Tag Archives: RG Kar murder

Durga Pujo 2024: এলাকার জ্যান্ত দুর্গাদের নিরাপত্তায় এবার ব্যবহৃত হবে অনুদান-সহ পুজোর টাকা!

উত্তর ২৪ পরগনা: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব এবার শারদ উৎসবেও! থিমের চাকচিক্য ছেড়ে নারী সুরক্ষায় বিশেষ ভাবনা কেষ্টপুর মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের। সরকারের দেওয়া অনুদানের টাকা নিলেও সেই টাকা ব্যবহার করা হবে এলাকার জ্যান্ত দুর্গাদের সুরক্ষায়। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েই এ দিন উন্মোচিত হল ভাবনা।

এ বার তাঁদের ভাবনায় ফুটে উঠবে, “সভ্যতার রক্ষাকবচ”। এ দিন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই তাঁদের মাথায় আসে এমন চিন্তাভাবনা। তার জন্যই অনুদানের ৮৫ হাজার টাকায় করা হবে এলাকার মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত।

আরও পড়ুন- মমতার কালীঘাটের বাড়ির পাহারায় বিশাল পুলিশবাহিনী! বন্ধ রাস্তা, আক্রমণের উপায় নেই

এই অনুদানের টাকা ও পুজোর বাজেটের একটা অংশ দিয়ে নারী সুরক্ষায় করা হবে, সুরক্ষা হেল্পলাইন। যা চালু থাকবে নারীদের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘন্টা সপ্তাহের সাত দিন। গোটা পাড়ায় হাই ডেফিনিশন সিসিটিভি ক্যামেরা বসনো হবে। পাড়ায় বিশেষ নাইট ক্যাব সার্ভিস চালু করা হবে। পাড়ার মেয়েদের বিনামূল্যে ক্যারাটে শেখানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।

রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত পাড়ায় বেসরকারি সংস্থার পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হবে এমনই নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। এরই পাশাপাশি এ দিন থিম ভাবনা উন্মোচনের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত রেখেই প্রতিটি প্রতিবাদ অন্যায় বিচারের দাবি তোলা হয় ক্লাবের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন- ফিমেল ওয়ার্ডে শুয়ে-বসে আড্ডা পুরুষদের! নিরাপত্তা কোথায়? আতঙ্কে মহিলা রোগীরা

অনুষ্ঠানে দেখা যায়, জীবন্ত দুর্গা মঞ্চেই বধ করেন আরজি কর কাণ্ডের ধর্ষক ও খুনি অসুরকে। থিম শিল্পী জানান, এবারে এই ভাবনায় ফুটে উঠবে বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষাই একমাত্র এই সামাজিক ব্যাধি দূর করতে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তাই শিক্ষা ছাড়া নেই কোন বিকল্প এবারের মন্ডপ সহ প্রতিমা ও সজ্জায় ফুটে উঠবে বিশেষ এই নারীদের রক্ষার বিশেষ বার্তা। তবে শারদ উৎসবকে সামনে রেখে পুজো কমিটির এমন অভিনব সিদ্ধান্তকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার মানুষজন -সহ মহিলারাও।

রুদ্র নারায়ণ রায়  

Bangla Bandh: বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ, ঘোষণা করলেন সুকান্ত মজুমদার

কলকাতা: আগামিকাল, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি৷ এ দিন নবান্ন অভিযানের পর এই ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বনধকে সর্বাত্মক করার আহবান জানিয়েছেন তিনি৷ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ নবান্ন অভিযানে সাধারণ মানুষের উপর পুুলিশের লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এই বনধকে সর্বাত্মক করুন৷ স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করুন৷ মানুষ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না৷ এর প্রতিবাদ করতে, বাংলায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, আগামিকালের বনধকে সবাই সফল করুন৷’

আরও পড়ুন: জলকামানের জল শেষ, পুলিশকর্মীকে ঘিরে ধরে মার! নবান্ন অভিযান ঠেকাতে হিমশিম পুলিশ

আগামিকাল, বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ রয়েছে৷ সেই সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা৷ সেদিনই বিজেপি বাংলা বনধের ডাক দেওয়ায় বুধবারও বড় অশান্তির আশঙ্কা থাকছে৷

বিজেপির বাংলা বনধ ব্যর্থ হবে বলে দাবি করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলা বনধের ডাক দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার৷ কাল কোনও বাংলা বনধ হবে না৷ বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে৷ সাধারণ মানুষ এই বনধ ব্যর্থ করবেন৷ বাংলা শান্ত রয়েছে, আরজি কর বিচ্ছিন্ন ঘটনা৷ একজন গ্রেফতার হয়েছে, সেটাও করেছে কলকাতা পুলিশ৷ বড় চক্রান্ত রয়েছে, কেউ ফাঁদে পা দেবেন না৷ বিজেপি রাজনৈতিক অরাজকতার প্লট তৈরি করেছে৷ মানুষের আবেগের অপব্যবহার করা হচ্ছে৷’

Nabanna Abhijan: ‘প্ররোচনা দিয়েছেন শুভেন্দু!’, পুলিশের উপর আক্রমণ-অশান্তিতে ফুঁসে উঠলেন কুণাল ঘোষ

কলকাতা: নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ জমায়েত। আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা পুলিশের। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই বসেই স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ।

এদিনের নবান্ন অভিযান ঘিরে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষের দাবি, ‘অকারণে প্ররোচনা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছু জমায়েত হয়েছে। যা বিজেপির সাথের লোক। চার-পাঁচজন আছে যারা ব্যারিকেড ধরে টানাটানি করছে। ছাত্ররা অশান্তি পাকানোর প্ররোচনা দিয়েছিল। সেই জন্যে ওদের আটক করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা নিয়ে শুভেন্দু।’

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, পুলিশ-আন্দোলনকারী খণ্ডযুদ্ধ! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখুন

কুণালের আরও দাবি, ‘বিজেপির মদতপুষ্ট অভিযান এটা। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা যথাযথ রেখেছে। সাঁতরাগাছিতে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে শুরু করেছে। পুলিশ ব্যারিকেড ওরা ভাঙছে। পুলিশ অ্যাকশন নেয়নি। এরা লাগাতার ভাঙার কাজ শুরু করেছে। আপনাদের লোক নেই, জন নেই। পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দেখবে নাকি। যখন গুন্ডা বিজেপির লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মেরেছে তখন পুলিশ কী করবে?’

আরও পড়ুন: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

নবান্ন অভিযানে অন্তর্ঘাতের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘মামাবাড়ির আবদার করবেন না। কেন ব্যারিকেড দেওয়া হল। অন্তর্ঘাত করতে চেষ্টা হলে পুলিশ দেখবে। সবাই দেখেছেন ভাঙচুর করেছে প্রথমে ওরা।’ দুপুরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় হেস্টিংসে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা পুলিশের। হেস্টিংসে উপস্থিত ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং দলের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী।

আবীর ঘোষাল

Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে তুলকালাম, রণক্ষেত্রে হাওড়া-সাঁতরাগাছি! ব্যারিকেডে উঠে স্লোগান

হাওড়া: নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ জমায়েত।

আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা পুলিশের। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই বসেই স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ।

আরও পড়ুন: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

টান টান নিরাপত্তা শহর জুড়ে। কলকাতা-হাওড়া চত্বরে পুলিশি ব্যবস্থায় তুমুল তৎপরতা। বিশেষত নবান্ন ও সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নবান্ন আসার পথেই পুলিশ দেখছে সচিত্র পরিচয় পত্র। নবান্ন ঢুকতে গেলে মঙ্গলবার দেখাতে হচ্ছে আই কার্ড। নবান্নের সামনে ও নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন রয়েছে র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।

আরও পড়ুন: পাঁচতারা হোটেলে গোপন বৈঠক, হাতে CCTV ফুটেজ! নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল না পুলিশ

প্রসঙ্গত, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের আহ্বানে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক। হাওড়া-কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কিছু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।

দেবাশিস চক্রবর্তী

RG Kar Case: সোশ‍্যাল মিডিয়াতে CBI-কে তুলোধনা অভিষেকের! বেঁধে দিলেন তদন্তের সময়সীমা!

কলকাতাঃ আরজি করের তরুণী-চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু তারপর দু-সপ্তাহ কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই নিয়েই সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর ট্যুইট শেয়ার করে ন্যায়বিচার চাওয়ার ঝড় উঠল বলিউডেও। আরজি করের ঘটনায় ধর্ষকদের ‘এনকাউন্টার’-এর নিদান দিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ‘হামলার ছক’…! বিশাল পুলিশ বাহিনী…! স্টেশনে স্টেশনে তল্লাশি! ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে টান টান উত্তেজনা শহর জুড়ে

দেশ জুড়ে নারী নির্যাতনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে, অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘দশ দিন কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কেন অপরাধীদের এখনও ধরতে পারল না?’ একই সঙ্গে ৫০ দিন সময় বেঁধে দেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পোস্ট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরাও দাবি তুললেন, ‘জাগো ভারত’। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

রাজ্যের হাতে তদন্ত থাকাকালীন একদিনের মধ্যেই সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু সিবিআয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে তদন্ত-প্রক্রিয়া কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে তীব্র প্রতিবাদী পোস্ট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে ন্যায়বিচার চেয়ে সুর চড়ালেন মালাইকা আরোরা।

Nabanna Security: নবান্ন অভিযান ঘিরে সুরক্ষার চক্রব্যূহ, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সতর্ক রাজ্য পুলিশ

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: নজরে নবান্ন অভিযান ৷ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সতর্ক রাজ্য পুলিশ। শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক পুলিশ অফিসারদের এনে মোতায়েন করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে নবান্নকে।

আরও পড়ুন– রাজ্যের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে

ভোর থেকেই নবান্ন ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।ইতিমধ্যেই ১৩ জন এসপি পদমর্যাদা র‍্যাঙ্কের আইপিএস অফিসার, ১৫ জন অ্যাডিশনাল এসপি, ডিসি র‍্যাঙ্কের পদমর্যাদার অফিসার, ২২ জন ডেপুটি এসপি তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার র‍্যাঙ্কের অফিসার, ২৬ জন ইন্সপেক্টর র‍্যাঙ্কের অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছে নবান্ন ও হাওড়া পুলিশের অধীনে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৭ অগাস্ট: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

মূলত নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে অন্যান্য জেলাগুলি থেকে এত সংখ্যক পুলিশ অফিসারদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত রাজ্য পুলিশের। পাশাপাশি ২১০০ পুলিশ কর্মী ও মোতায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবান্নের সামনে র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবারই রাজ্য পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এই নবান্ন অভিযান সম্পূর্ণরূপে বেআইনি।

মঙ্গলবারের অভিযান ঘিরে হাওড়া থেকে কলকাতায় আসার পথে যাত্রীদের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ইউজিসি-র নেট পরীক্ষা আছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য প্রশাসন কিছু পদক্ষেপ করেছে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার দিক থেকে কলকাতায় আসার জন্য যাত্রীদের মূলত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এবং গঙ্গায় ফেরি পরিষেবার উপরে নির্ভর করতে হবে। সকালের দিকে পুলিশ রাস্তা বন্ধ না করা পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে বাস আসবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।

নবান্ন ঢুকতে গেলে আজ, মঙ্গলবার প্রত্যেককে ID কার্ড দেখাতে হচ্ছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নবান্ন আসার পথেই পুলিশ দেখতে চাইছে সচিত্র পরিচয়পত্র।

Nabanna Abhijan: পাঁচতারা হোটেলে গোপন বৈঠক, হাতে CCTV ফুটেজ! নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল না পুলিশ

কলকাতা: নবান্ন অভিযানের নামে ভিড়ে মিশে গিয়ে হিংসা ছড়াতে পারে দুষ্কৃতীরা৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হল রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে৷ নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এডিজি সাউথ বেঙ্গলের দাবি, ‘দুপুরে আমরা জানাই দুটো সংগঠন কেউ আমাদের তথ্য দেয়নি। তারপর একটি মেল এসেছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে। যে তারা একটা প্রোগ্রাম করবে। একটা ইন্টিমেশন দিয়েছে। তাই তাদের প্রোগ্রামের অনুমতি দেয়নি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আমাদের প্রেস কনফারেন্সের পর চিঠি দিয়েছে। তাদেরও অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।’

অনুমতি না দেওয়ার পিছনে পুলিশের দাবি, ‘এক, কাল ইউজিসি নেট পরীক্ষা আছে। দুই, খুব কম সময়ের মধ্যে তারা জানিয়েছে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছি অন্য কোনও এলাকায় তারা মিছিল করলে আইন মেনে সুপ্রিম কোর্ট মেনে করলে আমরা ব্যবস্থা করব। আমরা দুপুরে বলেছিলাম এক ছাত্র নেতা এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছে। আমরা বলছি সকাল ১১. ২৫ নাগাদ ২৫ তারিখ এক পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এর এক নেতা হায়াত রিজেন্সি-তে দেখা করতে গিয়েছিলেন। দুদিন আগে দেখা করতে যাওয়াটা অত্যন্ত রহস্যজনক। ব্যাপারটির মধ্যে রহস্য আছে। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। একটু আগেও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নাম বলব না।’

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায়! আবহাওয়ার বড় খবর

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে নির্দিষ্ট ইনপুট আছে গন্ডগোল হবে। তাই পুলিশ সব ব্যবস্থা নেবে। Hyatt হোটেল-এ মিটিং হয়েছিল। ২৫ তারিখ দুপুর ১১.২৫ নাগাদ হয়েছে মিটিং। সিসিটিভি ফুটেজ আছে।’ রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ কুমার ভর্মাও দাবি করেছেন, আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নামে নবান্ন অভিযানের যে পৃথক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটির জন্যই পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি৷ সাধারণ মানুষ যাতে এই অশান্তির ফাঁদে পা না দেন, সেই অনুরোধও করেছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা৷

আরও পড়ুন: হাসপাতালে কীভাবে চলত বর্জ্য-দেহ বিক্রি? সন্দীপের সঙ্গে যোগ কাদের? ‘সব’ তথ্য পেল CBI

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সুপ্রতিম সরকার বলেন, বলা হচ্ছে এই সংগঠন এবং কর্মসূচি অরাজনৈতিক৷ কিন্ত আমাদের কাছে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এক নেতারা শহরের পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ একজন ছাত্রনেতা কী উদ্দেশ্যে পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন, ওই বৈঠকে বেআইনি কিছু হয়েছে কি না তার তথ্যপ্রমাণ আমরা সংগ্রহ করছি এবং সময়মতো আদালতে পেশ করব৷ পাশাপাশি, ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পেজ থেকে এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ফলো করা হয়, সেই দাবি করেও সংগঠনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ওই পুলিশ কর্তা৷
শুধু তাই নয়, বার বার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দুই সংগঠনকেই জমায়েতের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি করে ডাক্তারের দেহ উদ্ধারের পরমুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল, দেখুন

ধর্ষণ-খুনের ঘটনাস্থলে জমায়েত! ঘটনাস্থলে আর জি কর মেডিক্যালের একাধিক কর্তাও। দেহ উদ্ধারের পরমুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল। ভাইরাল ভিডিওয় প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ জোরাল। আর জি করের সেমিনার রুমের ভিডিও ভাইরাল। এই সেমিনার রুমেই চিকিৎসককে নৃশংস হত্যার অভিযোগ। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে দেহ উদ্ধারের কী সম্পর্ক? সঙ্গে পরমুহূর্তেই ঘটনাস্থলে এত জমায়েত কেন। প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কায় আন্দোলনকারীরা। ভাইরাল ভিডিওর পরেই রাজনৈতিক তরজা জারি।

Narco Polygraph Test-RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে শিরোনামে পলিগ্রাফ ও ‘ভয়ঙ্কর’ নার্কো টেস্ট! কী পার্থক্য এই দুই টেস্টের? কোনটা অপরাধী ধরতে বেশি সক্ষম? জানুন

নিজের লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহাংশ দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের জঙ্গলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। সেই অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ।
নিজের লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহাংশ দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের জঙ্গলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। সেই অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ।
পিটিআই-এর কাছে এক পুলিশ অফিসার জানান যে, আদালতে ইতিমধ্যেই আফতাবের নার্কো টেস্টের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। আপাতত সিদ্ধান্ত আসার জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত সহ একাধিক জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উঠে আসছে নার্কো টেস্টের কথাও। কিন্তু এই নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্টের মধ্যে তফাৎ কী? কোনটা অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী? নার্কো এবং পলিগ্রাফ অথবা লাই ডিটেক্টর টেস্ট আসলে কী? এর মধ্যে ফারাকই বা কতটা? সেটাই ব্যাখ্যা করছে News18 ডিজিটাল।
পিটিআই-এর কাছে এক পুলিশ অফিসার জানান যে, আদালতে ইতিমধ্যেই আফতাবের নার্কো টেস্টের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। আপাতত সিদ্ধান্ত আসার জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত সহ একাধিক জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উঠে আসছে নার্কো টেস্টের কথাও। কিন্তু এই নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্টের মধ্যে তফাৎ কী? কোনটা অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী? নার্কো এবং পলিগ্রাফ অথবা লাই ডিটেক্টর টেস্ট আসলে কী? এর মধ্যে ফারাকই বা কতটা? সেটাই ব্যাখ্যা করছে News18 ডিজিটাল।
নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট কী? নার্কোটিক অ্যানালিসিস পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল। যা ট্রুথ সিরাম নামেও পরিচিত। এই মেডিকেশনের মাধ্যমে কোনও মানুষের আত্মসচেতনতা হারিয়ে যায়। যার ফলে তিনি মনের কথা বলে দিতে পারেন। আর আত্মসচেতনতা হারিয়ে গেলে মানুষটি হিপনোটিক বা সম্মোহনের অবস্থায় প্রবেশ করেন। এবার পরীক্ষকরা প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে সঠিক তথ্য বার করে আনেন। এই পরীক্ষা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন একজন সাইকোলজিস্ট, একজন তদন্তকারী অফিসার অথবা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। তেলঙ্গানা টুডে-র মতে, তদন্তকারী সংস্থাগুলি দ্বারা ব্যবহৃত সুপরিচিত অন্যান্য থার্ড-ডিগ্রি ট্রিটমেন্টের কার্যকর বিকল্প এটি।
নার্কো এবং পলিগ্রাফ টেস্ট কী?
নার্কোটিক অ্যানালিসিস পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল। যা ট্রুথ সিরাম নামেও পরিচিত। এই মেডিকেশনের মাধ্যমে কোনও মানুষের আত্মসচেতনতা হারিয়ে যায়। যার ফলে তিনি মনের কথা বলে দিতে পারেন। আর আত্মসচেতনতা হারিয়ে গেলে মানুষটি হিপনোটিক বা সম্মোহনের অবস্থায় প্রবেশ করেন। এবার পরীক্ষকরা প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে সঠিক তথ্য বার করে আনেন। এই পরীক্ষা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন একজন সাইকোলজিস্ট, একজন তদন্তকারী অফিসার অথবা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। তেলঙ্গানা টুডে-র মতে, তদন্তকারী সংস্থাগুলি দ্বারা ব্যবহৃত সুপরিচিত অন্যান্য থার্ড-ডিগ্রি ট্রিটমেন্টের কার্যকর বিকল্প এটি।
এদিকে আবার লাই ডিটেক্টরও পলিগ্রাফ নামেই পরিচিত। এটা একটা ডিভাইস। যখন এই টেস্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়া কেউ প্রশ্নের জবাব দেন, তখন তাঁর ব্লাড প্রেশার, পালস রেট এবং রেসপিরেশনের মতো শারীরিক অবস্থা রেকর্ড করে এই যন্ত্রটি। তিনি আদৌ সত্যি বলছেন কি না, সেটাও বোঝা যায় এর থেকে। ১৯২৪ সাল থেকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তে তা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যদিও ব্রিটানিকার ব্যাখ্যা, বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্কিত। যা বিচারব্যবস্থায় সব সময় গ্রাহ্যও করা হয় না।
এদিকে আবার লাই ডিটেক্টরও পলিগ্রাফ নামেই পরিচিত। এটা একটা ডিভাইস। যখন এই টেস্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়া কেউ প্রশ্নের জবাব দেন, তখন তাঁর ব্লাড প্রেশার, পালস রেট এবং রেসপিরেশনের মতো শারীরিক অবস্থা রেকর্ড করে এই যন্ত্রটি। তিনি আদৌ সত্যি বলছেন কি না, সেটাও বোঝা যায় এর থেকে। ১৯২৪ সাল থেকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তে তা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। যদিও ব্রিটানিকার ব্যাখ্যা, বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্কিত। যা বিচারব্যবস্থায় সব সময় গ্রাহ্যও করা হয় না।
এই পরীক্ষাগুলির ফারাক এবং আইনের দৃষ্টিভঙ্গি: যদিও নার্কো টেস্টের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির চেতনার পরিবর্তন ঘটাতে নার্কোটিক্স ব্যবহার করা হয়। আবার সত্য নির্ধারণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় চিহ্নের উপর নির্ভর করে পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এই পদ্ধতিগুলির কোনওটিই বৈজ্ঞানিক ভাবে ১০০ শতাংশ সফল বলে প্রমাণিত হয়নি এবং এগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিতর্কিত।
এই পরীক্ষাগুলির ফারাক এবং আইনের দৃষ্টিভঙ্গি:
যদিও নার্কো টেস্টের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির চেতনার পরিবর্তন ঘটাতে নার্কোটিক্স ব্যবহার করা হয়। আবার সত্য নির্ধারণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় চিহ্নের উপর নির্ভর করে পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এই পদ্ধতিগুলির কোনওটিই বৈজ্ঞানিক ভাবে ১০০ শতাংশ সফল বলে প্রমাণিত হয়নি এবং এগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিতর্কিত।
এদিকে সেলভি বনাম কর্ণাটক রাজ্য এবং এএনআর মামলায় (২০১০) সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া কোনও লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করা যাবে না। স্বেচ্ছাসেবকদের অবশ্যই একজন আইনজীবীর কাছে অ্যাক্সেস থাকতে হবে এবং পরীক্ষার শারীরিক, মানসিক এবং আইনগত প্রভাবগুলি পুলিশ এবং আইনজীবী তাঁদের ব্যাখ্যা করেছেন। এই পরীক্ষার ফলাফলকে কনফেশন হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কিন্তু এই ধরনের স্বেচ্ছায় পরিচালিত পরীক্ষার ফলে আবিষ্কৃত যে কোনও তথ্য বা উপাদান প্রমাণ হিসেবে স্বীকার্য।
এদিকে সেলভি বনাম কর্ণাটক রাজ্য এবং এএনআর মামলায় (২০১০) সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া কোনও লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করা যাবে না। স্বেচ্ছাসেবকদের অবশ্যই একজন আইনজীবীর কাছে অ্যাক্সেস থাকতে হবে এবং পরীক্ষার শারীরিক, মানসিক এবং আইনগত প্রভাবগুলি পুলিশ এবং আইনজীবী তাঁদের ব্যাখ্যা করেছেন। এই পরীক্ষার ফলাফলকে কনফেশন হিসেবে গণ্য করা যাবে না। কিন্তু এই ধরনের স্বেচ্ছায় পরিচালিত পরীক্ষার ফলে আবিষ্কৃত যে কোনও তথ্য বা উপাদান প্রমাণ হিসেবে স্বীকার্য।
সুপ্রিম কোর্টের ২০ (৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনও আসামীকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। ১৯৯৭ সালে ডি.কে. বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, পলিগ্রাফ এবং নার্কো পরীক্ষার অনিচ্ছাকৃত প্রশাসন সংবিধানের ২১ ধারা বা জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের অধীনে নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অবমাননাকর আচরণ গঠন করেছে। এটি গোপনীয়তার অধিকারও লঙ্ঘন করতে পারে। যা জীবনের অধিকারের অন্যতম পরিচায়ক। এই পরীক্ষার ফলাফল ১৮৭১ সালের ভারতীয় প্রমাণ আইনের অধীনে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
সুপ্রিম কোর্টের ২০ (৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনও আসামীকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। ১৯৯৭ সালে ডি.কে. বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, পলিগ্রাফ এবং নার্কো পরীক্ষার অনিচ্ছাকৃত প্রশাসন সংবিধানের ২১ ধারা বা জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের অধীনে নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অবমাননাকর আচরণ গঠন করেছে। এটি গোপনীয়তার অধিকারও লঙ্ঘন করতে পারে। যা জীবনের অধিকারের অন্যতম পরিচায়ক। এই পরীক্ষার ফলাফল ১৮৭১ সালের ভারতীয় প্রমাণ আইনের অধীনে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
নার্কো পরীক্ষার পদ্ধতি: নার্কো পরীক্ষায় বিষয়বস্তুকে তখনই পরীক্ষা করা হবে, যখন তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। হিপনোটিক সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল বা থিওপেন্টোন জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো হবে। তাঁর বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই ডোজ নির্ধারণ করা হয়। ডোজ পরিমিত পরিমাণেই হওয়া আবশ্যক। কারণ ভুল ডোজের জেরে মৃত্যু অথবা কোমায় চলে যেতে পারেন ব্যক্তি। এই পরীক্ষার কালে অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় রাখা হয়, যেখানে ওষুধটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়ার পরে তাঁরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।
নার্কো পরীক্ষার পদ্ধতি: নার্কো পরীক্ষায় বিষয়বস্তুকে তখনই পরীক্ষা করা হবে, যখন তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। হিপনোটিক সোডিয়াম পেন্টোথ্যাল বা থিওপেন্টোন জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো হবে। তাঁর বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই ডোজ নির্ধারণ করা হয়। ডোজ পরিমিত পরিমাণেই হওয়া আবশ্যক। কারণ ভুল ডোজের জেরে মৃত্যু অথবা কোমায় চলে যেতে পারেন ব্যক্তি। এই পরীক্ষার কালে অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় রাখা হয়, যেখানে ওষুধটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়ার পরে তাঁরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।
পলিগ্রাফ পরীক্ষা: HowStuffWorks-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় ৪ থেকে ৬টি সেন্সর লাগানো থাকে। পলিগ্রাফ আসলে একটি মেশিন। যা চলমান কাগজের একক স্ট্রিপে সেন্সর থেকে একাধিক (পলি) সঙ্কেত রেকর্ড করে (গ্রাফ) একাধিক সিগনাল রেকর্ড করে। এর মধ্যে অন্যতম হল, ১. ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসের হার
২. ব্যক্তির পালস রেট
৩. ব্যক্তির রক্তচাপ
৪. ব্যক্তির ঘাম
৫. পলিগ্রাফের মাধ্যমে কখনও কখনও হাত-পা সঞ্চালনও রেকর্ড করা হয়ে থাকে।
যিনি প্রশ্ন করেন, তিনি তিনটি অথবা চারটি সহজ-সরল প্রশ্ন করেন। যা পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরুর সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্কেতের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এরপর পরীক্ষক আসল প্রশ্নে ঢুকে পড়েন। গোটা পর্বে একটি চলমান কাগজে ব্যক্তির সমস্ত সিগনাল রেকর্ড হয়ে যায়।
পলিগ্রাফ পরীক্ষা: HowStuffWorks-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে থাকা ব্যক্তির শরীরে পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় ৪ থেকে ৬টি সেন্সর লাগানো থাকে। পলিগ্রাফ আসলে একটি মেশিন। যা চলমান কাগজের একক স্ট্রিপে সেন্সর থেকে একাধিক (পলি) সঙ্কেত রেকর্ড করে (গ্রাফ) একাধিক সিগনাল রেকর্ড করে। এর মধ্যে অন্যতম হল,
১. ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসের হার
২. ব্যক্তির পালস রেট
৩. ব্যক্তির রক্তচাপ
৪. ব্যক্তির ঘাম
৫. পলিগ্রাফের মাধ্যমে কখনও কখনও হাত-পা সঞ্চালনও রেকর্ড করা হয়ে থাকে।
যিনি প্রশ্ন করেন, তিনি তিনটি অথবা চারটি সহজ-সরল প্রশ্ন করেন। যা পলিগ্রাফ পরীক্ষা শুরুর সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্কেতের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এরপর পরীক্ষক আসল প্রশ্নে ঢুকে পড়েন। গোটা পর্বে একটি চলমান কাগজে ব্যক্তির সমস্ত সিগনাল রেকর্ড হয়ে যায়।

RG Kar CBI: হাসপাতালে কীভাবে চলত বর্জ্য-দেহ বিক্রি? সন্দীপের সঙ্গে যোগ কাদের? ‘সব’ তথ্য পেল CBI

কলকাতা: হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় রবিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিবিআই তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে যে দুটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সেখান থেকে একাধিক বৈদ্যুতিন নথি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

ইতিমধ্যেই সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বর্জ্য ও মৃতদেহ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সেই কম্পিউটার থেকে মেডিক্য়ালের বর্জ্য ও মৃতদেহ বিক্রি সংক্রান্ত কিছু নথিও মিলেছে।

আরও পড়ুন: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

হাসপাতালে পরিকাঠামো সংস্কারের কাজ কেন নির্দিষ্ট একটা সংস্থাই পেত সেই সমস্ত তথ্য উদ্ধার হয়েছে ওই বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে। টেন্ডার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু নির্দিষ্ট কেন কিছু লোকই পেত? এরাই মূলত এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকল ‘ব্যাগ’, কিন্তু শেষরক্ষা হল না! ধরা পড়তেই ভিতর থেকে যা বেরল, বিশ্বাস হবে না শুনে!

এবার যারা বরাত পেত পাশাপাশি টেন্ডার এবং সংস্কার সংক্রান্ত একাধিক কাজ পেত তারাই বছরের পর বছর কেন একইভাবে পেয়ে চলছিল? এই সমস্ত তথ্য পাওয়ার পরই খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টি। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।

অনুপ চক্রবর্তী