লাইফস্টাইল Parenting Tips: আপনার এই ৩ ভুলের মাশুল গুনছে নিজের সন্তান, আজই বদলান নিজের জীবনযাত্রা! বাচ্চা হবে চনমনে Gallery April 28, 2024 Bangla Digital Desk আজকের দ্রুত গতির জীবন এবং মুদ্রাস্ফীতিতে বাবা-মা বেশিরভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততা তাদের সন্তানদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। বাবা-মা যখন তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারেন না, তখন তাদের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগ:শিশুরা যখন তাদের বাবা-মাকে কম দেখে বা তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারে না, তখন তারা উদ্বিগ্ন হতে শুরু করে। তারা ভয় পায় যে হয়তো তাদের বাবা-মা তাদের যত্ন নেবেন না বা তাদের একা ছেড়ে দেবেন। এই উদ্বেগ তাদের কষ্ট দিতে পারে এবং ভয় তাদের হৃদয়ে বসতি স্থাপন করতে পারে। এই ভয় তাদের মনের গভীরে ডুবে যায় এবং তাদের আরও একাকী এবং চিন্তিত করে তোলে। এই ধরনের উদ্বেগ তাদের দৈনন্দিন আচরণ এবং আনন্দকেও প্রভাবিত করে। আচরণগত সমস্যাযখন শিশুরা মনে করে যে কেউ তাদের যত্ন নিচ্ছে না বা তাদের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে না, তখন তারা প্রায়ই দুঃখ বা রাগান্বিত বোধ করতে পারে। এটি তাদের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য অনুপযুক্ত উপায় অবলম্বন করতে পারে, যেমন একগুঁয়ে হওয়া, চিৎকার করা বা বিপরীতমুখী আচরণ করা। মনোযোগ পেতে, এই শিশুরা মাঝে মাঝে এমন কিছু করে যা স্বাভাবিক নয়। তাদের এই আচরণ কেবল তাদের আরও বেশি চাপের মধ্যে ফেলতে পারে না তবে পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে তাদের সম্পর্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। খারাপ সামাজিক আচরণ:শিশুরা যখন তাদের পিতামাতার সাথে সময় কাটায়, তখন তারা শিখে যে কীভাবে অন্যদের সাথে ভালভাবে চলতে হয়। কিন্তু এই সময় শিশুরা না পেলে তাদের সামাজিক দক্ষতা কমে যেতে পারে। এটি তাদের পক্ষে অন্যদের সাথে মেলামেশা করা এবং সঠিকভাবে আচরণ করা কঠিন করে তুলতে পারে।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সন্তানের হাতের লেখা খারাপ? এই ৪ সহজ টিপস মানলেই মুক্তোর মতো ঝকঝকে হবে লেখা Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk বেশিরভাগ বাবা মাই চান তাঁদের সন্তানের হাতের লেখা হোক সুন্দর। কিন্তু অনেক বাচ্চারই হাতের লেখা ভাল হয় না। ভাল নম্বর পাওয়াতেও ভাল হাতের লেখার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু জানেন কি খুব সহজ কয়েকটি পদ্ধতিতে বাচ্চাদের হাতের লেখা ভাল করা যেতে পারে। সন্তানের হাতের লেখা নিয়ে অনেক সময় বাবা মায়ের চিন্তা থেকেই যায়। সন্তান বড় হলেও তাদের হাতের লেখা অনেক সময় ছোটদের মতো থেকে যায়। পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়ার জন্যেও পরিচ্ছন্ন হাতের লেখার পরামর্শ দেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যদি আপনার সন্তানের হাতের লেখা খারাপ হয়, তাহলে এই কয়েকটি পদ্ধতি তাকে শেখান। মুক্তোর মতো হয়ে যাবে। ভাল হাতের লেখার জন্য ভাল করে পেনটি ধরতে শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য করুন আপনার সন্তান যেন বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীর মধ্যে কলম ধরে। পাশাপাশি লেখার সময় সোজা হয়ে বসে আছে। শিশুদের জন্য ডিজাইন করা ওয়ার্কশীট ব্যবহার করুন যাতে প্রতিটি অক্ষরের যথার্থ স্ট্রোক বা লেখার পদ্ধতি ভাল করে আঁকা থাকে। এই ওয়ার্কশীট গুলিতে অভ্যাস করলে আপনা থেকেই ভাল হবে লেখা। ছোটরা সেই কাজ করতেই পছন্দ করে যা তাদের আনন্দ দেয়। তাই হাতের লেখার কাজটিকেও বাচ্চার জন্য আকর্ষণীয় করে তুলুন। পছন্দের জিনিসের তালিকা বা প্রিয় বিষয় সম্পর্কে লিখতে উত্সাহিত করুন। যেকোনও কাজ ভাল করার জন্যই চাই প্রতিদিন অভ্যাস করা। তাই আপনার সন্তানকেও প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট হাতের লেখা অনুশীলন করান। এতে করে শিশু অনুশীলনে বিরক্ত হবে না এবং ধীরে ধীরে হাতের লেখার উন্নতি দেখা যাবে।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: বাচ্চা খিটখিটে, খারাপ ব্যবহার করছে? না বকাবকি করে এই কাজগুলি করুন! চরিত্র বদলে যাবে সন্তানের Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk শিশুদের মাঝে মাঝে মাঝে রাগ ও আগ্রাসন দেখানো স্বাভাবিক। যাইহোক, বারবার আক্রমণাত্মক আচরণ উদ্বেগের বিষয়। কারণ এই বয়সে শিশুদের যদি তাদের অনুভূতি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে শেখানো না হয়, তাহলে তারা যখন বড় হয় তখন তাদের আচরণ আরও আক্রমণাত্মক এবং অপমানজনক মনে হতে পারে। এমতাবস্থায়, শিশু যদি ছোটখাটো বিষয়ে আগ্রাসন দেখায়, তাহলে তা কমাতে এবং ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করার জন্য অভিভাবকরা এখানে উল্লেখিত সহজ পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন। শান্ত থাকুন এবং বুঝুন আপনার বাচ্চার সমস্যাবাচ্চারা যখন রাগ করে তখন প্রায়ই চিৎকার করে বা জিনিস ফেলে দেয়। এই সময়ে অভিভাবকদের রাগ করা বা বকা দেওয়া ঠিক নয়। শান্ত থাকুন, শিশুকে শান্ত হতে সময় দিন এবং তারপর বোঝার চেষ্টা করুন কেন তারা রেগে গেল। তাদের অনুভূতি স্বীকার করুন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করুন। ইতিবাচক আচরণের প্রশংসা করুনশিশুরা ভাল আচরণ করলে তাদের প্রশংসা করুন। তাদের বলুন যে আপনি তাদের ভাল আচরণ পছন্দ করেছেন। এটি তাদের ভাল বোধ করবে এবং তাদের ভাল আচরণ করতে অনুপ্রাণিত করবে। সঠিক রোল মডেল তৈরি করুন নিজেদের সামনেশিশুরা তাদের চারপাশের মানুষদের পর্যবেক্ষণ করে শেখে। তাই অভিভাবকদের উচিত তাদের রাগ সামলাতে শেখা। আপনি নিজে যদি রাগ করে কথা বলেন বা জিনিস ছুঁড়ে ফেলেন তাহলে শিশুরাও তা শিখবে। ধৈর্য্য ধরুনশিশুদের আচরণ পরিবর্তন করতে সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরুন এবং চেষ্টা চালিয়ে যান। উপরে উল্লিখিত টিপসগুলো নিয়মিত গ্রহণ করতে থাকুন। ধীরে ধীরে আপনি আপনার সন্তানের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: স্মার্ট ও মেধাবী হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না! শুধু রোজ বাচ্চাকে খেতে দিন ৫ খাবার! ফলাফল পাবেন হাতেনাতে Gallery April 24, 2024 Bangla Digital Desk প্রত্যেক বাবা-মা চান তাঁদের সন্তানের মাথা যেন তীক্ষ্ণ হয়। মস্তিষ্কের ভাল বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পাঁচটি জিনিস আছে যা আপনার শিশুকে প্রতিদিন খাওয়ালে তার বিকাশ হবেই। এই খাবারগুলো শুধু সুস্বাদুই নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন সব পুষ্টি উপাদান যা একটি বাড়ন্ত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। তাহলে আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি খাবার যা আপনার সন্তানের মনকে তীক্ষ্ণ করে তুলতে পারে- ওমেগা-৩ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মাছ- পুঁটি মাছ, কাতলা মাছ, চুনো মাছ, স্যামন, টুনা মাছ, আখরোট এবং চিয়া বীজে ওমাগা-৩ আছে। এগুলো খেলে সন্তানের মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। ডিমডিমের কুসুমে রয়েছে কোলিন যা শিশুদের স্মৃতিশক্তির জন্য ভাল। ডিমও প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি যে কোনও জায়গায় সহজেই পাওয়া যায় এবং এগুলি খাওয়াও সহজ। এটি শিশুদের স্মার্ট ও সুস্থ রাখে। কার্বোহাইড্রেটওটস, ব্রাউন রাইস এবং পুরো শস্যের রুটিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই খাবারগুলি ধীরে ধীরে হজম হয়, তাই শিশুরা দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি পেতে থাকে। এটি সারাদিন তাদের সক্রিয় এবং সতেজ রাখে। বেরিস্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং অন্যান্য বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে, যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভাল। এগুলো মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এগুলো খেলে মন তীক্ষ্ণ ও সক্রিয় থাকে। সবুজ শাকসবজি এবং বাদামবাদাম, পালং শাক, ব্রকলি এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি আয়রন, ভিটামিন এ এবং কে সমৃদ্ধ। এই সবজি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এগুলো খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে এবং ভাল কাজ করে। এটি শিশুদের জন্যও খুবই উপকারী। ( (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: চ্যাম্পিয়ন হবে সন্তান! রোজ সকালে ৪ কাজ করুন বাচ্চার সঙ্গে! হারাতে পারবে না কেউ Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk শিশুদের দিনটি ভাল কাটানোর জন্য, সকালটা আনন্দের সঙ্গে শুরু করা উচিত। বাচ্চাদের বাবা-মায়ের কথা তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। সকালে বাচ্চাদের ভালো ও ইতিবাচক কথা বলা হলে তা তাদের সারাদিনকে ভাল করে দিতে পারে। এখানে এমন কিছু বিশেষ কথা বলা হচ্ছে, যা শুনলে শিশুরা শুধু খুশিই হবে না, আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেবে। প্রতিদিন সকালে আপনার বাচ্চাদের এই জিনিসগুলি বলুন এবং দেখুন তাদের দিনটি কত ভাল কাটে। সকালে আপনার সন্তানের সঙ্গে স্নেহের সঙ্গে কথা বলুন-আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তানকে আদর করে ‘গুড মর্নিং’ বলুন এবং তাকে জড়িয়ে ধরুন। আপনার হাসি এবং উষ্ণ আলিঙ্গন তাকে সারাদিন সুখী এবং নিরাপদ বোধ করাবে। এই সরল ভালবাসা তাকে সারাদিন সতেজ করবে। কিছুক্ষণ একসঙ্গে বসে কথা বলুনসকালের সময়টা তাড়াহুড়ো করে কাটাবেন না। আপনার সন্তানের সঙ্গে কিছুক্ষণ বসে গল্প করুন। এতে সে বুঝতে পারবে আপনি তাকে কতটা গুরুত্ব দেন। এই সামান্য সময়টি তার জন্য খুব বিশেষ হতে পারে এবং আপনার মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে। স্বপ্ন সম্পর্কে কথা বলুন:সকালে আপনার বাচ্চাকে তার স্বপ্ন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং দেখান যে তার কথা শুনতে আপনি আগ্রহী। এই সাধারণ কথোপকথন তাদের আপনাকে বিশ্বাস করতে এবং নিরাপদ বোধ করতে সাহায্য করবে। ভালবাসা প্রকাশ করুন:সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তানকে আপনি তাকে কতটা ভালবাসেন তা জানান। এই সাধারণ জিনিসটি তাদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলবে। এটি তাদের জানতে দেবে যে তারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের হাসি আপনার কাছে কতটা মূল্যবান।
লাইফস্টাইল Child Using Slang Language: সন্তান হঠাৎ গালিগালাজ শিখেছে? কথা বলছে অশ্রাব্য ভাষায়? অভিভাবক হিসেবে আপনার কী করা উচিত জানুন Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk সন্তান মানুষ করা মোটেই সহজ নয়। সন্তানকে ঠিক ভাবে মানুষ করতে প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করতে হয় বাবা-মাকে। বিভিন্ন বিষয়ে সন্তানকে যেমন জানাতে হয়, তেমনই অনেক বিষয় আছে যা ভুলেও সন্তানের সামনে বলতে বা করতে নেই। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) অনেক সময়ই দেখা যায় ছোট ছেলে বা মেয়ের মুখে অশ্রাব্য ভাষা। চলতি কথায় যাকে আমরা গালাগালি বলে থাকি, তারই কোনও একটি বা কয়েকটি শব্দ শিখে ফেলেছে সন্তান। অভিভাবক হিসেবে আপনিও কি আপনার সন্তানের মুখের ভাষা নিয়ে চিন্তিত? কী করবেন এমন অনভিপ্রেত ঘটনার সম্মুখীন হলে? জানুন খেয়াল রাখুন আপনার সন্তান ঠিক কোন সময়ে খারাপ শব্দ বা অশ্রাব্য ভাষা বলছে। খেলার সময় বা রেগে গিয়ে সহপাঠীদের নামে খারাপ বলছে? যদি তাই হয়, তাহলে আপনাকে সন্তানের এই অভ্যেস নিয়ে ভাবতে হবে। তবে রেগে গেলে হবে না। সন্তান কেন অশ্লীল ভাষা বলছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আগে ভাবতে হবে তার বয়স কত। ছোটরা যা শোনে, সেটাই কিন্তু সবার আগে শিখে ফেলে। স্কুলের পাশাপাশি, বাড়িতেও মা-বাবা বা অন্য আত্মীয়রা কীভাবে কথা বলেন তা ভাবতে হবে। যেমন শব্দ সে শোনে, সেগুলোই শিশুরা নকল করার চেষ্টা করে। ফলে অনেক সময়ই মানে না বুঝেই এর মধ্যে বিশেষ কোনও মজা লুকিয়ে রয়েছে ভেবে গালাগালি শব্দ ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে আপনি আলাদা করে সেই শব্দ নিয়ে কোনও নির্দেশ সন্তানকে দেবেন না। আপনি যখনই ‘এটা বোলো না’ বলবেন, তখনই তার আরও আকর্ষণ বাড়বে সেটির প্রতি। ফলে বিষয়টি এড়িয়ে যান, কিছুদিন পর সেটি সে নিজেই ভুলে যাবে। সন্তান যদি একটু বড় হয়, যেমন-৮ থেকে ১৪ বছর। তাদেরকে এই শব্দ ব্যবহার ঠিক নয় তা বুঝিয়ে বলতে পারেন। যদি সন্তান কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, তাকে ক্ষমা চাইতে শেখান। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Parenting Tips: প্রচণ্ড রেগে গেছে বাচ্চা? ভয়ঙ্কর জেদ করছে…খবরদার! তখন কখনও করবেন না এই কাজ Gallery April 21, 2024 Bangla Digital Desk বাচ্চা মানুষ করতে গেলে কখনও রাগ-বকুনি, কখনও আদর-আহ্লাদ তো লেগেই থাকে৷ এই রাগ, অভিমান, আদরের মাঝেই ক্রমশ মজবুত হতে থাকে মা-বাবা এবং সন্তানের সম্পর্ক৷ আবার, একটা ভুলে সেটা তিক্তও হয়ে যায়৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের চলে আসে দূরত্ব৷ আমরা অনেক সময়ই এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যাতে হিতে হয়ে যায় বিপরীত৷ যেমন, বাচ্চারা যদি কোনও কারণে ভয়ঙ্কর রেগে থাকে তখন কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয়৷ করলে সমস্যা বাড়ে বই কমে না৷ প্রায়শই বাচ্চারা রেগেমেগে চেঁচামেটি বা কান্নাকাটি করতে শুরু করলে বাবা-মায়েরাও আরও চেঁচামেচি শুরু করে দেন৷ এমনটা কখনওই করবেন না৷ যদি চান, আপনার বাচ্চার মধ্যে পজেটিভ চেঞ্জ আসুক, তাহলে নিজের আবেগ সবসময় নিয়ন্ত্রণ করুন৷ যেমন ধরুন, যখন দেখছেন আপনার বাচ্চা প্রচণ্ড রেগে গিয়েছে, তখন ওকে কিছু বোঝাতে যাবেন না৷ বকাবকি করবেন না৷ এটা করা উচিত নয়, ওটা করা উচিত নয়, এটা বলবেন না৷ কারণ, সেই সময় ওকে কিছু বললে ও কোনও কথা বুঝবেও না, কানেও তুলবে না৷ সেই সময় বরং ওকে কিছু ভাল কথা বলুন৷ শান্ত করার চেষ্টা করুন৷ ভোলানোর চেষ্টা করুন৷ প্যারেন্টসার্কেলের মতে, সন্তানের রাগকে কখনওই উপেক্ষা করবেন না। ওর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বকার চেঁচামেচি করবেন না৷ আপনি যদি আশা করেন যে সে এসে আপনার কাছে এসে ক্ষমা চাইবে, তবে তা সবসময় না-ও হতে পারে। বরং, ওর মধ্যে এই বোঝ নিয়ে আসার চেষ্টা করুন৷ বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, আপনি ওর সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন৷ পরে ও ঠান্ডা হলে, ওর ব্যবহারের সম্পর্কে ওকে সতর্ক করুন৷ কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ বোঝান৷ বাচ্চারা জেদ করলে, চেঁচামেচি করলে কখনওই তাদের সামলানোর জন্য মারধর করবেন না, এতে বাচ্চা তো অসুস্থ হয়ে পড়তেই পারে, উপরন্তু, তার মনে রাগ, ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করতে পারে৷ মনে ছাপ ফেলতে পারে গভীর ট্রমা৷ অনেক অভিভাবক সন্তানের সমস্যার কথা শুনতে চান না এবং না শুনেই সিদ্ধান্তে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই পদ্ধতি ভুল। কিন্তু, সেটা করবেন না৷ মনোযোগ দিয়ে ওর কথা শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন সমস্যাটা কী। যদি সে আপনাকে সবকিছু বলতে না পারে, তাহলে এমন কারও কাছে নিয়ে যান, যেমন, দাদু-ঠাকুমা, দিদা-দাদু বা কাকু-কাকিমা…যে ওর সবচেয়ে প্রিয় তার সঙ্গে কথা বলতে দিন। বাচ্চা রাগ করার সময়, আপনি যদি তার বিরোধিতা করেন, তাহলে আপনার ও আপনার সন্তানের দূরত্ব তৈরি হয়৷ বাচ্চা যখন রেগে যাবে, তখন তার কাছে কখনওই পুরনো কোনও ভুলের কথা পুরনো ভুল মনে করিয়ে দেবেন না৷ এতে বাচ্চার মনে হতাশা বা রাগের সৃষ্টি হতে পারে৷ বাচ্চারা রেগে গেলে, তাদের শাস্তি কখনও দেবেন না৷ শাস্তি দেওয়ার অর্থই হল তার মনে ক্ষোভ, রাগ, অভিমান ইত্যাদি পুষে রাখার সুযোগ করে দেওয়া৷ এতে ওর মনে নেতিবাচকতা দানা বাঁধে৷ বাবা মায়ের উচিত প্রথমে বাচ্চার সামনে এক গ্লাস জল এগিয়ে দেওয়া, বা জল খাওয়ানো৷ তারপর ধীরে ধীরে শান্ত করার চেষ্টা করা উচিত তাঁদের৷ এতে আপনিও ভাল বোধ করবেন। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করুন যাতে আপনার বাচ্চা সব সময় আপনার কাছে সব কথা খুলে বলতে পারে৷ আপনি চিৎকার করলে ও-ও চিৎকার করা শিখবে, ওর মধ্যে দেখা দেবে নেতিবাচক ব্যবহার৷
লাইফস্টাইল Bedtime Parenting Tips: বাচ্চার ঘুম ব্যাহত হচ্ছে? দুঃস্বপ্ন দেখছে? আপনার ভুল নয় তো? শোওয়ার আগে বেবিকে এই ৯ কথা বলা মানেই সর্বনাশ! জানুন আজই Gallery April 15, 2024 Bangla Digital Desk বাবা, মা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী অথবা সন্তান, সকলের সঙ্গে বসে কথোপকথনের সেরা সময় ব্যস্ত দিনের শেষটা। অর্থাৎ রাতে ঘুমতে যাওয়ার ঠিক আগের কয়েকটা মিনিট অথবা ঘণ্টা। আর এই সময়ে অভিভাবকদের বিশেষ ভাবে মাথায় রাখতে হবে কিছু জিনিস। আপনার ছোট্ট বাচ্চা এতক্ষণ তার বাবা-মাকে সম্পূর্ণ রূপে পাচ্ছে। একদম শান্ত চারদিক। সবাই মিলে সারাদিনের ঝামেলা মাথা থেকে সরিয়ে কথা বলতে বসেছেন। তখন ছোট্ট কয়েকটি ভুলে ধ্বংস হতে পারে বাচ্চার মনোবল। তাই কয়েকটা কথা একেবারেই বলা উচিত নয়। সেগুলি কী? শোওয়ার সময় আপনার সন্তানকে শাস্তি, বা বকাঝকা, অথবা হুমকি দেওয়া ঠিক নয়: এতে শোওয়ার সময় উদ্বেগ বাড়বে, ভয় তৈরি করতে পারে। ঘুমের আগে শরীর শিথিল হতে পারে না এবং ঘুমনো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বরং নিরাপত্তার আমেজ এবং শান্ত অনুভূতির কথা বললে মন ইতিবাচক শক্তি পায়। নেতিবাচক তুলনা করবেন না, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে: তুলনা আপনার সন্তানের আত্মসম্মানকে ক্ষুন্ন করতে পারে এবং বিরক্তির অনুভূতি তৈরি করতে পারে। বরং তাদের আত্মবিশ্বাস এবং স্ব-মূল্যবোধকে বাড়িয়ে তুলতে তাদের গুণাবলীর উপর জোর দিন। শোওয়ার আগে মনখারাপ করা বিষয় নিয়ে আলোচনা উচিত নয়: এই কথোপকথনগুলি আপনার সন্তানের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং তাদের জন্য শরীরকে শিথিল করা এবং শান্ত হওয়া কঠিন হয়ে যায়। পরিবর্তে, একটি শান্তিপূর্ণ এবং প্রশান্তিদায়ক রুটিন তৈরি করুন যা শান্ত এবং নিরাপত্তার অনুভূতি দেবে। শোওয়ার আগে আপনার সন্তানকে ভয়ের গল্প বলা এড়িয়ে চলুন: এগুলি দুঃস্বপ্নের কারণ হতে পারে এবং তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। পরিবর্তে, বয়স-উপযুক্ত এবং শান্ত গল্পগুলি বেছে নিন যা শিথিলতা এবং আরাম দেবে শরীরে। আপনার সন্তানের প্রতি নেতিবাচক লেবেল বা সমালোচনা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন: নেতিবাচক শব্দগুলি তাদের মনের মধ্যে থেকে যাবে, ঘুমের মধ্যেও। তাদের মনে আত্মসম্মান এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বরং একটি সুন্দর সত্তার লালন করার জন্য উত্সাহ দিতে থাকুন। আপনার সন্তানকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া এড়িয়ে চলুন: কথা না রাখতে পারলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে এরপর থেকে। হতাশার দিকে নিয়ে যেতে পারে। বরং আপনার সন্তানের সামনে সৎ থাকুন এবং আপনার সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস এবং সততা বজায় রাখার জন্য বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতি দিন।আপনার সন্তানকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া এড়িয়ে চলুন: কথা না রাখতে পারলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে এরপর থেকে। হতাশার দিকে নিয়ে যেতে পারে। বরং আপনার সন্তানের সামনে সৎ থাকুন এবং আপনার সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস এবং সততা বজায় রাখার জন্য বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতি দিন। শোওয়ার সময়টা উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করার সময় নয়: এই কথোপকথনগুলি আপনার সন্তানের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ঘুম আসা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পরিবর্তে, তাদের আশ্বস্ত করুন যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং শান্ত এবং নিরাপত্তার অনুভূতি দিন। বর্তমান নিয়ে কথা বলুন।
লাইফস্টাইল Parenting Tips: সন্তান আঙুল চোষে? ছাড়াতে ছুটছে কালঘাম? একদম সহজ এই উপায়েই তুড়িতে হবে প্রতিকার Gallery April 15, 2024 Bangla Digital Desk শিশুর মধ্যে বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা দেখা যায়। এদিক-ওদিক অনবরত মাথা ঘোরানো, শরীর নাচানো, বৃদ্ধাঙুল চোষা, দাঁতে দাঁত ঘষা, দম বন্ধ করে থাকা অথবা হাঁ করে বাতাস গেলা, এই ধরনের অনেক অভ্যাসজনিত সমস্যা শিশুর মধ্যে দেখা যায়। আঙুল চোষা অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনও কখনও আঙুল চোষা শিশুর জন্য কোনেও সমস্যা নয়। যদি শিশু বিক্ষুব্ধ বা উত্তেজিত হয় তাহলে এটা তাঁকে শান্ত করে। আর যদি একঘেয়েমিজনিত হয়, তাহলে এটা তাকে উদ্দীপ্ত করে। শিশুর বয়স যদি পাঁচ বছরের কম হয়, তাহলে ভাল উপায় হলো এটাকে উপেক্ষা করা। শিশু যদি শুধু মাঝেমধ্যে আঙুল চোষে এবং এটা তার দাঁত ও আঙুলের জন্য ক্ষতিকর না হয়, তাহলে কিছুই করার দরকার নেই। কিন্তু পাঁচ বছরের পরও যদি শিশু প্রবলভাবে আঙুল চুষতে থাকে, তাহলে দাঁত এবড়োখেবড়ো হওয়াসহ আরও নানা সমস্যার মুখে পড়তে পারে। শিশুর আঙুল চোষার অভ্যাস ছাড়াবেন যেভাবে-খিদে পেলে অনেক বাচ্চা কাঁদে না, বরং আঙুল চোষে। মাঝে মাঝে এটা তাদের মায়েদের বোঝানোর উপায় যে তারা ক্ষুধার্ত। এ রকম পরিস্থিতিতে তাঁকে স্তন্যপান করান। ঘুমানোর চেষ্টা করার সময় আপনার শিশুর নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বোধ করার প্রয়োজন হতে পারে। কখনও কখনও শিশু এত ক্লান্ত থাকে যে তার ঘুমাতে অসুবিধা হয়। সেই সময় আঙুল চুষে সে নিজেকে আরাম দেয়ার চেষ্টা করে। ঘুমানোর সময় এ ধরনের শিশুর পাশে মায়ের থাকা প্রয়োজন। নিরাপদ বোধ করলে এই শিশু আঙুল চোষা ছেড়ে দেবে। অলস বসে থাকা শিশু আঙুল চুষতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিশুর হাতে খেলনা দিন। হাতের কাছে খেলনা থাকলে শিশু সেটাই আগে নিতে চাইবে এবং মুখ থেকে আঙুল বের করে ফেলবে। যদি একটু বড় বয়সেও সন্তান আঙুল চোষার অভ্যাস ছাড়তে না পারে, তাহলে তাকে এর ফলে সে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে, সেই বিষয়ে বুঝিয়ে বলুন। নিজে বুঝতে শিখলে হয়তো নিজেই এই অভ্যাস থেকে সে বেরিয়ে আসবে। একটু বড় বয়সে শিশু আঙুল চুষলে সেই সময় তাকে ছবি আঁকা বা অন্য কোনও হাতের কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। অলস বসে থাকলেই তার মধ্যে আঙুল চোষার ইচ্ছা বাড়বে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Child Mind Health Tips: ‘তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না’! সন্তানকে এই কথাগুলি বলার আগে ১০০ বার ভাবুন, মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে Gallery April 7, 2024 Bangla Digital Desk শিশুদের মনোজগৎটা সময়ের আগেই বদলে যাচ্ছে। আট থেকে বারো বছর বয়সিদের মধ্যেও স্ট্রেস, হতাশা, উদ্বেগ বাড়ছে। প্রভাব পড়ছে শিশুর আচরণে। সামলাবেন কী ভাবে? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (প্রতীকী ছবি) অনেক মা-বাবাই বলেন, কৈশোর আসার আগেই বাচ্চাদের রাগ-অভিমান, ইচ্ছে-আবদারের ধরন দেখলে অবাক লাগে। মনে হয় যেন টিনএজার! অনেক সময়ই আবদারের চোটে বিরক্ত হয়ে বা দুষ্টুমিতে রেগে গিয়ে বাবা-মায়েরা সন্তানদের বকাবকি করে বড্ড বেশি কিছু বলে ফেলেন। (প্রতীকী ছবি) তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লাইন হল, ‘তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না’। কিন্তু জানেন কি সন্তান হলেও তার সম্মান রয়েছে। কারও সামনে কখনওই কাউকে এই কথাগুলি বলা যায় না। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরাও ডিপ্রেশনে ভোগে। (প্রতীকী ছবি) বিশেষ করে সবচেয়ে কাছের মানুষ যাঁরা, যেমন– বাবা, মা, দিদা, দাদু, ঠাকুমা, ঠাকুর্দাদের মুখে এমন অপমানিত হলে তাদের মনের খুবই কষ্ট হয়। মনোবিদেরা মনে করেন, শৈশবের কোনও একটি ঘটনার অভিঘাত পরবর্তী জীবনের কার্যকলাপকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে। ফলে শৈশবে অর্থাৎ জীবনের প্রথম পর্যায় থেকেই তার মানসিক গঠন ও আচার আচরণকে একটি নির্দিষ্ট পথে চালিত করতে শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। (প্রতীকী ছবি) একটি শিশুর আচার আচরণ দেখে, তার মনোগঠনের প্রকৃতি বুঝতে চেষ্টা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা। শিশু মনস্তত্ত্বের প্রথম ধাপ হল তার আচার আচরণের মধ্যে দিয়ে শিশুটির মনোজগৎকে চেনার চেষ্টা করা। (প্রতীকী ছবি) মনে রাখা প্রয়োজন শৈশবেরও একটা নির্দিষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাকে অস্বীকার করে বড়রা যদি নিজেদের মন গড়া কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে যান তা হলে সেই জগতের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই ভাবনাচিন্তার জগতের যে স্তরগুলি রয়েছে তার দিকে নজর না দিলে তার বিকাশের পথ ও অভিমুখটিকে সম্পূর্ণ ভাবে চেনা যায় না। (প্রতীকী ছবি) আগে বাচ্চারা অনেক বেশি খেলাধূলা করত, কিন্তু এখন স্কুলের বাইরে একস্ট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটি এতটাই বেশি করতে হয় যে বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা, খেলাধূলার সময় নেই। ফলে বাচ্চাদের মধ্যেও একাকীত্ব বাড়ছে। এখন বাচ্চারা অনেক বেশি ডিজিটাল মাধ্যমে অভ্যস্ত। সারাদিন ল্যাপটপ, মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের অনেক ব্যাপার তাদের নখদর্পনে। ফলে কম বয়স থেকেই এমন অনেক বিষয় জেনে যাচ্ছে বাচ্চারা যা তাদের জানার কথাই নয়। (প্রতীকী ছবি) সমীক্ষা বলছে, পাঁচ থেকে বারো বছরের বাচ্চাদের মানসিক সমস্যা আগের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। এই বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে ওসিডি, ডিপ্রেশন, প্যানিক অ্যাটাক, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের সমস্যা দেখা দিতে পারে নানা কারণে। স্কুলে হয়তো হেনস্থার শিকার হচ্ছে, বাড়ির পরিবেশ সুস্থ নয়, মা-বাবার মধ্যে সমস্যা, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ইত্যাদি। তাই সন্তানের মনের প্রতি আরও যত্ন নিতে শিখুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (প্রতীকী ছবি)