Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar cctv footage: সেমিনার রুমের দিকে যাচ্ছে সঞ্জয়, প্রকাশ্যে আরজি করের সেই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ!

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে এবার সামনে সিসিটিভি ফুটেজ৷ গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলায় চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷ ওই দিনেরই একটি সিসিটিভি ফুটেজ এবার সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৯ অগাস্টের ভোর রাতে আরজি কর হাসপাতালের চারতলার করিডর ধরে সেমিনার রুমের দিকে যাচ্ছে অভিযুক্ত সঞ্জয়৷ যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷

সূত্রের খবর, যে ফুটেজ সামনে এসেছে, সেটি ৯ অগাস্ট ভোর ৪.০৩ মিনিটের৷ ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হেলমেট হাতে গলায় হেডফোন ঝুলিয়ে হাসপাতালের চারতলার ওই করিডর ধরে সেমিনার রুমের দিকে যাচ্ছে সঞ্জয়৷ পুলিশি তদন্তে দাবি করা হয়েছিল, ভোর চারটের পরই আরজি করের ওই তরুণী চিকিৎসককে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছিল৷ সূত্রের খবর, যে সময় সঞ্জয়কে করিডর দিয়ে ঢুকতে দেখা যায়, তার মিনিট চল্লিশ পর তাকে সেমিনার রুমের দিক থেকে বেরিয়েও আসতে দেখা গিয়েছে৷ যদিও সঞ্জয়ের বেরিয়ে আসার সেই ফুটেজ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি৷

আরও পড়ুন: বেজে চলেছে মোবাইলের অ্যালার্ম, দরজা ভাঙতেই শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা! অশোকনগরে মর্মান্তিক কাণ্ড

৯ অগাস্টের ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল চত্বর থেকে পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে আটক করে পুলিশ৷ পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই সঞ্জয়কে চিহ্নিত করা হয়৷

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সঞ্জয় গলায় হেডফোন ঝুলিয়ে সেমিনার রুমের দিকে যাচ্ছে৷ কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার গলায় হেডফোন ছিল না৷ যা উদ্ধার হয়েছিল নিহত চিকিৎসকের দেহের পাশ থেকে৷ সাদা রংয়ের ওই হেডফোনই সঞ্জয়কে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়৷ ভাইরাল হওয়া ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, সঞ্জয় গলায় হেডফোন ঝুলিয়েই সেমিনার রুমের দিকে যাচ্ছে৷

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়ে সঞ্জয়কেও হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই৷ তার পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতিও আদালত থেকে মিলেছে৷ সঞ্জয় আজই পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দিয়েছে৷ এ দিনই সঞ্জয়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত৷

RG Kar Hospital News : আরজি করের নৃশংস ঘটনার রাতে ঠিক কোথায় কোথায় ঘুরছিল সঞ্জয় রাই, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, দেখুন

R G Kar Hospital News : আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যু হয়৷ সেই  ঘটনার রাতে সেমিনার হলের করিডরে সঞ্জয়! নিউজ 18 বাংলায় চাঞ্চল্যকর সিসি ফুটেজ। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেমিনার হলে সঞ্জয়ের ঢোকার ছবি । আর জি করের চার তলার করিডরে সঞ্জয় রাই। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়েছে সঞ্জয়ের গতিবিধি। ঘটনার রাতে সেমিনার হলের করিডরে Sanjay! চাঞ্চল্যকর CCTV ফুটেজ প্রকাশ্যে দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch bangla news video)৷

RG Kar Case Update: আরজি কর-কাণ্ডে চলছে প্রতিবাদ-লড়াই, লালবাজার অভিযানে সিপিআইএমের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন

কলকাতাঃ আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে ৭ জনকে তলব করে পুলিশ। তারই পাল্টা লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়ে দেয় সিপিএমের ছাত্রযুব মহিলা সংগঠন। শনিবার কলেজ স্কোয়ারে জমায়েতের পরে লালবাজার অভিমুখে যাত্রা করবে সংগঠনের নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা। ইতিমধ্যেই এই অভিযানের রণকৌশলও তৈরি করে ফেলেছে নেতৃত্ব।  আরজি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েছে এই তিন সংগঠন। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালের উল্টোদিকে মঞ্চ বেঁধে লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা।

১৪ অগাষ্ট রাতে দুস্কৃতীরা তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। এই নিয়ে ফের চাপানউতোর শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার সময় ডিওয়াইএফআই-এর ঝান্ডা দেখা যাওয়ায় এই ঘটনার পিছনে সিপিএমের যোগ থাকার কথা বলে শাসকদল। পাল্টা সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয় প্রমাণ লোপাটের জন্য তৃণমূল এই কাজ করিয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ঝান্ডা দেখা যাওয়া প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, “এগুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।”

এই সবের মধ্যেই লালবাজার থেকে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কনীনিকা ঘোষ বোস, দেবাঞ্জন দে, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, দ্বিধিতি রায় ও বিকাশ ঝাঁকে লালবাজারে তলব করে কলকাতা পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ ডেকেছে আামাদের ছেলেমেয়েরা যাবে। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি যদি করে তার ফল ভুগতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ ছবির চেয়েও বেশি সুন্দর! পাহাড়ের এই অচেনা গ্রাম পর্যটকদের কাছেও একেবারে নতুন, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আন্দোলনে ডিওয়াইএফআইয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আজকে যখন আমরা তাঁকে স্মরণ করছি তখন হাজারো লাখো মানুষ রাত জাগছে গোটা দেশে। তারপর দেখলাম কত অমানবিক স্বার্থপর হলে তাঁরা সমস্ত শক্তি দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার চেস্ট করছে। ওই নির্যাতিতার দেহ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল তখন বুদ্ধদার যুব সংগঠনের ছেলেমেয়ারা গাড়ির সমানে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের মলেস্ট হতে হয়েছিল। তাঁদের ম্যান হ্যান্ডেল হতে হয়েছিল। আমরা মামলা করেছি। সেটা নিয়ে পুলিশ কিছু করছে। বরং, আমাদের ছাত্র যুবদের অপরাধী বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।”

শনিবার বেলা ১.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় এই অভিযান। আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবির পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় কর্মীদের ফাঁসানোর বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব।

Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষ জমানার দুর্নীতির তদন্তে CBI-এর রায়কে চ্যালেঞ্জ!

R G Kar Hospital News: Sandip Ghosh জমানার দুর্নীতির তদন্তে CBI। আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই। আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ সন্দীপ ঘোষের। বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ।

Nabanna on Students Protest: রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-অবরোধে সামিল স্কুল পড়ুয়ারা? বেজায় ক্ষুব্ধ নবান্ন, জারি বড় নির্দেশিকা

কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ড বা অন্য কোনও ঘটনার প্রতিবাদ, রাস্তা অবরোধ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন। মুখ্য সচিবের কড়া নির্দেশ জেলাশাসকদের। স্কুল পড়ুয়াদের রাস্তা অবরোধ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া কোনওমতেই অনুমোদনযোগ্য নয়।

নবান্নের নির্দেশ, ‘এটা নিশ্চিত করতে হবে এই ঘটনা যেন না ঘটে। খুঁজে বের করুন এরকম কোনও জায়গায় হচ্ছে নাকি, তাহলে সেটা বন্ধ করতে হবে। যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।’ আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আট থেকে আশি, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে পথে নেমেছেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুলপড়ুয়ারা যাতে স্কুলের বাইরের কোনও কর্মসূচিতে যোগ না দেয়, সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।

আরও পড়ুন: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!

মুখ্যসচিব বলেন, ‘স্কুল পড়ুয়াদের রাস্তা অবরোধ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটা আমাদের নজরে এসেছে।’ মুখ্য সচিবের কড়া নির্দেশ জেলাশাসকদের, এই কাজ কোনও ভাবেই করা যাবে না। কিন্তু এই নির্দেশিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, স্কুলের বাইরে পড়ুয়ারা কী করবে, কোথায় যাবে, কোন অনুষ্ঠানে থাকবে, তা নিয়ে কী ভাবে বিধিনি‌ষেধ আরোপ করতে পারে সরকার?

আরও পড়ুন: প্রতিবাদের নামে কুরুচির প্রকাশ! এবার ঘৃণ্য ঘটনার শিকার তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা! গেলেন পুলিশে

ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরে স্কুল পড়ুয়াদের নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্কুল চত্বরের বাইরে স্কুলশিক্ষা দফতরের অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না স্কুল পড়ুয়ারা বলে নির্দেশ জারি করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ডিআই (স্কুল) এর তরফে জারি করা হয় এই নির্দেশিকা। নির্দেশিকাটি আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদ সংক্রান্ত সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্যই কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

RG Kar Doctor Murder Impact: আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে ক্যারাটে শেখায় ঝোঁক

মুর্শিদাবাদ: বর্তমানে কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নেওয়াটা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই টেকনিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল ক্যারাটে। তাই নিজেদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ছাত্রী থেকে শুরু করে মহিলারা মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ক্যারাটে সংস্থাতে দৈনন্দিন ভর্তি হচ্ছে এবং খুব সহজেই তারা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধির জন্য ক্যারাটের বিকল্প হয় না। বিভিন্ন স্ট্রেচিং বা বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে যা ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের বিভিন্ন ক্যারাটে সংস্থাতে ভর্তি চলছে দৈনন্দিন। আরজি কর কাণ্ডের পর স্কুলের ছাত্রীদের ভর্তি হওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সাড়ম্বরে পালিত হল রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান

মুর্শিদাবাদের বহু ছাত্রীকে টিউশনি পড়তে গ্রাম থেকে যেতে হয় শহর এলাকায়। টিউশন থেকে পড়ে বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে যায়। অপরদিকে একটু দেরি হলেই বাড়িতে মা-বাবারা চিন্তায় পড়ে যান। এই অবস্থায় মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিতে অভিভাবকরাই উদ্যোগ নিয়ে ক্যারাটে শেখায় ভর্তি করছেন।

ক্যারাটে প্রশিক্ষকদের কথায়, বহুদিন থেকেই মেয়েদের ক্যারাটে শেখার প্রবণতা বাড়ছে। সমাজ, পরিস্থিতিগত কারণে ক্যারাটে শিখতে আসেন। আত্মরক্ষায় স্বনির্ভর হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আত্মবিশ্বাস থেকে সাফল্য আসে। শুধু তাই নয়, সামনে কোনও সমস্যা এলেও তা অতি সহজেই মোকাবিলা করা যেতে পারে। তাই বর্তমানে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কৌশিক অধিকারী

Bangla Video: রাতের রাস্তায় মেয়েদের সাহস জোগাবে পুলিশের শক্তি বাহিনী

পশ্চিম বর্ধমান: নারী নিরাপত্তায় আরও বেশি জোর দিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। নারী নিরাপত্তার স্বার্থে আরও সক্রিয় হল পুলিশের প্রমিলা বাহিনী। রাস্তাঘাটে যেকোনও মহিলা বিপদে পড়লে অথবা কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সমস্যা হলে ছুটে যাবে শক্তি বাহিনীর সদস্যরা। তাছাড়া বিপদে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানাতে ১০০ ডায়ালের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য আরজি কর কাণ্ডের পর অনেকেই নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিশেষ করে রাত করে কাজ থেকে যে সমস্ত মেয়েরা বাড়ি ফেরেন তাঁরা নিরাপত্তা নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। সেইসব মহিলাদের আত্মবিশ্বাস, সাহস জোগাবে পুলিশের এই শক্তি বাহিনী। যারা কাজ করবেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রত্যেক এসিপি’র এলাকা ভিত্তিক হিসেবে এই শক্তি বাহিনী তৈরি করা হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের জের, বিশ্বভারতীর ছাত্রীদের সুরক্ষায় জোর

দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন জনবহুল জায়গাগুলিতে শক্তি বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা। ছিলেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা সকলেই বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। রাস্তাঘাটে বেরিয়ে কারও কোনও সমস্যা হয় কিনা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তাছাড়াও বিপদে পড়লে কী করতে হবে, সে বিষয়ে জানিয়েছেন পুলিশকর্মীরা।

অন্যদিকে কর্মরত এক মহিলা বলেন, কখনও কখনও বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়। এমন অবস্থায় দু-একবার রাস্তায় বিরূপ পরিস্থিতির সামনাসামনি হতে হয়েছে। তখন কিছুটা অসুরক্ষিত মনে হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেটা প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান।

নয়ন ঘোষ

RG Kar Doctor Murder Impact: আরজি কর কাণ্ডের জের, বিশ্বভারতীর ছাত্রীদের সুরক্ষায় জোর

বীরভূম: আরজি কর কাণ্ডের জের, বিশ্বভারতীতে পাঠরত দেশ-বিদেশের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করল। এদিন বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বৈঠকে বসেন পুলিশ কর্তারা। বৈঠকে ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রিকি আগারওয়াল-সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা। ছিলেন বিভিন্ন ভবনের ছাত্রীরাও।

আরও পড়ুনঃ বাঙালি না হয়েও আজীবন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করেছিলেন আচার্য রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত জানান, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, সুরক্ষা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একদিকে দেশ-বিদেশের পড়ুয়ারা যেমন পড়াশোনা করেন, তেমনই ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। নিয়মিত যাতায়াত ছাড়াও ক্যাম্পাসের ভিতরেও বিভিন্ন অংশে মানুষের বসতবাড়িও রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে মূল রাস্তায় অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ বলে দাবি করেছেন ছাত্রীরা।প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে সেগুলো যেন দ্রুত ঠিক করে আবার লাগানো হয়।

বীরভূমের এসপি রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের ছাত্রীদের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। নিরাপত্তা কী রয়েছে, ছাত্রী আবাসন ছাড়াও কোথায় কোথায় থাকেন পড়ুয়ারা। পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে অতি তিনি জানান।

প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৯ তারিখ আরজি কর হাসপাতালে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে। আর তারপরই তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাত দখলের লড়াইয়ে নামেন মহিলারা। মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চলে দফায় দফায় আন্দোলন। আর তারপরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই বৈঠক করা হয়।

সৌভিক রায়

RG Kar Medical College: শিরোনামে আরজি কর, এই হাসপাতালের পুরো নাম কী? প্রতিষ্ঠাতা কে জানেন? চমকে যাবেন

হাওড়া: সংবাদ শিরোনামে কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল। জানেন আরজি কর হাসপাতালের তৈরির ইতিহাস? হাওড়ায় পৈতৃক ভিটের ফটকে জ্বল জ্বল করছে ডাক্তার আরজি কর-এর নাম।

সেই সময়ের বিলেত ফেরত একজন বিখ্যাত ডাক্তার। বিলেত ফেরত হলেও এ ডাক্তারের মধ্যে বিন্দুমাত্র নেই অহংকার বোধ। এ ডাক্তারের অধিকাংশ রোগীই দীন-দরিদ্র। গরিব মানুষের কাছে এ ডাক্তার যেন স্বয়ং ভগবানই বটে। যদিও তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন সে সময়ের বেশ কিছু অন্য ডাক্তারও। এমনটাই জানালেন,  কর বাড়ির অন্যতম সদস্য পার্থ কর।

বর্তমানে কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল সংবাদ শিরোনামে। ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে। যে কারণে সারা বাংলা-তথা দেশ তোলপাড়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ পথে নেমে এর সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ঐতিহাসিক এই হাসপাতালের নামের সঙ্গে জুড়ে ভয়ানক কাণ্ড। কিন্তু এই হাসপাতাল সৃষ্টি এবং স্রষ্টার ইতিহাস জানেন কি?

সম্পূর্ণ কাহিনি শুনলে অবাক হবেন। ১৯০০ সালের কাছাকছি অবিভক্ত বাংলার ব্রিটিশ শাসনাধীন। সে সময় দেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ তো ছিলই না, সারা দেশে হাতে গোনা কয়েকজন ডাক্তার। স্কটল্যান্ড থেকে ডাক্তারি পাশ করে এই বাংলা তথা নিজের বাড়ি হাওড়ায় ফিরে এসেছিলেন। জানা যায়, বাবা দুর্গাদাস কর ছিলেন অভিভক্ত বাংলায় মেডিক্যাল অফিসার। তিনি ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বেলগাছিয়া থেকে দমদম বাড়ি বাড়ি সাইকেল চালিয়ে ঘুরছেন ডাক্তার।

আরও পড়ুন: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!

মাথায় একটা টুপি আর সাইকেলে ঝোলানো ক্যামবিসের ব্যাগ। রোগী দেখাই শেষ নয়, নানা ভাবে সহযোগিতা এমনকী ওষুধ কেনার পয়সাও দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু। বিলেত ফেরত ডাক্তারের দরিদ্র রোগীদের জন্য এত কদর, ভাবতে অবাক লাগার মতোই বটে। এমনও শোনা যায়, ১৮৯৯ সালে প্লেগ তখন কলকাতায় মহামারীর আকার নিয়েছে। সেই সময়ে উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে রোগীদের সেবা করে চলেছেন এক আইরিশ মহিলা।

জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে নিয়োজিত এক ডাক্তারও রোগীদের বাঁচাতে উত্তর কলকাতা চষে ফেলছেন। রোগ থেকে বাঁচার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিছুদিন পরে সেই বিদেশিনী ও চিকিৎসকের আলাপ হল। প্লেগের সংক্রমণ রুখতে ও মৃত্যুর হার কমাতে দু’জনে একজোট হয়ে কাজ করলেন তাঁরা। সেই আইরিশ মহিলা হলেন ভগিনী নিবেদিতা। আর সেই ডাক্তার কে জানেন? তিনি হলেন ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

কলকাতার সেরা হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বিখ্যাত এই হাসপাতালের স্রষ্টা হলেন হাওড়া বেতরের ডা রাধাগোবিন্দ কর। সারা বাংলার মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে একজন ডাক্তার সারাটা জীবন লড়াই করেছেন। হাওড়া জেলার রামরাজাতলা স্টেশনে থেকে সামান্য দূরত্বে বেতড়ের বিখ্যাত কর বাড়ি। ডা রাধাগোবিন্দ কর এর জন্মভিটে। ১৮৫০ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। জানা যায়, রাধাগোবিন্দ কর হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠ গ্রহণের জন্য ১৮৮০ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন।

১৮৮৩ সালে ডাক্তারি পড়তে কলকাতা ছেড়ে স্কটল্যান্ডে পাড়ি দেন রাধাগোবিন্দ। ১৮৮৭ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাবিদ্যার শ্রেষ্ঠ অলংকারে ভূষিত হলেন MRCP হয়ে। বিদেশে ডাক্তারি করার সুযোগ থাকলেও তিনি ফিরে এলেন এই বাংলায়। একজন বিলেত ফেরত ডাক্তার হয়ে এ বাংলার অসহায় গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন। সেই সময় চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনা হত ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থায়। বাঙালি সন্তানরা ডাক্তারি পড়তে সমস্যায় পড়তেন। চিকিৎসা স্বাস্থ্যের একাধিক বই তিনি লেখেন। ১৮৭১ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই ‘ভিষগবন্ধু’।

এর পরবর্তীতে ভাবেন। এদেশের মানুষের জন্যে একটি হাসপাতাল তৈরি করবেন। হাসপাতালের অর্থ সংগ্রহ করতে সে সময় এই বিলেত ফেরত ডাক্তার ভিক্ষা পর্যন্ত করেছেন। তখনকার দিনে কলকাতার বড়লোকদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করেছেন। বড়লোক বাড়িতে কোনও আনন্দ অনুষ্ঠান হলে সেই বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন ভিক্ষা চাইতেন ‘অনুরোধ, কিছু টাকা পয়সা যদি সাহায্য করেন, খুব উপকার হয়, সবার জন্য একটা হাসপাতাল তৈরি করতে পারি’।

চিকিৎসক হিসেবে অর্জিত অর্থের সমস্তটাই দান করে গিয়েছেন মেডিক্যাল স্কুল ও হাসপাতাল স্থাপনে। বেলগাছিয়ায় ১২ বিঘে জমি কিনে নেন ডাক্তার কর। সেখানেই গড়ে ওঠে হাসপাতাল। আত্মপ্রকাশ করে বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু সেই নাম বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯১৬ সালের ৫ জুলাই মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন লর্ড কারমাইকেল। তাঁর সম্মানে বদলে যায় নাম। দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ হিসেবেই পরিচিত ছিল এই চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্রটি। ১৯৪৮ সালে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের সময় ফের নাম বদলের দাবি ওঠে।

পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় অবশ্য তা হতে দেননি। তাঁর উদ্যোগেই ডা রাধাগোবিন্দ করের নামেই কলেজের নাম রাখা হয় ‘আর জি কর’। যদিও বর্তমান সময়ও দু’জন ডাক্তার রয়েছেন এই কর বাড়িতে। সেকাল থেকে একাল সমাজ ও সাধারণ মানুষের জন্য হাওড়ার কর পরিবারের নানা কর্মকাণ্ড জারি রয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবার সদস্য পার্থ কর জানান, ‘আমরা কোন প্রশ্নের উত্তর চাইছি না, আমরা চাইছি এই বর্তমান সমস্যার দ্রুত সমাধান। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এই হাসপাতাল বাংলার মানুষের সেবায় থাকুক। পরবর্তী সময়ে কোনও ভাবে এমন সমস্যার সম্মুখীন না হয় হাসপাতাল।’

(রাকেশ মাইতি)