লাইফস্টাইল Parainting Tips: বাচ্চা মনে রাখতে পারছে না কিছুতেই? রইল চারটে ‘ম্যাজিক টিপস’, মানলেই গড়-গড় করে পড়া বলে দেবে আপনার সন্তান Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk আপনার বাচ্চাটি রোজই পড়াশোনা করছে৷ ফাঁকি দিচ্ছে এমন কথা অতি বড় নিন্দুকও বলতে পারবে না৷ কিন্তু সমস্যা হল, মনে থাকছে না কিছুই৷ স্কুল টেস্টেও নম্বর ভাল হচ্ছে না৷ আগের দিন রাতে যা পড়েছে, পরের দিনই পরীক্ষা হলে তা বেমালুম ভুলে গেছে আপনার খুদেটি৷ সেই নিয়ে আপনার চিন্তার শেষ নেই৷ তবে একেবারে চিন্তার কিছু নেই৷ শুধু চারটে উপায় মেনে চলুন৷ তাহলেই আপনার খুদেরও স্মরণশক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে৷ দেখবেন কেবল আগের দিনের নয়, কয়েকমাসের আগের পড়াও গড়-গড় করে বলে দিচ্ছে৷ যখন বাচ্চা পড়তে বসবে, তাকে বলবেন কেবল পড়া মুখস্ত না করতে৷ কয়েকমিনিটের আগের পড়া চোখ বন্ধ করে মনে করতে৷ বাচ্চার হাতের কাছে যেন একটা পেন্সিল থাকে৷ পড়তে পড়তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও আন্ডারলাইন করে নিন৷ এতে আন্ডারলাইন করা পড়াগুলো স্মৃতিতে অনেকদিন রয়ে যায়৷ সন্তানকে শুধু পড়তে বারণ করুন৷ পড়ার মাঝে-মাঝে তা বোঝাও জরুরি৷ অনেক সময় দেখা যায় সন্তান যা পড়ছে, তা কিছুই বুঝতে পারছে না৷ এতেই সে বিষয় ভুলে যাচ্ছে৷ সেই জন্য তাকে বলুন পড়ার মাঝে মাঝে নোট তৈরি করতে৷ নিজেকেই বিষয়টিকে বোঝাতে বলুন৷ প্রশ্ন করে যেন নিজেই উত্তর দেয়-এতে বিষয়ের উপর জ্ঞান গভীর হয়৷ সেও যা পড়ল আর কখনও ভুলবে না৷ একটানা পড়াশোনা করলে মন ক্লান্ত হয়ে যায়৷ ফলে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়৷ তাই পড়াশোনার মাঝে-মাঝে বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি৷ এতে নতুন তথ্য প্রক্রিয়া করার জন্য মস্তিষ্ক কিছুটা সময় পাবে৷ শুধু একঘেয়ে পড়ার চেয়ে যা পড়ছে তা যদি আপনার সন্তান ভিজ্যুয়ালাইজ করে, তাহলে মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ ও যা পড়ছেন সেই ধরনের ছবি যেন দেখতে পায়, সেই চেষ্টা করুন৷ স্থান নিয়ে কিছু পড়লে হাতের কাছে ম্যাপ রেখে দিন৷ এতে আপনার খুদেটি বিষয়তে আগ্রহও পাবে৷ আবার ওর পক্ষে মনে রাখাও সহজ হবে৷
লাইফস্টাইল Child Care Tips: ঠাকুমা-দিদিমাদের ‘ধন্বন্তরি’ টোটকা…! সর্দি-কাশি হলেই বাচ্চাকে খাওয়ান ‘এক’ চামচ এই মশলা! আজীবন ফিট থাকবে সন্তান! Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান আবহাওয়াতে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা খুব সাধারণ। একবার বাচ্চাদের কাশি হলে তা বেশ কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে। বুঝতে পারছেন না কোন ওষুধ দেবেন যাতে তারা আরাম পায়। তবে বেশি ওষুধ ও কাশির সিরাপ না দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে শিশুদের কাশি ও সর্দি নিরাময় করতে পারেন। একটি মশলা আছে, যা তাদের কাশি সারাতে পারে। সেই মশলা হল জায়ফল। আসুন জেনে নেই জায়ফল কীভাবে শিশুদের কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। শিশুদের জন্য জায়ফলের উপকারিতাখাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জায়ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ওষুধ তৈরিতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আপনি কি জানেন জায়ফল শিশুদের জন্যও খুব উপকারী? তাই আসুন আমরা আপনাকে বলি যে আপনার শিশুর কাশি হলে এক চিমটি জায়ফল খাওয়ালে সে কাশি এবং সর্দি থেকে মুক্তি পেতে পারে। এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে অনেক রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার বাচ্চাদের এক চিমটি জায়ফল দিলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারেন। – এই মশলায় এনজাইম রয়েছে, যা শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। শিশুরা প্রায়ই পেট ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যায় ভোগে। মধুতে এক চিমটি জায়ফলের গুঁড়ে মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। – বর্ষা ও শীতকালেও শিশুদের জায়ফল দিতে পারেন। এই মরশুমে সর্দি-কাশি হলে সরষের তেলে জায়ফলের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সামান্য গরম করে বাচ্চাদের বুকে মালিশ করুন। সর্দি-কাশি থেকে আরাম পাবেন। জায়ফল তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও উপকারী। – যখন শিশুর দাঁত ফুটে না বা কোনও সমস্যা হয়, তখন জায়ফল ও চিনি পিষে গুঁড়ো করে নিন। দুধ বা জলে মিশিয়ে শিশুকে দিন। এর ফলে দাঁত তাড়াতাড়ি বের হতে পারে। জায়ফল তেল দাঁত ওঠার সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শিশুর ত্বকেও এই তেল লাগাতে পারেন, এটি ত্বককে নরম ও চকচকে করে তুলতে পারে। -জায়ফলের ঔষধি গুণ বিপাক বাড়ায়। দুধে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান, হজমশক্তি ভাল হবে। যেসব শিশু ঠিকমতো খায় না তাদেরও এই দুধ খাওয়াতে পারে। এতে তাদের খিদে বাড়বে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জায়ফলের অতিরিক্ত সেবনও ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাচ্চাদের দেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত নিন। জায়ফল শিশুদের জন্য উপকারী হলেও এটি ক্ষতিকারকও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সীমিত পরিমাণে জায়ফল খান। জায়ফল থেকে অ্যালার্জি থাকলে ভুল করেও বাচ্চাকে দেবেন না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমোন…? ‘কত’ বয়স পর্যন্ত বাচ্চা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে পারে জানেন? এখনই উত্তর জানা মাস্ট! Gallery September 19, 2024 Bangla Digital Desk ভারতীয় পরিবারে শিশুরা জন্মের পর তাদের মা-বাবার সঙ্গেই ঘুমোয়। নবজাতকের ক্ষেত্রে এটি এক অর্থে স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রাতে ঘুমোনোর সময় মা-বাবার স্পর্শে শিশু নিরাপদ বোধ করে। তাই বাবা-মায়েরাও সন্তানদের সঙ্গে নিজেদের সঙ্গে একই বিছানায় নিয়ে ঘুমোন। কিন্তু ভারতীয় পরিবারগুলিতে দেখা যায়, বেশ বড় ছেলেমেয়েরাও প্রায়শই তাদের মা-বাবার সঙ্গে ঘুমোয়। এক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় মা-বাবাকে। তাঁদের শুতে দেরি হলে বাচ্চাও ঘুমাতে চায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিও তৈরি হয় যেখানে আপনি হয়ত আপনার সন্তানকে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছেন যার ফলে সন্তানের ঘুমও বন্ধ হয়ে যায়। কারণ মা-বাবাকে ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস যে নেই তার। ঘরে ঘরে এই ধরণের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাবা-মাকে। এই কারণে সময় থাকতেই নির্দিষ্ট বয়সে শিশুদের আলাদাভাবে ঘুমানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখা যাক এর নেপথ্যে থাকা বড় যুক্তি। বলুন তো কেন বাচ্চাকে একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছলে আলাদা শোয়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত? জানুন বিস্তারিত। প্রতিটি শিশুর ঘুমানোর ধরণ আলাদা। কিছু শিশু বালিশ, কম্বল এবং খেলনা নিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করে। অনেক শিশুর আবার এখনও তাদের বাবা-মা’কে জড়িয়ে তাঁদের সঙ্গেই ঘুমানোর অভ্যাস। এই অভ্যাসটি কিন্তু যতদিন সন্তান শিশু থাকে ততদিন পর্যন্ত সঠিক। নয়তো যত দিন যাবে বাচ্চা ততই ধীরে ধীরে বড় ও প্রাপ্তবয়স্ক হবে, আর বেশ কিছু কারণে তাঁদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দেবে। লাইফস্টাইল কোচ ও পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘এক্ষেত্রে বাচ্চাকে সঠিক বয়সে আলাদা শোয়ানোর ব্যবস্থা করা জুরুরি তার সঠিক মানসিক বিকাশের জন্যেও। প্রাপ্তবয়স্কতার দিকে এগোনোর আগেই সঠিক পদ্ধতিতে সন্তানকে আলাদা শোয়ানোর চেষ্টা করা জরুরি।” বিশেষত আপনি হঠাৎ যখন আপনার সন্তানদের ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান, এই অভ্যাস তাদের জীবন খুব কঠিন করে তোলে। তাই শিশুদের জন্য সময়ে সময়ে আলাদাভাবে ঘুমানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিস্তারিতভাবে দেখা যাক কেন। আপনি কি জানেন কেন একটি নির্দিষ্ট বয়সে বাচ্চাদের একা ঘুমানোতে অভ্যস্ত করা দরকার? শৈশবকালে, বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে মানসিক ভাবে বেশি সংযুক্ত থাকে। তাই শিশুদের বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুমানো খারাপ নয়। কিন্তু শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একা ঘুমাতে অভ্যস্ত হতে চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক সময় শিশু একা ঘুমাতে চাইলেও বাবা-মা তা করতে দেন না। এই কাজটি সম্পূর্ণ ভুল। যদি এই অভ্যাসই কেউ চালিয়ে যেতে থাকেন তবে কিন্তু বড় হয়েও সন্তানের সবসময় বাবা-মাকে ঘুমানোর জন্য খোঁজার সম্ভাবনা থাকবে। তবে হঠাৎ করে আপনার সন্তানকে একা ঘুমাতে বাধ্য করবেন না। কোনও শিশুই হঠাৎ একা থাকতে অভ্যস্ত হতে চাইবে না তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে সন্তানকে আলাদা শুতে উৎসাহিত করার প্রথম ধাপ হল তাদের সপ্তাহে দুই বা তিনবার একা ঘুমাতে দেওয়া। এরপর ধীরে ধীরে তার একা ঘুমানোর দিনের সংখ্যা বাড়ান। এটি নিয়মিত করলে ক্রমশ বাচ্চা একটু একটু করে একা ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, আপনার বাচ্চাকে ফ্রেশ করুন এবং তাকে যত্ন করে রাতের পোশাক পরান, তাদের ঘুমানোর জায়গায় নিয়ে যান। এরপর ভাল করে ব্ল্যাঙ্কেট মুড়িয়ে দিয়ে তাদের পাশে বসুন কিছুক্ষণ এবং তাদের একটি ভাল গল্প বা গান শোনান। তারপর লাইট অফ করে, গুডনাইট বলে বেরিয়ে আসুন। এইভাবে আপনার পক্ষে বাচ্চাকে একা ঘুমাতে দেখা কঠিন হতে পারে। মনে হতে পারে হয়ত ঠিক করছেন না। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য এভাবে করাটা খুবই জরুরি। এতে আপনার বাচ্চা দ্রুত একা ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হল, আপনি কি জানেন বাচ্চাদের একা ঘুমানোর সঠিক বয়স কী? আপনি 8 বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে বাচ্চাদের একা ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারেন। এই বয়সের পর শিশুরা মানসিক ভাবে বড় হতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বয়সের পর থেকে শিশুদের যেকোনও কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়তে থাকে।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান Gallery September 19, 2024 Bangla Digital Desk ছোট বয়স থেকেই সঙ্গী হয়ে উঠছে স্মার্টফোন। শিশুরাও মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং রিলে আসক্ত। মোবাইল থেকে সন্তানকে দূরে রাখাই বাবা-মায়েদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা হোক বা বিনোদন, শিশুরা সব কিছুতেই ফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। স্কুল, কলেজগামী কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি, ২-৩ বছর বয়সী খুদেরাও ফোনের নেশায় বুঁদ। কেউ ফোন ছাড়া মুখে তোলে না খাবার, তো কারও ফোন হাতে পেলেই কান্না। অনেক বাবা-মাই সন্তানের এহেন ফোনের নেশায় বিব্রত। আবার জোর করে বাচ্চাদের ফোন থেকে দূরে রাখাও কঠিন। দিন দিন আরও বাড়ছে শিশুদের মধ্যে এই নেশা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইলের নেশা বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। যশোদা সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিক্স, ডাঃ দীপিকা রুস্তগী জানালেন কীভাবে খুব সহজে কাটানো যায় বাচ্চাদের মোবাইলের নেশা। এই পাঁচ টিপস মানলে বাচ্চারা হাসিমুখেই বিদায় জানাবে ফোনকে। রুটিন বদলানসন্তানদের জন্য স্ক্রিন টাইমের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন সেট করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে টিভি, ফোন হোক বা ট্যাব, স্ক্রীনে কোনও কিছু দেখার জন্য বরাদ্দ সময় মাত্র ১ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের একটু কঠোর হতে হবে। শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল তাদের খেলাধুলা, বই পড়া বা সৃজনশীল কাজে জড়িত রাখা। সন্তানকে পার্কে খেলতে নিয়ে যান। সাইকেল চালানোও শেখাতে পারেন। নাচ, সাঁতার, আউটডোর গেম বা অন্যান্য কার্যকলাপের মতো যে কোনও একটি ক্লাসে ভরতি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সন্তান কী করতে ভালবাসছে, তার দিকেও খেয়াল রাখুন। যখনই বাবা-মা সন্তানদের সঙ্গে থাকবেন, ফোনকে নিজেদের থেকে দূরে রাখুন। বাচ্চার সঙ্গে কথা বলুন, খেলুন, গল্প বলুন। এতে করে শিশুরা নিজে থেকেই ফোন থেকে দূরে থাকবে। বাচ্চাদের বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে দিন। খেলনা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন এই খেলনাগুলো যেন তাদের বয়স অনুযায়ী হয়। শিশুরা তাদের বয়সের চেয়ে ছোট বা বড় খেলনা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে না। শিশুদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিন। ঘরোয়া কাজে ওদেরও নিজের সঙ্গী করুন। জন্মদিন, ফাংশন ইত্যাদিতে কিছু ছোট বিশেষ কাজ দিন। গাছে জল দেওয়া, খেলনা গুছিয়ে রাখা, আলমারি পরিষ্কারে সাহায্য, ঘর সাজান। এমনই বিভিন্ন আপনার সঙ্গেই আপনার খুদেকেও কাজে লাগান। ভালবেসেই দায়িত্ব নেবে ছোটরা।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সাফল্য পিছু ছাড়বে না আপনার বাচ্চার! প্রতিদিন ‘এই’ সময় সন্তানকে পড়তে বসান! সবাই জানতে চাইবে টপার হওয়ার ‘সিক্রেট’ Gallery September 16, 2024 Bangla Digital Desk সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। অপরদিকে, বাচ্চারা ছোট্ট মাথায় কতই বা পড়াশোনার ভার নেবে। সবসময় পড়তে বসলেই যে পড়া মাথায় ঢুকবে তা একাবারেই নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পড়া মুখস্থ বা মনে রাখার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কোন সময় পড়তে বসছে সে। যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে তাঁদের ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দেন অনেকেই। বিজ্ঞান বলছে ঊষা এবং গোধুলীকালে পড়াশোনা করলে তাতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আবার নানা গবেষণা বলছে ভোর ৫টায় যদি ঘুম থেকে ওঠা যায় তা হলে চারপাশ শান্ত পরিবেশ থাকে, ফলে পড়াশোনায় ভাল মনঃসংযোগ হয়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে গেলে এবং ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করলে জীবনে নিয়ম-শৃঙ্খলা আসবে। গবেষণা বলছে যারা এখনও পড়াশোনা করছেন তাঁরা যদি রোজের অভ্যাসকে নিয়মে বাঁধতে পারেন তাহলে পড়াশোনাও গুছিয়ে ও মনোযোগ দিয়ে করতে পারা যায়। ভোরে কোলাহল কম থাকে। চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে। তাই মন বিক্ষিপ্ত হবে না। মনঃসংযোগ করতে সুবিধা হয়। পড়তে বসলে একাগ্রতা আসবে। ভোরে মন পরিষ্কার থাকে এই সময় কঠিন ও জটিল বিষয় নিয়ে চর্চা করলে তার সমাধানও বেরিয়ে আসবে পারে। ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস মন ও মেজাজকে তরতাজা রাখে। ভোরে উঠে হাঁটাহাঁটি, জগিং করলে বা প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটালে কিংবা শরীরচর্চা করলে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে। উদ্বেগ কমে। ভোরে উঠলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, ভোরবেলায় মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও আসে। তাই এই সময়টাই যদি পড়াশোনার কাজে লাগানো যায়, তা হলে মেধা বাড়বে, বুদ্ধিরও বিকাশ হবে। ভোরবেলা উঠলে অনেকটা সময় হাতে পাওয়া যায়। পড়াশোনা, শরীরচর্চার, মেডিটেশনের পাশাপাশি নিজের কিছু শখ থাকলে, তাও পূরণ করার সময় থাকে। সামগ্রিক ভাবে নিজেকে সব দিক দিয়ে তৈরি করার ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকে। ফলে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। ভোরে উঠলে পড়াশোনা, পরীক্ষা, স্কুল যদি উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা কম থাকে। এই সময় মাথা ভাল কাজ করে। এই সময়ে মস্তিষ্কে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হয়।
পাঁচমিশালি Parenting Tips: বড় হওয়ার পরেও কিছুতেই থামছে না শিশুর আঙুল চোষা? সমাধান আপনার চোখের সামনেই ঘুরছে Gallery September 15, 2024 Bangla Digital Desk সন্তানদের নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। কতরকম চিন্তা যে গ্রাস করে ভাবতেও পারবেন না। অনেক শিশুর মধ্য়ে ছোট থেকে আঙুল চোষার অভ্যাস দেখা যায়। বিশেষত ঘুমনোর সময় এমনটা হয়। কারও কারও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই অভ্যাস চলে যায়, কিন্তু অনেক বাচ্চার মধ্য়ে সেই অভ্যাস থেকে যায় বড় বয়স পর্যন্ত। তখনই হয় বিপদ। বাচ্চাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হয় তাদের বাবা-মা। বাবা-মায়ের থেকে সবসময় সমর্থন চান তারা। তাই, বাবা-মায়েদের এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। কেউ ভয় পেলে আঙুল চোষে, কেউ খিদে পেলে, কেউ টেনশনে থাকলে, খিদে বা ঘুম পেলেও অনেকে এরকম করতে থাকে। বাবা-মায়েদের সঙ্গে সন্তানদের বহু ক্ষেত্রেই অনেক মিল থাকে। বাবা-মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় বেশিরভাগ সন্তানেরই। তাই ভাল করে জেনে নিন কখন তার এই কাজটি করতে ইচ্ছে করে। সন্তানকে মোটিভেট করুন৷ নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে দিন৷ শিশু যখন মুখের ভিতর আঙুল ঢুকিয়ে রাখে, তখন বকাঝকা করবেন না। আগেকার দিনের মানুষেরা নিম পাতা বা উচ্ছে লাগানোর কথা বলতেন। সেটাকেও কাজে লাগাতে পারেন। শিশুর অজান্তে তার নখে নিম পাতা লাগিয়ে দিতে পারেন। তেতোর স্বাদ পেলে সে আর করবে না। তবে কখনওই আপনার শিশুকে লোভ দেখাবেন না। উপহারের বিনিময়ে কোনও কিছু বন্ধ করানোর চেষ্টাও করবেন না। প্রত্যেক বাবা-মা তাঁর সন্তানের মধ্য়ে সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলতে চান। কিন্তু অনেক সময়েই কিছু খারাপ অভ্যাস গড়ে ওঠে। তবে তারও সমাধান আছে। আজকের দ্রুত গতির জীবন এবং মুদ্রাস্ফীতিতে বাবা-মা বেশিরভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততা তাদের সন্তানদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। বাবা-মা যখন তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারেন না, তখন তাদের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই সে সবের খেয়াল আপনাকেই রাখতে হবে।
লাইফস্টাইল Child Height Tips:তরতরিয়ে লম্বা হবে সন্তান…! এই ‘দুই’ সবজির রসে ম্যাজিক, বাচ্চা টেক্কা দেবে বুদ্ধিতে! ছুঁতে পারবে না কেউ Gallery September 10, 2024 Bangla Digital Desk সন্তানের ওজন ও উচ্চতা নিয়ে মা-বাবাদের চিন্তার শেষ থাকে না। উচ্চতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠিকভাবে না বাড়া নিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায় খুব চিন্তায় থাকেন বাবা-মা। বাজারচলতি নানা ধরনের হেলথ ড্রিংকসের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। আমার সন্তানের গ্রোথ ঠিক হচ্ছে তো? এই এক চিন্তা কাজ করতে থাকে সব মা-বাবার মধ্যেই। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশই বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তার বিষয় হতে থাকে। বাবা-মা বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হাওয়া নিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায় খুব চিন্তায় থাকেন। বাজারচলতি নানা ধরনের হেলথ ড্রিংকসের দিকে ঝোঁকেন তাঁরা। তবে জানলে অবাক হবেন, এক্ষেত্রে দুটি সবজির রস কার্যত মোক্ষম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত হয় বাচ্চার উচ্চতা বা ওজন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন বা মিনারেসলের অভাবেও এমনটা হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে এক্ষেত্রে উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস অনেক সময় চমৎকার কাজ করে। মনোবিদদের মতে, উচ্চতা না বাড়া কমিয়ে দিতে পারে শিশুর আত্মবিশ্বাসও। দেখুন এক্ষেত্রে কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই আপনি করতে পারবেন সমাধান। জানলে আশ্চর্য হবেন, দুটি সবজির রস এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে। পুষ্টিবিদ এবং একজন সার্টিফাইড ডায়াবেটিস শিক্ষাবিদ প্রিয়াঙ্কা সাধুখাঁ তাঁর পরামর্শে বলেন, “যদিও জিন অনেকাংশই উচ্চতা নির্ধারণ করে কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত যে প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্যের মাধ্যমে বাচ্চাদের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব।” এই প্রতিবেদনে আমরা এমন দুই সবজিকে তালিকাভুক্ত করেছি যা আপনার শিশুর সামগ্রিক শারীরিক বিকাশে সহায়তা করতে পারে, যা বৃদ্ধির হরমোন উত্পাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। ডায়েটিশিয়ান জেসি ফেডার বলেছেন, “শিশুরা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর, সু-ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করে প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে পালং শাকের মতো সবুজ সবজি।” বাচ্চাদের নিয়মিত পালং শাকের রস দিলে তাদের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয় এবং দৃষ্টিশক্তিও ভাল থাকে। এছাড়া শিশুদের উচ্চতা বাড়াতেও পালং শাকের রস খুবই উপকারী। কী ভাবে বানাবেন এই রস? পালংশাকের রস তৈরি করতে প্রথমে পালংশাক ধুয়ে কেটে নিন। এরপর শিশুর পছন্দের যে কোনো একটি ফল কেটে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই পালং শাকের পিউরিটি ছেঁকে নিয়ে তাতে সামান্য লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে আপনার শিশুকে পান করতে দিন। মিড-মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবেও এটি দিতে পারেন। অ্যাভোকাডোতে রয়েছে হাই ক্যালোরি। এবং এটি পুষ্টিগুণ ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো খেলে শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর হয়। অ্যাভোকাডো শিশুদের চোখ ভালো রাখতেও সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোর জুস তৈরি করতে প্রথমে অ্যাভোকাডো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে মিক্সারে দিন। এবার সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তাতে লেবুর রস আর মধু মেশান। চাইলে সামান্য পুদিনা পাতাও যোগ করতে পারেন এই শেষে। আর এই ভাবে দিলে বাচ্চারাও অ্যাভোকাডোর রস খেতে একটুও না বলবে না। আর চোখের সামনে দেখুন কী ভাবে তরতরিয়ে লম্বা হয় আপনার সন্তান। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সন্তানের হাতের লেখা সুন্দর করার মুনশিয়ানা জানা আছে? রইল সহজ টিপস, মুক্তোর মতো ঝরবে লেখা! Gallery September 8, 2024 Bangla Digital Desk সুন্দর হাতের লেখা। এমন হাতের লেখা যা মুক্তোর সৌন্দর্যকেও হার মানায়। কারও লেখা ঝরঝরে, কারও ঈষৎ বাঁকা, কারও বা গোটা গোটা, স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্ন। ঠিক যে ভাবে কারও চেহারা একান্তই নিজের, হাতের লেখাটাও তেমনই তাঁর একেবারে নিজস্ব। কিন্তু কী ভাবে হাতের লেখা হবে মুক্তোর সমান? কেমন ভাবেই বা রপ্ত করবেন সেই মুনশিয়ানা? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) বেশিরভাগ বাবা মাই চান তাঁদের সন্তানের হাতের লেখা হোক সুন্দর। কিন্তু অনেক বাচ্চারই হাতের লেখা ভাল হয় না। ভাল নম্বর পাওয়াতেও ভাল হাতের লেখার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু জানেন কি খুব সহজ কয়েকটি পদ্ধতিতে বাচ্চাদের হাতের লেখা ভাল করা যেতে পারে। সন্তানের হাতের লেখা নিয়ে অনেক সময় বাবা মায়ের চিন্তা থেকেই যায়। সন্তান বড় হলেও তাদের হাতের লেখা অনেক সময় ছোটদের মতো থেকে যায়। পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়ার জন্যেও পরিচ্ছন্ন হাতের লেখার পরামর্শ দেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যদি আপনার সন্তানের হাতের লেখা খারাপ হয়, তাহলে এই কয়েকটি পদ্ধতি তাকে শেখান। মুক্তোর মতো হয়ে যাবে। ভাল হাতের লেখার জন্য ভাল করে পেনটি ধরতে শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য করুন আপনার সন্তান যেন বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীর মধ্যে কলম ধরে। পাশাপাশি লেখার সময় সোজা হয়ে বসে আছে। শিশুদের জন্য ডিজাইন করা ওয়ার্কশিট ব্যবহার করুন যাতে প্রতিটি অক্ষরের যথার্থ স্ট্রোক বা লেখার পদ্ধতি ভাল করে আঁকা থাকে। এই ওয়ার্কশিট গুলিতে অভ্যাস করলে আপনা থেকেই ভাল হবে লেখা। ছোটরা সেই কাজ করতেই পছন্দ করে যা তাদের আনন্দ দেয়। তাই হাতের লেখার কাজটিকেও বাচ্চার জন্য আকর্ষণীয় করে তুলুন। পছন্দের জিনিসের তালিকা বা প্রিয় বিষয় সম্পর্কে লিখতে উত্সাহিত করুন। যে কোনও কাজ ভাল করার জন্যই চাই প্রতিদিন অভ্যাস করা। তাই আপনার সন্তানকেও প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট হাতের লেখা অনুশীলন করান। এতে করে শিশু অনুশীলনে বিরক্ত হবে না এবং ধীরে ধীরে হাতের লেখার উন্নতি দেখা যাবে। হাতের লেখা বদলানো স্বাভাবিক। তৃতীয় শ্রেণিতে এক রকম আর চতুর্থ শ্রেণিতে উঠে তা বদলে গেলে অবাক হবেন না। খেয়াল রাখুন, বদল যেন এগোয় ভালর দিকেই। পেনের গ্রিপ ভাল হওয়া জরুরি। অনেক সময়েই সস্তার পেনে শক্ত গ্রিপে আঙুলে ব্যথা হয়, কড়া পড়ে। নরম গ্রিপের পেনে লেখাই বাঞ্ছনীয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সাবধান! জনসমক্ষে বাচ্চাকে এইগুলো বলছেন? সন্তানের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? Gallery September 6, 2024 Bangla Digital Desk বাচ্চা মানেই নানা রকম ভুল করবে৷ কখনও তাদের সঠিক পথ দেখানোর জন্য শাসনেরও দরকার হয়৷ কিন্তু অনেকেই দেখা যায় সকলের সামনেই বাচ্চাকে বকাঝকা করছেন৷ তাতে কিন্তু ফল হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে৷ বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য ঘটতে পারে সাংঘাতিক বিপদ৷ বয়স কম মানেই যে আত্মসম্মান কম থাকবে এমনটা নয়৷ তাই বাইরের লোকের সামনে বোকাবকি করলে শিশুর উপর তা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ জনসমক্ষে তিরষ্কার করলে শিশুটি ধীরে ধীরে নির্লজ্জ হতে থাকে৷ জনসমক্ষে খালি ভুল ধরলে করলে শিশুর মধ্যে ধীরে ধীরে রাগ হতাশা গ্রাস করে৷ বেশি বকাঝকা করলে শিশু বড় হওয়ার পর বড়দের সম্মান করে না৷ পাবলিক প্লেসে শিশুদের শাসন করলে ওদের মধ্যে অবিশ্বাস এবং নিরাপত্তাহীনতার মনোভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ যা ভবিষ্যতে যে কোনও সম্পর্কের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে৷ শিশু ভুল করলে তাকে তিরষ্কার করবেন না৷ জনসমক্ষে না বকে ওকে আলাদা করে শান্ত ভাবে ভুলগুলো বোঝানোর চেষ্টা করুন৷
উত্তর ২৪ পরগণা, লাইফস্টাইল Parenting Tips: মোবাইল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে সন্তান, বই পড়বে মন দিয়ে! মা হিসেবে ৫টি সহজ টিপস মানুন, ম্যাজিকের মতো কাজ করবে Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমানে শহর থেকে গ্রামে সন্ধ্যাবেলা শৈশব থেকে কিশোরদের পড়ার শব্দ আর তেমন কানে আসেনা। স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি শিশু ও কিশোরকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। তবে আপনার শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ডিভাইসের বদলে হাতে বই তুলে দিন। ছোটবেলাতেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে সারাজীবন স্থায়ী হবে এটি। বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগে শিশুর বইয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে আপনাকে নিতে হবে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ। শিশুকে বই পড়তে আগ্রহী করে তুলতে শিশুর সঙ্গে আপনিও বই পড়া শুরু করুন। তাকে উচ্চস্বরে পড়ে শোনান। তাদের ছবি দেখিয়ে, পৃষ্ঠা উল্টে এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে পারেন। শিশুর মনোযোগ আকর্ষণ করতে এবং পড়াকে আনন্দদায়ক করতে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরুন। ম্যাচিং গেম, বর্ণমালা ধাঁধা, বা চৌম্বকীয় অক্ষরগুলো খেলাচ্ছলে শেখান। এটি শিশুদের অক্ষর চিনতে এবং তাদের শব্দের সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে ও পড়ার ভিত্তি তৈরি করে।