Tag Archives: RG Kar Hospital

Mimi Chakraborty gets threat: মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি, কলকাতা পুলিশের নজরে আনলেন অভিনেত্রী নিজেই

কলকাতা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন৷ এবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলেই ধর্ষণের হুমকি পেলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী৷ অভিনেত্রী নিজেই এ দিন কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করে ওই হুমকি বার্তা রিপোস্ট করেছেন৷ তবে পুলিশে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন মিমি৷

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ধর্ষণের হুমকির স্ক্রিনশট তুলে ধরে মিমি লিখেছেন, আমরা তো মহিলাদের জন্য ন্যায় বিচার চাইছি তাই না? এগুলো তারই একটি নমুনা৷ এরকম কিছু বিষধর পুরুষই ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর ভেক ধরে আছে৷ কী ধরনের শিক্ষা এবং পরিবেশে এরা বড় হয়েছে?

গত ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন অভিনেত্রী এবং যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ মিমি৷ তার পরই ধর্ষণের হুমকি পেলেন তিনি৷

মিমি এই পোস্ট করার পরই অবশ্য নেট ব্যবহারকারীদের অনেকেই এই হুমকি বার্তার তীব্র নিন্দা করে কলকাতা পুলিশকে তৎপর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷ কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখাকে ট্যাগ করে একজন লিখেছেন, ‘প্রাক্তন একজন সাংসদ যদি এরকম হুমকি পান, তাহলেই বোঝা যায় মহিলারা কতটা বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হোক৷’

একা মিমি নন, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে টালিগঞ্জের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরাই পথে নেমেছেন৷ মিমি অভিযোগ না জানালেও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলকাতা পুুলিশ মিমিকে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার৷

RG Kar Doctor Murder: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পথে আদিবাসী সংগঠন

পূর্ব মেদিনীপুর: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পথে নামল আদিবাসী সংগঠন। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। দিকে দিকে প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছে সঠিক বিচার চেয়ে। শুধু রাজ্য, নয় রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশ, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও এই ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হচ্ছে। আরজিকর কাণ্ডের এই ঘটনা নাড়া দিয়েছে সমস্ত শ্রেণির মানুষকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই অরাজনৈতিকভাবে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পী, অভিনেতারা।

আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি চেয়ে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ক্রমে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ শহর ছাড়িয়ে মফস্বল, এমনকি গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এবার এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল আদিবাসী সংগঠন।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে বহুতল ভেঙে দিল এই পুরসভা

আরজি কর কাণ্ডে মৃত চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ২০ অগস্ট আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগানা মহলের পক্ষ থেকে মেচোগ্রামে জাতীয় সড়ক ও ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলে অবরোধ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।

সৈকত শী

Bangaon Local Train: অফিস টাইমের ভিড়ে ভরা বনগাঁ লোকাল, ট্রেনের কামরায় এ কে! যাত্রীদের তরফ থেকেও উঠল আওয়াজ

উত্তর ২৪ পরগনা: শিয়ালদহ থেকে রাতে ফেরার ৮ টা ১৪ লোকাল ট্রেন, বনগাঁ লোকাল হওয়ায় প্রতিটি কামরাই তখন প্রায় ভিড়ে ঠাসা। তবে তার মধ্যেই মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ভেন্ডারে থাকা যাত্রীরা এদিন দেখালেন এমনই অভিনব প্রতিবাদ। শিল্পী তারক দাস তাঁর হাতের রঙ তুলিতে মানবদেহে ফুটিয়ে তুললেন আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতীক। সারা গায়ে রঙ আবৃত যাত্রীকে দাঁড় করিয়েই চলল চলন্ত ট্রেনে নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ।

দিনশেষে কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে লোকাল ট্রেনের কামরায় দেখা গেল আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ। মানুষের সারা শরীর রাঙিয়ে তোলা হল নির্যাতিতার করুণ অবস্থার মুহূর্তের প্রতীকি ছবি হিসেবে।

শুধু তাই নয়, ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেয়েকে কোলে ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন জানানো হল লোকাল ট্রেনের কামরায় এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া যাত্রীদের তরফে।

আরও পড়ুন – Bollywood Gossip: ‘মা বলেছিলেন প্রেমিক নয় তোমার বাবা হওয়ার কথা’ ২৮ বছরের ছোট প্রেমিকা, ১৭ বছরে ঘর ছাঁড়েন এই গায়কের প্রেমে, তারপর বছরের পর বছর লিভ ইন

‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-র পাশাপাশি দোষীদের অবিলম্বে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালেন লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা।

মধ্যমগ্রামের শিল্পী তারক দাস জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে ডাক্তার থেকে নারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করা ট্রেন যাত্রীরাও এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার আর তাই তিনি এদিন প্রতীকি মডেল এর সারা শরীর রাঙিয়ে তুলে প্লেকার্ড হাতে। ভেন্ডার এর যাত্রীরা জানালেন, আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতা তরুণীর খুনের ঘটনার বেরিয়ে আসুক আসল রহস্য প্রকৃত দোষীরা পাক শাস্তি। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল চলন্ত ট্রেনের এই অভিনব প্রতিবাদের ছবি।

শিয়ালদহ থেকে রাত্রে ফেরার ৮ টা ১৪ লোকাল ট্রেন, বনগাঁ লোকাল হওয়ায় প্রতিটি কামরাই তখন প্রায় ভিড়ে ঠাসা। তবে তার মধ্যেই মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ভেন্ডারে থাকা যাত্রীরা এদিন দেখালেন এমনই অভিনব প্রতিবাদ। শিল্পী তারক দাস তাঁর হাতের রঙ তুলিতে মানবদেহে ফুটিয়ে তুললেন এই নৃশংস ঘটনার প্রতীক। সারা গায়ে রং আবৃত যাত্রীকে দাঁড় করিয়েই চলল চলন্ত ট্রেনে নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ।

Rudra Narayan Roy

Kolkata Police summons Sandip Ghosh: নির্যাতিতার নাম বলে দেওয়ার অভিযোগ, আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ! তলব করল লালবাজার

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম বলে দেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তলব করল লালবাজার৷ টালা থানায় দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর৷

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা সামনে আসার পর তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে একাধিকবার নির্যাতিতার নাম বলে দেন বলে অভিযোগ৷ যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পরিপন্থী৷ এর পরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় দায়ের হয় টালা থানায়৷ আগামিকালই সন্দীপ ঘোষকে লালবাজারে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷

আরও পড়ুন: আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, অন্য সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশ-সেনার প্রাক্তন কর্তারা! সিদ্ধান্ত রাজ্যের

একদিকে সিবিআই-এর টানা জিজ্ঞাসাবাদ যেমন চলছে, তেমনই সন্দীপের ঘোষের বিরুদ্ধে এবার তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতা পুলিশও৷ ইতিমধ্যেই টালা থানায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনটি আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে৷ অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকার সময় হাসপাতালে নির্মাণ সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন সন্দীপ৷ এই অভিযোগে ২০২২ সালে দুটি এবং ২০২৩ সালে একটি অভিযোগ জমা পড়ে স্বাস্থ্য দফতরে৷ সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টালা থানায় মামলা দায়ের করেন স্বাস্থ্য দফতরের এক স্পেশ্যাল সেক্রেটারি৷

ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে টানা পাঁচ দিন সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে৷ তাঁর বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতিও মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷

RG Kar Doctor Murder Impact: গানে-নাটকে আরজি কর কাণ্ডে ‘জাস্টিস’ চাইলেন ওঁরা, দেখুন ভিডিও

বীরভূম: এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কন্ঠে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, ‘আরজি কর কান্ডের সঠিক বিচার’। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। জারি রয়েছে বিক্ষোভ এবং মিছিল। বাড়ি ছেড়ে পথে নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ। আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাত দখলের লড়াইয়ের জন্য পথে নেমেছেন শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের মহিলারা। রাত্রিতে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে হবে, এই দাবি নিয়ে কখনও মশাল মিছিল, কখনও আবার মৌন মিছিল হচ্ছে। অনেকেই মোমবাতি নিয়েও মিছিল করছেন।

আরজিকর কাণ্ডের প্রভাব পড়েছে বীরভূম জেলাতেও। এখানকার মল্লারপুরে এক অন্য ধরনের প্রতিবাদ মিছিল দেখা গেল। মল্লারপুরের বাহিনা মোড়ে নাটক এবং গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদে সরব হলেন এলাকার যুবক এবং যুবতীরা। কেউ হাতে গিটার নিয়ে প্রতিবাদ মূলক গান গাইলেন, আবার অন্যদিকে মহিলারা পথ নাটকের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এই প্রতিবাদ মিছিলে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তার বালাই নেই, জেলার এই হাসপাতালের অবস্থা জানলে শিউরে উঠবেন!

বাহিনা মোড়ের প্রতিবাদ মিছিলের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয় সকল পুরুষ ধর্ষক হয় না। অন্যদিকে নাটকের মাধ্যমে দেখানো হয় কীভাবে নারীদের উপর অত্যাচার করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, স্বাধীন ভারতেও নারীরা আজ সুরক্ষিত নয়। সন্ধের পরে কার্যত ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন বাড়ির মহিলারা। বাড়ির মেয়ে যতক্ষন বাড়ি না ফিরছেন ততক্ষণ চিন্তায় থাকছেন বাড়ির সদস্যরা। তাই অবিলম্বে আসল দোষীদের গ্রেফতার করে নারীদের সুরক্ষিত করতে হবে। আর এমন শাস্তি দিতে হবে যেন আর কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।

সৌভিক রায়

Kunal Ghosh: ‘বাম আমলে কী হত?’ বিরোধীদের আক্রমণ করে অঞ্জন চৌধুরীর সিনেমা দেখার পরামর্শ কুণালের

কলকাতা: বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে অঞ্জন চৌধুরীর বাংলা সিনেমা দেখার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। হাসপাতাল নিয়ে বাম আমলে কি হত? প্রশ্ন তুলে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তুলনা টানেন তিনি। তিনি বলেন, “অঞ্জন চৌধুরীর ছবি দেখুন। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিয়ে। ঘোর বাম জমানায় তৈরি ছবি। পারলে দেখবেন। হাসপাতালে সে সময় কী চলত; চক্র কী করত, সেসবের প্রেক্ষিতেই সিনেমা। একবার দেখে নেবেন।”

প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরেই বামেদের ভূমিকার সমালোচনা করছিলেন কুণাল। সোমবার সকালে আচমকা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। তিনি জানিয়েছেন, আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের কাছ থেকে পাওয়া বেশ কিছু নথি তাঁর কাছে ছিল। সে সব সিবিআইকে দিতে চান তিনি। সেই কারণেই সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু খোলসা করেননি কুণাল।

আরও পড়ুন- ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

কুণাল আরও জানান, আরজি কর হাসপাতালের উপর তাঁর বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। তাঁর বাবা এবং মা, উভয়ের সেখানকার পড়ুয়া ছিলেন বলে জানান। শুধু তা-ই নয়, কুনালের জন্মও আরজি করে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকেরা জরুরি কিছু বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মেডিক্যাল ভাষা সবটা আমি বুঝিনি। আমি বলেছিলাম, আর একটু পরিষ্কার করতে। তার মাঝেই এই দুর্ভাগ্যজনক হত্যাকাণ্ড আরজি করে ঘটে যায়। দোষীদের বা দোষীর ফাঁসি চাই আমি। আমার কাছে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা জানান, এই নথির কিছু প্রেক্ষিত থাকলেও থাকতে পারে। কী বিষয়ে এই নথি, তা বলতে চাই না। আমি কারও নাম করতে চাই না। এই নথি আমি সিবিআইকে নিতে অনুরোধ করব। নিলে নেবে। না নিলে না নেবে। সিবিআই যদি মনে করে, এই তথ্য তাদের কাজে লাগবে, তবে তারা সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’’

কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নথি নিয়ে কেন যোগাযোগ করেননি? উত্তরে কুণাল বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে, এতে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। তা সত্য না মিথ্যা, আমি যাচাই করিনি। বিষয়টি যে হেতু এখন কলকাতা পুলিশের হাতে নেই, তাই আমি তাদের হাতে এই তথ্য তুলে দিইনি। সিবিআই তদন্ত করছে। তাই তাদের হাতে দিতে এসেছি। কলকাতা পুলিশ তদন্ত করাকালীন আমার কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত তথ্য ছিল না।’’

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন কুণাল। তবে দলের কিছু ভুল সংশোধন প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সোমবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই নিয়ে পর পর চার দিন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন সন্দীপ। তার মাঝেই সিবিআই দফতরে গেলেন কুণাল।

Howrah bridge closed: বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার! ব্যস্ত সময়ে প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকল বন্ধ হাওড়া ব্রিজ

কলকাতা: বিজেপির বিক্ষোভের জেরে ব্যস্ত সময়ে হাওড়া ব্রিজে ধুন্ধুমার৷ ব্যারিকেড করে হাওড়া ব্রিজের উপরে যান চলাচল বন্ধ করে দিল পুলিশ৷ এ দিন সন্ধ্যায় হাওড়া ব্রিজে আরজি কর কাণ্ডের বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল বিজেপির৷ সেই বিক্ষোভ শুরুর আগেই ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷ ফলে সন্ধেবেলা অফিসা বা কর্মস্থল থেকে ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী৷

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা এগনোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়৷ প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়া ব্রিজ চত্বরে৷

শেষ পর্যন্ত বিপুল বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ৷ সন্ধে ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া ব্রিজে ফের শুরু হয়  যান চলাচল৷

আরও পড়ুন: সঞ্জয়কে চেনেন? প্রশ্ন শুনেই পড়িমড়ি ছুট সেই পুলিশ অফিসারের, হাজিরা সিবিআই দফতরে

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজই স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি৷ ওই অভিযানকে কেন্দ্র করেও বিধাননগরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়৷ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি সমর্থকদের৷

আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হয়েছে৷ আরজি করে চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷

RG Kar murder update: আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, অন্য সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশ-সেনার প্রাক্তন কর্তারা! সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় আজই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজরদারির জন্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ এবং সেনা কর্তাদের নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ আরজি কর কাণ্ডের জেরে এ দিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন৷

নবান্ন সূত্রে খবর, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করতেই প্রাক্তন পুলিশ এবং সেনা কর্তাদের ব্যবহার করা হবে৷ গত দু বছরের মধ্যে ইনস্পেক্টর, অ্যাডিশনাল এসপি, ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার যে অফিসাররা অবসর নিয়েছেন, তাঁদেরকেই হাসপাতালের সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে নিয়োগ করবে রাজ্য৷

আরও পড়ুন: সঞ্জয়কে চেনেন? প্রশ্ন শুনেই পড়িমড়ি ছুট সেই পুলিশ অফিসারের, হাজিরা সিবিআই দফতরে

সেনা, বায়ুসেনা বা নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন, মেজর অথবা সমতুল পদের আধিকারিকদেরও এই কাজে নিযুক্ত করা হবে৷ পুলিশ এবং সেনার যে প্রাক্তন আধিকারিকরা সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী,তাঁদের তালিকা তৈরি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের এই তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ আগামী ২৪ অগাস্টের মধ্যে এই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে৷ নির্দিষ্ট নীতি মেনেই এই সিকিউরিটি অফিসারদের বেতন দেবে রাজ্য সরকার৷

Malda Medical College: চিকিৎসকদের পর কর্মবিরতিতে অস্থায়ী কর্মীরা, চরম অচলাবস্থা মালদহ মেডিকেলে

মালদহ: গত প্রায় দেড় মাস ধরে হচ্ছে না বেতন।‌ এদিকে ঠিকা সংস্থা পরিবর্তন হতেই কাজ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিষয়টি বহুবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়ে কর্ম বিরতি পথে হাঁটলেন মালদহ মেডিকেল কলেজের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীরা। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার ভবনের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীরা কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। এমনিতেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। তার ওপর অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের এই কর্মবিরতি জেরে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত লাটে ওঠার যোগাড়।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে টোটোপাড়ার ভরসা বিজ্ঞান সুব্বা

মালদহ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী অস্থায়ী কর্মী সুমন দাস বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না। পুরনো ঠিকা সংস্থা টেন্ডার ছেড়ে দিয়েছে। নতুন ঠিকা সংস্থা কাজ দেওয়ার জন্য টাকা চাইছে। বিষয়টি আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারপরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।

মালদহ মেডিকেল কলেজের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে প্রায় ১৪৮ জন চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। সাফাই কর্মী থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী ও ওয়ার্ড বয় হিসাবে তাঁরা কর্মরত। প্রায় দেড় মাস আগে পূর্ববর্তী ঠিক সংস্থার চুক্তি শেষ হয়। এরপর নতুন একটি সংস্থা টেন্ডার পায়। নতুন ঠিকা সংস্থার পক্ষ থেকে পুরাতন কর্তব্যরত কর্মীদের কাছ থেকে কাজ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

হরষিত সিংহ

Doctors’ Security: চিকিৎসক সুরক্ষা নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, আরও আঁটোসাঁটো হবে হাসপাতালের নিরাপত্তা

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডের পর ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব চিকিৎসক মহল। এই বিষয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ২৫% নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু ক্ষেত্রে মার্শাল রাখার কথাও ভাবা হতে পারে। এই বিষয়ে হাসপাতালে অতিরিক্ত নিরাপত্তার উপরেই জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। কারণ এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানান, শুধুমাত্র একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে কোনও কেন্দ্রীয় আইন বিশাল বড় কোনও পার্থক্য গড়তে পারবে না। তার থেকে নিরাপত্তার উপরেই বেশি করে জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র।
কারণ কলকাতার এই ঘৃণ্য অপরাধটি সংঘটিত হয়েছিল নিরাপত্তাজনিত অভাবের জন্য। এবং ঘটনাটি যেহেতু কোনও রোগী-ডাক্তারের মধ্যে ঘটে যাওয়া কোনও হিংসার ঘটনা নয় তাই কোনও নির্দিষ্ট আইন এনে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অন্যদিকে ধর্ষণ এবং খুনের জন্য আগে থেকেই ভারতীয় দণ্ডবিধিতে শাস্তির বিধান রয়েছে। তাই কেন্দ্রের তরফ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে রেসিডেন্টস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডাক্তারদেরও জানানো হয়। একটি কমিটি গঠন করারও কথা বলা হয় যার সভাপতি হবেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সারভিসেসের প্রধান।
এই বিষয়ে কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলেন, “হাসপাতাল সর্বসাধারণের জন্য, আমরা সেটাকে দুর্গে পরিণত করতে পারি না। কিন্তু, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আমাদের দেখতে হবে। কিন্তু আমরা চিকিৎসকদের অনুরোধ করব তাঁরা যেন তাঁদের ধর্মঘট উঠিয়ে নিন। এই ধর্মঘট রুগীদের অনেক দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে।”

আরও পড়ুন: কাকভোরে কেঁপে উঠল কাশ্মীর, একের পর এক ভূমিকম্পে আতঙ্ক উপত্যকায়
দ্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “পরোক্ষ” হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। হাসপাতালকেও বিমানবন্দরের মতন সেফ জোন ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে। যথাযথ সুরক্ষার দাবিতে ধর্মঘট চললেও নির্মাণ ভবনের সামনে সোমবার ৩৬টি হাসপাতালের বহির্বিভাগের ডাক্তার বিনামূল্যে রুগী দেখবেন। এছাড়াও জরুরি বিভাগ চালু থাকবে।