Tag Archives: North Bengal Tour

Monsoon North Bengal Trip: পাইন-ধুপির জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ভিজুন বৃষ্টিতে, বর্ষায় চূড়ান্ত রোম্যান্টিক পাহাড়ি এই হ্যামলেট

দার্জিলিং: চারদিকে পাইন ও ধুপি গাছে ঘেরা সবুজ প্রকৃতির মাঝে বসে সামনে কখন যে আপনি এই প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাবেন তা বুঝে উঠতে পারবেন না। আর এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনাকে আসতেই হবে লামাহাটা ইকোপার্কে। দার্জিলিং থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি ছোট গ্রাম হল এই লামাহাট্টা বা লামাহাটা। পাহাড়ের এই গ্রামের উচ্চতা ৫৭০০ ফুট । মুলত শেরপা, ভুটিয়া তামাং ও বিভিন্ন পাহাড়ি জনজাতির লোকেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে এই গ্রাম।

লামা কথার অর্থ হল বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং হাট্টা কথার অর্থ হল বাসস্থান অর্থাৎ এই লামাহাটা শব্দটির অর্থ যেখানে বৌদ্ধরা বাস করেন। ভারত সরকার তিব্বতীয় লামাদের বসবাস করার জন্য এই জায়গাটি নির্বাচন করেছিলেন, তাই নাম লামাহাট্টা। আর লামাহাটার দর্শনীয় স্থান হল লামাহাটা ইকোপার্ক। একদিকে বিশাল বিশাল পাইনের ঘন জঙ্গল এবং অপর দিকে খোলা মেঘমুক্ত আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা অপরূপ দৃশ্য তার সঙ্গে বিভিন্ন রঙ্গিন ফুলের গাছ ও প্রজাপতি এইসব পেয়ে যাবেন এই লামাহাট্টা ইকো-পার্কে, এই পার্কে বিভিন্ন স্থানে বসে থাকার জাায়েগা করা হয়েছে যেখানে বসে প্রকৃতিপ্রেমীরা মন ভরে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ এখনও নামই শোনেনি অনেকে! ঘুরে আসুন বাংলা-সিকিম সীমান্তের এই অচেনা গ্রামে, মেঘমুলুকে হারিয়ে যাবেন

প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভাল এই পার্কে প্রবেশ করার জন্য টিকেট কাটতে হবে যার মূল্য ১৫ টাকা জনপ্রতি। লামাহাটা হল ভ্রমণকারীদের জন্য একটি নিখুঁত গন্তব্য যারা শহুরে জীবনের গুঞ্জন থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চান এবং ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য এটি একটি সুন্দর জায়গা হয়ে উঠেছে। অসাধারণ এবং বিস্ময়কর ফুলগুলি জায়গাটির সৌন্দর্যকে আরো প্রস্ফুটিত করে এবং নার্সারিগুলি একটি আলাদা মাত্রা জুড়ে দেয়। লামাহাটা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর মতো সমস্ত ভ্রমণ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত।

লামাহাটা পৌঁছবেন কীভাবে ?

লামাহাটা পৌঁছতে হলে আপনারা যদি ট্রেনে আসেন তাহলে এনজিপি স্টেশন থেকে যদি বাসে আসেন তবে শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে এবং অথবা যদি আপনারাা ফ্লাইটে আসেন তবে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে লামাহাটার জন্য সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে আসতে পারেন ।

সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসলে আপনাদের গাড়ি ভাড়া পরে যাবে, যদি ছোট গাড়ি ভাড়া করেন তবে সেক্ষেত্রে খরচ পরবে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা অথবা আপনার যদি বড় গাড়ি ভাড়া করেন সেক্ষেত্রে পড়ে যাবে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। এছাড়াও আপনারা শেয়ার গাড়ি করে লামাহাটা পৌঁছাতে পারবেন। শেয়ার গাড়িতে এলে খরচ পরবে প্রায় ৪০০-৬০০ টাকা।

অনির্বাণ রায়

Summer Special Train : উত্তরবঙ্গে যারা ঘুরতে যেতে যান তাদের জন্য সুখবর, বাড়ছে স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা

কলকাতা: যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় কমাতে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন পরিষেবার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু’টি ট্রেনের নম্বর ০৬১০৩/০৬১০৪ (নাগেরকইল জং-ডিব্রুগড়-নাগেরকইল জং) এবং ০৬১০৫/০৬১০৬ (নাগেরকইল জং-ডিব্রুগড়-নাগেরকইল জং)। এই ট্রেনগুলি যেমন চালানো হচ্ছিল তেমনই চালানো হবে

আরও পড়ুন: লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫৪৩ জন সাংসদ, বয়সে এই ৪ জন কনিষ্ঠতম

 এছাড়াও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ০৭ জুন শুক্রবার একটি ট্রিপের জন্য গুয়াহাটি ও হাওড়ার মধ্যে একটি একমুখী সামার স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ট্রেন নং ০৬১০৩ (নাগেরকইল জং-ডিব্রুগড়) স্পেশাল ০৭ জুন থেকে ২১ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্রবার চলাচল করবে। ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নং. ০৬১০৪ (ডিব্রুগড়-নাগেরকইল জং) স্পেশাল ১২ জুন থেকে ২৬ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বুধবার চলাচল করবে। ট্রেন নং ০৬১০৫ (নাগেরকইল জং-ডিব্রুগড়) স্পেশাল ১৪ জুন থেকে ২৮ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্রবার চলাচল করবে। ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নং. ০৬১০৬ (ডিব্রুগড়-নাগেরকইল জং) স্পেশাল ১৯ জুন থেকে ০৩ জুলাই, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বুধবার চলাচল করবে।

এই ট্রেনগুলির পরিষেবা বৃদ্ধি করার ফলে সংশ্লিষ্ট রুটগুলির অন্যান্য ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা উপকৃত হবেন। এছাড়াও, ট্রেন নং. ০৫৬৮০ (গুয়াহাটি-হাওড়া) একমুখী স্পেশাল গুয়াহাটি থেকে ০৭ জুন, ২০২৪ তারিখ, শুক্রবার ০৫.৫০ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে শনিবার ০৩.০০ ঘণ্টায় হাওড়া পৌঁছবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই একমুখী স্পেশাল ট্রেনটিতে ২১টি কামরা থাকবে। যাত্রার সময় ট্রেনটি গোয়ালপাড়া টাউন, নিউ বঙাইগাঁও, নিউ জলপাইগুড়ি, মালদা টাউন ও বর্ধমান ইত্যাদি রেলওয়ে স্টেশন হয়ে চলবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, এই ট্রেনগুলির স্টপেজ ও সময়সূচির বিশদ বিবরণ আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট এবং উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। যাত্রার করার পূর্বে বিশদ বিবরণগুলি দেখে নেওয়ার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

North Bengal Trip: নেওড়া ভ্যালি ঘেরা একেবারে নতুন এই গ্রাম, জানলা খুললেই হিমালয়ান রেঞ্জ, ঘুরে আসুন ছোট্ট ছুটিতে

*নির্জন নিরিবিলিতে রূপের ডালি নিয়ে বসে রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মাইরুংগাঁও। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে। একেবারে চোখ জুড়ানো ট্যুরিস্ট স্পট। নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক দিয়ে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রাম।
*নির্জন নিরিবিলিতে রূপের ডালি নিয়ে বসে রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মাইরুংগাঁও। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে। একেবারে চোখ জুড়ানো ট্যুরিস্ট স্পট। নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক দিয়ে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রাম।
*যারা পাখির ছবি তুলতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই মাইরুংগাঁও একেবারে স্বর্গ রাজ্য। হোমস্টের জানালা খুললেই দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে ভোরবেলায়। জানালা খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখুন, মেঘ সরলেই সামনেই হিমালয়ের রেঞ্জ দেখে মন ভাল হয়ে যাবে।
*যারা পাখির ছবি তুলতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই মাইরুংগাঁও একেবারে স্বর্গ রাজ্য। হোমস্টের জানালা খুললেই দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে ভোরবেলায়। জানালা খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখুন, মেঘ সরলেই সামনেই হিমালয়ের রেঞ্জ দেখে মন ভাল হয়ে যাবে।
*গ্রামের অনেক ছোট ছোট হোমস্টে রয়েছে। ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে হোমস্টেগুলির সামনে। পাহাড়ি নির্জনতাকে যদি প্রকৃত অর্থেই অনুভব করতে চান, তবে মাইরুংগাঁওয়ের কোনও বিকল্প নেই।
*গ্রামের অনেক ছোট ছোট হোমস্টে রয়েছে। ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে হোমস্টেগুলির সামনে। পাহাড়ি নির্জনতাকে যদি প্রকৃত অর্থেই অনুভব করতে চান, তবে মাইরুংগাঁওয়ের কোনও বিকল্প নেই।
*এই গ্রামে তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই। তাই এটিকে এখনও ভার্জিন অফবিট ডেস্টিনেশন হিসাবেই মনে করা হয়। মাত্র ৮ কিমি দূরেই আলগারা। আসার পথে চোখে পড়বে ফুটে রয়েছে রোডোডেনড্রন। এখান থেকে আপনি আলগারা, ইচ্ছেগাঁও, রামধুরাতেও যেতে পারবেন।
*এই গ্রামে তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই। তাই এটিকে এখনও ভার্জিন অফবিট ডেস্টিনেশন হিসাবেই মনে করা হয়। মাত্র ৮ কিমি দূরেই আলগারা। আসার পথে চোখে পড়বে ফুটে রয়েছে রোডোডেনড্রন। এখান থেকে আপনি আলগারা, ইচ্ছেগাঁও, রামধুরাতেও যেতে পারবেন।
*এনজেপি অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে যেতে পারেন মাইরুংগাঁও। না হলে কম পয়সায় বাসে চলে যান কালিম্পং। সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে আপনার গন্তব্য মাইরুংগাঁও।
*এনজেপি অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে যেতে পারেন মাইরুংগাঁও। না হলে কম পয়সায় বাসে চলে যান কালিম্পং। সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে আপনার গন্তব্য মাইরুংগাঁও।

Offbeat Places: ছবির মতো সুন্দর,পাহাড়-নদী-লেবু বাগান,মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই অফবিট জায়গায়

শাসিং ভ্যালি। একেবারেই অচেনা একটা নাম। কমলালেবুর বাগান ভরে রয়েছে এই গ্রাম । সিটংকে কড়া টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই শাসিং ভ্যালি।
শাসিং ভ্যালি। একেবারেই অচেনা একটা নাম। কমলালেবুর বাগান ভরে রয়েছে এই গ্রাম । সিটংকে কড়া টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই শাসিং ভ্যালি।
বাইকারদের পক্ষেও বেশ ভাল জায়গা এটি। যাঁরা এই বসন্তে ভাবছেন একটু নিরিবিলিতে ছুটি কাটাবেন তাঁরা চোখ বন্ধ করে চলে অসতে পারেন এই শাসিং ভ্যালিতে।
বাইকারদের পক্ষেও বেশ ভাল জায়গা এটি। যাঁরা এই বসন্তে ভাবছেন একটু নিরিবিলিতে ছুটি কাটাবেন তাঁরা চোখ বন্ধ করে চলে অসতে পারেন এই শাসিং ভ্যালিতে।
শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে ঘুম পর্যন্ত চলে আসুন শেয়ার গাড়িতে। জনপ্রতি ভাড়া নেবে আড়াইশো টাকা। ঘুম থেকে লেপচা জগতে যাওয়ার পথে পড়বে ঘুম ভাঞ্জে। সেখান থেকেই রাস্তা বেঁকে গিয়েছে শাসিং ভ্যালির দিকে।
শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে ঘুম পর্যন্ত চলে আসুন শেয়ার গাড়িতে। জনপ্রতি ভাড়া নেবে আড়াইশো টাকা। ঘুম থেকে লেপচা জগতে যাওয়ার পথে পড়বে ঘুম ভাঞ্জে। সেখান থেকেই রাস্তা বেঁকে গিয়েছে শাসিং ভ্যালির দিকে।
একেবারেই অফবিট জায়গা এটি। এই ভ্যালির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। এখানে একেবারে অরগ্যানিক পরিবেশে থাকতে পারবেন। নেই কোনও দূষণ।
একেবারেই অফবিট জায়গা এটি। এই ভ্যালির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। এখানে একেবারে অরগ্যানিক পরিবেশে থাকতে পারবেন। নেই কোনও দূষণ।
দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন শাসিং ভ্যালি। থাকার জন্য হোম স্টে রয়েছে। যার খরচ খাওয়া দাওয়া সহ জনপ্রতি ১৫০০ টাকা ।
দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন শাসিং ভ্যালি। থাকার জন্য হোম স্টে রয়েছে। যার খরচ খাওয়া দাওয়া সহ জনপ্রতি ১৫০০ টাকা ।