Tag Archives: Kedarnath Temple

Kedarnath Temple: বাংলাতেই রয়েছে ‘কেদারনাথ মন্দির’, বিশ্বাস হচ্ছে না? দেখুন ডক্টর কৌশিকের কাণ্ড!

মুর্শিদাবাদ: অনেকেই দ্বাদশ জ্যোতিলিঙ্গ দর্শন করতে যেতে পারেন না। আমাদের মধ্যে কমবেশি সকলের কাছে এক কথায় ড্রিম ডেস্টিনেশন কেদারনাথ মন্দির। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়াল হিমালয় পর্বতে অবস্থিত।

কেদারনাথ শহরে মন্দাকিনী নদীর তীরে স্থাপিত এই শিব মন্দির। এখানকার তীব্র শীতের জন্য মন্দিরটি কেবল এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে। শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ছ’য় মাসের জন্য উখিমঠে নিয়ে গিয়ে পুজো করা হয়। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল কেদারখণ্ড।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে ৫ দিনেও জ্বর না কমলে মৃত্যু পর্যন্ত সম্ভব! কীভাবে বাঁচবেন-কী করবেন? রইল ডাক্তারের পরামর্শ

তাই এখানে শিবকে কেদারনাথ নামে পুজো করা হয়। তবে অনেকের পক্ষে এই কেদারনাথ যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে এবার পেশায় চিকিৎসক কৌশিক সেনগুপ্ত নিজের বাড়িতেই তৈরি করেছেন কেদারনাথ মন্দির। আর বাড়ির কেদারনাথ মন্দির দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের বিজয়নগরে অবস্থিত রয়েছে এই কেদারনাথ মন্দির।

আরও পড়ুন: আপাতত বৃষ্টির বিরাম নেই গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে, কবে কাটবে দুর্যোগ? আবহাওয়ার বড় খবর

সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরটি। কেদারনাথ থেকে ঘুরে এসেই সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই মহাদেবের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই কেদারনাথ মন্দির। পেশায় আয়ুবেদিক চিকিৎসক কৌশিক সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, শিব ভক্তদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই তীর্থক্ষেত্র। এখন অনেক লোক রয়েছেন, যাঁরা এখনও পর্যন্ত কেদারনাথ মন্দির দর্শন করার সুযোগ পাননি। তাই তাঁর ইচ্ছে ছিল নবাবের জেলার মাটিতে একটি কেদারনাথের আদলের শিব মন্দির তৈরি করবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তাই মন্দির তৈরি করা হয়েছে ভক্তদের জন্য।

কৌশিক অধিকারী

Kedarnath: সাইকেলে চেপে কেদারনাথ, ঘুরে এল মন্দিরবাজারের তিন যুবক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মনের ইচ্ছাপূরনে সাইকেল নিয়ে কেদারনাথ যাত্রা ঘুরে এল মন্দিরবাজারের ৩ যুবক। বিপ্লব সরদার, ছোট্টু পুরকাইত ও মেসি পুরকাইত-দের এই কাণ্ড ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে। এর আগে পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা ছিল না ওই যুবকদের।

সাইকেল নিয়ে যাত্রার কথা প্রথম মাথায় আসে বিপ্লবের। তিনিই অন্য বন্ধুদের কথাটা বললে সবাই রাজি হয়। সেই থেকে শুরু হয় এই যাত্রা‌র প্রস্তুতি। চারধাম যাত্রা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণ করতে প্রতিবছর ছুটে যান লাখ লাখ পূণ্যার্থী। এই চারধামের মধ্যে শোনা যায় কেদারনাথে স্বর্গ থেকে হাওয়া আসে। সেই হাওয়াই এবার খেয়ে দেখবেন।

আর‌ও পড়ুন: এই গরমে চড়ুইভাতি! অবাক কাণ্ড অধ্যাপকদের

২৩ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ওই যুবকরা। সেই সময় তাঁদের বিদায় জানাতে অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রায় একমাস সাইকেল চালিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছন। পথে একাধিক ছোট বাধা এসেছিল। তবে তাঁদের উদ্যমের কাছে সেই বাধা হার মানে। সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ফিরে এসে এক অন‍্য জগৎকে উপলব্ধি করেছেন তাঁরা।

বাড়ি থেকে তারা যখন সাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন তখন পাশে পেয়েছিলেন বাবা, মা ও গ্রামবাসীদের। তবে ফিরে আসার সময় পরিচিতির বৃত্ত টা অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে ছোট্টু পুরকাইত জানান, অজানাকে জানতে বের হয়েছিলেন। জেনেছেন অনেককিছুই।‌ দিয়েছেন সামাজিক কিছু বার্তা। তাঁদের এই অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করে আর‌ও অনেকে এমন পথে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নবাব মল্লিক

Kedarnath Journey: অপূর্ণ ইচ্ছেকে ছুঁতে স্কেটিং করে কেদার ভ্রমণ বাংলার পড়ুয়ার

কোচবিহার: দীর্ঘ সময় থেকেই ইচ্ছে ছিল কেদারনাথ পর্যন্ত যাত্রা করার। কিন্তু কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় তা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। কারণ আর্থিক সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। তবে মনে ছিল তাঁর অদম্য ইচ্ছে শক্তি। তার‌ই জোরে অবশেষে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বিষ্ণুদেব সিংহের ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে। তবে যে সে ভাবে নয়, স্কেটিং করে তিনি কেদারনাথ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান, শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা’র বার্তা নিয়ে স্কেটিং করেই কি জান্নাতের দিকে যাত্রা করেছে এই পড়ুয়া। মাথাভাঙা-২ ব্লকের পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের টাউরিকাটা এলাকায় বাড়ি বিষ্ণুদেব সিংহের। যুবকের এই কীর্তির সাক্ষী থাকতে এলাকার প্রায় সকল বাসিন্দারা এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর বাড়ির সামনে।

আরও পড়ুন: আম, লিচুর অভাব মেটাচ্ছে হলুদ তরমুজ! চেখে দেখুন, স্বাদে মজে যাবেন

বাড়ির থেকে যাত্রা শুরুর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা সহ বহু মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। বিষ্ণুদেব সিংহ জানান, অনেকেই হেঁটে কিংবা সাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যান। কখনও কোনও বার্তা নিয়ে, কখনও বা শখের বশে। তাই সে স্কেটিং করে কেদারনাথ পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি লক্ষ্য সমাজের জরুরি বার্তাগুলো যাত্রাপথে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বিষ্ণুর বাবা রবি দেব সিংহ জানান, তাঁর ছেলের দীর্ঘ সময়ের ইচ্ছাকে পূরণ করতে তিনি যথা সম্ভব তাকে সাহায্য করেছেন। ছেলের ইচ্ছে শক্তির বশেই সে এই কঠিন কাজ করে দেখাতে পেরেছে। ভবিষ্যতে ছেলে আরও অনেকটাই সাফল্য অর্জন করুক এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর।

সার্থক পণ্ডিত