Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Doctor Murder Protest: চলন্ত লোকাল ট্রেনের গেটে গেটে দাঁড়িয়ে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ

উত্তর ২৪ পরগনা: ১২ বগির লোকাল ট্রেনের ৯৬ টি দরজায় ফুটে উঠল যাত্রীদের অভিনব প্রতিবাদের ছবি। লোকাল ট্রেনে ব্যস্ত সময়ে এভাবেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানালেন যাত্রীরা। এদিন পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বনগাঁ শাখার গোবরডাঙা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ১১:৩৭ এর লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা এই প্রতীকী প্রতিবাদের সাক্ষী থাকলেন।

আরও পড়ুন: ফুচকা থেকে বিরিয়ানি, ছাত্রীদের হাতের রান্নায় মাত সবাই!

গোবরডাঙা এলাকার বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ ‘স্বপ্নের শহর গোবরডাঙার’ তরফ থেকে এদিন এমনই অভিনব উপায়ে আরজি কর কাণ্ডের ন্যায় বিচার চেয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়। ১২ বগির চলন্ত ট্রেনের প্রতিটি দরজায় পুরুষ ও মহিলারা উভয়ই প্ল্যাকার্ড হাতে, মুখে কালো মাস্ক পরে প্রতিবাদে সামিল হন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’ স্লোগান।

অন্যান্য ট্রেন যাত্রীরাও এমন অভিনব প্রতিবাদ দেখে সমর্থন জানান প্রতিবাদীদের। এদিন গোবরডাঙা স্টেশন থেকে এই ট্রেনে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলে প্রতিবাদ। ফিরতি পথেও একইভাবে প্রতিবাদ দেখানো হয়। আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার দোষীদের চিহ্নিত করে ফাঁসির সাজা শোনানোর দাবি জানানো হয় লোকাল ট্রেনে। যাত্রীরাও এই নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে মুখ খোলেন এদিন। এদিন লোকাল ট্রেনের প্রতিটি গেটে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদ সাড়া ফেলেছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

RG Kar Doctor Chamber: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!

উত্তর ২৪ পরগনা: এখনও সোদপুরের মেডিক্যাল চেম্বারে টাঙানো চিকিৎসকদের নামের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই চিকিৎসক হিসেবে সুনাম অর্জন করে নিয়েছিলেন আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসক তরুণী।

গরিব কোনও পেশেন্ট আসলে তাঁদের ফি মুকুব করে দিতেন। এখনও যেন ডাক্তার দিদির সেই সব কথা ভুলতে পারছেন না এলাকার লোকেরা। মুখে থাকত হাসি, রোগীদের কথা শুনতেন মন দিয়ে। হাসিমুখেই দিতেন পরামর্শ। তাই ডাক্তার দিদিমণির কাছেই চিকিৎসার জন্য আসতে চাইতেন অনেকে। ডাক্তার দিদিমণির এভাবে মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছেন না চেম্বারে কর্মরত মালিক, স্বাস্থ্যকর্মীরা-সহ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা।

আরও পড়ুন: মিথ্যে বলছে না তো? সঞ্জয়ের পর এবার সন্দীপ, সঙ্গে আরও ৪ চিকিৎসকের পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রস্তুতি CBI-এর

ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও, সোদপুরের ওই মেডিক্যাল চেম্বারে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। প্রথমে জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে রোগী দেখা শুরু করেন। কয়েক মাস হল চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেখছিলেন রোগীদের। মঙ্গল-বুধ-শুক্র-শনি এই তরুণী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে রীতিমতো ভিড় জমাতেন বহু রোগী। শেষ যেদিন আসার কথা ছিল, সেদিন সকালেও তিনজন রোগী নাম লিখিয়ে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ‘দৌড়বাজ’ ASI অনুপের? পরিবার-প্রতিবেশীর দাবি শুনলে চমকে যাবেন!

কিন্তু, তাঁদের আর দেখানো হল না শারীরিক ভাবে ভরসার ওই তরুণী চিকিৎসকে। চেম্বারে কর্মরত এক কর্মী জানান, এত হাসিখুশি, পজিটিভ ডাক্তার দিদিমণির যে এরকম হতে পারে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। পেট ও বুকের সমস্যা নিয়ে নিয়মিত ওই তরুণীর কাছে চিকিৎসা করাতেন সুদেব ঘোষ। তরুণী চিকিৎসকের ওষুধে ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। ওষুধের দোকানের মালিক বলেন, “ম্যাডাম মারা যাওয়ার খবরে সুদেববাবু আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি জুড়ে দেন। রোগীদের কাছে তাঁর ব্যবহারেই প্রিয় হয়ে উঠছিলেন উনি।”

সুদেববাবু জানান, কোনও কারণে চেম্বারে আসতে না পারলে, প্রয়োজনে ফোনেও ডাক্তার দিদি অ্যাডভাইস দিতেন। আগে বাবার স্কুটিতে চেপে চেম্বার করতে আসলেও, মাস কয়েক আগে গাড়ি কেনায়, গাড়ি নিয়ে আসতেন চেম্বারে। ফি ছিল মাত্র ২৫০ টাকা। তরুণী চিকিৎসকের এমন ভয়াবহ মৃত্যুতে যেন মানসিক ভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী-সহ রোগীর পরিজনেরা। প্রিয় চিকিৎসকের রোগীরাও তাই এখন চাইছেন জাস্টিস।

Rudra Narayan Roy

Supreme Court on RG Kar Murder Case: সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাস! ১৩ দিন পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার এইমস দিল্লির রেসিডেন্ট ডাক্তারদের

নয়াদিল্লিঃ অবশেষে, এইমস দিল্লির রেসিডেন্ট ডাক্তাররা স্ট্রাইক প্রত্যাহার করলেন। সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাসের পর এইমস দিল্লির রেসিডেন্ট ডাক্তাররা এই সিদ্ধান্ত নেন। আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে উত্তাল সারা দেশ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিন ছিল। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

আরও পড়ুনঃ শুনানির দ্বিতীয় দিন! কর্মবিরতি ছেড়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বললেন প্রধান বিচারপতি

শুনানির দ্বিতীয় দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “১৩ দিন ধরে এমসের চিকিৎসকেরা কাজ করছেন না। তাঁদের বলব, দয়া করে কাজে ফিরুন। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না আমরা তা নিশ্চিত করব।” চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ওষুধ আর বিচারব্যবস্থা ধর্মঘট করতে পারে না। আমরা কি কাজ বন্ধ করে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে বসে যেতে পারি?”

শুরুতেই সিবিআই তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টকে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টটি পড়েন। গত সোমবারের শুনানিতে আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

Malda Medical College: সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্রের মাথাচাড়া

মালদহ: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে। সেই সুযোগে হাসপাতাল চত্বরে ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে দাদাল চক্র। এই দাদাল চক্রের ফাঁদে পড়ে রোগীদের নিয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি নার্সিংহোমে যাচ্ছেন পরিজনরা।

মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমনই চিত্র ধড়া পড়েছে। এক্ষেত্রে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় বন্ধ। তাই তাঁরা প্রসূতিদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। রোগীর আত্মীয় কাঞ্চন চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী মেয়েকে হাসপাতলে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু নার্সরা জানান চিকিৎসক নেই। এই অবস্থায় আমাদের মত গরিব মানুষ কোথায় যাব।

আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন মহিলারাই!

এদিকে রাজ্য জুড়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি রেখে আন্দোলন চলছে। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার ব্যতিক্রম নয়। জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলনের সুযোগে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শ্রেণির দালাল চক্র ব্যাপক হারে মাথাচাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে মেডিকেল কলেজের মাতৃমা ভবনে দালাল চক্রের বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ প্রসূতিদের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করছে।

এই বিষয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি প্রসেনজিৎ বর বলেন, রোগীদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে। যদি কেউ কোন‌ও অভিযোগ করে, বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

হরষিত সিংহ

Sandip Ghosh RG Kar Ex Principal CBI: আরজি কর-কাণ্ডে গোয়েন্দাদের নজরে সন্দীপ ঘোষ, এবার গোপন জবানবন্দির তোড়জোড় CBI-এর

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গোপন জবানবন্দি করতে চায় সিবিআই। ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবারই ৮ অগাস্ট রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে ডিনার করা ৪ জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে।

অন্যদিকে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আরজি করে ডক্টর সন্দীপ ঘোষ জমানায় অনিয়ম হয়েছে এটা স্পষ্ট, অনিয়ম আছে বলেই সিট গঠন হয়েছে। তদন্ত কে করবে সিবিআই না সিট (রাজ্য) তা আদালত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। শুক্রবার ফের মামলার শুনানি। জানান বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ।

আরও পড়ুন: ওই রাতে হাসপাতালে ঠিক কী হয়েছিল? নিহত ডাক্তারের সঙ্গে ডিনার করা ৪ জনের গোপন জবানবন্দি CBI-এর

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের নজরে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ‘দৌড়বাজ’ ASI অনুপের? পরিবার-প্রতিবেশীর দাবি শুনলে চমকে যাবেন!

সন্দীপের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলে আখতার আলির দাবি, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন সন্দীপ ঘোষ। অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে উল্টে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় তার জন্য চাপ দিতেন। এমনকী পড়ুয়াদের নম্বর বাড়ানোর বদলে ঘুষও নিতেন বলে অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে।

অমিত সরকার

RG Kar Case: বন‍্যা কবলিত গোটা এলাকা! তবুও এক বুক জলে নেমে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ!

মালদহ: বন্যায় বিধ্বস্ত মালদহের ভূতনিচরের মানুষ। একদিকে নিজেদের জীবনযাপন নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ভূতনিবাসী। চারিদিকে জল আর জল, কোথাও একটু থাকার মত জায়গা নেই। এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধের উপর। স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রায় স্তব্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ভূতনিবাসী নিজেদের বাঁচার জন্য আন্দোলন লড়াই করছেন। নিজেদের অভাব অভিযোগ থাকার পরেও এবার আরজিকর কাণ্ডে আন্দোলনে সামিল হলেন ভূতনির বন্যাকবলিত এলাকার যুবকেরা। কোথাও জায়গা নেই, বন্যার জলে সমস্ত এলাকায় জলমগ্ন।

আরও পড়ুনঃ হাতির মৃত্যুর পরেই বড় সিদ্ধান্ত…! হুলাপার্টির সদস্যদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বন দফতর 

ভূতনির একদল যুবক তাই বন্যার জল নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে আরজিকর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের শামিল হলেন। এক বুক জলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতীকি আন্দোলনের শামিল হন বেশ কয়েকজন যুবক। আন্দোলনকারী বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ভূতনি বন্যা কবলিত বর্তমানে। চারিদিকে বন্যার জল ঢুকেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরাও আরজিকরের ঘটনার দোষীদের শাস্তি চাই। সেই দাবিতেই জলে নেমে আমাদের আন্দোলন।’

গোটা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে। এই ঘটনার দোষীদের শাস্তি চাই ভুতনিবাসীও। চারদিকে বন্যার জল থাকায় তেমনভাবে আন্দোলনের সামিল হতে পারছেন না এই এলাকার বাসিন্দারা। তারাও যে এমন নৃশংস ঘটনার দোষীদের শাস্তি চাই তারাও যে এই আন্দোলনের শরিক তা বোঝাতে এদিন ভুতনীর একদল যুবক জলে নেমে আন্দোলন করেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন জলে নেমে। ভূতনির বাসিন্দারাও চাইছেন আরজিকর কাণ্ডে দ্রুত দোষীদের সনাক্ত করে শাস্তি হোক। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় যেন কোনরকম দুর্নীতি না হয় সে নিয়েও আন্দোলন করেন জলে নেমে। বন্যা পরিস্থিতিতে ও বন্যা পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত কাজ হবে ভুতনি এলাকায় তা যেন সঠিকভাবে হয়। সেই দাবিও জানান এই আন্দোলনের মধ্যে।

হরষিত সিংহ

RG Kar Doctor Murder Case CBI: ওই রাতে হাসপাতালে ঠিক কী হয়েছিল? নিহত ডাক্তারের সঙ্গে ডিনার করা ৪ জনের গোপন জবানবন্দি CBI-এর

কলকাতা: আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এবার গোপন জবানবন্দির আবেদন করতে চলেছে সিবিআই। কাদের গোপন জবানবন্দি নিতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? সিবিআই সূত্রে খবর, চার জুনিয়র ডাক্তারের গোপন জবানবন্দি করতে উদ্যোগ নিতে চায় সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আবেদন গৃহীত হয়েছে। আদালত অনুমতি দিয়েছে

শিয়ালদহ কোর্টে আবেদন করতে চলেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবারই গোপন জবানবন্দির সম্ভাবনা রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, যে চার জন পড়ুয়া ডাক্তার ৮ অগাস্ট রাতে নির্যাতিতা ডাক্তারের সঙ্গে ডিনার করেছিলেন তাঁদের গোপন জবানবন্দি নিতে চায় সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ‘দৌড়বাজ’ ASI অনুপের? পরিবার-প্রতিবেশীর দাবি শুনলে চমকে যাবেন!

জানা যাচ্ছে, যে চার জন সেই রাতে ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন হাউজস্টাফ আর বাকি তিন জন চিকিৎসক। তাঁদের আগে লালবাজারে ডেকেছিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনার পর পরই সেদিন রাতে নির্যাতিতা ও তাঁদের ঠিক কী কথা হয়েছিল, কোনও রকমে অস্বাভাবিকত্ব সেদিন রাতে তাঁরা দেখেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এবার সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ওই চার জনেরই গোপন জবানবন্দি নিতে চায়।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলের বার্ষিক ফি ১১১৬৪৩৮৫ টাকা! কোথায় এই স্কুল? কারা পড়ে? শুনলে চোখ কপালে উঠবে

ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত সঞ্জয় রাইকে জেরা করে পুলিশের হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু দাবি উঠতে শুরু করেছে, আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতাতে ধর্ষণ ও খুনে এক জন নয়, একাধিক জন জড়িত।

অর্পিতা হাজরা

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ‘দৌড়বাজ’ ASI অনুপের? পরিবার-প্রতিবেশীর দাবি শুনলে চমকে যাবেন!

দক্ষিণ দিনাজপুর: ক্যামেরা দেখতেই ছুটছে এক পুলিশকর্মী আর এই ভিডিও জনসমক্ষে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে। হৃষ্টপুষ্ট চেহারার এক পুলিশকর্মী রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। পিছনে ক্যামেরা ও বুম নিয়ে ছুটছেন সাংবাদিকেরা।

কলকাতা পুলিশে কর্তব্যরত এএসআই অনুপ দত্তের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইলে। যেখানে সকাল থেকেই প্রতিবেশীদের ভিড়। তবে সিবিআই তলব করা অনুপ দও কেমন মানুষ তিনি? কী বলছেন প্রতিবেশীরা?

গতকাল টিভিতে অনুপ দত্তকে দৌড়তে দেখে কার্যত হতবাক তাঁর পরিবারের আত্মীয় থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। কারণ প্রতিবেশীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন অনুপ দত্তের পরোপকারিতার কথা। কলকাতায় চিকিৎসা থেকে শুরু করে অন্যের পড়াশোনা বা কারও কোনও বিপদ-আপদে সব সময়ই এগিয়ে যেতেন অনুপ।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

কলকাতায় চিকিৎসার কারণে কাউকে যেতে হলে সেক্ষেত্রেও তিনি তাঁদের নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। গ্রামে পরোপকারী বলে পরিচিত অনুপ দত্ত কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না এমনটাই দাবি করছেন অনুপ দত্তের প্রতিবেশী-সহ তাঁর পরিবার। বরং তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বা একসঙ্গে অনেকগুলো মিডিয়াকে দেখে তিনি ভয় পেয়ে দৌড় লাগিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা দত্ত।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলের বার্ষিক ফি ১১১৬৪৩৮৫ টাকা! কোথায় এই স্কুল? কারা পড়ে? শুনলে চোখ কপালে উঠবে

প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই তদন্ত শুরু করতেই নাম উঠে আসে কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের নাম। পুলিশকর্মী অনুপ দত্তকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সঞ্জয়ের নাম শুনতেই দৌড়ে পালান তিনি। তবে, তাঁর সেই দৌড়ের ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল।

তবে এই ঘটনার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ কর্মী অনুপ দত্ত জড়িত কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অনুপ দত্তের ভাল গুণাগুণের কথা বললেও অপরদিকে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ঠিক বিপরীত কথা বলছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সঞ্জয় রায় ও অনুপ দত্তের ছবি পোস্ট করেছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Abhishek Banerjee: ‘১০ দিন কেটে গিয়েছে…,’ আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অভিষেক

কলকাতা: গত ১৪ অগাস্টের পরে ফের আর জি করের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘটনার পরে ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেন কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না, তা নিয়ে বৃহস্পতিবারের পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ৷

এদিনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিষেক লেখেন, ‘গত ১০ দিন ধরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিচার চাইছেন৷ কিন্তু, ঠিক যখন বিচারের প্রত্যাশায় মানুষ পথে নামছেন এই নারকীয় ঘটনার বিচার চেয়ে, ঠিক তখনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে৷ দুঃখজনক ভাবে, বৃহত্তর ক্ষেত্রে এর সমাধানের প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আলোচনার বাইরেই৷’

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ! আরজি কর হাসপাতালে মোতায়েন হচ্ছে ১৫১ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান

এরপরে অভিষেক লেখেন, ‘প্রত্যেক দিন ৯০টি করে ধর্ষণের ঘটনা, প্রতি ঘণ্টায় ৪ জন এবং প্রত্যেক ১৫ মিনিটে একজন৷ এই মুহূর্তে কোনও কঠিন পদক্ষেপ যে কতটা জরুরি তা আমাদের কাছে এখন পরিষ্কার৷ আমাদের প্রয়োজন কড়া আইন, যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া এবং দোষীদের শাস্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে৷ কড়া শাস্তির বিধান দেবে৷ শুধু মাত্র ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয়৷ রাজ্য সরকারদের উচিত কেন্দ্রের উপরে চাপ সৃষ্টি করে ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইন এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা৷ তার চেয়ে কম কোনও কিছুই মেনে নেওয়া যায় না৷’

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু!‌ ‘গুলি চালাবেন না’ পুলিশকে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেডলাইন বিরোধী দলনেতার

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এবং সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পরেও কেন দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল৷ আগামী শনিবার ২৪ অগাস্ট আরজি কর হাসাপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে রাজ্যজুড়ে পথে নামবে তৃণমূল৷