Tag Archives: puja travel

Travel: গাছ গাছালিতে ঘেরা শান্ত-শীতল পরিবেশে, বৌদ্ধ মঠ, শিলিগুড়ি শহর থেকে অদূরেই এই জায়গা কেন এত প্রিয় পর্যটকদের?

শিলিগুড়ি:  শহরের একটু বাইরে শালুগারার তড়িবাড়িতে অবস্থিত এই বৌদ্ধ মঠ এখন হয়ে উঠছে শিলিগুড়ির অন্যতম আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট । ভালবাসার সঙ্গীকে নিয়ে, কিংবা পরিবারের সকলকে নিয়ে ‘উইকেন্ডে’ ঘুরে আসতেই পারেন এই বুদ্ধ মন্দিরে। শহরের পাশেই পাহাড় ঘেঁষা নদীর পাশে একবারে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে এলেই মন ভাল হয়ে যাবে সকলের। পুজোর ছুটিতে অবশ‍্যই ঘুরে যেতে পারেন এই জায়গায়।

শহর লাগোয়া এই ইওয়াম মঠ এখন পর্যটকদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবনের ভিড় থেকে বিচ্ছিন্ন,ইওয়াম মঠ শিলিগুড়ির মূল কেন্দ্রস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন: কী সার্চ করছেন গুগলে? এইসব জিনিস নয় তো? খুব সাবধান! হতে পারে জেলও

জঙ্গল ঘেরা বেঙ্গল সাফারির ঠিক পেছন দিকটাতে এমন সুন্দর একটি বৌদ্ধমঠ পৌঁছলেই মন ভাল হয়ে যাবে সকলের। কারণ ওই জায়গার শীতল পরিবেশ এবং স্নিগ্ধতা। এই ইওয়াম তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের নাইংমা স্কুল প্রচার করে যা চারটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাচীনতম বলে বিবেচিত হয়। মঠটি বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র বলে মনে করা হয়।

মঠটি প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যশৈলীকে চিত্রিত করে। সাততলা মঠটিতে অত্যাশ্চর্য শিল্পকর্ম এবং জটিল খোদাই রয়েছে। জমকালো কিলখোর অঙ্কন দেয়াল এবং পুরো ছাদ জুড়ে যে শিল্পকলা রয়েছে তা দেখলে সত্যিই আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: ঝাঁ ঝাঁ করে কমে যাবে বিদ‍্যুতের বিল! এসির রিমোটেই লুকানো রয়েছে বড় সমাধান, ঠান্ডাও থাকবে, টাকাও বাঁচবে

আলিপুরদুয়ার থেকে ঘুরতে আসা অভীক দাস বলেন, ” আমি প্রথমবার এই জায়গাটাতে ঘুরতে এলাম। এত বড় বৌদ্ধ মঠ আমার দেখা প্রথম। জায়গাটাতে একটা অদ্ভুত শান্তি রয়েছে। একবার এখানে এলে সহজে ফিরে যেতে ইচ্ছে করবে না।’’

অন্য দিকে রামকেশ চৌধুরী বলে এক পর্যটক জানিয়েছেন, ” অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় জায়গা এটি। আর আবহাওয়া খুব সুন্দর । আমি আমার গোটা পরিবারকে নিয়ে এসেছি। সবাই মিলে এই জায়গাটি ঘুরে দারুন উপভোগ করলাম।’’ শহর থেকে একেবারে কাছে এই জায়গাটি। টোটোতে চেপে এখানে খুব সহজেই চলে আসা যায়।

অনির্বাণ রায়

Travel Destination: পাহাড়, ঝর্না, চা বাগান…পুজোর ছুটি কাটাতে চান প্রকৃতির কোলে? এই ‘অচেনা’, ‘নির্জন’ জায়গার খোঁজ জানেন তো?

দার্জিলিং: পুজোর ছুটিতে যাঁরা একটু অন‍্যরকম জায়গায় ঘুরতে যেতে চান তার জন্য অপেক্ষা করছে একেবারে অচেনা এই জায়গাটি। পাহাড়ে ঘোরার এখন অনেক ছোট বড় জায়গা হয়েছে। একাধিক অফবিট লোকেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই দারুন একটি জায়গা হল কালেজ ভ্যালি। রংবুলের কাছে এই জায়গা। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে।

কালেজ পাখি দেখা যায় এখানে প্রচুর, সেই থেকেই নাম হয়েছে কালেজ ভ্যালি। চারদিকে চা বাগান আর পাইন গাছের সারি। পরিবার নিয়ে আসুন বা বন্ধুদের সঙ্গে অথবা মধুচন্দ্রিমায়, প্রকৃতিকে যদি আপনি ভালোবাসেন তাহলে এখানে আসতেই হবে।

আরও পড়ুন: অপরাজিতা বিল পাস, এবার? নবান্নে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত

কালেজ ভ্যালিতে রয়েছে মাত্র দুটো হোম স্টে– কালেজ ভ্যালি কানন হোম স্টে আর রেনবো ভ্যালি রিসর্ট। দুটোই একবারে চা বাগানের ধার ঘেঁষে। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেরোতে বেরোতেই দেখবেন কখন যেন সময় কেটে গিয়েছে।

সকালের প্রাতরাশ সেরে চলে যান রেনবো ফলস দেখতে। অবশ্য এই ঝর্নার আরও একটা নাম আছে, ইন্দ্রানী ফলস্। আসলে সূর্যের আলো পড়ে ঝর্নার বুকে রামধনু তৈরি হয় বলে নাম হয়েছে রেনবো ফলস। দুটো হোমস্টে থেকে রেনবো ফলসের দূরত্ব ২ কিমির মতো। হেঁটে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার কাছাকাছি। পাহাড়ি রাস্তা ধরে ট্রেকিং করার শখ যাদের রয়েছে, তাঁদের অসাধারণ লাগবে এই অভিজ্ঞতা।

আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে বিরল যোগ! ৩ রাশি হবে সোনায় সোহাগা, হু হু করে বাড়বে ব‍্যাঙ্ক ব‍্যালেন্স

হাঁটার কষ্ট ভুলিয়ে দেবে চারপাশের প্রকৃতি। আর একবার ঝর্নার কাছে পৌঁছে গেলে তো চোখ ফেরাতেই পারবেন না। সশব্দে নেমে এসেছে জলের ধারা। বর্ষায় যার রূপ আরও সুন্দর। খুব সুন্দর বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝর্নার পাশটা। তাই পাশে বসে জিরিয়েও নিতে পারবেন।

এখানে আসতে হলে আগে আপনাকে ট্রেনে করে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি বা প্লেনে বাগডোগরা। এবার সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে আসতে পারেন কালেজ ভ‍্যালি। অথবা শেয়ার গাড়িতে আসুন রংবুল পর্যন্ত। সেখান থেকে হোম স্টে-তে বলে রাখলেই তারা গাড়ি পাঠিয়ে দেবে।

অনির্বাণ রায়

Durga Puja Tourism: পুজোর মুখে ভ্রমণের বিরাট খবর! খুলে গেল নতুন রাস্তা, কম খরচে এবারই ঘুরে আসুন

এবারে ডুয়ার্স ও অসমের পর্যটন মিলেমিশে এক হবে। পুজোর আগেই খুশির সংবাদ শোনাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আলিপুরদুয়ার ও অসম মিলিয়ে পর্যটন স্থল নিয়ে ১৩ টি সার্কিট গঠিত হচ্ছে। (Annanya Dey)
এবারে ডুয়ার্স ও অসমের পর্যটন মিলেমিশে এক হবে। পুজোর আগেই খুশির সংবাদ শোনাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আলিপুরদুয়ার ও অসম মিলিয়ে পর্যটন স্থল নিয়ে ১৩ টি সার্কিট গঠিত হচ্ছে। (Annanya Dey)
পর্যটকদের কাছে আলিপুরদুয়ার পর্যটন মানেই বক্সা, জলদাপাড়ার জঙ্গল। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলায় ঘুরে বেড়ানো ও নতুন জায়গা আবিষ্কার করার মত প্রচুর স্থান রয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে। জলদাপাড়া হোক আর বক্সার জঙ্গল, এখনও জঙ্গলের অনেক রুট সম্পর্কে জানা নেই পর্যটকদের।
পর্যটকদের কাছে আলিপুরদুয়ার পর্যটন মানেই বক্সা, জলদাপাড়ার জঙ্গল। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলায় ঘুরে বেড়ানো ও নতুন জায়গা আবিষ্কার করার মত প্রচুর স্থান রয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে। জলদাপাড়া হোক আর বক্সার জঙ্গল, এখনও জঙ্গলের অনেক রুট সম্পর্কে জানা নেই পর্যটকদের।
বক্সা পাহাড়ের লেপচাখা, বক্সা ফোর্ট সম্পর্কে জানলেও তাসিগাও, পুকুড়ি, রাইমাটাং ডিপো সম্পর্কে জানা নেই পর্যটকদের। এইসব অজানা জায়গাগুলিকে ১৩ টি সাৰ্কিটে ভাগ করা হয়েছে ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের তরফে। ১৩ টি সাৰ্কিটের মধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে অসমের মানস ও অন্য একটি স্থান।
বক্সা পাহাড়ের লেপচাখা, বক্সা ফোর্ট সম্পর্কে জানলেও তাসিগাও, পুকুড়ি, রাইমাটাং ডিপো সম্পর্কে জানা নেই পর্যটকদের। এইসব অজানা জায়গাগুলিকে ১৩ টি সাৰ্কিটে ভাগ করা হয়েছে ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের তরফে। ১৩ টি সাৰ্কিটের মধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে অসমের মানস ও অন্য একটি স্থান।
এই বিষয়ে সংস্থার তরফে বিশ্বজিৎ সাহা জানিয়েছেন, "আগে ভুটানে মানুষ বেড়াতে এসে আলিপুরদুয়ার জেলার চেনা জায়গাগুলিতে ঘুরে যেতেন। কিন্তু কোভিডের পর ভুটান গেট খুলতেই সেখানে এসডিএফ লাগু হয়েছে। যার ফলে পর্যটক কমেছে।পর্যটন ব্যবসা ও এলাকার সংস্কৃতিকেও পর্যটকদের কাছে আনার প্রয়াস আমাদের।"
এই বিষয়ে সংস্থার তরফে বিশ্বজিৎ সাহা জানিয়েছেন, “আগে ভুটানে মানুষ বেড়াতে এসে আলিপুরদুয়ার জেলার চেনা জায়গাগুলিতে ঘুরে যেতেন। কিন্তু কোভিডের পর ভুটান গেট খুলতেই সেখানে এসডিএফ লাগু হয়েছে। যার ফলে পর্যটক কমেছে।পর্যটন ব্যবসা ও এলাকার সংস্কৃতিকেও পর্যটকদের কাছে আনার প্রয়াস আমাদের।”
এদিকে বক্সা ট্যুরিজম নিয়ে পুজোর সময় নতুন উদ্যোগ নেবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা।ভুটানঘাট, বক্সা, জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া, রায়মাটাংয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি একদিনে ঘুরে দেখার সুযোগ করে দেবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। বিশ্বকর্মা পুজোর পর এনবিএসটিসির ১৬ আসনের গাড়িতে চেপে ডুয়ার্স ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
এদিকে বক্সা ট্যুরিজম নিয়ে পুজোর সময় নতুন উদ্যোগ নেবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা।ভুটানঘাট, বক্সা, জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া, রায়মাটাংয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি একদিনে ঘুরে দেখার সুযোগ করে দেবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। বিশ্বকর্মা পুজোর পর এনবিএসটিসির ১৬ আসনের গাড়িতে চেপে ডুয়ার্স ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।

Travel: দিঘা থেকে মন্দারমনি, রাতেও সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ান নিশ্চিন্তে! নিরাপত্তায় বাড়তি উদ্যোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের

দিঘা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে রাতের দিকে নিরাপত্তার বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হল। সমুদ্র শহর দিঘা ও সংলগ্ন তাজপুর, মন্দারমণি ও শঙ্করপুর, শৌলার মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। লক্ষ্য পর্যটকদের সুরক্ষা বজায় রাখা।

পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে তাঁদের পছন্দ মত স্থানগুলিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন তা নিশ্চিত করা। মহিলা সুরক্ষায় বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উইনার্স টিমকে আগেই নিযুক্ত করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। স্থানীয় থানার পুলিশের টহলও থাকে নিয়মিত। তার বাইরে এবার থেকে সৈকতে সৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করবেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

কাজের ফাঁকে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে জাগলেই বাঙালির প্রথম যে নামটা মাথায় আসে তা হল দিঘা। কম খরচে সমুদ্রের মজা উপভোগ করতে আসেন কাছের দিঘায়। দিঘা বাঙালির কাছে গোয়া। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত দিঘা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই নয়, বিনোদনের পশরা সাজিয়ে বর্তমানে এখন আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র।

দিঘার এই রূপের টানেই প্রায়ই পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে। পাশাপাশি নির্জনতার খোঁজে অনেকেই আসেন তাজপুর, মন্দারমণি, শৌলা কিংবা শঙ্করপুরে। দিঘায় এসে দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক সময় বাড়তি টাকা খরচ হয়ে যায় পর্যটকদের। প্রশ্ন ওঠে পর্যটক নিরাপত্তা নিয়েও।

দিঘা-সহ জেলার অন্যান্য সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার লক্ষ্যে পুলিশি ব্যবস্থায় জোর দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। পর্যটকদের সুরক্ষায় বিভিন্ন সৈকতে থানাগুলির টহলদারির পাশাপাশি এবার সৈকতে সৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করবেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, ‘‘রাতের বেলা কিংবা বিভিন্ন সময়ে পুলিশের শীর্ষ অধিকারিকরা সৈকতে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে টহল দেবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্তার তদারকি করবেন। পর্যটকদের সুরক্ষায় যথেষ্ট গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দিঘা ও মন্দারমনির পাশাপাশি বেশ কিছু নির্জন সমুদ্র সৈকত বর্তমানে পর্যটকদের মন কেড়েছে। বেড়াতে এসে পর্যটকদের স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্য জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ। জেলা পুলিশের এই বিশেষ উদ্যোগে রাতের সময় নিরাপদে পর্যটকেরা সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর মজা উপভোগ করতে পারবেন।

সৈকত শী

Dooars Tour: ডুয়ার্সের অর্ধেক রিসর্টে পুজোর বুকিং নেই! কেন থমকে পুজোর পর্যটন? মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

জলপাইগুড়ি: পুজোর মরশুমে আচমকাই থমকে ডুয়ার্সের রিসর্ট বুকিং। উত্তরবঙ্গে আসার ট্রেনের টিকিটে লম্বা ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকলেও বুকিং নেই রিসর্ট গুলোর। এতেই কপালে ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশের। কিন্তু কেন এমন? তা হলে কি বর্ষার ভয়াল রূপেই ভয় পর্যটকদের।

এ বছর বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পর থেকেই টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়েছে উত্তরবঙ্গবাসী, পাহাড়ের বাসিন্দারা। কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাহাড়। ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সেই সব এলাকাগুলি।  কিন্তু আচমকাই থমকে রিসর্ট বুকিং। জানা যাচ্ছে, ডুয়ার্সে এখনও ফাঁকা ৫০ শতাংশ হোটেল-রিসর্ট। ট্যুর ব্যবসায়ীদের কথায়, অনেকেই শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছেন। কিন্তু, পাহাড় নাকি ডুয়ার্স কোথায় যাবেন, তা ভেবে উঠতে পারছেন না নানাবিধ চিন্তার কারণে। পাশাপাশি তারা এও জানান যে, উত্তরবঙ্গে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বেশিরভাগেরই পাহাড়ের দিকেই ঝোঁক বেশি। তবে, সেই সময় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা কেমন থাকবে সবটাই নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।

অন্যদিকে, লাটাগুড়ি, মূর্তি, গেরুমারার পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায়, অনেকেই ভুটানে ঘুরতে যাওয়ার বা আসার পথে এক-দু’দিন ডুয়ার্স ঢুঁ মারেন। কিন্তু এখানেও সমস্যা। ভুটানে পর্যটকদের দৈনিক মাথা পিছু ১২০০ টাকা করে ফি ধার্য হওয়ায় অনেকে সেখান থেকেও মুখ ফেরাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই ডুয়ার্সে কমছে পর্যটকদের আগমন। পাশাপাশি, পুজোয় গরুমারায় সরকারি বাংলোয় থাকার জন্য অনলাইনে বুকিং করা যাচ্ছে না। বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখন জঙ্গল বন্ধ।

১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলার পর অনলাইন বুকিং করতে পারবেন পর্যটকরা। যদিও পর্যটকদের প্রশ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর বুকিং খুললে কী করে পুজোয় ঘুরতে যাওয়া সম্ভব? তাই সব মিলিয়ে ভ্রমণপ্রেমীরা এখনও রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দে। কিন্তু ১৬ ই সেপ্টেম্বরের পর থেকে জঙ্গল ভ্রমণ করা যাবে এমনটাই খবর বনদফতর সূত্রে। তাই পাহাড় না ডুয়ার্স এই দ্বিধা ভুলে বুকিং করে ফেলুন চট করে।

Durga Puja Travel Destination: এবার পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন এই অফবিট পাহাড়ি গ্রামে! খুব সস্তার সফর, ফিরতে মন চাইবে না

কালিম্পঙ জেলার ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি জনপদ হল কোলাখাম। মার্কেটিংয়ের বাজারে জনপ্রিয় না হলেও জেলার সবচেয়ে বেশি সুন্দর এই জায়গাটি। এই গ্রামের পশ্চিমদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কালিম্পঙ জেলার ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি জনপদ হল কোলাখাম। মার্কেটিংয়ের বাজারে জনপ্রিয় না হলেও জেলার সবচেয়ে বেশি সুন্দর এই জায়গাটি। এই গ্রামের পশ্চিমদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
যে কোনও হোমস্টে- র বারান্দায় বসলে দেখা যাবে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। একদিকে খাদ। গ্রামকে ঘিরে রয়েছে পাইন, ফার, ওক গাছের সারি। পাখির কলরবে এলাকা মুখর থাকে সব সময়।
যে কোনও হোমস্টে- র বারান্দায় বসলে দেখা যাবে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। একদিকে খাদ। গ্রামকে ঘিরে রয়েছে পাইন, ফার, ওক গাছের সারি। পাখির কলরবে এলাকা মুখর থাকে সব সময়।
পর্যটকের ভিড় নেই বললেই চলে। কলাখাম থেকেই বরফ ঢাকা পাহাড় দেখা যায়। গ্রামজুড়ে রয়েছে ফুলের সারি। গ্রামে রয়েছে অপূর্ব ছাঙ্গে ফলস।
পর্যটকের ভিড় নেই বললেই চলে। কলাখাম থেকেই বরফ ঢাকা পাহাড় দেখা যায়। গ্রামজুড়ে রয়েছে ফুলের সারি। গ্রামে রয়েছে অপূর্ব ছাঙ্গে ফলস।
শিলিগুড়ি জংশন থেকে গাড়ি রিজার্ভ বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১১৫ কিলোমিটার দূরের এই জনপদে পৌঁছতে পারেন। শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে এই গ্রামে পৌঁছনো যায়।
শিলিগুড়ি জংশন থেকে গাড়ি রিজার্ভ বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১১৫ কিলোমিটার দূরের এই জনপদে পৌঁছতে পারেন।শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে এই গ্রামে পৌঁছনো যায়।
আবার কালিম্পং থেকে শেয়ারেও গাড়ি পাওয়া যায়। কাঞ্চনকন্যায় এলে প্রান্তিক স্টেশন নিউ মাল জংশন স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে কলাখাম যেতে পারেন। দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। সেখান থেকেও যেতে পারেন।
আবার কালিম্পং থেকে শেয়ারেও গাড়ি পাওয়া যায়। কাঞ্চনকন্যায় এলে প্রান্তিক স্টেশন নিউ মাল জংশন স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে কলাখাম যেতে পারেন। দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। সেখান থেকেও যেতে পারেন।