Tag Archives: Lionel Messi

নতুন জীবন দান পেল আর্জেন্টিনা! স্বপ্ন অনেক দূর দেখছি, কথা দিলেন মেসি

#দোহা: হেরে বিদায় নিতে হবে না তো বিশ্বকাপ থেকে? মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে থেকে এমন সম্ভাবনা কিন্তু ছিল প্রবলভাবে। বিশেষ করে সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার জঘন্য পারফরমেন্স সমর্থকদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নরা জানেন কিভাবে ফিরে আসতে হয়।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে আগে বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হলেও তার আগে দুবার হেরেছেন চিলির কাছে ফাইনালে। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে হার। তাই আশঙ্কা একটা ছিলই মনের মধ্যে। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটা মেক্সিকোর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে এমন নয়।

আরও পড়ুন – ফিনিক্স পাখির মতো কামব্যাক আর্জেন্টিনার, মেসি এবং এনজোর গোলে পরাজিত মেক্সিকো

বরং বেশ লড়াই দিচ্ছিল মেক্সিকানরা। একটা দুটো হাফ চান্স ছাড়া কিছু করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলার স্টাইল পরিবর্তন করে জায়গা বদল করতেই মেক্সিকো দিশা হারিয়ে ফেলে। ৬৪ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত গোল বিশ্বাস দিল আর্জেন্টিনা শিবিরকে। গোল পেয়ে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনাকে আর আটকাতে পারিনি মেক্সিকো।

এরপর কয়েকটা পরিবর্তন করে আর্জেন্টিনার খেলার গতি বাড়িয়ে দেন কোচ স্কালোনি। ৮৭ মিনিটে সেই পরিবর্তনের ফলেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় নীল সাদা। এনজোর গোলটা মেসির থেকেও বেশি দর্শনীয়। অবশেষে লিওনেল মেসি জানিয়েছেন, প্রথমার্ধে মেক্সিকোর স্টাইল বুঝে নিতে চেয়েছিলেন তারা। আত্মবিশ্বাস ছিল দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেয়ে যাবে দল। সেটাই হয়েছে।

তবে এদিন আর্জেন্টিনা ডিফেন্স অসাধারণ পারফর্ম করেছে। মেসি জানিয়েছেন ফুটবল জীবনের মত। ঈশ্বর আরও একটা সুযোগ দিয়েছেন। বিশ্বকাপে তারা টিকে রয়েছে। এখন লক্ষ্য নিজেদের মনোযোগ ধরে রেখে গ্রুপের শেষ ম্যাচ পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও ৩ পয়েন্ট পাওয়া। তাহলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যাবে।

পাশাপাশি নিজের স্ত্রী এবং ছেলেদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিও। সৌদি ম্যাচের পর তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করার জন্য পরিবারের অবদান উল্লেখ করেছেন মেসি। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গ্যালারিতে ছিলেন মেসির স্ত্রী এবং তিন ছেলে। বিশেষ করে দলের জুনিয়র ফুটবলারা যে তাগিদ দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। জানিয়ে দিয়েছেন স্বপ্ন অনেক দূর, কিন্তু একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান।

মেসি ম্যাজিশিয়ান, কিন্তু আমাকে গোল করতে পারবে না! চ্যালেঞ্জ `মেক্সিকোর প্রাচীরের’

#দোহা: লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার সামনে মেক্সিকোর ভরসা তিনি। বয়স হয়েছে, কিন্তু পুরনো অভ্যাস বদল হয়নি। ক্লাব ফুটবলের মতোই তাঁর আন্তর্জাতিক ফুটবলের পথচলা। সারা বছর আহামরি কিছু নেই। কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই যেন মেক্সিকান দেওয়াল হয়ে যান ৬ ফুট উচ্চতার এই গোলকিপার। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর ২০১৮ বিশ্বকাপে জার্মানির পর এবার কাতারেও প্রমাণ করেছেন, তাঁর দেয়ালের কত ক্ষমতা।

লা লিগায় এক মরশুমে (২০১৬-১৭) সবচেয়ে বেশি ৮২ গোল হজমের ‘রেকর্ড’টা গিয়ের্মো ওচোয়ার। আবার ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এক মরশুমে সবচেয়ে বেশি সেভের কীর্তিও এ মেক্সিকান গোলরক্ষকের। মেক্সিকো যে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে, তার মূলে ছিলেন ওচোয়াই।

আরও পড়ুন – জাতীয় সংগীত গাওয়া ইরানি ফুটবলারকে খোঁচা মারা প্রশ্ন ব্রিটিশ সাংবাদিকের! ধুয়ে দিলেন কোচ কার্লোস

সেদিন রবার্ট লেভানডফস্কির পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন ওচোয়া। ৩৭ বছর বয়সী এই গোলকিপারের সামনে এবার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। মালাগা ও গ্রানাডায় খেলেছেন, তাই মেসির খেলার সঙ্গে ভালোই পরিচিতি আছে। ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে আছে মুগ্ধতাও। মেসি তাঁর চোখে ‘ফুটবল ইতিহাসের সেরা যদি না–ও হন, অন্যতম সেরা।

কেন অন্যতম বিশ্বসেরা, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, মেসি জাদু জানে। দেখা গেল ম্যাচে সে কিছুই করছে না। কিন্তু হুট করেই মিনিটের মধ্যে একটা গোল করে দিতে পারে। ওচোয়া মনে করেন আজ মেক্সিকোর বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনা চাপে থাকবে কারণ তাদের প্রত্যাশা বেশি। মেক্সিকোর এই তরুণ দলটা অনেক হিসেব বদলে দিতে পারে মনে করেন তিনি।

মেসিকে সম্মান করলেও আজ তাকে টপকে ফুটবল সুপারস্টারের গোল করা কঠিন জানিয়ে রাখলেন ওচোয়া। এই লড়াইতে পেছন থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে চান বুড়ো ওচোয়া। অতীতে অনেক দলের মত আজ আর্জেন্টিনাও তার হাতে আটকে যায় কিনা সেটাই দেখার।

মেসিকে ব্যাঙ্গ ও কু-কথা! ব্যাপক সংঘর্ষ আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো সমর্থকদের, ভাইরাল ভিডিও

#দোহা: সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। মেসির দলের পরবর্তী দুটি ম্যাচ কার্যত ডু অর ডাই। এই পরিস্থিতি আগামি ২৭ তারিখ ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটায় মেক্সিকোর মুখোমুখি হতে চলেছে নীল-সাদা ব্রিগেড। গ্রুপ সি-তে মেক্সিকো তাদের প্রথম ম্যাচ ড্র করেছে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ফলে জয় দরকার ওচোয়াদেরও।

মাঠে মেসি ও ওচোয়াদের মুখোমুখি হওয়ার আগে মাঠের বাইরে সম্মুখ সমরে দুই দলের সমর্থকরা। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকোর ফ্যানেরা। একে অপরের চড়াও হয় বেশ কিছি উন্মত্ত সমর্থক। যেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ঝড়ের গতিতে। সেখানে পরিষ্কার দেখা যায় ব্যাপক মারামারি। ঘটনায় দুই দেশেরই বেশ কিছু সমর্থক আহত হয়েছেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মেক্সিকান সমর্থকরা আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে ব্যঙ্গ করছেন ও কু-কথা বলে। অন্যদিকে আর্জেন্টাইনরাও ছেড়ে কথা বলেননি। দোহার আল বিদ্দা পার্কে এই সংঘর্ষ বাঁধে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় দুই দেশের সমর্থক একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। লাথি, ঘুষি সবই চলছে। আশে পাশে সেভাবে পুলিস দেখা যায়নি। পরে আহতদের প্রাথমিক চিকৎসা করেন ফুটবল ফ্যানেরাই।

 

আরও পড়ুনঃ নাম মাত্র পোষাকে উন্মুক্ত স্তনযুগল, কাতারে ক্রোটদের সুপার হট অ্যান্ড সেক্সি ফ্যান

 

প্রসঙ্গত, ২৭ তারিখ ম্যাচ থেকে তার দল যে ঘুড়ে দাঁড়াবে, আসল আর্জেন্টিনাকে দেখা যাবে সেই কথা জানিয়েছেন লিওনেল মেসি। মারাদোনার প্রয়াণ দিবসেও দলকে পেপ টক দিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। প্রস্তুতিতেও কোনও খামতি রাখছেন না স্কালোনি। মেক্সিকো ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয় দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মেসি ও আর্জেন্টিনা সমর্থকরা।

 

রাস্তার ঝাড়ুদার থেকে মেসির আর্জেন্টিনা বধের নায়ক! কোচ রেনার্ড যেন ফুটবলের মিরাকেল ম্যান

#দোহা: ফ্রান্সের গ্রামে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। কিন্তু ছোট থেকেই ফুটবল নিয়ে বাঁচতে শেখা হার্ভে রেনার্দের। একটা সময় সংসার চালাতে ঝাড়ুদার হয়েছেন, কাজ করেছেন বাস কন্ডাক্টার হিসেবে। আজ সেই কোচ ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সৌদি আরবের হয়ে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিয়ে। বিশ্বকাপে সৌদি আরব এর আগে হারিয়েছিল মরক্কো, বেলজিয়াম, মিসরকে।

দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে তারা পেয়েছে বিশ্বকাপ ইতিহাসের চতুর্থ জয়। বিশ্বকাপে এটাই যে তাদের সেরা সাফল্য, সেটা না বললেও চলছে। কোচিং ক্যারিয়ারে এমন সাফল্য রেনারের জন্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে একমাত্র কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে আফ্রিকা কাপ অব নেশনস জিতেছিলেন এই ফরাসি কোচ।

রেনারের কোচিং ক্যারিয়ারও শুরু ফ্রান্সের ক্লাব দ্রাগিনিয়াঁর হয়ে। পর ইংল্যান্ডের চতুর্থ ডিভিশন ক্লাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ড্রেসিংরুমে তাঁর ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট’ দক্ষতা তখনই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল।রেনার আসল চমকটা দেখান জাম্বিয়ার কোচ হয়ে। নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই কাপ অব নেশনসের ফাইনালে আইভরিকোস্টকে হারিয়ে শিরোপা জেতে জাম্বিয়া। এরপর আইভরিকোস্টের হয়েও একই শিরোপা জেতেন রেনার।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ছিলেন মরক্কোর কোচ। সেবার রেনারের হাত ধরেই কুড়ি বছর পর বিশ্বকাপে খেলেছিল মরক্কো। তারপর যোগদান সৌদি আরবের ম্যানেজার হিসেবে। রেনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাছাইপর্ব পার করে সৌদি আরবকে বিশ্বকাপের টিকিট এনে দেওয়ার। সেটা তো রেনারই করেছেনই, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই যা করেছে তাঁর দল, সেটা তো এখন জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়ই।

হার্ভি রেনারের কি সেই সময়ের কথা মনে আছে? যে সময়ে সারা রাত ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করে আবার সূর্য উঠতেই ছুটে যেতেন ফুটবল নিয়ে, স্বপ্ন পূরণ করতে। যে স্বপ্নের খোঁজে সেই দিনগুলোয় ছুটে বেড়াতেন, আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সে স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে? উত্তরটা রেনারই ভাল দিতে পারবেন।

তবে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হোক না হোক, তাঁর হাত ধরেই সৌদি আরব পেয়েছে স্বপ্নের মতো সাফল্য, সেটা নিশ্চিত। কিন্তু শুধু আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে থেমে থাকতে চান না সৌদি আরবের ফরাসি কোচ। পড়শি দেশ কাতারের মাটিতে আরও চমক দেখানোর অপেক্ষায় তিনি।

মেসির হুঙ্কার! হেরেছি, রক্তাক্ত হয়েছি কিন্তু ঘুরে দাঁড়াব, স্বপ্ন দেখা ছাড়ছেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক

#দোহা: এই লিওনেল মেসি আগের থেকে যেন অনেক আলাদা। আসলে বয়সের সঙ্গে মানুষ অনেক কিছু শেখেন। এই মেসি অনেক ধীর স্থির এবং লক্ষ্যের প্রতি অবিচল। সৌদি আরবের কাছে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলেও যিনি মানতে রাজি নন আর্জেন্টিনার সব আশা শেষ। বরং মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিচ্ছেন লিও মেসি।

আর্জেন্টিনার অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন সৌদি ম্যাচ অতীত। এবার আর্জেন্টিনার দেখিয়ে দেওয়ার পালা তাদের আসল ক্ষমতা। সমর্থকদের ভরসা রাখতে বলেছেন। কথা দিয়েছেন এখান থেকেই চাকা ঘুরিয়ে দেবেন। লুসাইল স্টেডিয়াম চুপ হয়ে যায় আর্জেন্টিনা হারার পর। ট্রফির দাবিদার থাকা এই দলকে অনেকেই প্রথম ম্যাচের পর হিসাবের বাইরে ফেলে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন – লজ্জায় মুখ ঢাকলেন মেসি, শুয়ে পড়লেন ডি মারিয়া ! অবাক হারের পর দেখুন আর্জেন্টিনা শিবিরের ছবি

সেই নিয়ে মেসি বলেছেন, জানি অনেক মানুষ আমাদের উপর ভরসা করেন। শুধু আমি বা দল নয়, এটা সব সমর্থকদের কাছে বিরাট একটা ধাক্কা। কখনও ভাবতে পারিনি হেরে যাব। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমরা সমর্থকদের মিথ্যা বলে এখানে আসিনি। আগেও অনেক ম্যাচ খেলেছি। আজও খুব একটা খারাপ খেলিনি। আশা করি এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এটাই সেরা সময়।

মেসি বলেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে মনে হয়েছে আমরা একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিলাম। প্রথম দিকে যেটা ঠিকঠাক ভাবে করছিলাম সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওদের খেলার জায়গা দিয়ে দিয়েছি। ওদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছি। মেসির মতো আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি মনে করছেন ম্যাচের অধিকাংশ সময় দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু সৌদির মরিয়া ডিফেন্স ভাঙতে সক্ষম হয়নি তারা।

অফসাইড নিয়ে কিছু বলতে চান না। খালি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে দল ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকতে পারে তাদের এত সহজে মুছে ফেলা যাবে না। অর্থাৎ ইঙ্গিত স্পষ্ট আর্জেন্টাইন শিবিরে। প্রত্যেকের চোয়াল শক্ত। বেঁচে থাকার একটাই উপায় মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারানো।

এটাই এখন আর্জেন্টিনার ধ্যান জ্ঞান। মেসি এবং কোচ বিশ্বাস করছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ এবার শুরু হবে। সমর্থকদের তারা হতাশ করবেন না। আজকের হার শুধুমাত্র একটা অ্যাক্সিডেন্ট। আর্জেন্টিনার রক্তাক্ত হয়েছে কিন্তু মরে যায়নি।

FIFA World Cup 2022: মঙ্গলে বিশ্বকাপ শুরু মেসির, মারাদোনাকে ছুঁতে পারবেন কী মেসি?

#কলকাতা: মঙ্গলে বিশ্বকাপ শুরু মেসির। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে ট্রফি জয়ের স্বপ্নে বুঁদ লিও। আর্জেন্টাইন তারকা কী পারবেন অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে? জার্মানির বিরুদ্ধে আট বছর আগে ১১৪ মিনিট লড়াইয়ের পর স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ফুটবল দুনিয়ার নতুন রাজপুত্রের। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গোলে সেই হার চোখে জল এনে দিয়েছিল মেসির।‌‌ বিশ্বকাপ ট্রফিটা ছোঁAয়া হয়নি। ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেই ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল।

এবার কার্যত শেষবার সেই অধরা স্বপ্নের সন্ধানে নিয়েই কাতারে লিও। মেসির বয়স এখন ৩৫। আর্জেন্তিনাকে কোপা আমেরিকা জেতানোর পর মেসি চাইবেন অধরা বিশ্বকাপটাও ছুঁতে। ফুটবলের তামাম রেকর্ড ভেঙে দেওয়া, সাতটি ব্যালন ডি’অর খেতাবজয়ী মেসির দিকে বিশ্ব ফুটবলের নজর। বাঁ পায়ের জাদু দেখার অপেক্ষায় মেসি ও আর্জেন্টিনা ভক্তরা। কাতারে মেসিকে নিয়ে কৌতুহল তুঙ্গে। কি করছেন, কি খেলেন জানতে চায় গোটা দুনিয়া।

 

মেসির পায়ের দাম নিয়ে বিশ্বজুড়ে চর্চা। আর্জেন্টিনার প্র্যাকটিসে উপচে পড়া ভিড়। বিশ্বের প্রায় সব দেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা একবার ক্যামেরাবন্দি করতে চাই মেসিকে। যদিও নিন্দুকেরা অনেকে বলেন ক্লাবে সফল মেসি নাকি দেশের জার্সিতে ততটা সফল নয়। তবে পরিসংখ্যান বলছে মেসির ম্যাজিক বিশ্বকাপেও রয়েছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে মেসি খেলেছেন ১৯টি ম্যাচ। মেসির পা থেকে এসেছে ৬টি গোল। করেছেন ৫টি অ্যাসিস্ট।

 

আরও পড়ুন –  USA vs Wales: অভিজ্ঞ বেলে চমৎকার পারফরম্যান্স , আমেরিকাকে আটকে দিল ওয়েলস

জার্মানিতে ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল মেসির। ৩ ম্যাচ খেলার পাশাপাশি তিনি করেছিলেন ১টি গোল ও ১টি অ্যাসিস্ট। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো ছিল না মেসির জন্য। ২০১৪ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪টি গোল করেছিলেন মেসি। তাই ফের একবার মেসিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু মেসি ভক্তদের। প্রার্থনা, আরও একবার ফিরে আসুক ২০১৪ সালের মেসির সেই ফর্ম। তবে এবার যেন স্বপ্ন অধরা না থেকে যায়। বিশ্বকাপ হাতে মেসিকে দেখতে চায় গোটা বিশ্বের ভক্তকুল।

 ERON ROY BURMAN

গোটা লাতিন আমেরিকার জনসংখ্যার থেকে বেশি মেসির সোশ্যাল মিডিয়া ভক্ত! অনন্য রেকর্ড ম্যাজিশিয়ানের

#রোজারিও: বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই মেসিকে টেক্কা রোনাল্ডোর। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুগামীদের সংখ্যায় মেসিকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থানে রোনাল্ডো। দ্বিতীয়স্থানেই মেসি। লিওনেল মেসির অনুগামীর সংখ্যা গোটা দক্ষিণ আমেরিকার জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। তার বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুগামীর সংখ্যা ৪৭ কোটি ৬০ লক্ষ।

অর্থাৎ যার থেকে বোঝা যায় বিশ্বব্যাপী তার  অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা ও প্রভাব। আর্জেন্টিনার বর্তমানে জনসংখ্যা ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ। অর্থাৎ মেসির অনুগামীদের সংখ্যা আর্জেটিনার জনসংখ্যার ১০ গুন।  আর্জেন্টাইন তারকা আর্জেন্টিনার পাশাপাশি স্পেন, ফ্রান্সে ফুটবল খেলেছেন। এই সব দেশের জনসংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৬ লক্ষ ( আর্জেন্টিনা ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ, স্পেন ৪ কোটি ৭৩ লক্ষ, ফ্রান্স ৬ কোটি ৭৫ লক্ষ )।

আরও পড়ুন – দলের সেরা স্ট্রাইকারকে ছাড়াই আজ সেনেগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানে মরিয়া ডাচরা

মেসির অনুগামীর সংখ্যা এর থেকে ৩০ কোটি বেশি। গোটা দক্ষিণ আমেরিকার জনসংখ্যা ৪৩ কোটি ৯০ লক্ষ। ফলে মেসির সঙ্গে আছেন গোটা দক্ষিণ আমেরিকার থেকেও প্রায় ৪ কোটি বেশি মানুষ। ফলে হলফ করে বলাই যায় মেসির হাতেই এবারের বিশ্বকাপ উঠুক তা বিশ্বের কোটি কোটি মেসি পাগল মানুষ চাইছেন।

মেসির দেশের সতীর্থ পাওলো ডাইবালা কাতার বিশ্বকাপে খেলতে চলা বিশ্বের অষ্টম জনপ্রিয় ফুটবলার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুগামীর সংখ্যা ৬ কোটি ৮৯ লক্ষ। পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এই বিশ্বকাপে নামতে চলা সবচেয়ে জনপ্ৰিয় ও প্রভাবশালী তারকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুগামীর সংখ্যা ৭৪ কোটি ৭১ লক্ষ, যা মেসির তুলনায় ২৭ কোটি ১১ লক্ষ বেশি।

বিশ্বকাপ কার হাতে উঠবে বা কাতারে দুজনের মধ্যে কে বেশি নজর কাড়বে, তা সময়ই বলবে, কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই জনপ্রিয়তার দিক থেকে মেসিকে ছাপিয়ে গেলেন রোনাল্ডো, তা নি:সন্দেহে বিশ্বকাপে সিআরসেভেনকে সেরা পারফরম্যান্স দিতে উদ্বুদ্ধ করবে।

আর্জেন্টাইন হয়েও রোনাল্ডোর ভক্ত! মেসির নির্দেশেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ তরুণ স্ট্রাইকার?

#দোহা: আর্জেন্টিনায় মেসি, ম্যান ইউতে রোনাল্ডো, দুই মহারথীরই সতীর্থ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গার্নাচো। মাত্র ১৮ বছর বয়স এই তরুণ ফুটবলারের কিন্তু প্রতিভার কোনও অভাব নেই। কোচ এরিক টেন হ্যাগের প্রশিক্ষণে তার বিকাশ সুস্পষ্ট। ম্যান ইউর হয়ে ইতিমধ্যেই গোল করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাকে নিয়ে চর্চা চলছে বিশ্ব ফুটবলে।

কিছুদিন আগে শেষ মুহূর্তের গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে জেতান এই খেলোয়াড়টি। কিন্তু লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টাইন বাহিনীর বিশ্বকাপ সফরে নাম নেই গার্নাচোর। বিশ্বকাপ সফরে আর্জেন্টিনা দলে গার্নাচোকে না অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনেকেই মেসির হস্তক্ষেপকে কারণ বলে মনে করছেন।

আরও পড়ুন – বিশ্বকাপের সেরা ফরওয়ার্ড লাইন কিন্তু ফ্রান্সের ! বাকিদের সাবধান করে দিলেন জিদান

আলেহান্দ্রো গার্নাচো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভক্ত। আর্জেন্টাইন হয়েও তার সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা রোনাল্ডো। তার খেলার ধরন থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত জীবন, সব কিছুই অনুপ্রেরিত করেছে গার্নাচোকে। ম্যানচেস্টার ইউনইটেডের একাডেমী থেকে উঠে এসে তার কিংবদন্তির সাথে খেলে, নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন। ইউরোপা লিগের একটি ম্যাচে রোনাল্ডোর বাড়ানো থ্রু বল থেকে গোলও করেছেন তিনি।

গোল করার পর রোনাল্ডোর বিখ্যাত “শান্তি” সেলিব্রেশনটি করেন। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোকে নিয়ে এত মাতামাতিই মেসির দলে জায়গা না পাওয়ার কারণ, এরকম মনে করছেন অনেকেই। গুজব রটছে মেসিই বরণ করেছেন স্কালোনিকে যাতে গার্নাচো বিশ্বকাপে জায়গা না পেয়ে আর্জেন্টিনা দলে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রতি তার ভক্তি দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছেন লিওনেল মেসি, এরকম বলছেন অনেকেই। কিন্তু লিওনেল মেসি বা স্কালোনি এরকম ফালতু গুজবে কান দিচ্ছেন না।

৩৬ বছরের অধরা বিশ্বকাপ উঠবে মেসির হাতেই! বলছেন আর্জেন্টিনার `মিস্টার অক্টোপাস’

#রোজারিও: আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। মজা করে কেউ কেউ ডাকেন আর্জেন্টিনা অক্টোপাস। আসলে যেভাবে স্ট্রাইকারদের থেকে বল কেড়ে নিতেন তাতেই এই নাম হয়েছিল। যেবার লিওনেল মেসি কলকাতায় এসেছিলেন, তখন সেই আর্জেন্টাইন দলের সঙ্গেও কলকাতায় এসেছিলেন পাবলো জাবালেতা।

ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবে খেলেছেন দাপটের সঙ্গে। এখন অবশ্য ফুটবল থেকে দূরে। সেই জাবালেতা জানিয়েছেন এবারের আর্জেন্টিনা দলটা সবদিক থেকে কমপ্লিট। ডিফেন্স, মাঝমাঠ এবং আক্রমণ ভাগ – তিনটে বিভাগেই তৈরি হয়ে কাতারে গেছেন মেসিরা। সবচেয়ে বড় কথা লিওনেল মেসিকে রিটার্ন বল খেলাতে পারেন, এমন তিন চার জন খেলোয়াড় আছে।

ডিফেন্সে রোমের, গঞ্জালো, ওটামেন্দি, ট্যাগলিফিকো ধারাবাহিক। মাঝখানে ডে পল, পারদেস, ইঞ্জো, প্যালাসিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন অনেকটা জায়গা। আর সামনে মেসিকে সাহায্য করার জন্য ডি মারিয়া, মার্টিনেজ রয়েছেন। তার চেয়ে বড় কথা দলটা অপরাজিত থাকার রেকর্ড করেছে। বিশ্বকাপে রওনা হওয়ার আগে আরব আমিরাতকে ৫ গোল দিয়েছে।

কোচ হিসেবে স্কালোনি দুর্দান্তভাবে প্রস্তুত করেছেন ছেলেদের। দলের মধ্যে আনন্দ এবং ফুর্তি বিরাজ করছে। দেখে মনে হচ্ছে কোনও চাপ হলে বস্তু নেই আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে। এসব দেখেই জাবালেটা নিশ্চিত সোনার সুযোগ এবার মেসির আর্জেন্টিনার সামনে বিশ্বকাপ জেতার। কোপা আমেরিকা হয়েছে। এবার বিশ্বকাপও হবে।

টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে আর্জেন্টাইনদের। দলটির প্রাক্তন ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতাও বিশ্বাস করেন, এবার বিশ্বকাপ জিতে নিতে পারে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর ধরে অধরা হয়ে আছে বিশ্বকাপ। সেই অপেক্ষা ফুরাতেই কাতারে পা রেখেছে লিওনেল স্কালোনির দল।

আর্জেন্টাইনদের ‘দশ গোল’ দিল ভারতীয়রা, এমন অভ্যর্থনা আগে দেখেনি মেসিরা

দোহা: কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে কাতার পৌছে গেলেন লিওনেল মেসি ও তার দল আর্জেন্টিনা। শেষবার অধরা বিশ্বকাপটা ধরার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর নীল-সাদা ব্রিগেড। দোহায় পৌছে সমর্থকদের অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মেসি-দি মারিয়ারা। বিশেষ করে ভারতীয়রা যেভাবে স্বাগত জানিয়েছে আর্জেন্টিনা দলকে তা দেখে অভিভূত সকল প্লেয়াররা। বলা চলে আর্জেন্টাইনদের হারিয়ে দিয়েছেন ভারতীয়রা।

কাতারে একে একে এসে পৌছচ্ছে সব দেশের দল। সঙ্গে পৌছে গিয়েছে বিভিন্ন দেশের সমর্থকরা। বিশাল সংখ্যায় ভারতীয়রা পৌছে গিয়েছে কাতারে বিশ্বকাপের সাক্ষী থাকতে ও প্রিয় দলকে সমর্থন করতে। ভোর রাতে দোহায় পৌছায় আর্জেন্টিনা দল। তার অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দরের সামনে উপস্থিত ছিলেন মেসি ও আর্জেন্টিনা ফ্যানেরা।

প্রিয় দলের দেখা মিলতেই আর্জেন্টাইনরা চিৎকার করতে শুরু করে। হাতে দেশের পতাকা। কিন্তু ভারতীয়দের আয়োজন দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। মেসিরা বিমান থেকে নামতেই ড্রাম বাজানো শুরু হয়ে যায়। রাস্তায় বড় পতাকা নিয়ে মিছিল করে ভারতীয়রা। নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন। যা দেখে হাসতে হাসতে টিম বাসে উঠে যায় মেসি সহ গোটা দল।

আরও পড়ুনঃ কেন আর্জেন্টিনার জার্সির রং আকাশি-সাদা, জেনে নিন মারাদোনা-মেসিদের জার্সির ইতিহাস

 

প্রসঙ্গত, ২৩ তারিখ নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে মেসিদের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। প্রথম ম্যাচে নামার আগে অনুশীলন ম্যাচে আরব আমিরশাহীকে ৫-০ হারিয়েছে নীল-সাদা ব্রিগেড। এবার জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করাই লক্ষ্য মেসি অ্যান্ড কোংয়ের।