Tag Archives: Offbeat Travel Destination

Travel: শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ, মুগ্ধ করবে এই ড‍্যামের সৌন্দর্য! কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে

পুরুলিয়া : বাঙালির বরাবরই ভ্রমণের তালিকায় থাকে দিপুদা অর্থাৎ দিঘা , পুরি , দার্জিলিং। তবে ছকে বাঁধা এই ভ্রমণের ঠিকানার বদল ঘটেছে বিগত বেশ কিছু বছরে। এখন অফবিট জায়গাতে ভ্রমন করতে পছন্দ করেন অনেকে। ‌আর পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে অফবিট ডেস্টিনেশন-এর তালিকায় অনেকখানি জায়গা করে নিয়েছে লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। এখানে রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র।

যেমন পুরুলিয়া শহরের কাছেই রয়েছে ফুটিয়ারি ড্যাম। ফুটিয়ারি নদীর ছন্দ কাটিয়ে তৈরি হয়েছে এই ফুটিয়ারি ড্যাম। কমবেশি সারা বছরই এখানে পর্যটকেরা বেড়াতে আসেন। বর্ষার সময়তে এই ড্যামের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

তাই এই সময় পর্যটকদের আনাগোনা খানিকটা বাড়ে। এছাড়াও পিকনিকের মরসুমে এই ড্যামে পা রাখার জায়গা থাকে না। পর্যটনের সময়তে কাতারে , কাতারে মানুষের ভিড় জমে এই জায়গায়। তবে ড্যামের সৌন্দর্যয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা বলেন এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসীরা জানালেন, বাড়ির কাছেই এই পর্যটন কেন্দ্রে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তারাও মাঝেমধ্যে এই ড্যামে বেড়াতে আসেন। এই ড্যামের চারিদিকে যদি আলোর ব্যবস্থা করা যেত তাহলে সকলেরই খুব ভাল হত।

এছাড়াও যদি ড্যাম সংলগ্ন এলাকায় একটি পার্কের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ছোট থেকে বড় সকলেরই বিনোদনের একটা জায়গা তৈরি হবে। ‌ এছাড়াও যদি ফুল গাছ লাগানো হয় তাতেও ড্যামের সৌন্দর্য আর অনেকখানি বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন: ‘আমাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে আধঘণ্টা…’, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

অসম্ভব শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ এই ড্যামের চারিদিক। ‌ নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য অনেকেরই পছন্দের ডেসটিনেশনে এই জায়গা। পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে এই অবস্থিত এই ড্যাম। তাই পিকনিক বা যেকোনও ছুটির দিনে এই ড্যামে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে এলাকাবাসীদের আবেদন মানা হলে এর সৌন্দর্য আরও অনেকখানি বেড়ে যাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ‌

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Day Out Destination: নিরিবিল জলে নৌকাবিহার, প্রি-ওয়েডিং ফটোশ‍্যুট হোক বা পিকনিক, কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরেই রয়েছে ঘোরার সেরা জায়গা

উত্তর ২৪ পরগনা: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি। তারপরই রাতারাতি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে জেলার এই জায়গা। আদতে দেখে এই জায়গাটিকে জলাশয় মনে হলেও, বছরের অন্যান্য সময় কিন্তু তা হয়ে ওঠে চাষের জমি। শুনতে আজব লাগলেও এটাই বাস্তব। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলের পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার এই বোর্তির বিল।

দূর দূরান্ত থেকেও পর্যটকরা আসছেন প্রকৃতির শোভা দেখতে। ছবি তুলতে, প্রি ওয়েডিং ফটোশুট সারতেও। আর এই স্থানকে ঘিরেই গজিয়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসা। বছরের সব সময় অবশ্য এই একই দৃশ্য থাকে না এখানে। তবে বর্ষা পরবর্তী সময়ে জল জমে জেগে ওঠে এই বিল। আমডাঙ্গা বিধানসভার বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের বোর্তির বিলে বছরের অন্যান্য সময়, পাট, পিয়াজ-সহ নানা ফসল চাষ হয়।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

বর্ষা পরবর্তী সময়ে এই গোটা চাষের খেতেই কোমর সমান জল হয়ে যায়। তখন বেশি বারে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে এখন সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় এই জায়গায়। চাষাবাদ ছেড়ে স্থানীয়রা তখন পর্যটকদের নৌকা বিহারের মধ্য দিয়েই আর্থিক উপার্জন করেন। যতদূর চোখ যাবে, দেখা যাবে বিশাল জলরাশি। সঙ্গে প্রকৃতি মেঘ রোদ্দুরের খেলা। মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে সরু লাল ইটের রাস্তা।

তবে ভারী বৃষ্টির সময় জল জমে যায়, রাস্তাতেও। বিকেলে বোর্তির বিলের মনোরম পরিবেশ ক্যামেরাবন্দি করতে বা রঙিন ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে পারেন এই এলাকায়। স্থানীয় এলাকাবাসীদের থেকে জানা যায়, এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষি নির্ভর। লাল ইটের রাস্তা দিয়ে কিছুটা গেলেই দেখা যাবে দু’ধারে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো রয়েছে পাট কাঠি।

আরও পড়ুন: আপনিও জিততে পারবেন লটারি! টিকিট কাটার আগে জেনে নিন গোপন কৌশল, নম্বর লাগবেই, ভাগ‍্য খুলে যাবে

দেখে মনে হবে, যেন পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে তারা। জলাশয়ে নৌকায় ঘোরার পাশাপাশি দেখতে পাবেন, পুরো জলাশয় জুড়ে রয়েছে শাপলা ফুল। পুজোর আগে এ দৃশ্য মন ছুয়ে যাবে যে কারোর। আর এই আকর্ষনেই বারংবার জেলার নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে এই বোর্তির বিলে। ভাবছেন কিভাবে আসবেন? কলকাতা থেকে বাস অথবা ট্রেনে বারাসত, সেখান থেকে ব্যারাকপুর রোড ধরে নীলগঞ্জ মোড়। সেই মোড় থেকে ডান দিকে প্রায় এক কিলোমিটার মত গেলে বেড়াবেড়িয়া।

আরও পড়ুন: ‘আমাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে আধঘণ্টা…’, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

কিছুটা পিচ রাস্তা, তারপর ঢালাই রাস্তা, আর সব শেষে ইটের লাল রাস্তা। রাস্তার দু-ধারে রয়েছে প্রচুর বাঁশবাগান, কিছুটা এগোলেই বোর্তির বিল। গোধূলি বিকেল কিম্বা সূর্যাস্তের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি বা চাক্ষুষ করতে চাইলে আসতেই হবে এই বিলে। বর্ষা পরবর্তী এই দু-তিন মাসে থাকবে বিলের জল। তাই পুজোর আগে আর দেরি না, কিছু সময় হাতে নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন কাছেই এই ভ্রমণ স্থলে। নিরিবিলিতে প্রিয়জনের সঙ্গে কিছুটা সময়ও কাটাতে পারবেন এখানে।

Rudra Narayan Roy

Travel Destination: তিরতিরে নদীর জলে পা ভিজিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটবে সময়, ছুটিতে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে

দার্জিলিংয়ের বেড়াতে গিয়ে মিরিক গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু তাবাকোশি গিয়েছেন? মিরিক থেকে কিন্তু খুব কাছেই এই তাবাকোশি। মিরিক থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরত্ব তাবাকোশির। পাহাড়ের কোলে অপূর্ব সুন্দর ছবির মতো এই গ্রাম ।
দার্জিলিংয়ের বেড়াতে গিয়ে মিরিক গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু তাবাকোশি গিয়েছেন? মিরিক থেকে কিন্তু খুব কাছেই এই তাবাকোশি। মিরিক থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরত্ব তাবাকোশির। পাহাড়ের কোলে অপূর্ব সুন্দর ছবির মতো এই গ্রাম ।
এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে তাবাকোশি আসতে পারেন।নয়তো এনজেপি থেকে মিরিক বাজার পর্যন্ত যে কোনও শেয়ার কারে চলে আসুন। সেখান থেকে গাড়িতে তাবাকোশি। কম টাকায় হয়ে যাবে।
এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে তাবাকোশি আসতে পারেন।নয়তো এনজেপি থেকে মিরিক বাজার পর্যন্ত যে কোনও শেয়ার কারে চলে আসুন। সেখান থেকে গাড়িতে তাবাকোশি। কম টাকায় হয়ে যাবে।
রংভং নদীর তীরের এই গ্রাম। গাোপালধারা টি এস্টেটের খুব কাছেই এই তাবাকোশি। নদীর ধারে রয়েছে একাধিক হোম স্টে রয়েছে।
রংভং নদীর তীরের এই গ্রাম। গাোপালধারা টি এস্টেটের খুব কাছেই এই তাবাকোশি। নদীর ধারে রয়েছে একাধিক হোম স্টে রয়েছে।
বছরভরই আসতে পারেন তাবাকোশি। অক্টোবরের পর থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে পাহাড়ি রাস্তার ধারে। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। ছোট রংভং নদীর ধারে বসুন সারা দিন। নদীর জলে পা ডুবিয়ে আড্ডা দিন প্রিয়জনদের সঙ্গে, মন ভাল হয়ে যাবে ।
বছরভরই আসতে পারেন তাবাকোশি। অক্টোবরের পর থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে পাহাড়ি রাস্তার ধারে। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। ছোট রংভং নদীর ধারে বসুন সারা দিন। নদীর জলে পা ডুবিয়ে আড্ডা দিন প্রিয়জনদের সঙ্গে, মন ভাল হয়ে যাবে ।
তাবাকোশিতে পাহাড়ের ধারে ছোট একটা পার্ক রয়েছে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে টিকিট কেটে ঢুকে পড়ুন। প্রকৃতির মাঝে, ফুলের মাঝে ওদেরও ভালো লাগবে। দূরে পাহাড়ের সারি। দিন দুয়েকের জন্য কোনও ছোটাছুটি অ্যাডভেঞ্চার নয়, পাথরের উপর বসে গল্প করুন আর প্রকৃতিকে উপভোগ করুন।
তাবাকোশিতে পাহাড়ের ধারে ছোট একটা পার্ক রয়েছে। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে টিকিট কেটে ঢুকে পড়ুন। প্রকৃতির মাঝে, ফুলের মাঝে ওদেরও ভালো লাগবে। দূরে পাহাড়ের সারি। দিন দুয়েকের জন্য কোনও ছোটাছুটি অ্যাডভেঞ্চার নয়, পাথরের উপর বসে গল্প করুন আর প্রকৃতিকে উপভোগ করুন।
সকালের দিকে মিরিক লেকে ঘুরে আসতে পারেন। আর রাতে হোম স্টের সামনে আগুন জ্বেলে চারপাশে বসুন। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। সময় যে কীভাবে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না।
সকালের দিকে মিরিক লেকে ঘুরে আসতে পারেন। আর রাতে হোম স্টের সামনে আগুন জ্বেলে চারপাশে বসুন। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। সময় যে কীভাবে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না।

Durga Puja Travel Destination: পুজোর ছুটিতে না গেলে চরম মিস…! ঘুরে আসুন মন ভাল করা এই পাহাড়ি গ্রামে 

শিবখোলা: উত্তর মানেই প্রকৃতির খেলা। আবার প্রকৃতির মাঝে অ্যাডভেঞ্চারের মজা নিতে ভালবাসি আমরা সবাই। আর যদি বলতেই হয় শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে অ্যাডভেঞ্চারাস একটি জায়গা খুঁজে নিতে তাহলে পছন্দের মধ্যে সেরা ঠিকানা শিবখোলা এডভেঞ্চার ক্যাম্প। কার্শিয়াং মহকুমার অন্তর্গত একটি গ্রাম শিবখোলা । এখানে এলে প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।এবার ভাবছেন কিভাবে পৌঁছবো? অবশ্যই শহর শিলিগুড়ির একেবারে কাছে উত্তরের সেরা অ্যাডভেঞ্চার মূলক পর্যটন শিবখোলা। চারিদিকে পাহাড় পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মহানদী। নদীর কল কল শব্দে মন ভরে যায় সকলের ।

চিরাচরিত দার্জিলিং ও কালিম্পং থেকে যারা কিছুটা শান্ত পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে বিশুদ্ধ বাতাসে নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য দারুন ঠিকানা কার্শিয়াংয়ের শিবখোলা। এখানে এলে মিলবে মনোরম শান্ত পরিবেশ আর সারাবছরই ঠান্ডা শিরশিরে অনুভূতি। সঙ্গে মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর কলরব। একপাশে খাড়া পাহাড় নেমে গেছে। পাহাড়ের ঢালে চা বাগান। আবার শিবখোলার অনেকটা জায়গায় সমতল। সেখানে বাগান। শিশুরা হুটোপাটি করে খেলতে পছন্দ করে। আর অন্ধকার নামলেই ঝিঁঝিঁ পোকা ডাক সঙ্গে বনফায়ারের সুবিধা। রাত যত বাড়ে একটা রহস্যময় ভালোলাগা কাজ করে।

আরও পড়ুন-     মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে মনোরম শান্ত পরিবেশ আর সঙ্গে মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর কলরব।আর অন্ধকার নামলেই ঝিঁঝিঁ পোকা ডাক সঙ্গে বন ফায়ারের সুবিধা। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে পৌঁছে যেতেই পারে শিব খোলা এডভেঞ্চার ক্যাম্পে। যেখানে সুন্দর পরিবেশের সঙ্গে থাকা এবং খাওয়ার সুবন্দোবস্ত রয়েছে জানালেন শিব খোলা অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পের কর্নধার সুদান লামা। খরচ একেবারেই সামান্য। এনজিপিতে নেমে শেয়ার গাড়িতে করে মাত্র ২২ টাকা খরচেই শিবখোলা পৌঁছে যেতে পারবেন আপনি। একদিন থাকা খাওয়া মিলিয়ে খরচ ১৩০০ টাকা প্রতি জন হিসেবে।

আরও পড়ুন-    ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

ক্যাম্পের কর্ণধার সুদান লামা জানান,” চারিদিকে পাহাড় ঘেরা শান্ত এই গ্রাম। মহানদীর কলকল শব্দে মন ছুঁয়ে যাবে সকলের। পুজোর আসলেই এই পাহাড়ি জায়গায় বেড়াতে আসেন সকলে। আমাদের এই অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পটা একটু অফবিট । তাই সকলের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে এই শিবখোলা এডভেঞ্চার ক্যাম্প।” তিনি আরো জানান যে এই মাসের একটা দিনও আর খালি নেই প্রতিদিন বুকিং হয়ে রয়েছে। পর্যটকদের সামলাতে যথারীতি হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

অনির্বাণ রায়

Offbeat Tour in Monsoon: সামনেই ১৫ অগাস্ট, টানা ৪ দিন ছুটি! কোথায় বেড়াতে যাবেন ঠিক করেছেন?

ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। একটু ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে ব্যাগ গুছিয়ে। সামনেই ১৫ অগাস্ট। স্বাধীনতা দিবসের উইকেন্ডে অফবিট কোথায় বেড়়াতে যাবেন ঠিক করেছেন? রইল কয়েকটি ঠিকানা, যেগুলি বৃষ্টিতেও দারুণ উপভোগ করা যায়।
ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। একটু ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে ব্যাগ গুছিয়ে। সামনেই ১৫ অগাস্ট। স্বাধীনতা দিবসের উইকেন্ডে অফবিট কোথায় বেড়়াতে যাবেন ঠিক করেছেন? রইল কয়েকটি ঠিকানা, যেগুলি বৃষ্টিতেও দারুণ উপভোগ করা যায়।
টানা ৪ দিনের ছুটিতে দিঘা, পুরীর মতো জায়গা অনায়াসে ঘুরে আসার সুযোগের পাশাপাশি আবার সুযোগ রয়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার।
টানা ৪ দিনের ছুটিতে দিঘা, পুরীর মতো জায়গা অনায়াসে ঘুরে আসার সুযোগের পাশাপাশি আবার সুযোগ রয়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার।
অগাস্ট মাসের টানা ৪ দিনের ছুটির সুযোগ রয়েছে মূলত ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে। টানা ৪ দিনের ছুটির জন্য অবশ্যই একটু ম্যানেজ করতে হবে। কেননা ১৫ অগাস্ট এবার পড়েছে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার দিনটি বাদ দিলেই পড়ছে শনিবার ও রবিবার।
অগাস্ট মাসের টানা ৪ দিনের ছুটির সুযোগ রয়েছে মূলত ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে। টানা ৪ দিনের ছুটির জন্য অবশ্যই একটু ম্যানেজ করতে হবে। কেননা ১৫ অগাস্ট এবার পড়েছে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার দিনটি বাদ দিলেই পড়ছে শনিবার ও রবিবার।
বেড়ানোর তালিকায় বাঙালির বরাবরের জন্য হট ফেভারিট উত্তরবঙ্গ। এই বর্ষায় ঘুরে আসুন নেপাল সীমান্তের মানেভঞ্জন থেকে। এখানেই রয়েছে রঙ্গিত মাজুয়া গ্রাম। পাহাড়ি গ্রামের নৈঃস্বর্গিক সৌন্দর্য্য আপনাকে মোহিত করে দেবে। সবুজে সবুজ দিয়ে সাজানো এই গ্রামের অপরূপ শোভা লেখনিতে বর্ণনা করা বেশ কঠিন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই গ্রামের সবদিক থেকেই দেখা মিলে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার।
বেড়ানোর তালিকায় বাঙালির বরাবরের জন্য হট ফেভারিট উত্তরবঙ্গ। এই বর্ষায় ঘুরে আসুন নেপাল সীমান্তের মানেভঞ্জন থেকে। এখানেই রয়েছে রঙ্গিত মাজুয়া গ্রাম। পাহাড়ি গ্রামের নৈঃস্বর্গিক সৌন্দর্য্য আপনাকে মোহিত করে দেবে। সবুজে সবুজ দিয়ে সাজানো এই গ্রামের অপরূপ শোভা লেখনিতে বর্ণনা করা বেশ কঠিন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই গ্রামের সবদিক থেকেই দেখা মিলে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার।
মহারাষ্ট্রের পাহাড় ও উপত্যকা ঘেরা এই জায়গা লোনাভালা বিশেষ ভাবে বিখ্যাত এখানকার অবাক করা সৌন্দর্যের জন্য। ঐতিহাসিক দুর্গ, প্রাচীন গুহা আর টলটলে জলের শান্ত হ্রদ ঘিরে আছে এই জায়গাটিকে। স্থানীয়দের কাছে অসম্ভব প্রিয়। মুম্বই বেড়াতে গিয়েও এ অঞ্চলে বহু বহু জন বেড়াতে যান। বর্যা দিনে এখানে বেড়ানোটা অন্য অভিজ্ঞতা।
মহারাষ্ট্রের পাহাড় ও উপত্যকা ঘেরা এই জায়গা লোনাভালা বিশেষ ভাবে বিখ্যাত এখানকার অবাক করা সৌন্দর্যের জন্য। ঐতিহাসিক দুর্গ, প্রাচীন গুহা আর টলটলে জলের শান্ত হ্রদ ঘিরে আছে এই জায়গাটিকে। স্থানীয়দের কাছে অসম্ভব প্রিয়। মুম্বই বেড়াতে গিয়েও এ অঞ্চলে বহু বহু জন বেড়াতে যান। বর্যা দিনে এখানে বেড়ানোটা অন্য অভিজ্ঞতা।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কেন, খোদ উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এলাকার জঙ্গলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুন্তালেখোলা। নেওরা ভ্যালির কাছেই এই জায়গাটি বিশেষ ভাবে পরিচিত অপুর্ব জলহাওয়ার জন্য। টিলা, পাহাড়ি ঝোরা, অফুরন্ত গাছ, অসংখ্য পাখি। এক টুকরো স্বর্গ বুঝি।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কেন, খোদ উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এলাকার জঙ্গলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুন্তালেখোলা। নেওরা ভ্যালির কাছেই এই জায়গাটি বিশেষ ভাবে পরিচিত অপুর্ব জলহাওয়ার জন্য। টিলা, পাহাড়ি ঝোরা, অফুরন্ত গাছ, অসংখ্য পাখি। এক টুকরো স্বর্গ বুঝি।
হাতে আর কটা দিন যোগ করলে বৃষ্টি দেখার আদর্শ জায়গা হল চোখ ধাঁধানো মেঘের দেশ মেঘালয় রাজ্য। ছোট্ট গ্রাম এই মৌসিনরাম। ঝর্ণার সশব্দ হাজিরা আর নৈসর্গিক সবুজে ঘেরা এই জায়গায় বর্ষাকালের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একেবারে ফাটাফাটি।
হাতে আর কটা দিন যোগ করলে বৃষ্টি দেখার আদর্শ জায়গা হল চোখ ধাঁধানো মেঘের দেশ মেঘালয় রাজ্য। ছোট্ট গ্রাম এই মৌসিনরাম। ঝর্ণার সশব্দ হাজিরা আর নৈসর্গিক সবুজে ঘেরা এই জায়গায় বর্ষাকালের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একেবারে ফাটাফাটি।

Offbeat Places in North Bengal: গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন অফবিট পানবু থেকে, কম খরচে এই বেড়ানো দীর্ঘদিন মনে থাকবে

কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখতে আপনাকে একবার হলেও যেতে হবে পানবুডারা। পানবু ভিউ পয়েন্টের জন্যই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় পানবুডারা। শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার বা কালিঝোরা হয়ে পৌঁছাতে পারেন পানবুডারা। দূরত্ব প্রায় ৭০ কিমি।
কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখতে আপনাকে একবার হলেও যেতে হবে পানবুডারা। পানবু ভিউ পয়েন্টের জন্যই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় পানবুডারা। শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার বা কালিঝোরা হয়ে পৌঁছাতে পারেন পানবুডারা। দূরত্ব প্রায় ৭০ কিমি।
বছরের সব সময়ই পানবুতে আসা যায়। যদিও বেশিরভাগ মানুষ গরমের ছুটিতেই ঘুরতে যায়, তবে জানিয়ে রাখি, গ্রীষ্মকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও কাঞ্চন চূড়া দেখার সম্ভাবনা খানিকটা কম। কারণ সেই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি মেঘের আস্তরণ থাকে।
বছরের সব সময়ই পানবুতে আসা যায়। যদিও বেশিরভাগ মানুষ গরমের ছুটিতেই ঘুরতে যায়, তবে জানিয়ে রাখি, গ্রীষ্মকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও কাঞ্চন চূড়া দেখার সম্ভাবনা খানিকটা কম। কারণ সেই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি মেঘের আস্তরণ থাকে।
তবে যারা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করেন না তাদের জন্য এই জায়গাটি দারুণ একটি জায়গা। আসলে পাহাড় বা অন্যান্য জায়গা থেকে পানবুর ভিউ একটু অন্যরকম। বলা চলে, এখানকার সৌন্দর্য যেন আরও বেশি। এমন সুন্দর ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ সত্যি খুব বিরল। কারণ এই একদিকে যেমন ডুয়ার্সের সৌন্দর্য দেখা যায়। ঠিক অন্য দিকে মনমুগ্ধকর কাঞ্চনজঙ্ঘা।
তবে যারা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করেন না তাদের জন্য এই জায়গাটি দারুণ একটি জায়গা। আসলে পাহাড় বা অন্যান্য জায়গা থেকে পানবুর ভিউ একটু অন্যরকম। বলা চলে, এখানকার সৌন্দর্য যেন আরও বেশি। এমন সুন্দর ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ সত্যি খুব বিরল। কারণ এই একদিকে যেমন ডুয়ার্সের সৌন্দর্য দেখা যায়। ঠিক অন্য দিকে মনমুগ্ধকর কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কালীঝোরা হয়ে আসার পথে রাস্তায় পড়বে তিস্তা। এক অপূর্ব সুন্দর ভিউ পাবেন আপনি। তার সঙ্গে দেখতে পাবেন, সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। এখানে দুই একটি হোম স্টে রয়েছে।
কালীঝোরা হয়ে আসার পথে রাস্তায় পড়বে তিস্তা। এক অপূর্ব সুন্দর ভিউ পাবেন আপনি। তার সঙ্গে দেখতে পাবেন, সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। এখানে দুই একটি হোম স্টে রয়েছে।
এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার খুব ভাল ভিউ পাওয়া যায়‌। এখানে থাকার ব্যবস্থাও খুব সুন্দর। রাস্তাঘাট ভাল হওয়ার সৌজন্যে হোমস্টের দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে। রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুবিধাও।
এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার খুব ভাল ভিউ পাওয়া যায়‌। এখানে থাকার ব্যবস্থাও খুব সুন্দর। রাস্তাঘাট ভাল হওয়ার সৌজন্যে হোমস্টের দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে। রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুবিধাও।
শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুর দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। তবে কালীঝোরা হয়ে গেলে এই দূরত্ব খানিকটা কম হয়। এখানে শুধু পানবুডারাই নয়, খুব কাছেই রয়েছে ইয়াং মাকুম আর সামথার।
শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুর দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। তবে কালীঝোরা হয়ে গেলে এই দূরত্ব খানিকটা কম হয়। এখানে শুধু পানবুডারাই নয়, খুব কাছেই রয়েছে ইয়াং মাকুম আর সামথার।
এখান থেকে চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিনের সৌন্দর্যও চাক্ষুষ করে আসতে পারেন। তাই ছুটির দিনে ঘুরে আসুন মন ভাল করা এই জায়গা। (রিপোর্টার-- অনির্বাণ রায়)
এখান থেকে চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিনের সৌন্দর্যও চাক্ষুষ করে আসতে পারেন। তাই ছুটির দিনে ঘুরে আসুন মন ভাল করা এই জায়গা। (রিপোর্টার– অনির্বাণ রায়)