Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Murder Case Update: সন্দীপ ঘোষের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন, বয়ান ঘিরে ধোঁয়াশা! দেখুন

সন্দীপ ঘোষের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন। প্রাক্তন অধ্যক্ষের বয়ান ঘিরে ধোঁয়াশা। টানা ৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদে বহু অসংগতি। কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলে ফোন? শুরুতেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অন্যদিকে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসককে৷ ওই চিকিৎসককে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল, ময়নাতদন্তে তারও প্রমাণ মিলেছে৷ আরজি করের নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এল৷

RG Kar Case Protest: মাঠেই এবার স্লোগান, জাস্টিস ফর আরজি কর জার্সিতে লিখে তুলে ধরলেন গোল করার পর, ভাইরাল মহমেডান ম্যাচের ফটো

কলকাতা: RG Kar-র পাশে মহামেডান স্পোর্টিং দলের ফুটবলাররা। এর আগে এই কাণ্ডে জাস্টিসের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা৷ রবিবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ডুরান্ডে ডার্বি বাতিল হয়৷ এরপরেই রবিবার রাস্তায় নামেন মোহন ও ইস্ট সমর্থকরা৷

সেই প্রতিবাদটাও সেই অর্থে ছিল মাঠের বাইরে৷ এবার প্রতিবাদ এল মাঠ থেকেই৷  আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ফুটবল মাঠে। এই প্রথম ফুটবলাররা প্রতিবাদ দেখালেন৷

মাঠেই প্রতিবাদ। We Want justice! লেখা জার্সি। এরিয়ানের বিরুদ্ধে গোলের পর সাদা কালো দলের ফুটবলাররা। কলকাতা লিগের ম্যাচে এরিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জিতল মহামেডান।‌

ম্যাচে একটি গোল করেন মোহিতোষ রায়। সাদা কালো শিবিরের হয়ে হ্যাট্রিক করেন ইসরাফিল দিওয়ান। প্রথম গোল করার পরেই মোহিতোষ রিজার্ভ বেঞ্চে রাখা জার্সি নিয়ে গ্যালারির উদ্দেশ্যে দেখান। ক্লাবের একটি জার্সিকে উল্টো দিক করে নিয়ে সাদা জায়গায় লেখা হয়, জাস্টিস ফর আরজি কর৷

এদিনের ম্যাচ ছিল কল্যাণী স্টেডিয়ামে৷ সেখানেই গোল করার পর এভাবে আরজি করের জন্য ফুটবল মাঠের মধ্যে থেকেই উঠল প্রতিবাদের ঝড়৷

New App for Women Security: অবিলম্বে চালু হবে ‘রাত্তিরের সাথী’! মেডিক‍্যাল কলেজগুলিতেও লাগানো হচ্ছে CCTV

কলকাতাঃ ‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করতে হবে। আজ থেকেই কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অযথা ফেলে রাখা যাবে না। রাজ্যজুড়ে সব মেডিক‍্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের। বিকেল চারটা থেকে দু-ঘণ্টা ধরে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বিভিন্ন মেডিক‍্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের নিয়ে।

আরও পড়ুনঃ এক ঘণ্টার মধ্যে দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ, লালবাজার থেকে বেরোলেন কুণাল-সুবর্ণ

সেই বৈঠকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। হাসপাতালগুলিতে জায়গা চিহ্নিত করে দ্রুত সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু করতে হবে। মহিলাদের জন্য যে যে ব্যবস্থা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার গাইডলাইনে বলেছে তার দ্রুত কার্যকর করতে হবে। অকারণে কোনও ঢিলেমি দেওয়া যাবে না।

নবান্নের নির্দেশে আজ ফের বৈঠকে বিভিন্ন মেডিক‍্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যই বাঁকুড়া মেডিক‍‍্যাল কলেজ, এসএসকেএম, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ-সহ কয়েকটি হাসপাতাল কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছে বৈঠকে। “রাজ্য সরকার চাইছে সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে এই কাজগুলি দেখতে।” বৈঠকে প্রিন্সিপালদের বললেন স্বাস্থ্য সচিব।

RG Kar Case Protest Kunal Ghosh: ‘প্রতিবাদ করুন, গুজব ছড়াবেন না’, কুণালদের ডাকার প্রেক্ষিতে বড় অভিযোগও তুললেন আরেক কুণাল

কলকাতা: আরজি করে নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের পরিচয় ফাঁস এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্যের দুই সিনিয়র চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে এ দিন তলব করে লালবাজার৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫ নম্বর ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তলব করা হয় দুই চিকিৎসককে৷ এরই প্রতিবাদে সরব হন শহরের চিকিৎসকরা৷ এ প্রসঙ্গে বড় অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘এরা মিথ্যা কথা বলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কথা বলে। ন্যায়বিচার আমরাও চাইছি। প্রতিবাদ মানেই পুলিশ ডেকে পাঠাচ্ছে এই ধারণা তৈরি করছে। ফেক অডিও শেয়ার করা হচ্ছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছেন। তাই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। চিকিৎসক কুণাল সরকারকে কেন ডাকা হয়েছে? আমি কারও নাম নিচ্ছি না। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে পেটে গজ। আবার সেই রোগীকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসক সরকারের বিরুদ্ধে তো আর ব্যবস্থা নেবে না। সতর্ক করতেই ডাকা হয়েছিল। যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল পোস্ট না হয়।’

আরও পড়ুন: ‘এই স্কুলের ছাত্র ছিল নোটন!’ সন্দীপকে নিয়ে লজ্জা-ঘেন্নার ঢেউ, ধন্দেও রয়েছেন শিক্ষকরা

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আরেকজন গিয়েছেন তাঁর গলা ভাইরাল হয়েছে। কথায় সারবত্তা থাকলে তিনি তদন্তকারীদের কাছে গিয়ে জানাতে পারতেন। আজ পুলিশের বিরুদ্ধে লোক ক্ষেপাচ্ছেন। সেদিন পেশায় রোগীকে মৃত্যুর মুখে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন তো ব্যবস্থা নেননি। হাজার বার প্রতিবাদ করুন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য দেবেন না।’

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

সুখেন্দু শেখর রায়কে তলব নিয়েও মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমার দলের রাজ্যসভার সাংসদ সিনিয়র। তাঁর পোস্টে বিকৃত তথ্য থাকলে পুলিশ মনে করলে ডেকে কথা বলবে। এখন সেনসেটিভ সময় বলেই ডেকে পাঠানো হয়েছে। এতে গেল গেল রব তোলার সময় নেই। রজ্জুতে সর্পভ্রম মানে মুশকিল। কে গ্রেফতার করবে ওনাকে? অকারণ গ্রেফতার করবে কেন পুলিশ? ওনাকে প্রতিবাদ করা থেকে কেউ আটকায়নি। প্রতিবাদ ধরনা উনি করুন। আমরাও করছি।’

এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন চিকিৎসকরা৷ সেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচির পর পুলিশের নোটিস পাওয়া দুই চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাকি চিকিৎসকরা৷ তলব পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘সবাই জানেন এ রাজ্যে যে ঘৃন্য অপরাধ ঘটেছে, সেই অন্যায়কে ধামাচাপা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে৷ তার বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ৷ আমরা চাইলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারতাম৷ কিন্তু আমরা মুখোমুখি লড়াই করতে চেয়েছিলাম৷ সবশেষে বলি, চোখ যত রাঙাবে, মিছিল তত বাড়বে৷’

আবীর ঘোষাল

Sandip Ghosh RG Kar: ‘এই স্কুলের ছাত্র ছিল নোটন!’ সন্দীপকে নিয়ে লজ্জা-ঘেন্নার ঢেউ, ধন্দেও রয়েছেন শিক্ষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁ হাই স্কুলের মেধাবী প্রাক্তন ছাত্র নোটনকে টিভির পর্দায় যে এভাবে দেখতে হবে, তা যেন ভাবতেই পারছেন না স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক থেকে সহপাঠীরা। সে সময়ের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সন্দীপ ঘোষ স্থানীয়দের সকলের পরিচিত নোটন ছিল নরম প্রকৃতির।

উচ্চ মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভাল ফলাফল করায় ডাক্তার হয়ে ওঠা তাঁর। আর সেই সুবাদেই দুর্দান্ত কেরিয়ার গ্রাফ। বনগাঁ হাই স্কুলের সেই মেধাবী ছাত্রই এখন আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত হয়ে সিবিআই-এর নজরবন্দি। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সেই সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আরও পড়ুন: ‘অডিটোরিয়ামে ডেকে এক এক করে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিত’! গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক-সহ ১১

বনগাঁর স্থানীয়দের দাবি,  ১৯৮৯ সালে প্রায় ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তৎকালীন বনগাঁর বাসিন্দা সন্দীপ ঘোষ। প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও, নবম ও দশম শ্রেণিতে অন্য একটি স্কুলে যান। পরবর্তীতে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবারও ভর্তি হন বনগাঁ হাই স্কুলে। সেখান থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারিতে সুযোগ পান বিজ্ঞানের মেধাবী এই ছাত্র।

আরও পড়ুন: দেশের সেরা মেডিক্যাল কলেজ কোনগুলি? তালিক প্রকাশ NIRF-এর, দেখুন প্রথম ৫ কারা

তবে, সেদিনের সন্দীপ, প্রাক্তন সহপাঠীদের কাছে নোটনের মতো ভাল ছেলের বিরুদ্ধে যে এমন অভিযোগ উঠবে তা যেন এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। বিস্মিত সকলে। এখন আইনের উপর ভরসা রেখে স্কুলের প্রাক্তনীরা সকলেই একমত যে, এমন নারকীয় ঘটনার সঙ্গে ডা সন্দীপ ঘোষের কোনও যোগ প্রমাণিত হলে, স্কুলের মেধাবী ছাত্রদের নামের ফলক থেকে মুছে ফেলতে হবে তাঁর নাম। আর যদি দেখা যায় নির্দোষ সে, তবে বন্ধুকে আবারও সেলাম জানিয়ে জড়িয়ে ধরবেন বনগাঁ হাইস্কুলে তাঁর এক সময়ের প্রাক্তনীরা।

Rudra Narayan Roy

RG Kar doctor post mortem report: যৌন নির্যাতন, শ্বাসরোধ, শরীর জুড়ে আঘাত! কী বলছে ময়নাতদন্তের চূড়়ান্ত রিপোর্ট?

কলকাতা: শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসককে৷ ওই চিকিৎসককে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল, ময়নাতদন্তে তারও প্রমাণ মিলেছে৷ আরজি করের নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এল৷

পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে প্রচুর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে৷ নির্যাতিতার ঠোঁট, মাথা, নাক, চিবুক, গলা, বাঁদিকের ঘাড়, বাঁ হাত, গোড়ালিতেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ তাছাড়াও নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ভিতরেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ নির্যাতিতার ফুসফুস এবং শরীরে ভিতরে অন্যান্য অংশেও রক্ত জমাট বেঁধে থাকার প্রমাণ মিলেছে৷

আরও  পড়ুন: আরজি কর চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার তল পেতে সিবিআইয়ের বিশেষ পদক্ষেপ, উড়িয়ে আনা হল হাথরাস তদন্তের দুঁদে মহিলা অফিসারকে

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল, নির্যাতিতার শরীরের দেড়শো গ্রাম অথবা মিলিগ্রাম দেহরস মিলেছে৷ যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেরকম কোনও তথ্যের উল্লেখ নেই৷ বরং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে সাদা আঠালো তরলের অস্তিত্ব মিলেছে৷ যদিও সেই তরল আদতে কী, তার উল্লেখ নেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে৷ ফরেন্সিক পরীক্ষাতেই তা স্পষ্ট হবে৷ বরং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিয়ম মেনেই মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা হয়েছে৷ নির্যাতিতার পাকস্থলীতে হজম না হওয়া কিছু খাবার মিললেও কোনও অস্বাভাবিক গন্ধ পাওয়া যায়নি বলেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে৷

এই মুহূর্তে আরজি কর তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই৷ যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

RG Kar Murder Case: আরজি কর চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার তল পেতে সিবিআইয়ের বিশেষ পদক্ষেপ, উড়িয়ে আনা হল হাথরাস তদন্তের দুঁদে মহিলা অফিসারকে

কলকাতা: আরজি কর মামলায় নিযুক্ত হলেন নিযুক্ত হলেন মহিলা এসপি পদমর্যাদা অফিসার ২০২০ সালে হাথরাসে গণধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদা এসপি নিযুক্ত হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজিকর ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে৷  তাঁর নাম সীমা পাহুজা৷

এখানেও এই মহিলা একটি ছিলেন গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় ঠিক তেমনি আর জি কর ঘটনায় তাকে নিযুক্ত করা হল তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা এসেছেন আরজি কর যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনা ঘটেছে সেখানে ভিজিট করবেন পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন৷

আরও পড়ুন – Rajdhani Express: ফের ভয়ানক পরিস্থিতি, রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মধ্যে জীবন বাঁচানোর আতঙ্ক, অয়েল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে এক লাইনে রাজধানী

ইতিমধ্যেই এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক নিযুক্ত করা আছে তাদের মধ্যে দুজন মহিলা একজন কলকাতার অফিসার৷

যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে সেই কারণেই যুক্ত করা হল হাথরাসের ঘটনায় তদন্তে থাকা মহিলা এসপিকে৷

Doctors march to Lalbazaar: এক ঘণ্টার মধ্যে দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ, লালবাজার থেকে বেরোলেন কুণাল-সুবর্ণ

কলকাতাঃ দুই চিকিৎসককে পুলিশের তলবের প্রতিবাদে মিছিল করে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে এমনই বেনজির দৃ্শ্যের সাক্ষী থাকল মহানগর। দুপুর তিনটের সময় তাঁরা ঢোকেন লালবাজারে। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাঁরা বের হন।

আরজি করে নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের পরিচয় ফাঁস এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্যের দুই সিনিয়র চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে এ দিন তলব করে লালবাজার৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫ নম্বর ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তলব করা হয় দুই চিকিৎসককে৷ এরই প্রতিবাদে সরব হন শহরের চিকিৎসকরা। লালবাজার থেকে বরিয়ে কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘সমন দিয়ে ডাক্তারদের ডেকে পাঠানো চলবে না…।’

আরও পড়ুনঃ লালবাজারের পথে চিকিৎসকরা, ব্যারিকেড করে পথ আটকে পুলিশ! কলকাতায় বেনজির দৃশ্য

এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন চিকিৎসকরা৷ সেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচির পর পুলিশের নোটিস পাওয়া দুই চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাকি চিকিৎসকরা৷ তলব পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘সবাই জানেন এ রাজ্যে যে ঘৃন্য অপরাধ ঘটেছে, সেই অন্যায়কে ধামাচাপা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে৷ তার বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ৷ আমরা চাইলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারতাম৷ কিন্তু আমরা মুখোমুখি লড়াই করতে চেয়েছিলাম৷ সবশেষে বলি, চোখ যত রাঙাবে, মিছিল তত বাড়বে৷’ চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, ‘জীবনে কত পরীক্ষা দিয়েছি, আজকে পুলিশ আমাদের প্রশ্ন করতে চায়৷ আজকে পুলিশ আমার বিবেক, বুদ্ধি, সমাজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর চায়, সব প্রশ্নের উত্তর দেব৷’

RG Kar Case: এক ফোন কলেই সুরক্ষা মিলবে মহিলাদের, আরজি কর কাণ্ডের পর এলাকার যুবকদের উদ্যোগ

বীরভূম: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার চলছে বিক্ষোভ এবং মিছিল। আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাত দখলের লড়াইয়ের জন্য পথে নেমেছেন শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের মহিলারা। রাতের বেলায় মহিলাদের সুরক্ষা দিতে হবে এই দাবি নিয়ে কখনও মশাল মিছিল, কখনও আবার মৌন মিছিল, আবার কেউ কেউ মোমবাতি মিছিল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আর নারীদের সুরক্ষার দাবিতে এবার পথে নেমেছেন পুরুষেরাও। এবার থেকে একটা কল করলেই মিলবে নারীদের সুরক্ষা। তবে কীভাবে মিলবে এই সুরক্ষা?

গত ৯ আগস্ট আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নির্মম ও নৃশংসভাবে এক ডাক্তারি ছাত্রীর নিহত ও ধর্ষণ হওয়ার ঘটনার জেরে ময়ূরেশ্বরে গর্জে উঠল এলাকার মানুষ। এক বিশেষ বার্তা দেয় ময়ূরেশ্বরের সমাজ সচেতন মানুষজন। এই বিষয়ে ময়ূরেশ্বরের কৃষ্ণ রুজ জানান, নারীদের সুরক্ষার্থে এক বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ময়ূরেশ্বর এলাকাজুড়ে। এবার থেকে তাঁদের এলাকায় কোনও মহিলা যদি কোনও সমস্যায় পড়েন তাহলে ‘ভয় নেই’ সদস্যদেরকে একটি কল করলে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাবেন সেই সংস্থার সদস্যরা।

কী এই ‘ভয় নেই’ কর্মসূচি? এই বিষয় তিনি জানান, ময়ূরেশ্বর এলাকার বিভিন্ন যুবকেরা একত্রিতভাবে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যেখানে ময়ূরেশ্বর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে চারজন থেকে পাঁচজন করে যুবক নিযুক্ত থাকবেন। সেই পাঁচজন যুবকের মোবাইল নম্বর পৌঁছে দেওয়া হবে সেই গ্রামের বিভিন্ন মহিলার কাছে। মহিলারা নিজের এলাকায় যে কোনও কাজ করতে গিয়ে বা পড়াশোনা করতে গিয়ে কোনও বিপদের সম্মুখীন হলেই তাঁদের ফোন করতে পারবেন। ফোন করার ৩০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ জন সদস্যের মধ্যে যে কোনও একজন পৌঁছে যাবেন ঘটনাস্থলে। সেইখানে মহিলাদের নিরাপত্তা দিয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়ি পৌঁছে দেবেন যুবকেরা।

তাঁদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, আরজি কর কাণ্ডে যেভাবে একজন ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করে দেওয়া হয়েছে, সেই ঘটনার পর তাঁরা নিজেদের এলাকাতেও সুরক্ষিত বোধ করছিলেন না। রাত ৮টার পর এলাকার মহিলারা বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছিলেন।তবে এলাকার যুবকদের এই কর্মসূচিতে তাঁরা অনেকটাই নিরাপদ বোধ করছেন।

সৌভিক রায়

RG Kar Case Protest: আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে জলপাইগুড়ি দেখাল প্রতিবাদের নতুন রং, দেখুন

জলপাইগুড়ি: রঙ-তুলি হাতে বিক্ষোভ জলপাইগুড়ির পথে। রাজ্য, দেশের সীমানা পেরিয়ে যেখানে আরজি করের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও সেখানে শহর জলপাইগুড়ির পথে দেখা গেল আন্দোলনের নয়া চিত্র।

ছবি এঁকে আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলন করেন শিল্পীদের একাংশ। গত ১৪ অগাস্ট  “মেয়েদের রাত দখল” কর্মসূচির পর থেকে এখনও অবধি মহানগরের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে জারি রয়েছে আন্দোলন। তেমনই গতকাল জলপাইগুড়ির রাজপথে নামা আন্দোলনে চোখে পড়ল অভিনব এক দৃশ্য।

আরও পড়ুন: ‘অডিটোরিয়ামে ডেকে এক এক করে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিত’! গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক-সহ ১১

দেখা যায়, কেউ হাতে লিখে ফেস্টুন বানিয়ে প্রতিবাদ করছেন। সকলের শুধু একটাই দাবি, সঠিক বিচার! এরই মধ্যে জলপাইগুড়ির শিল্পী-বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা রং তুলিকেই তাঁদের অস্ত্র বানিয়ে প্রতিবাদে সরব হন জলপাইগুড়ির পথে। শহরের পি ডব্লিউ ডি মোড়ের সামনে তাঁরা ছবি এঁকে প্রতিবাদে সামিল হন।

আরও পড়ুন: দেশের সেরা মেডিক্যাল কলেজ কোনগুলি? তালিক প্রকাশ NIRF-এর, দেখুন প্রথম ৫ কারা

পরিস্থিতির টুকরো দৃশ্যাবলি ছবির অঙ্কনের মধ্যে তুলে ধরেছে শিল্পীরা। চা বলয়ের মানুষ থেকে শুরু করে ডুয়ার্স কিংবা শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ একত্রিত হয়ে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তেমনই জলপাইগুড়ির পি ডব্লিউ ডি মোড় সংলগ্ন এলাকায় পি ডব্লিউ ডি অফিসের সামনে এদিন নজর কাড়ে শিল্পীদের নিখুঁত এক চিত্র। যেখানে উঠেছে বর্তমান সমাজের কিছু কঠোর সত্য এবং নানা প্রশ্ন।

সুরজিৎ দে