Tag Archives: Indipendence Day 2024

14 Students at UP School Fall Sick:স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন স্কুলে দুর্ঘটনা , উত্তরপ্রদেশে অসুস্থ ১৪ শিশু

হারদোই: স্বাধীনতার দিনের ঘটনা৷ স্বাভাবিক নিয়মেই উত্তরপ্রেদেশের হারদোইয়ের এক স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলিত করা হয়৷

তারপর প্রতিবারের মতোই বাচ্চাদের জিলিবি বিতরণ করা হয়৷ বিপত্তি ঘটে সেখান থেকেই৷ এই ঘটনায় প্রায় ১৪ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে৷

আরও পড়ুন: ৬৩ বছরের বৃদ্ধাকে বলিউডের কুর্নিশ, শুনে নিন সফলতার এক অসাধারণ গল্প

ঘটনাটি ঘটে, হারদোইয়ের কছাউনা ব্লকের নেরে কম্পোজিট বিদ্যালয়ে৷ সেখানে ৫ থেকে ১০ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে জিলিবি বিতরণ করা হয়৷

আরও পড়ুন: ইসরোর মুকুটে যোগ আরও এক নতুন পালক, স্বাধীনতার পরের দিনই সফল উৎক্ষেপণ SSLV-র, দেখে নিন সেই ভিডিও

খাওয়ার পরই ওদের পেটে যন্ত্রণা ও তার সঙ্গে বমি হওয়া শুরু হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের নিকটবর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷

শিশুদের দেখতে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছান সাব-ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ডাঃ অরুণিয়া শ্রীবাস্তব৷ দু’ঘণ্টার পর সেখানে পৌঁছান এসডি আই কৃষ্ণকুমার ত্রিপাঠিও৷

সংকটকালে শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন না৷ সেই নিয়ে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন৷

Cooch Behar News: প্রথমে স্বাধীন ভারতের অংশ ছিল না কোচবিহার! কীভাবে বাংলার জেলা হল এই রাজন্য স্টেট, জানুন চমকপ্রদ ইতিহাস

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ইংরেজ শাসন থেকে সম্পূর্ণ রূপে মুক্তি পায় ভারতবর্ষ। দুই শতকের বেশি সময়ের ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি ঘটে ওইদিন। তবে বর্তমান ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল কিন্তু তখনও পর্যন্ত স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। পরবর্তী সময়ে সেই সমস্ত জায়গায় সংযুক্তি ঘটে ভারতের মধ্যে। এই সমস্ত জায়গার মধ্যে তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যেরও নামও রয়েছে। এখনকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলা কোচবিহার আগে কিন্তু একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। কোচবিহারের তৎকালীন মহারাজার সঙ্গে ভারত সরকারের মার্জার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয় ১৯৪৯ সালে ২৮শে অগাস্ট। এই এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে কোচবিহার রাজ্য ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রূপে স্থান নেয় স্বাধীন ভারতের মধ্যে।

কোচবিহারের ইতিহাস অভিজ্ঞ এক ব্যক্তির ঋষিকল্প পাল জানান, “১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটে। রেড ফোর্টের মধ্যে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন ভারতের তেরঙা পতাকার। তবে তৎকালীন কোচবিহার রাজার রাজ্য কোচবিহার স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়নি সেই সময়। পরবর্তী সময়ে ভারত সরকারের সঙ্গে মার্জার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে কোচবিহার রাজ্য স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। মোট নয়টি পয়েন্ট নিয়ে এই মার্জার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয় ১৯৪৯ সালের ২৮ আগস্ট। তবে আবার ৩০ আগস্ট সেই এগ্রিমেন্টের স্ক্রুটিনি করা হয় এবং তখন মোট ১৪টি পয়েন্ট করা হয় এই এগ্রিমেন্টের মধ্যে।”

আরও পড়ুন : ঝাঁঝরা হবে শরীর! এই খাবারগুলির সঙ্গে উচ্ছে বা করলা খেলেই দফারফা সুস্থতার! তেতোর সঙ্গে ভুলেও মুখে দেবেন না কী কী, জানুন

তিনি আরও জানান, “প্রথমে কোচবিহার রাজ্য স্বাধীন ভারতের একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রূপে স্থান নেয় ভারতে। তারপর পরবর্তী সময়ে কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তাই কোচবিহারকে একটি জেলা রূপেই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও কোচবিহারের রাজ পরিবারের সদস্যদের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বার্ষিক অর্থ প্রদান করা হত সেই সময়। সেই অর্থের পরিমাণ নেহাত কম ছিল না সেই সময়ের হিসেবে।”

Indipendence Day 2024: ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিপন্ন জীবন, বীরাঙ্গনা হয়েও ব্রাত্য সাবিত্রীবালা

তমলুক : ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের এক অজানা নাম সাবিত্রী দেবী। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরাকে সবাই চেনেন। কিন্তু আর এক বীরাঙ্গনার কথা খুব একটা মানুষ জানে না। কিন্তু ৪২-এর অগাস্ট আন্দোলনের সময়েরও ভূমিকা ছিল অপরিহার্য! পেশাগত কারণে তাঁরা সমাজে ‘পতিতা’ ছিলেন। কিন্তু তা সত্বেও দেশসেবায় নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বদেশি আন্দোলনে। এই মহিলার জীবনকাহিনি শুনলে অবাক হবেন। তাঁর নামও উল্লেখের দাবি রাখে ইতিহাস। তিনি হলেন সাবিত্রীবালা দেবী।

ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে সেদিন অসংখ্য দেশপ্রেমিক রক্তাক্ত হয়ে, আহত হয়ে মাটিতে পড়ে একফোঁটা জলের জন্য বুকফাটা কান্নায় কাতরাচ্ছেন। সেই আর্তনাদের খবর পেয়েই স্থানীয় এক গ্রাম্য মহিলা, যাঁর নাম সাবিত্রী দেবী, তিনি সমস্ত মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে, ছুটে গিয়েছিলেন তমলুক থানার কাছে শঙ্করআড়া পোলেতে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকা আহত, রক্তাক্ত বিপ্লবী দেশপ্রেমিকদের মুখে তুলে দিয়েছিলেন পরম যত্নে পিপাসার জল। নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন সেই দেশমাতৃকার সন্তানদের সেবা-শুশ্রূষায়। আহতদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্তও তিনি করেছিলেন।

সাবিত্রীদেবী যখন আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করছেন, তখন ব্রিটিশ পুলিশকর্মীরা  রাইফেল উঁচিয়ে সাবিত্রীদেবীকে ভয় দেখিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুঙ্কারও দিয়েছিল বার বার। ইংরেজ পুলিশবাহিনী বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে আসে। সাবিত্রীদেবীও বাড়ি থেকে ঝাঁটা ও বঁটি হাতে ইংরেজ বাহিনীর দিকে এগোতে থাকেন। তাঁর সঙ্গে আরও অনেক বীরাঙ্গনা  বঁটি ও ঝাঁটা হাতে ইংরেজ বাহিনীকে ধাওয়া করে। অকুতোভয় সাবিত্রীদেবীকে তাঁরা সেদিন দমাতে পারেনি। তাঁর সেই রণংদেহী মূর্তি দেখে ইংরেজ পুলিশ বাহিনীও সেদিন থমকে গিয়েছিল। অথচ বীরাঙ্গনা সাবিত্রী দেবী ছিলেন তথাকথিত সমাজচ্যুত এক বারাঙ্গনা নারী। এই ঘটনা সেদিন সারা বাংলা তথা সারা ভারতবর্ষকে বিস্মিত করেছিল। একজন অবহেলিত, অপমানিত, উপেক্ষিত, গ্রাম্য দরিদ্র মহিলা কীভাবে বীরাঙ্গনায় রূপান্তরিত হন— তার প্রামাণ্য নিদর্শন দেখে।

আরও পড়ুন : ঢাকায় ক্ষোভের আগুনে ভস্মীভূত জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড ‘জলের গান’-এর প্রধান শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি, পুড়ে ছাই দলের সব বাদ্যযন্ত্র, গানের নথি থেকে আসবাবপত্র

এই প্রসঙ্গে সেই যুগের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকাগুলিতে সাবিত্রীদেবীর বীরগাথা নিয়ে চারণকবির একটি কবিতাও প্রকাশ হয়।যদিও এহেন বীরাঙ্গনা নারীর শেষ জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টের। চরম দারিদ্রে কাটে তাঁর জীবন। একটি হতশ্রী মাটির ঘরে, মাটির উনুন, ভাঙা তোবড়ানো একটি অ্যালুমিনিয়ম থালা, শতচ্ছিন্ন কাপড়জামা, কোনওদিন খেতে পেতেন, আবার কোনওদিন ছিল নিরম্বু উপোস। এই ছিল তাঁর দৈনন্দিন জীবন। সবশেষে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সেই বীরাঙ্গনা ১৯৯২ সালে চিরঘুমে পাড়ি দেন ফেরার দেশে।