Tag Archives: Primary Teacher

School teacher special award: শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ অবদান! জেলার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক পেলেন জাতীয় শিক্ষক সম্মান

উত্তর ২৪ পরগনা: জেলার শিক্ষক পেলেন জাতীয় শিক্ষক সম্মান। শ্যামনগর শালবাগান জিএসএফপি স্কুলের প্রধানশিক্ষককে দিল্লিতে ডেকে জাতীয় শিক্ষক সম্মান পুরস্কার দেওয়ার হয়। এই খবর আসতেই স্কুল-সহ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও যেন ছড়িয়েছে খুশির আমেজ।

দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকায়, পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের জন্য এই শিক্ষকের নানা কাজ প্রশংসা পেয়েছে। সেই জায়গা থেকে শ্যামনগর শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক প্রশান্ত কুমার মারিককে এই যোগ্য সম্মান দেওয়ার কথা জানায় ভারত সরকার। দেশের মোট ৫০ জন শিক্ষক রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই পুরস্কার পান। তবে এই সর্বোচ্চ পুরস্কারের তালিকায় নাম ওঠায়, যেন বাংলা তথা জেলার গর্ব হয়ে উঠেছেন ইছাপুর বিধানপল্লীর বাসিন্দা শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মারিক।

আরও পড়ুন: হাজার টাকা নিয়ে গেলেই এই দেশে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে চলুন

২০ বছর ধরে তিনি শিক্ষকতা করছেন। ১১ বছর ধরে তিনি শালবাগান জিএসএফপি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে এই স্কুলে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। আজ স্কুলের পরিবেশ বদলে ফেলেছেন এই শিক্ষক। অন্যান্য প্রাথমিক স্কুলে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কমতে দেখা যায় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দিন দিন বেড়েছে পড়ুয়াদের সংখ্যা।

আরও পড়ুন: আটক সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিওতে থাকা প্রসূন! সন্দীপের শ্যালিকার বাড়িতেও ইডির হানা

এখন প্রায় ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুলেই পড়ে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বাড় বারন্তের মাঝেই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই স্কুলকে অন্য ভাবে সাজিয়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন এই শিক্ষক। আগামী দিনে শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন প্রকৃত অর্থে গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তাই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার আহ্বান জানান তিনি। এলাকার শিক্ষক এমন সম্মান পেতে খুশি যেন গোটা জেলা-সহ শিক্ষক মহল।

Bangla Video: শিক্ষক-দারোয়ান-রাঁধুনি সব তিনিই! ভিলেন রাস্তার জন্য প্রধান শিক্ষকের এ কী হাল

পশ্চিম বর্ধমান: ধারে ভারে কলকাতাকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আসানসোল। এটি রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরসভা এলাকা। অথচ সেই আসানসোল পুরসভা এলাকার সরকারি স্কুলের এমন বেহাল দশা দেখলে আপনি চমকে উঠবেন। যা দেখে চোখে জল চলে আসতে পারে। আবার সেই স্কুলে দাঁড়িয়ে এক শিক্ষকের অসম লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেও ইচ্ছে করবে আপনার।

শিক্ষকতা মানে যে বহু দায়িত্ব তা একাই বুঝিয়ে চলেছেন মধুসূদন পাল। আসানসোলের ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বিনোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানেই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন মধুসূদনবাবু। তিনিই স্কুলের শিক্ষক, ছুটির ঘণ্টা তিনিই বাজান আবার মিড ডে মিলের তদারকি তিনিই করেন।

পড়ুয়াদের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে রাঁধুনি হয়ে যান এই প্রধান শিক্ষক। কখনও আবার বিদ্যালয়ের ছুটির ঘণ্টাও তাঁকেই বাজাতে হয়। বন্ধ করতে হয় বিদ্যালয়ের গেট। আবার তাঁকেই দেখা যায় শিক্ষকের ভূমিকায়। যিনি একা পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পাঠদান করেন!

আর‌ও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে ভুগছে বাংলার ফরেস্ট রেঞ্জাররা, বাড়ছে জীবনের ঝুঁকি

বিনোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর শিক্ষক না থাকার কারণে এমন‌ই অবস্থা। বিদ্যালয়ের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে মধুসূদন পালের কাঁধে। তাঁকে বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়াতে হয়। আবার মিড ডে মিলের কোনও কর্মী না এলে সেখানে সহযোগিতার জন্য ছুটে যেতে হয়। একা হাতে সারতে হয় বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম। আবার অশিক্ষক-কর্মচারীর কাজ করতেও দেখা যায় তাঁকে।

জানা গিয়েছে, আগে তিনজন শিক্ষক ছিলেন এই স্কুলে। কিন্তু তাঁরা চলে গিয়েছেন। অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষক থাকতে চান না। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষক পাঠানো হলেও কিছুদিন পর তাঁরা বদলি নিয়ে চলে যান। ফলে মধুসূদন’বাবু যদি কোনও কারণে বিদ্যালয়ে আসতে না পারেন, তাহলে সেদিন স্কুল অঘোষিত ছুটি থাকে। কিন্তু কেন এমন হাল হয়েছে বিনোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের? সকলের অভিযোগ এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী শুধুমাত্র রাস্তা।

অভিযোগ, মূল রাস্তা থেকে বিদ্যালয় পৌঁছনোর জন্য তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু এই রাস্তাটির চরম বেহাল অবস্থা। পিচ অথবা মোরাম তো দূরে থাক, রাস্তায় ন্যূনতম মাটি পর্যন্ত নেই। পাথুরে পথ অতিক্রম করে বিদ্যালয়ে পৌঁছতে হয়। অভিযোগ, এমন রাস্তার কারণেই অন্য শিক্ষকরা এই বিদ্যালয়ে আসতে চান না। এলেও বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান। আর যার ফলস্বরূপ পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ানোর দায়িত্ব যার কাঁধে, তাকেই রাঁধুনীর কাজ সামাল দিতে হয়। করতে হয় আর অন্যান্য কাজও।

নয়ন ঘোষ

Bangla Video: অস্থায়ী শিক্ষকের কাণ্ড! ফেলে দেওয়া জিনিসে সাজছে স্কুল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলে এসেছেন অস্থায়ী অঙ্কন শিক্ষক। তাঁর উদ্যোগেই নামখানার কালিনগর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুল সেজে উঠেছে ফেলা দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে। এই কাজে সহযোগিতা করছে ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীরা।

নামখানা ব্লকের কালিনগর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে শুরু হয়েছিল ফেলে দেওয়া বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় পদার্থ দিয়ে হাতের কাজ তৈরি করার প্রশিক্ষণ। সেই কাজ করতেন স্কুলের অস্থায়ী অঙ্কন শিক্ষক সায়ন মিদ্দা। তিনি এই স্কুলে পাঁচ বছর পড়ুয়াদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই প্রথম ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন বস্তু দিয়ে কীভাবে একাধিক সৌখিন সামগ্রী তৈরি করা যায় তার হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পরে সেই কাজকে বিদ্যালয়ের রুটিন কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধান শিক্ষক কুসুম ভট্টাচার্য। এরপর দেখা যায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই সৃজনশীলতার প্রশিক্ষণ খুব ভালভাবে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছে।

আর‌ও পড়ুন: সাড়ম্বরে স্কুলে জন্মদিন উদযাপন! মাসের শেষ শনিবারের অপেক্ষায় থাকে সবাই

বর্তমানে এই স্কুলে ফেলে দেওয়া চায়ের কাপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সৌখিন সামগ্রী, ফুলদানি সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র। থার্মোকলের প্লেটকে করা হচ্ছে আরও আকর্ষণীয়। ফলে স্কুল প্রাঙ্গণ সেজে উঠেছে ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি সামগ্রীতে। দেখতেও খুব‌ই সুন্দর লাগছে। এভাবে স্কুলের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শিক্ষা দেওয়ায় খুশি সকলেই।

নবাব মল্লিক