Tag Archives: Loadshedding

Bangla Video: আজও প্রদীপের টিমটিমে আলোই ভরসা, আম বাগানের জন্য বিদ্যুৎহীন গোটা গ্রাম

মালদহ: ঘরে ঘরে জ্বলছে টিমটিম করে প্রদীপের আলো। সেই আলোতে ভাল করে অন্ধকার দূর হয় না। ফলে সন্ধে হলেই গাঢ় অন্ধকার ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এই আধুনিক সভ্যতার যুগেও এখনও প্রদীপের টিমটিমে আলোই ভরসা ইংরেজবাজারের কাজলদিঘি বাগানপাড়া গ্রামের মানুষের।

মালদহ জেলার সদর ব্লকের একটি গ্রামের এমন অবস্থার কথা সকলকে বিস্মিত করতে বাধ্য। আজও ছোট্ট এই গ্রামটিতে পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো। ফলে উন্নয়ন ও আধুনিকতা থেকে একেবারে বঞ্চিত ইংরেজবাজার ব্লকের এই গ্রাম। এই এলাকায় মোট ১৯ টি পরিবার বসবাস করে। বিদ্যুতের খুঁটি দীর্ঘদিন আগে পোঁতা হলেও আজও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে অন্ধকারেই থেকে গিয়েছে গ্রামটি। স্থানীয়রা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু ফল মেলেনি। গ্রামের বাসিন্দা প্রমিলা পাহাড়ি বলেন, দশ বছর ধরে আমরা বসবাস করছি। বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বিদ্যুৎ অফিসে আমরা টাকা জমা দিয়েছি। তারপরও এখনও বিদ্যুৎ এল না। ফলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আর‌ও পড়ুন: বর্ষার বৃষ্টিই ভরসা পাহাড়ের মানুষের, এখানে কীভাবে চাষাবাদ হয় জানেন?

মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি পঞ্চায়েতের কাজলদিঘি বাগানপাড়া গ্রামের এই বেহাল অবস্থা। গ্রামটিতে মোট ১৯ টি দুঃস্থ পরিবার রয়েছে। বিদ্যুৎ না পৌঁছনোয় সন্ধে হলেই গ্রামে নেমে আসে অন্ধকার। ঘরে ঘরে টিমটিম করে জ্বলে প্রদীপের আলো। সেই আলোতেই খুদেদের পড়াশোনা থেকে অন্যান্য কাজ করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। অন্ধকারে পড়াশোনা করতে গিয়ে বইয়ের অক্ষর চিনতে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অসীম বারুই বলেন, আমি নির্বাচিত হ‌ওয়ার পর একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরে গিয়েছি, পঞ্চায়েত অফিসে জানিয়েছি বিষয়টি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ইলেকট্রিক পোল পোঁতা হয়েছে। তারপর আর কাজ এগোয়নি। কোন‌ও অজানা কারণে থমকে গিয়েছে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের দাবি, জমি জটের কারণে কাজে এগানো সম্ভব হয়নি। গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার জন্য জমি দিলেই গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ।

জেলা বিদ্যুৎ দফতরের ম্যানেজার শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য বলেন, গ্রামে ইলেকট্রিক পোল পোঁতা হয়েছে। কিন্তু কয়েকজন জমির মালিক ইলেকট্রিক তার নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় থমকে রয়েছে কাজ। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের পাল্টা দাবি, কোন‌ও সমস্যাই নেই। জমি দিতে রাজি রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

* নিউজ ১৮ বাংলায় এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ডব্লুবিএস‌ইডিসিএল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা সহ যাবতীয় কাজ ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এক আমবাগান মালিকের বাধায় বিদ্যুতের লাইন টানা যাচ্ছে না। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজার কোত‌ওয়ালি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে চলেছেন।

হরষিত সিংহ

Murshidabad: ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে জেরবার জনজীবন, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

মুর্শিদাবাদ: ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে জেরবার সাধারন মানুষ। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার কাবিলপুরের অমৃতপুর রনজিৎপুর গ্রামে।

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজের সমস্যায় ভুগছে গ্রামবাসীরা। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু ও বয়স্করা। বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। অভিযোগ রবিবার রাতে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে গোটা গ্রামে। এরই বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাগরদিঘি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও অবরোধ তুলে দেয়। তবে অবিলম্বে নতুন ট্রান্সফর্মা বসিয়ে এই সমস্যার সমাধান না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারী সাইদুল সেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যায় ভুগছি। অনেকবার বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। লো ভোল্টেজ থাকায় গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই গ্রামে নতুন ট্রান্সফর্মা বসানো হোক। তানাহলে আমরা আর ও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। অন্যদিকে লো ভোল্টেজের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে নাজেহাল গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত…! নিম্নচাপ হুঁশিয়ারি! মঙ্গল থেকে শনি কী হতে চলেছে? আবহাওয়ার মেগা আপডেট দিয়ে দিল আলিপুর

প্রতিবাদে হরিহরপাড়া বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরে লো ভোল্টেজের  কারনে চরম সমস্যায় হরিহরপাড়া থানার রায়পুর হিন্দুপাড়া এলাকার গ্রামবাসীরা। লো ভোল্টেজ থাকায় তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা। একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় সোমবার বিদ্যুৎ দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি নতুন ট্রান্সফর্ম বসাতে হবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দ্রুত নতুন ট্রান্সফর্মা বসানোর আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ তুলে নেয় গ্রম্যাসীরা।

বিক্ষোভকারী ইদ্রিশ সেখ বলেন, দীর্ঘ এক বছর ধরে আমাদের গ্রামে সর্ব সময় লো ভোল্টেজ হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানালে প্রতিশ্রুতি দেওয় হয়েছিল নতুন ট্রান্সফর্মা বসানো হবে। কিন্তু এখনও ট্রান্সফর্মা বসানো হয়নি। আমাদের এই সমস্যার সমাধান করা হোক। আমরা চাই নতুন করে ট্রান্সফর্ম বসানো হোক।

Power Cut Problem: পচা গরমে জেলায় জেলায় কারেন্ট অফ! শোচনীয় হাল! কী কারণ, চমকে দেওয়া তথ্য

গরমের কারণে এখনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে, আর তার মধ্যেই ঘনঘন লোডশেডিং এর জ্বালায় অতিষ্ট জেলার নানা প্রান্তের মানুষজন। কোথাও ৩০ মিনিট, কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও আড়াই ঘণ্টার উপরেও থাকছে কারেন্ট অফ। আর তার জেরেই নাজেহাল অবস্থা জেলা বাসীদের, তিতিবিরক্ত অবস্থায় সাধারণ মানুষ। অভিযোগ বিদ্যুৎ সংস্থার টেলিফোনে ফোন করে ডকেট বুক করলেও মিলছে না কোন সুরাহা। (Rudra Narayan Roy)
গরমের কারণে এখনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে, আর তার মধ্যেই ঘনঘন লোডশেডিং এর জ্বালায় অতিষ্ট জেলার নানা প্রান্তের মানুষজন। কোথাও ৩০ মিনিট, কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও আড়াই ঘণ্টার উপরেও থাকছে কারেন্ট অফ। আর তার জেরেই নাজেহাল অবস্থা জেলা বাসীদের, তিতিবিরক্ত অবস্থায় সাধারণ মানুষ। অভিযোগ বিদ্যুৎ সংস্থার টেলিফোনে ফোন করে ডকেট বুক করলেও মিলছে না কোন সুরাহা। (Rudra Narayan Roy)
বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাচ্চা শিশু থেকে বয়স্ক মানুষদের। বহু ক্ষেত্রে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যার জেরে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানুষকে। শুধু তাই নয় উঠছে আরও নানা অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাচ্চা শিশু থেকে বয়স্ক মানুষদের। বহু ক্ষেত্রে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যার জেরে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানুষকে। শুধু তাই নয় উঠছে আরও নানা অভিযোগ।
জেলা সদর শহর বারাসতের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিদ্যুৎ দফতরের কাছে একটি মাত্র এসির অনুমতির নেওয়া থাকলেও, অবৈধভাবে বাড়িতে চলছে তিনটে-চারটে করে এসি। এর ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি ঘটাছে ব্যাপক পরিমানে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এই অবৈধ এসির রমরমার জন্য লোডশেডিং এর বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর এর পেছনে কাজ করছে এক অংশের দালাল চক্র বলেও অভিযোগ তুলছেন জেলার নানা প্রান্তের মানুষজন।
জেলা সদর শহর বারাসতের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিদ্যুৎ দফতরের কাছে একটি মাত্র এসির অনুমতির নেওয়া থাকলেও, অবৈধভাবে বাড়িতে চলছে তিনটে-চারটে করে এসি। এর ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি ঘটাছে ব্যাপক পরিমানে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এই অবৈধ এসির রমরমার জন্য লোডশেডিং এর বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর এর পেছনে কাজ করছে এক অংশের দালাল চক্র বলেও অভিযোগ তুলছেন জেলার নানা প্রান্তের মানুষজন।
টাকার বিনিময় কোনরকম পারমিশন না করিয়েই চালানো হচ্ছে দু-তিনটে করে এসি। দালাল মারফত মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে ইলেকট্রিক সাপ্লাই আধিকারিকদের পকেটে। অবৈধ এসির রমরমার জন্যই লোডশেডিংয়ের বাড়বাড়ন্ত শহর জুড়ে বলে মনে করছেন অনেকেই।
টাকার বিনিময় কোনরকম পারমিশন না করিয়েই চালানো হচ্ছে দু-তিনটে করে এসি। দালাল মারফত মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে ইলেকট্রিক সাপ্লাই আধিকারিকদের পকেটে। অবৈধ এসির রমরমার জন্যই লোডশেডিংয়ের বাড়বাড়ন্ত শহর জুড়ে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আর্থিক কারণে যে সমস্ত বাড়িতে এখনও এসি নেই তাদের অবস্থা যেন আরও করুন। বিদ্যুৎ চলে গেলেই বাড়ির শিশু থেকে বয়স্ক মানুষজন গরমে হাঁসফাঁস করছে। তাদের কথায়, সবার বাড়িতে তো আর এসি ইনভার্টার নেই। ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ অখিল বিশ্বাস জানান, সারারাত ঘুমাতে পারিছি না কারেন্ট অফ, অনেক সময় লো ভোল্টেজের কারণে পাখাও চলছে না ঠিকভাবে। গরমে ছটফট করেছি।
আর্থিক কারণে যে সমস্ত বাড়িতে এখনও এসি নেই তাদের অবস্থা যেন আরও করুন। বিদ্যুৎ চলে গেলেই বাড়ির শিশু থেকে বয়স্ক মানুষজন গরমে হাঁসফাঁস করছে। তাদের কথায়, সবার বাড়িতে তো আর এসি ইনভার্টার নেই। 
৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ অখিল বিশ্বাস জানান, সারারাত ঘুমাতে পারিছি না কারেন্ট অফ, অনেক সময় লো ভোল্টেজের কারণে পাখাও চলছে না ঠিকভাবে। গরমে ছটফট করেছি।
৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ অখিল বিশ্বাস জানান, সারারাত ঘুমাতে পারিছি না কারেন্ট অফ, অনেক সময় লো ভোল্টেজের কারণে পাখাও চলছে না ঠিকভাবে। গরমে ছটফট করেছি।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন ধরে এই লোডশেডিংয়ের সমস্যায় ভুগছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। একাধিকবার বিদুৎ দফতরে জানিয়েও সুরাহা না মেলায়, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের স্কুলের ঘরে তালা বন্ধ করে আটকে রাখার মত ঘটনাও ঘটে সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেচাখালি গ্রামে। তবুও বদলায়নি পরিস্থিতি।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন ধরে এই লোডশেডিংয়ের সমস্যায় ভুগছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। একাধিকবার বিদুৎ দফতরে জানিয়েও সুরাহা না মেলায়, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের স্কুলের ঘরে তালা বন্ধ করে আটকে রাখার মত ঘটনাও ঘটে সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেচাখালি গ্রামে। তবুও বদলায়নি পরিস্থিতি।
অনেক জায়গাতে ইলেকট্রিকের তার বা আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র পরিবর্তনও করা হচ্ছে হলেও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সামনেই আবার আসছে বর্ষাকাল, ঝড় বৃষ্টির জেরেও দীর্ঘ সময় কারেন্ট অফের মধ্যেই কাটাতে হতে পারে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনকে। তবে কবে এই সমস্যা থেকে স্থায়ী সমাধান মিলবে তার কোন দিশা দেখতে পাচ্ছেন না জেলাবাসী।
অনেক জায়গাতে ইলেকট্রিকের তার বা আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র পরিবর্তনও করা হচ্ছে হলেও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সামনেই আবার আসছে বর্ষাকাল, ঝড় বৃষ্টির জেরেও দীর্ঘ সময় কারেন্ট অফের মধ্যেই কাটাতে হতে পারে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনকে। তবে কবে এই সমস্যা থেকে স্থায়ী সমাধান মিলবে তার কোন দিশা দেখতে পাচ্ছেন না জেলাবাসী।

Road Block: পাঁচদিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, জল না পেয়ে পথ অবরোধ

দক্ষিণ দিনাজপুর: এই প্রবল গরমে টানা পাঁচ দিন বিদ্যুৎ নেই গোটা গ্রামে। ফলে হাঁসফাঁস অবস্থা সকলের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। টান পড়ছে পানীয় জলে। আর সহ্য করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের ঘটনা।

টানা পাঁচদিন ধরে লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। সমস্যার কথা বারবার জানালেও সমাধান মেলেনি। আর তাই এদিন তপন-নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার ৭ নম্বর রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কাটাবাড়ি গ্রামে অবস্থিত বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে গত পাঁচদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই গ্রামে।

আর‌ও পড়ুন: পরপর ভেঙে পড়ল বাড়ি-মার্কেট, আতঙ্কে শহরবাসী

বিদ্যুতের অভাবে সাবমার্সিবল থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি দিনভর ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল বাসিন্দারা। বিকেলের পরে লেখাপড়া একরকম বন্ধ পড়ুয়াদের। এই পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে এসে তপন থানার পুলিশ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস দলে পথ অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। তারপর যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।

সুস্মিতা গোস্বামী

East Medinipur News: ঝড় বৃষ্টির পর টানা ১০ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ! 

কোলাঘাট: ঝড়বৃষ্টির পর টানা ১০ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন একটি গ্রামে। আর সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিয়েছিল ঝড়-বৃষ্টি। কিন্তু গরম থেকে ঝড় বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও, তারপর থেকেই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর তাতেই চরম অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের আড়িশান্ডা চড়কতলা গ্রামের। ওই গ্রামে চলতি বছরের প্রথম ঝড়-বৃষ্টির দিন থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে।

আরও পড়ুনঃ ডান না বাম? ঘুমের সময়ে সেরা পজিশন কোনটি? এইভাবে ঘুমালে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি!

বর্তমান সময়ে যেখানে আমরা কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে কাটাতে পারি না। দিন কিংবা রাত্রি যেকোনও সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে বিদ্যুৎ পরিষেবা আবার কখন চালু হবে সেই দিকে তাকিয়ে উন্মুখ হয়ে থাকি। সেখানে প্রায় ১০ দিনের বেশি বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়ে রয়েছে কোলাঘাটের ওই গ্রামে। ১৫২ টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। জানা যায় মে মাসের ৫ তারিখ থেকে ঝড় বৃষ্টির কারণে ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে যায়। এমনকী ঝড়ে ট্রান্সফরমার খুঁটি হেলে পড়ে। আর তারপর থেকেই ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গ্রামের সাধারণ পরিবারে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। পাম্প চালিয়ে পানীয় জল তোলা থেকে বাড়ির ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সবই ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়েই মোমবাতির আলোতে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই এলাকায় গৃহবধূ মৌমিতা মান্না জানান, ‘ঝড় বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। তারপর থেকেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্ধকারে মোমবাতির আলোই ভরসা। এমনকী বিদ্যুৎ না থাকায় তার সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে পানীয় জল তোলা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে চরম অসুবিধার সম্মুখীন। প্রশাসনকে জানিয়ে এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।’

তীব্র গরম থেকে ঝড় বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও। তারপর থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে আড়িশান্ডা গ্রামের মানুষজন। দশ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ অধরা ওই গ্রামে। কবে বিদ্যুৎ পরিষেবা আবার স্বাভাবিকভাবে সেই আশায় দিন গুনছে ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ।

সৈকত শী