Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Protest: তাঁর মাথা ফাটায় রক্তাক্ত হয়ে ডার্বি বন্ধ হয়েছিল, ফের বন্ধ হল আরেক ডার্বি, কী বললেন রহিম নবি

হুগলি: প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ডার্বি বাতিল হয়েছিল মাঠের মধ্যে যেদিন মাথা ফেটেছিল রহিম নবির। তারপর থেকে আবারও ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে ডার্বি ম্যাচ বাতিল হল -ডুরান্ড কাপে আরজি করের ঘটনার পর। প্রথম ডার্বি বাতিল হয়েছিল যখন তখন রহিম নবি ছিলেন কারণ। আর এখন যখন দ্বিতীয় ডার্বি বাতিল হল তখন প্রতিবাদের সুর নবির গলায়। ডার্বি আরও হবে তবে সমর্থকরা যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেটা সঠিক, এমনই বলছেন প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি।

প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার রহিম নবি পান্ডুয়ায় নিজের বাড়িতে এদিন বলেন, ‘‘আমি ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান মহামেডান তিন প্রধানেই খেলেছি। আমরা ফুটবলওয়ালারা জানি ক্লাব আমাদের কাছে মা। আর সমর্থকরা না থাকলে আমরা থাকব না। আমি যখন খেলতাম তখন মনে আছে একবারই ডার্বি বন্ধ হয়েছিল আমার মাথায় চোট লেগেছিল সেই খেলায়। ডার্বি বন্ধ হওয়া একটা কালো দিন।’’

আরও পড়ুন – Ishan Kishan: বোর্ডের কাছে কি আর ‘ব্যাড বয়’ নন ইশান কিষাণ, কোন অঙ্ক চলছে পর্দার পিছনে তরুণ তুর্কিকে দলে ঢোকাতে

তাঁরা মতে প্রতিবাদ জোরদার হবে তাই বন্ধ করা হয়েছে ডার্বি খেলা।নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় পুলিশও দিতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছিল।

রহিম নবি আরও বলেন,  ‘‘আর জি কর নিয়ে আমার সন্তানরা আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, কী জবাব দেব। আরজি করের ঘটনা দোষীদের ধরতে এত সময় কেন। আমরা সবাই চাই পশ্চিমবঙ্গের শান্তি। আরজি করে যাঁরা ভাঙচুর করেছে কাদের সম্পত্তি ভাঙছে, আমাদের টাকাতেই তৈরি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে সমস্ত ফুটবলপ্রেমী মানুষ আজ কেমন যেন এক হয়ে গেছে। বিরোধী ক্লাবের সমর্থকরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছেন রাস্তায়। ইস্টবেঙ্গল , মোহনবাগান কিংবা মোহামেডান সব ফুটবলার থেকে সমর্থক হকার গলার এখন একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’’

Rahi Halder

J D Hospital: নিরাপত্তার বালাই নেই, জেলার এই হাসপাতালের অবস্থা জানলে শিউরে উঠবেন!

কোচবিহার: জেলা বহু পুরোনো এই জে ডি হাসপাতাল। জৌলুস ধীরে ধীরে কমেছে। তবে আজও বহু রোগীরা এই হাসপাতলে আসেন চিকিৎসা করাতে। তবে হাসপাতাল চত্বরের পরিবেশ দেখলে একে হাসপাতাল কম, ভুতুড়ে এলাকা বলেই বেশি মনে হবে। চারিপাশ ঘিরে রয়েছে জঙ্গল এবং ঝোপঝাড়। এছাড়া সন্ধে নামলেই এলাকায় আনাগোনা বাড়ে নেশাগ্রস্থদের। সব মিলিয়ে এট চরম অস্বস্তির মাঝে দিন কাটাতে হচ্ছে এই হাসপাতালের কর্মীদের। তবুও বারংবার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। হয়নি সঠিক সুরক্ষার ব্যবস্থা। বসেনি সিসিটিভি।

হাসপাতালের দুই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নার্সিং কর্মী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই হাসপাতাল চত্বরে কোন‌ও সুরক্ষা কর্মী নেই। হাপাতালের সদর গেট দু’পাশেই সব সময় খোলা থাকে। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে সঠিকভাবে সিসিটিভি বসানোর ব্যবস্থাও করা হয়নি। এছাড়াও রাতের অন্ধকারে হাসপাতাল চত্বরে নেশাগ্রস্থদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। সব মিলিয়ে একেবারে চরম অসুবিধার মাঝেই দিন কাটাতে হচ্ছে এই নার্সিং কর্মীদের। এই বিষয়ে বারংবার অভিযোগ জানানো হলেও কোন‌ও প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ ভাসছে পুকুরে! সাতসকালে এলাকায় শোরগোল

হাসপাতালের আবাসনে থাকা উর্মিলা রায়, শিব ভবোদয় এবং চিকিৎসক বি দাস জানান, হাসপাতালের আবাসনের একেবারেই বেহাল দশা। আবাসনের বেশিরভাগ জায়গায় ফাটল ধরেছে। এছাড়া নেই পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং জলের ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে আবাসনে থাকা ব্যক্তিদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এছাড়া আবাসনে নেই সিসিটিভি ও সুরক্ষা কর্মীর ব্যবস্থা। কলেজে যে কোন‌‌ও সময় যেকোন‌ও ব্যক্তি সহজে ঢুকে পড়তে পারেন, তাঁরা একইভাবে যেকোনও সময় চলে আসতে পারেন আবাসনে। এই অবস্থায় যেকোনও সময় একটি বড় বিপদ ঘটে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে? এই নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবুও গোটা বিষয়টি নিয়ে একেবারেই চুপ হয়ে রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে বর্তমান সময়েও বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। এছাড়াও বিশেষ করে প্রয়োজন হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থার। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে যেকোনও মুহূর্তে একটি বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। দ্রুত এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

ABVP Protest on RG Kar: স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছাতে পারল না এবিভিপির মিছিল! মাঝপথে তুলকালাম পুলিশের সঙ্গে

কলকাতা: মঙ্গলবার এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ভেস্তে দিল পুলিশ। সল্টলেকে তুলকালাম! অনেক আগেই মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ। সিটি সেন্টারে জমায়েত হয়ে স্বাস্থ্যভবনের দিকে মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। এর পর পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হওয়ায় রাস্তায় বসে পড়ে এবিভিপি। ইন্দিরা ভবনের সামনে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়।

আরও পড়ুন- আমাশা কিংবা প্রস্রাবে জ্বালা? সর্বরোগহরা এই শাকেই জব্দ হবে রোগ

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জ্বলছে রাজ্য। এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তার আগেই মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে বিক্ষোভ শুরু করেছিল এবিভিপি। পুলিশ অবশ্য নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত যেতে দেয়নি। প্রায় দু’কিলোমিটার আগে ইন্দিরা ভবনের অদূরে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। সেখানেই রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন এবিভিপি কর্মীরা।

পুলিশ জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। ইট ছোড়াছুড়ি, লাঠিচার্জে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বেশ কয়েক জন এবিভিপি কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তোলে পুলিশ।

আরও পড়ুন- ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

পুলিশ এবং র‌্যাফের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি। এমনকি, মহিলা সমর্থকের উপর পুরুষ পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এ দিকে, মঙ্গলবার প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরাও। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সেই অভিযানও। কারণ, মঙ্গলবার একই সময়ে এবিভিপির মিছিল ছিল, সেই জন্যই এবিভিপির মিছিলের থেকে পৃথক থাকার জন্যই আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা আজকের মিছিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

TMC On RG Kar: আরজি করে সেন্ট্রাল ফোর্স! আপত্তি নেই তৃণমূলের, ‘ওদের বাহিনীই সামলাক…’ বললেন কুণাল

কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলেই জানিয়ে দিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪ অগাস্ট রাতের ভাংচুরের ঘটনায় তাদের পাল্টা আক্রমণের তির বিরোধীদের দিকে। বাম-বিজেপিরাই ভাঙচুর চালায় বলেই অভিযোগ তুলল তৃণমূল। এই ঘটনায় আগেই একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর মুখেও।

এদিন আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয় দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ জানান, “ওই হাসপাতাল টার্গেট করে অশান্তি করছে অপশক্তিরা। বড় চক্রান্ত চলেছে। যদি ওদের প্ররোচনা, ওদের উস্কানি, হাঙ্গামার ছক এখন ওদের বাহিনীই সামলাতে চায়, সামলাক।”

আরও পড়ুন: ‘সকালে খুন হয়েছে…, আর রাত ১১:৪৫-এ FIR!’ আরজি কর মামলায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি

প্রসঙ্গত, আরজি করের নিরাপত্তা নিয়ে ১৪ অগাস্ট প্রশ্ন উঠেছিল। সেই দিন ‘রাত দখল’ আন্দোলনের সময় এক দল দুস্কৃতীর বিরুদ্ধে আরজি করে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতারও করে কিছু অভিযুক্তকে। কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল দুস্কৃতীরা প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এই ভাঙচুর চালিয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

RG Kar Doctor Murder Case: ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

সুবীর দে,পানিহাটী: রাজ্য, দেশ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানালেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা জানালেন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। সব সময়ের জন্য ডিপার্টমেন্ট দায়ী। তাঁদের কথায়, “আমরা সিবিআইকে সমস্ত তথ্য দিয়েছি। রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেছেন বিচার আমরা পাব। সিবিআই আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। দোষীরা ধরা পড়বে আর তারা আমাদের মেয়ের মৃত্যুর বিচার দেবে…”

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারের মধ্যে এই ঘটনায় তদন্ত শেষ করে মূল অভিযুক্তকে চরম শাস্তি দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে সিবিআই জেরা করলেও রবিবার পর্যন্ত তারা নতুন কাউকে গ্রেফতার করেনি।

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল, তাকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে আরজি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সুয়োমোটো মামলা গ্রহণ করেছে। রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে সোমবার ছিল সরকারি ছুটি। এই মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আইনজ্ঞদের একাংশের মত, তদন্তের গতিপ্রকৃতি থেকে শুরু করে সার্বিক ভাবে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত। এ দিনই আবার পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বিষয়টি তাঁরা সিবিআইয়ের কাছেও জানাবেন বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন- আমাশা কিংবা প্রস্রাবে জ্বালা? সর্বরোগহরা এই শাকেই জব্দ হবে রোগ

নিহত তরুণী চিকিৎসক যে নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন এবং আরজি করের সেমিনার রুমের কাছেই যে সেই ডায়েরিটি পাওয়া গিয়েছিল— শনিবারই তা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল সেই ডায়েরিটি তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। ওই ডায়েরির তিন-চারটি পাতা ছেঁড়া ছিল বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রবিবার মৃত তরুণীর বাবা বলেন, ‘মেয়ের ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল ক্লাস নাইন থেকেই। কখন বাড়ি আসবে, কখন কী বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে— সবকিছুই লিখে রাখত। ওই ডায়েরির তিন-চারটি পাতা নেই।’

এতে তাঁদের সন্দেহ, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে সেটা ছিঁড়ে ফেলতে পারে। তবে ওই ছেঁড়া পাতার একটির ছবি তাঁদের কাছে রয়েছে বলে এ দিন জানিয়েছেন তরুণীর বাবা। সেটা তাঁরা কী ভাবে পেলেন, তা অবশ্য তাঁরা স্পষ্ট করেননি। তরুণীর মায়ের অভিযোগ, ‘একটা কথা শুনেছি, মেয়ের দেহ যে অবস্থায় পড়েছিল আর যেটা আমাদের বলা হয়েছে, সেটা এক নয়। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। সেটা আমরা সিবিআইকে জানাব।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে যারা প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিল, তা-ও কম বড় অপরাধ নয়। আমরা চাই, তারও তদন্ত হোক।’

RG Kar Case CBI: কেন ‘সেমিনার হলে’ ঘুমোতে গিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক…? CBI তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই সূত্রে এবার উঠে আসছে একাধিক তথ্য। ওই তরুণী চিকিৎসক কেন সেমিনার হলে ঘটনার রাতে ঘুমোতে গিয়েছিলেন? উত্তর খুঁজতে গিয়ে তদন্তে উঠে এল সম্ভাব্য কারণ। কি সেই কারণ?

জানা যাচ্ছে ঘটনার রাতে স্লিপিং ওয়ার্ডে (স্লিপ এপনিয়া রোগী যেখানে থাকে) বেশ কিছু রোগী পর্যবেক্ষণে ছিলেন। সেখানে রোগীকে ঘুমন্ত অবস্থায় অবসেরভেশনে রাখতে হয়। সাধারণত ওই ওয়ার্ডে বেশি রোগী থাকেন না বলে দায়িত্বে থাকা এই চিকিৎসকরা ওখানেই এমনি দিনে রোজই ঘুমোতেন বা রেস্ট করতেন। কিন্তু ঘটনার রাতে ওই ওয়ার্ডে রোগী থাকায় তরুণী চিকিৎসক ঘুমোতে যান সেমিনার হলে।

আরও পড়ুন: ‘সকালে খুন হয়েছে…, আর রাত ১১:৪৫-এ FIR!’ আরজি কর মামলায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি

এদিকে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করার অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। এই আর্জি জানিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা শিয়ালদহ কোর্টের দারস্থ হন। নিয়ম অনুসারে, আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টেস্ট করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। অনুমতি পাওয়ার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পলিগ্রাফ টেস্টের জন‍্য সঞ্জয় রাইকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়।

RG Kar Case: আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবিতে মৌন মিছিল চা শ্রমিকদের

আর জি কর কান্ডে নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবিতে মৌন মিছিল করল চা বাগানের সন্তানরা
আর জি কর কান্ডে নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবিতে মৌন মিছিল করল চা বাগানের সন্তানরা
রাধারানী চা বাগানে রাত দখল করলেন চা শ্রমিক পরিবারের সন্তানরা
রাধারানী চা বাগানে রাত দখল করলেন চা শ্রমিক পরিবারের সন্তানরা
কারও হাতে মোমবাতি কারও হাতে প্রদীপ, এই নিয়েই প্রদক্ষিণ করলেন তারা বাগান এলাকা
কারও হাতে মোমবাতি কারও হাতে প্রদীপ, এই নিয়ে প্রদক্ষিণ করলেন তারা বাগান এলাকা
কেউ সাদা আবার কেউ কালো জামা পড়ে চা বাগানের রাস্তায় হাঁটলেন
কেউ সাদা আবার কেউ কালো জামা পড়ে চা বাগানের রাস্তায় হাঁটলেন
ডুয়ার্সে এই প্রথম শ্রমিক পরিবারের সন্তানেরা প্রতিবাদ জানালেন মৌনতার মধ্য দিয়ে
ডুয়ার্সে এই প্রথম শ্রমিক পরিবারের সন্তানেরা প্রতিবাদ জানালেন মৌনতার মধ্য দিয়ে

RG Kar Murder Case SC: ‘সকালে খুন হয়েছে…, আর রাত ১১:৪৫-এ FIR!’ আরজি কর মামলায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি

নয়াদিল্লি: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন প্রথমেই FIR করল না? আরজি কর মামলায় প্রশ্ন করল শীর্ষ আদালত। কার অভিযোগের ভিত্তিতে কখন প্রথম এফআইআর? তাও জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে কার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কখন প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল সেই তথ্য জানতে চান বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, বেলা ১১টা ৪৫মিনিটে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর হয়েছিল। পরে অধ্যক্ষ অভিযোগ জানান। এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সৎকারের জন্য মৃতদেহ কখন পরিবারকে দেওয়া হয়? আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে।

আরও পড়ুন: আমরা চিকিৎসকদের অনুরোধ করছি আপনাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করুন : সুপ্রিম কোর্ট

প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।”

রাজ্যের আইনজীবীর কাছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানতে চাওয়া হয়, “আমরা জানতে চাই কে ফোন করেছিলেন পরিবারকে? আমরা জানতে চাই এফআইআর কখন দায়ের করা হল? উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘১১:৪৫ এ এফআইআর করা হয়েছে। রাত ৮:৩০ দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর রাত ১১:৪৫-এ পরিবারের অভিযোগে এফ আই আর রুজু হয়েছে।’

উত্তরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কেন? সকালে জানা গিয়েছে একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট খুন হয়েছে আর রাত ১১:৪৫ এ এফ আই আর! বিস্মিত দেশের প্রধান বিচারপতি। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘চিকিৎসকের খুন হওয়ার মুহূর্তে পরিবারের মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন এফআইআর করবে না?’

Supreme Court on RG Kar Case: ‘হাসপাতাল ভাঙচুরের সময় পুলিশ কোথায় ছিল?’ আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডে এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানি চলাকালীন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগাস্ট মধ্য রাতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। সেই মিছিল চলাকালীন একদল দুস্কৃতী জোর করে আরজি করে ঢুকে পড়ে। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা বারবার বাধা দেওয়া স্বত্ত্বেও এই জনতাকে আটকাতে পারেনি। পরে হাসপাতাল ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে এই দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: ‘আরজি করে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী’, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, “১৫ অগাস্ট এত লোক ঢুকে হাসপাতাল ভাঙচুর করল, পুলিশ কী করছিল? পুলিশ কেন পদক্ষেপ করল না? পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?”

আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনার পরে পুলিশ বেশ কিছু অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতারও করে। সেই সঙ্গে, প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাঙচুর করা হয়েছে এই অভিযোগও তোলা হয় নানা মহল থেকে। নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন: আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডের রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

‍সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিন পর্যবেক্ষণে জানায়, আমাদের দেশে জুনিয়র ডাক্তাররা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন, চিকিৎসকদের কোনও ডিউটিরুম নেই। শুধু তাই নয়, ডিউটি রুম, পৃথক রেস্টরুম নেই, টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

RG Kar Medical College Case: হাসপাতালে একের পর এক দুর্নীতি! সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এবারে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ

কলকাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আরজি করের ভিতর থেকেই। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি ২০২৩ সালেই প্রথম স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ জানান। পরে তিনি রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনে সন্দীপ ঘোষের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রমাণ-সহ অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে তিনি তৎকালীন তথা প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ, ডক্টর দেবাশিষ সোম, আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর।

এদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, সরকারি অর্থের অপব্যবহার। স্বাস্থ্য দফতর এবং কলেজ কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই হাসপাতালের চত্বরে নানা নির্মাণ, খাবারের দোকান, ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, সুলভ শৌচালয় নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনটি সুলভ শৌচালয় নির্মাণ, পাঁচটি খাবারের দোকান, তিনটি ক্যান্টিন, একটি ক্যাফেটেরিয়া বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ নারকেলের ছোবড়ার মতো দেখতে, একদিন খেলেই ফল মিলবে হাতেনাতে…! বাজার খুঁজে কিনে আনুন আজই

তিনজন ভেন্ডার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগ ছিল তাঁর এমনই অভিযোগ, তাই এই তিন ভেন্ডার সমস্ত কাজের বরাত পেত। কোটি টাকার ওপরে যে সমস্ত টেন্ডার তাতে নিয়ম বহির্ভূত হবে নির্দিষ্ট কয়েকজন পছন্দের লোককে পাইয়ে দেওয়া হত। তাদের আদৌ টেন্ডারে অংশ নেওয়ারই যোগ্যতা ছিল না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।