকলে তো চলবে না, নিজেদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই গত সাত বছর ধরে গঙ্গার বুক থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজ করে চলেছেন হরেন পাত্র।

এখানেই শেষ নয়, এই কর্মকাণ্ড তিনি ছড়িয়ে দিতে চান সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাই আত্মীয়-স্বজন থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের এই কাজে সামিল হ‌ওয়ার বার্তা দিয়ে চলেছেন অবিরাম। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মানুষ তাঁর কর্মকাণ্ড দেখে অনুপ্রাণিত। অনেকই এগিয়ে এসেছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার মত নানা কাজে সামিল হয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: ভুল চ্যানেল ব্যবহারে কাজে লাগছে না ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও! সমস্যায় মৎস্যজীবীরা

জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে ব্যবসায়ী হরেন পাত্র এই কর্মযজ্ঞ একা কয়েকজন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁকে দেখে বেশ কিছু মানুষ গঙ্গা বক্ষ থেকে দূষণ মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন নিজেদের সাধ্যমত। পেশায় ব্যবসায়ী হরেন পাত্র নিজের ব্যবসা সামাল দিয়েই এই কাজ করে চলেছেন। গঙ্গাকে পরিষ্কার করার কাজ করে তিনি পরম তৃপ্তি পান বলে জানিয়েছেন। হরেন’বাবুকে দেখে আর‌ও অনেকে গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার কাজে এগিয়ে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে হলেও হরেন’বাবু যে উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তা আজ অনেকটাই সফল। পাশাপাশি আমজনতা যাতে গঙ্গার বুকে আবর্জনা না ফেলে সেই সচেতনতার বার্তাও তিনি অবিরত দিয়ে চলেছেন।

রাকেশ মাইতি

ভাঙল বহু বছরের রেকর্ড; বারাণসীতে গঙ্গার এ কী হাল…! প্রমাদ গুনছেন বিজ্ঞানীরা

Reporter: Ravi Pandey

বারাণসী: চলতি বছর গরমের দাপট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যার জেরে বারাণসীতে গঙ্গার হাল খুবই শোচনীয়। গত বছর জুনের তুলনায় চলতি বছর জুনে গঙ্গা আরও এক ধাপ অর্থাৎ প্রায় ১৫ ফুট নীচে নেমে গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে, মাঝ গঙ্গার পাশাপাশি গঙ্গার ধারগুলিও যেন বালুকাময় হয়ে উঠছে। এমনকী, গঙ্গার বাঁধানো ঘাটগুলিতেও তৈরি হয়েছে বালিয়াড়ি। এখানেই শেষ নয়, গঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে আবার একসঙ্গে জমছে বালি এবং পলি। যে দৃশ্য প্রথম বারের জন্য দেখা যাচ্ছে। আর এহেন পরিস্থিতি দেখে প্রমাদ গুনছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এটা বিশ্বাস করতেও অসুবিধা হচ্ছে। তবে এটা অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন, নাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন– বিশ্বের সেরা কুড়ির তালিকায় উড়ান ভিস্তারার, পিছিয়ে নেই এয়ার ইন্ডিয়াও; দেখে নিন বিশ্বের সেরা এয়ারলাইন্সের তালিকা

বারাণসীতে গঙ্গার প্রায় চল্লিশটিরও বেশি ঘাটে এহেন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধিয়া ঘাট, সক্কা ঘাট, ললিতা ঘাট থেকে শুরু করে দশাশ্বমেধ ঘাট এবং পাণ্ডেয় ঘাট থেকে শিবালা ঘাট পর্যন্ত বালি এবং পলি জমে গিয়েছে। অস্সি ঘাট তো ইতিমধ্যেই প্রায় ঢেকে গিয়েছে বালি এবং কাদায়। তবে সর্বাধিক বালি এবং কাদা জমেছে দশাশ্বমেধ ঘাটে। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, এখানে আসা পর্যটক এবং ভক্তদের ঘাটের সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে বালি এবং কাদার মধ্যে দাঁড়িয়েই ছবি তুলতে হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, পর্যটক এবং ভক্তরা বালি ডিঙিয়েই নৌকায় উঠছেন। দশাশ্বমেধ ঘাটের সামনে সবুজ গাছপালার কারণে প্রায় দেড় কিলোমিটার বিস্তৃত বালিয়াড়ি তৈরি হয়েছে। আবার গাই ঘাট এবং রাজঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে ২ কিলোমিটার প্রশস্ত বালির জমেছে। ঘাটের ঠিক সামনে গঙ্গার একেবারে মাঝ বরাবর দীর্ঘ বালিয়াড়িও তৈরি হয়েছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে জলও। এই দৃশ্য রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে সকলের মনে। আসলে পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, সেটা খুব একটা যে ভাল নয়, তা আলাদা করে বলে দিতে হবে না।

আরও পড়ুন– বিমানবন্দর তৈরির প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে; মাটি খুঁড়তেই যা বেরিয়ে এল…! দেখে চমকে গিয়েছেন খননকারীরা

গঙ্গা বিজ্ঞানীদের মতে, গঙ্গার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সবথেকে বড় কারণ হল বাঁধগুলির জন্য গঙ্গার জল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আসলে গঙ্গা পরিশোধনের জন্য সরকারের সমস্ত প্রয়াস ব্যর্থ হচ্ছে। বিএইচইউ-এর গঙ্গা রিসার্চ সেন্টারের অধ্যাপক ড. বি ডি ত্রিপাঠী বলেন যে, এসটিপি প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। নিকাশি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টও তৈরি হয়েছে। সব কিছুতে কাজও হচ্ছে। কিন্তু গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়ার কারণে দূষণও বেড়েই চলেছে। গঙ্গায় জলের অভাবে নালার নিকাশ যা গঙ্গায় গিয়ে মেশে, তা দূষণ বাড়াচ্ছে।

বিগত ১০ বছরে গঙ্গা পরিশোধনের একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। কিন্তু এই সমস্ত প্রয়াসে জল ঢেলে দিচ্ছে গঙ্গার রেকর্ড জলের ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহের উপর নজর না দেওয়া হয়, তাহলে সমস্ত পরিকল্পনাই ব্যর্থ হবে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গা পরিশোধনের পাশাপাশি গঙ্গার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহের উপরেও নজর দেওয়া আবশ্যক।