গড় তাপমাত্রা বাড়লেই আগামী ৮০ বছরের মধ্যেই গলে যাবে হিমালয়ের দুই-তৃতীয়াংশ বরফ। আন্তর্জাতিক পর্বত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন ভয়ঙ্কর তথ্য। এই প্রথমবারের মতো তৃতীয় মেরুর বরফ গলার হারের উপর চালানো হল গবেষণা।আইসিআইএমওডির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির হার বর্তমানের ন্যায় অপরিবর্তিত থাকলে আগামী ৮০ বছরের মধ্যেই গলে যাবে হিমালয়ের এক-তৃতীয়াংশ বরফ।এই বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে পারলেও অর্ধেক বরফ গলে যাবে হিন্দুকুশ পর্বতমালার। আর এই তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেই গলে যাবে দুই-তৃতীয়াংশ বরফ।হিমালয়ের হিন্দুকুশ পর্বতমালার বরফ গলার এই দ্রুততার কারণেই আগামী ৪০ বছরের মধ্যে পুরোপুরি ভেসে যাবে এই অঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেকং-সহ প্রধান ১০টি নদী ও তাদের অববাহিকাগুলি।ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে এই অঞ্চলের আশে পাশের থাকা ভারত, পাকিস্তান, চিন, আফগানিস্তান, নেপাল, ভূটান-সহ ৮টি দেশের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। আর এই অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে সাময়িক প্লাবিত হলেও পরবর্তীতে আবার একেবারে শুকিয়ে যাবে নদীগুলো।আইসিআইএমওডির গবেষণার প্রতিবেদনে জানানো হয় এসব তথ্য। তৃতীয় মেরুর বরফ গলার হারের উপর চালানো এই গবেষণার সঙ্গে টানা ৫ বছর ধরে জড়িত ছিলেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ জন বিজ্ঞানী। তাদের চালানো এই গবেষণার প্রতিটি স্তর আবার পর্যবেক্ষণ করেছেন বিভিন্ন দেশের আরও ৩৫০ জন বিজ্ঞানী।উল্লেখ্য, আন্টার্কটিকা ও আর্কটিকের (সুমেরু ও কুমেরু) পর হিন্দুকুশ হিমালয়কেই পৃথিবীর ‘তৃতীয় মেরু’ বলা হয়ে থাকে।
বুক ভরে নিশ্বাস নিতে আর অপার শান্তি পেতে সকলের মন যেন মুখিয়ে থাকে। আপনার বেড়ানোর তালিকায় তাহলে রাখতে পারেন কোলাখাম।পাহাড়ের নির্জনতায় এক অপূর্ব গ্রাম। মনের শান্তি প্রাণের আরাম। পাহাড় বলতে যা কিছু চান, সবটা আছে এখানে।এনজেপি থেকে কোলাখামের দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে টানা গাড়িতে চলে যেতে পারেন কোলাখাম। যাওয়ার পথে যা দেখবেন সেটাও সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।কোলাখাম যখন যাবেন তার প্রধান আকর্ষণ হল ছাঙ্গে জলপ্রপাত। সেটা দেখতে কিন্তু একেবারেই ভুলবেন না।নেওরাভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের এলাকায় কোলাখাম। এই রাস্তা দিয়েই অনেকে ট্রেকিং করেন। কাজেই আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন তাহলে তো কথাই নেই।কোলাখামে ১৫টার মতো হোমস্টে আছে। ভাড়া ৪ সজ্জার ঘর ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। সারাদিন রাত এর খাবার খরচ ৫০০ টাকা জন প্রতি দিন প্রতি।
ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল হিমালয় পর্বতমালার। প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। তবে এবার নাকি সেই প্রচলিত ধারণা বদলে যেতে পারে!একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, সম্প্রতি ভারতীয় টেকটোনিক প্লটে যে কাণ্ড ঘটছে তাতে হিমালয়ের সৃষ্টি নিয়ে ধারণা বদলে যেতে পারে।ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট তিব্বত মালভূমির নীচে দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। যার ফলে যে কোনও সময় ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা হতে প্রায় ৮-এর কাছাকাছি।সান ফ্রান্সিসকোর আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন কনফারেন্সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ক্রমশ উত্তরে সরে যাচ্ছে।ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট উত্তরে সরে যাওয়ার ফলে ঘর্ষণ হচ্ছে ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে। যা কি না বিপজ্জনক।ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান প্লটের এই ঘর্ষণের ফলে হিমালয়ের নিচের অংশে চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ভারতীয় প্লেটের এই সরে যাওয়া বড় বিপদের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভূমিকম্পের আশঙ্কা কোন সময়ে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারছেন না কেউই।