একটি সুখটানই হতে পারে জঙ্গলের বন্যপ্রাণীদের বড় বিপদের কারণ! কীভাবে? একটা সুখ টানেই জঙ্গলে হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে পারে দাবানল। বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বন্য প্রাণ। তাই সাবধান হন এখন থেকেই।
বাবার সঙ্গে চপ বিক্রি করতেন! কিন্তু নিজের স্বপ্নকে আগলে রেখেছিলেন। সেই সুপ্রিয়া এখন মডেল থেকে সিরিয়ালের অভিনেত্রী!
রসগোল্লা লোভী হাতি! মিষ্টির কারখানায় হাতির হানা। কারখানার শাটার ভেঙে রসগোল্লা খেল হাতি। মিষ্টির পর পানের দোকানেও হাতির হানা। পান সুপারি খেয়ে জঙ্গলে ফেরে হাতি। জলদাপাড়া জঙ্গল লাগোয়া মাদারিহাটের ঘটনা।
গাছের উপরে মানুষের তৈরি পাখির বাসা! অভিনব উদ্যোগ বন দফতরের
কালিম্পংয়ের কাছেই ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম ঝাণ্ডি। গুটি কয়েক বাড়ি। তার প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে হোম স্টে। ঝাণ্ডির সঙ্গে অন্য আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের ফারাক করে দেয় কাঞ্জনজঙ্ঘা আর নেওড়াভ্যালির সুবিশাল রেঞ্জ। (রিপোর্টার– অনির্বাণ রায়)
আকাশ পরিষ্কার থাকলে ডুয়ার্স এবং তরাই একসঙ্গে দেখা যায়। পাহাড় এবং সমতলের একসঙ্গে একটা ভিউ পাওয়া যায় এই ঝাণ্ডি থেকে। একসঙ্গে ঝাণ্ডির সৌন্দর্য দিনে এবং রাতে দুই রকম।
দিনের বেলায় যেমন কাঞ্জনজঙ্ঘার সুবিশাল রেঞ্জ আর নেওড়াভ্যালির একটা রোমাঞ্চকর ভিউ পাওয়া যায়। তেমনই তরাই এবং ডুয়ার্সের একটা ভিউ এখানে পাওয়া যায়।
হোম স্টের ঘরে বসেই দেখা যায় সেই রোমাঞ্চকর ভিউ। আবার প্রয়োজনে যেতে পারেন ভিউ পয়েন্টে। সেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের ভিউ পাওয়া যায়। ঝাণ্ডি থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য অসাধারণ। ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যায়।
সূর্যাস্তের পরে ঝুপ করে সন্ধে নেমে যায় এখানে। তারপরে ঝাণ্ডি যেন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। রাতের অন্ধকারে ঝাণ্ডি যেন আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে।
ঝাণ্ডি যেতে হলে আগে কালিম্পংয়ে আসতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে আসতে হবে। ঝাণ্ডিতে একটু আগে থেকে বুকিং করিয়ে নেওয়া ভাল। (রিপোর্টার– অনির্বাণ রায়)
ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে শীত। আগামী ৭ দিন গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় তেমন কোনও আবহাওয়ার পরিবর্তন নেই। তবে শুক্রবার ও শনিবার মালদহ জেলায় কুয়াশার দাপট থাকবে। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কুয়াশা না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। (রিপোর্টার– হরষিত সিং)
আগামী সপ্তাহে সরস্বতী পুজো। আবহাওয়া অনুকূল সরস্বতী পুজোয়। হালকা ঠান্ডা থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই গৌড়বঙ্গের তিন জেলায়। এমনকী সরস্বতী পুজোর দিন কুয়াশাও থাকবে না। আকাশ একেবারে পরিষ্কার থাকবে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মালদহ জেলায় সকাল থেকে হালকা কুয়াশার দাপট থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার ঝলমলে রোদ থাকবে। শনিবার কুয়াশার প্রভাব অনেকটাই কেটে যাবে। ঠান্ডা এখনও কয়েকদিন চলবে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই গৌড়বঙ্গের জেলাগুলি থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে শীত। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই তিন জেলায় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে।
তাপমাত্রার পরিবর্তন হবার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে কনকনে ঠাণ্ডা, শৈত্যপ্রবাহ আর হবে না গৌড়বঙ্গে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গৌড়বঙ্গের জেলাগুলি থেকে শীত প্রায় বিদায় নেবে। গরমের প্রভাব ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করবে যদি না আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হয়। (রিপোর্টার– হরষিত সিং)
সাদা বরফে ঢাকল সান্দাকফু। ফেব্রুয়ারিতে যখন কলকাতা-সহ দক্ষিনবঙ্গ থেকে গুটিগুটি পায়ে শীত বিদায়ের পথে, সেই সময়ে সাদা তুলোর মতো ঢাকা পড়লো সান্দাকফু। যেদিকেই চোখ যায়, শুধুই সাদা ক্যানভাস। বিকেলের দিকে ঝরতে থাকে সাদা বরফের টুকরো। আর তা নিয়েই মাতোয়ারা পর্যটকেরা।
পালমাজুয়া হল একটি পাহাড়ি গ্রাম। দার্জিলিংয়ের কাছেই ৫৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পালমাজুমা অসম্ভব সুন্দর একটি অফবিট লোকেশন।
চা বাগান-কমলালেবু গাছের ফাঁকে সূর্য ওঠে, দার্জিলিংয়ের এই লুকনো গ্রামে কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে দেখা মিলতে পারে রেড পাণ্ডারও। চাইলে সামনে ঝোরায় মাছও ধরতে পারেন।
অসংখ্য নাম না জানা সব পাখিদের রাজত্ব এখানে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাখি দেখতে দেখতেই দিন গড়িয়ে যাবে। ছোট ছোট বাগানে ঘেরা হোম স্টে।
কাছেই মিরিক গুম্ফা, টিংলিং ভিউপয়েন্ট, টিবেটান গুম্ফা। সুমেন্দু লেক ছাড়িয়ে দূরে পাহাড়ের মাথায় চলে আসুন।
এখানেই রামেতি ভিউ পয়েন্ট। মেঘ না থাকলে এখান থেকেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার।
ট্রেনে/বিমানে চলে আসুন শিলিগুড়ি । সেখান থেকে গাড়িতে সরাসরি চলে আসা যায় মিরিক। মিরিকের কাছেই পালমাজুয়ার দূরত্ব ৬০ কিমি।
দার্জিলিং পাহাড়ে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের এই জায়গাটি হয়তো অনেকের কাছেই অজানা। গ্রামের নাম মহলদিরাম ।ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত দিয়েই ছুঁতে পারবেন মেঘ, কখনও মেঘ হয়তো চলে যাবে আপনার ভিতর দিয়ে।
এখানে বারান্দায় দাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন টি গার্ডেনের চা-পাতা তোলার দৃশ্য।একই সঙ্গে মেঘ, রোদ, পাহাড়, মোমো, ছোটোখাটো ট্রেকিং, প্রকৃতি, পাখি, অর্গানিক সবজি এবং অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়া যায় এখানে।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মহলদিরামের দূরত্ব ৬২ কিমি। কার্শিয়াং থেকে ১২ কিমি। হিলকার্ট রোড ধরে কার্শিয়াং পেরিয়েই পৌঁছে যান দিলারাম মোড়। এখান থেকে ডান দিকে ঘুরে যান। দিলারাম থেকে মাহালদিরাম ১২ কিমি।
এখানে বেশ কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে। তবে ‘মহলদিরাম সালামান্দার জংল ক্যাম্প’ দারুণ। যদিও এর নাম ক্যাম্প কিন্তু এটি একটি সুন্দর হোমস্টে, দুতলা বাড়ি। থাকা খাওয়া নিয়ে ২০০০ টাকা প্রতিজন হিসেবে নেওয়া হয়। তবে সিজন বুঝে দর ওঠানামা করে।
বাগোরা এবং চিমেনি মহলদিরামের বেশ কাছাকাছি অবস্থিত। আর তাই চটকপুর, মংপু, লটপঞ্চার, আহলদরা ও সিটং। আপনার যদি সময় থাকে তবে আপনি এই জায়গাগুলিকে ক্লাব করতে পারেন এবং একসঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন।
Posts navigation
Just another WordPress site