Tag Archives: RG Kar murder

Jhargram News: এগিয়ে আসছে ধর্ষকের হাত…নিজেকে আড়াল করছেন দেবী! প্রতিবাদের আর এক নাম আরজি কর

ঝাড়গ্রাম : আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় দেশ জুড়ে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সমাজসেবী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এরই মাঝে ধরা দিল ব্যাতিক্রমী ছবি। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নিজের কাজের মধ্যে দিয়েই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের শিল্পী সুবীর বিশ্বাস।

আরও পড়ুন- বাস থেকে নামিয়ে পরিচয়পত্র দেখেই গুলি! একে একে মৃত্যু ২৩ যাত্রীর! ভয়াবহ কাণ্ড

সুবীর বিশ্বাস বলেন, “আমি কাঠ কেটে তা খোদাই করে একটা নারীর মূর্তি তৈরি করেছি। যেখানে আমি তুলে ধরেছি মূর্তির এক দিকে আমরা পুরুষ সমাজ  নারীকে দেবীরূপে পুজো করছি। অন্য দিকে দেখানো হয়েছে সেই নারীকেই আমরা ভোগ্যপণ্য হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করছি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একজন চিকিৎসককে যেভাবে মেরে ফেলা হল তারই প্রতিবাদে আমার এই মূর্তি গড়া। আমি একজন শিল্পী আমি রাস্তায় দাঁড়াতে পারব না।  আমি আমার কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।

আরজি করের ঘটনার পরেই তিনি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরোধিতা করে কাঠ খোদাই করে তিন দিন ধরে তৈরি করেছেন এক প্রতিবাদীর মূর্তি। যেখানে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন এক নারীকে। যে নারীকে পুরুষসমাজ দেবীর মতো পুজো করছে এবং সেই নারীকেই ভোগ করার বাসনা রাখছে।ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়ধরার বাসিন্দা সুবীর বিশ্বাস তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন এক নারীর মূর্তি।

যেখানে নারী এক হাতে ত্রিশূল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং তাকে পুজো করা হচ্ছে। ঠিক তার সঙ্গেই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন নারী তার অপর হাতে  শরীরকে আগলে রেখেছে আর তার শরীরের দিকে এগিয়ে আসছে ধর্ষকদের হাত। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই সুবীর তার শিল্পচর্চার কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বুদ্ধদেব বেরা

WB Police on Nabanna Abhijan: ‘পাঁচ তারা হোটেলে মিটিং, অশান্তির ফাঁদ!’ নবান্ন অভিযানে চক্রান্তের অভিযোগ রাজ্য পুলিশের

কলকাতা: নবান্ন অভিযানের নামে ভিড়ে মিশে গিয়ে হিংসা ছড়াতে পারে দুষ্কৃতীরা৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হল রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে৷ এমন কি, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে যে সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷ ওই সংগঠনের এক নেতা শহরের এক পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে৷

রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ কুমার ভর্মাও দাবি করেছেন, আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নামে নবান্ন অভিযানের যে পৃথক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটির জন্যই পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি৷ সাধারণ মানুষ যাতে এই অশান্তির ফাঁদে পা না দেন, সেই অনুরোধও করেছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা৷

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারও বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাই রাজ্য সরকারের কাছে সব থেকে বড় অগ্রাধিকার৷ তাই এই চক্রান্তের ফাঁদে পা দেবেন না৷ নেট পরীক্ষার দিনেই কেন ছাত্র সমাজের নামে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ কর্তারা৷

আরও পড়ুন: ‘একটা দুটো বডি না পড়লে…’, নবান্ন অভিযানের আগে ভিডিও প্রকাশ, বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সুপ্রতিম সরকার বলেন, বলা হচ্ছে এই সংগঠন এবং কর্মসূচি অরাজনৈতিক৷ কিন্ত আমাদের কাছে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এক নেতারা শহরের পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ একজন ছাত্রনেতা কী উদ্দেশ্যে পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন, ওই বৈঠকে বেআইনি কিছু হয়েছে কি না তার তথ্যপ্রমাণ আমরা সংগ্রহ করছি এবং সময়মতো আদালতে পেশ করব৷ পাশাপাশি, ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পেজ থেকে এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ফলো করা হয়, সেই দাবি করেও সংগঠনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ওই পুলিশ কর্তা৷

শুধু তাই নয়, বার বার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দুই সংগঠনকেই জমায়েতের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷

এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও দুটি ভিডিও প্রকাশ করে অভিযোগ করা হয়, নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে৷ পুলিশের পোশাক পরে মিছিলের ভিড়ের মধ্যে থেকে গুলি চালানোও হতে পারে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়৷ যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷

Nabanna Abhijan: জারি ১৬৩ ধারা! নাকা চেকিং’, নিরাপত্তার কড়া বলয়ে নবান্ন চত্বর

কলকাতা: আরজি করে চিকিত্‍সক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। এই নবান্ন অভিযান উপলক্ষ্যে হাওড়ায় বিশেষ ব্যবস্থা নিরাপত্তায়। নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। পাশাপাশি, নবান্নের আশপাশে ১৬৩ ধারা জারি হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ রাত আটটা থেকে শালিমার, খিদিরপুর, এফসিআই-সহ এমারজেন্সি সার্ভিস ছাড়া সব লরি নো-এন্ট্রি। আন্দুল রোডের আলমপুর, কোনা রোডের নিবড়া, এখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে নিবেদিতা সেতুর দিকে।

আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যর সঙ্গে এ কী করতেন সলমন! শেষমেশ পরিচালককে দিতে হয় বকা? এই কারণেই কী ভাঙে চর্চিত প্রেম?

নবান্ন এলাকায় ৫০০ বেশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন। সব বাড়িতে নজরদারি। অযাচিত ব্যক্তি প্রবেশ আটকানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মনে হলে। ১৬৩ ধারা এলাকায় যা নবান্ন আশেপাশে।ভারতীয় দণ্ড বিধিতে যা আগে ১৪৪ ধারা ছিল, তা ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতা অনুযায়ী বর্তমানে সেটি ১৬৩ ধারা। জানা গিয়েছে, নতুন গাড়ি ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৈধ কারণ দেখাতে পারলে তবেই প্রবেশের অনুমতি। আন্দুল রোড ও কোনা রোডে যে বাস চলাচল করবে আগামীকাল সেখানেও সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন।

হাওড়ার নবান্নের আশপাশে একাধিক জায়গায় করা হয়েছে নাকা চেকিং পয়েন্ট। আন্দুল রোডের লক্ষ্মী নারায়ণ তলা মোড়, কাজীপাড়া,কোনা রোডের সাঁতরাগাছি ও নিবড়াতে নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। কিউ আর টি, তিন আইপিএস, পাঁচ ডিএসপি ও একাধিক আইসি, ওসির নেতৃত্বে থাকবে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুইয়ের বেশি জল কামান রাখা থাকবে। ব্যারিকেডের মোট তিন স্তর থাকবে।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

ইতিমধ‍্যেই ২৭ অগাস্টের নবান্ন অভিযানের আগে স্টিং অপারেশনে তোলা ভিডিও প্রকাশ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আগামিকালের কর্মসূচিকে রক্তাক্ত করতে এবং হিংসা ছড়িয়ে দিতে বড় চক্রান্ত চলছে৷ এমন কি, পুলিশের পোশাক পরে মিছিলে আসা মানুষের উপর গুলি চালানো হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও অভিযোগ করেন, আগামিকালের কর্মসূচির কোনও অনুমতি এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি৷

Suvendu Adhikari: আরজি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক শুভেন্দু ! ‘দাহ খরচ ও স্বাক্ষর কে করল?’ জোড়া প্রশ্নের উত্তর চান বিরোধী দলনেতা

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি কর ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে জোড়া প্রশ্নের উত্তর চান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার, তাঁর দলের নেতা থেকে শুরু করে পুলিশকে নিশানা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগে সরব হয়েছেন। এবার নয়া বিস্ফোরক জোড়া অভিযোগ সামনে এনে সরকারের কাছে সেই প্রশ্নের জবাব চাইলেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন– নতুন করে নিম্নচাপ বাংলাদেশে, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন ১. পানিহাটির যে শ্মশানে আরজি করের চিকিৎসককে দাহ করা হয়েছে সেই শ্মশানের শেষকৃত্যের খরচ তাঁর বাড়ির লোক দেয়নি, কে দিল? শুভেন্দুর প্রশ্ন ২. দাহ কার্যের সময় শ্মশানে যে সরকারি খাতায় স্বাক্ষর করতে হয় সেখানে তাঁর বাড়ির লোক স্বাক্ষর করেননি, সরকারি রেজিস্টারে তাহলে কে স্বাক্ষর করল?

বলা বাহুল্য, দু’দিন আগেই আরজি কর কাণ্ডে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুভেন্দুর দাবি ছিল, ‘‘চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর তাড়াহুড়ো করে তাঁর দেহ দাহ করা হয়েছে। শ্মশানে গোটা অপারেশনটি হয়েছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে। দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।’’

শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি ছিল, ‘‘সেই রাতে অনেক আগে থেকেই শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। অথচ গোটা অপারেশনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দু’জন আইসিও। পুরো অপারেশনটি নজরে রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৬ অগাস্ট – ১ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত সিবিআইয়ের। তাহলেই হয়তো আরজি কর কাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার কারণ প্রকাশ্যে আসবে বলে মত বিরোধী দলনেতার। আর এবার আরজি করের চিকিৎসকের দাহ পর্ব নিয়ে শুভেন্দুর নয়া অভিযোগ ও দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

CBI RG Kar Sandip Ghosh: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

কলকাতা: সকাল থেকে শহরের আনাচ-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে নেমে রবিবার ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এবার সুমন হাজারার বাড়িতে পৌঁছেই গেল সিবিআই। হাওড়া পুকুরতলায় রয়েছে সুমনের ওষুধের দোকান। সেখানেও সিবিআইয়ের টিম পৌঁছেছে। কে এই সুমন হাজরা?

সুমন হাজরা-বিপ্লব সিং এর মতো ডেভলপার ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছের লোক। সিবিআই সূত্রে খবর, বিপ্লবের পাশাপাশি এই সুমনও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সন্দীপ ঘোষের। হাসপাতালের একাধিক জিনিসপত্র রিসাইকেল করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: পুজোর সরকারি অনুদানে ‘না’, উত্তরপাড়ার পর এবার বারাসতের এই বিখ্যাত ক্লাব

শুধু তাই নয় একাধিক হাসপাতাল সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সুমন। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ কোথাও কোন প্রোগ্রাম করলে হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেখভাল করতেন এই সুমন হাজরা। এমনকী বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশন থেকে টাকা পয়সার লেনদেন সবই হত বিপ্লব আর সুমনের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ’, মাছ-মাংসকে হার মানায় এই ডাল! ঝটপট ওজন কমায়-লিভারকে রাখে যত্নে

এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর। সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করতেন এই দু’জন।

অমিত সরকার

RG Kar Doctor Murder Protest: পুজোর সরকারি অনুদানে ‘না’, উত্তরপাড়ার পর এবার বারাসতের এই বিখ্যাত ক্লাব

বারাসাত: উত্তরপাড়ার পর এবার বারাসত। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদের দুর্গাপুজোর সরকারি আর্থিক সহায়তায় নিতে অস্বীকার করল বারাসত শহরের সরোজিনী পল্লী উন্নয়ন সমিতি পুজো কমিটি।

পুজোর কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে হয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে পুজোর আড়ম্বরে কাঁটছাট করা হয়েছে। থাকবে শুধু আরজি করের নির্যাতিতার প্রতি সহমর্মিতা। নিহত চিকিৎসকের স্মরণে এবার পুজোতে রক্তদান ও বস্ত্র বিতরণের মতো সমাজসেবামূলক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ’, মাছ-মাংসকে হার মানায় এই ডাল! ঝটপট ওজন কমায়-লিভারকে রাখে যত্নে

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে ১০০ ঘণ্টারও বেশি জেরা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হুগলির উত্তরপাড়ার তিন দুর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করে। যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এর রেশ পুরোপুরি কাটার আগেই একই পথ হাঁটল বারাসতের সরোজিনী পল্লি উন্নয়ন সমিতি।

আরও পড়ুন: স্ট্রোক রুখতে মাস্টারস্ট্রোক! মারণরোগ থেকে বাঁচতে রোজকার জীবনে এই কাজগুলি এখনই বন্ধ করুন

রাজ‍্য সরকারের পুজোর অনুদান বাবদ ৮৫ হাজার টাকা নিতে অস্বীকার করেছে এই পুজো কমিটি। জানা গিয়েছে, বারাসতের এই ক্লাব কমিটি বেশ ধুমধাম করেই প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকে। এই বছর পুজো ৩৭ তম বর্ষ। পাড়ার সমস্ত লোকজন এক হয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। চলে ভুড়িভোজও।

কিন্তু, এই বছর তাঁর কোনওটাই হচ্ছে না। কেবল পুজোর রেওয়াজটুকু বজায় থাকবে মাত্র। এ বিষয়ে সমিতির সম্পাদক কার্তিক কর্মকার বলেন, ‘আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে তা মুখে বলতে শিউরে উঠতে হচ্ছে। কেউই অসহায় পরিবারকে বিচার দিতে পারেনি। তাই আমরা আর্থিক সহায়তা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জিয়াউল আলম

CBI-RG Kar Case: ঘটনার দিন নিয়ে ৭ ‘জরুরি’ প্রশ্ন, এবার সিবিআই জেরার মুখে কলকাতা পুলিশের অফিসার! যা ঘটল…

কলকাতা: আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ডিসি ডিডি স্পেশাল বিদিত বুন্দেশের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। ডিসি ডিডি স্পেশালের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় একাধিক তথ‍্য।

সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) বিদিত বুন্দেশের কাছে জানতে হয়েছে একাধিক বিষয়। নীচে তালিকার আকারে দেওয়া হল প্রশ্নগুলি।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

মূলত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কী ভাবে করা হয়?

ইনকোয়েস্ট পদ্ধতি কি? কারা ইনকোয়েস্ট করেন?

ইনকোয়েস্টের ফর্ম কি অস্বাভাবিক মামলা হিসেবে ধরা হয়?
জিডিই এন্ট্রি কি ভাবে প্রস্তুত করা হয়?

আপনারা কি জিডিই এন্ট্রি দুটো করেন? না কি খবর পেয়ে যাওয়ার সময় এন্ট্রি হয়?

কোথাও দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটলে অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে ময়না তদন্ত করানো হয়?

ময়না তদন্তের পর ফাইনডিং পেয়ে কি নির্দিষ্ট সেকশন যুক্ত করে এফআইআর করেন?

CBI-RG Kar Case: দোকানেও দুর্নীতি! আরজি করের মধ‍্যেই এই খাবারের দোকানে কেন হানা দিল সিবিআই? বড় অভিযোগ

কলকাতা: আরজি করে এক নয়, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। একটি খাবারের দোকানেও এবার হানা দিল সিবিআই। হাসপাতালের মধ‍্যে একটি খাবারের দোকানেও এবার হানা দিল সিবিআই। অভিযোগ দোকানটি বেআইনি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরজি করের ভেতরে ‘বেক ইন্ডিয়া’ বলে একটি খাবারের দোকান রয়েছে। এই দোকানেই হানা দিল সিবিআই। এই দোকানটি বেনিয়মে হয়েছিল বলেই অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আকতার আলী। জানা গিয়েছে, দোকানদারের মালিকের নাম চন্দন লোহিয়া।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ও কিছু সংস্থার অফিস মিলিয়ে হচ্ছে এই তল্লাশি। কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করত এই দুজন। এমনকি সরকারি ওষুধ নিয়ে সেগুলিকে রিসাইক্লিং করে সেগুলিকে বাইরে বাজারে বিক্রি করত বিপ্লব আর সুমন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ব্যবসায় তাদের সঙ্গ দিত সন্দীপ ঘোষ।

RG Kar Case: জাস্টিস চেয়ে ফের পথে নাগরিক মঞ্চ! কবে মিলবে বিচার? কটাক্ষ ‘ছাত্রদের নবান্ন অভিযান’কেও!

কলকাতাঃ ‘দফা তিন, দাবি তিন মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিন’- এই স্লোগান তুলে আজ পথে নামল নাগরিক মিছিল৷ রামলীলা পার্ক থেকে মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত হাঁটবেন পথচারীরা। মিছিল শুরু হয় দুপুর ২টো থেকে। মিছিলের ডাক দিয়েছে নাগরিক মঞ্চ। তবে, মিছিলে পা মিলাচ্ছে সকল স্তরের মানুষেরা। নারী চেতনা সংগঠন থেকে ছোট ছোট বাচ্চারাও এই মিছিলে শামিল হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘বিচারের পথে যারা বাধা, তারা থাকলে কী ভাবে কাজে ফিরব?’ প্রশ্ন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের

সিবিআই ও সুপ্রিম কোর্ট সুবিচার দিতে পারবে না বলে সংশয় প্রকাশ করে লিফলেট। ২৭ তারিখ ছাত্রসমাজের নামে নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ। মিছিলের একংশের দাবি যারা নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় তারাই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মালা পরায়। উন্নাও, কাঠুয়াদের ধর্ষকদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করে। তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দেন কেন্দ্র এবং রাজ‍্য সরকারের বিরুদ্ধে।

২৭ তারিখ ছাত্রসমাজের ডাকে নবান্ন চলো অভিযান। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি এবিিভপিকে ধুয়ে দিলেন রিমঝিম সিনহা। যার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে ঘিরে মাঝরাতের দখল নিয়েছিল রাজ্যের মহিলারা। তিনি বলছেন মহিলারা এই সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একটা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির মিছিলে যাতে না নিয়ে যান। ওই মিছিলে আমি হাঁটবো না, সাধারণ মহিলারাও ওই মিছিলে কেউ যাবেন না। সাধারণ মানুষের এই প্রতিবার মিছিলকে হাইজ্যাক করতে চাইছে। শুভেন্দু অধিকারী কি করে জানলেন ওই দিনগুলি চলবে। যারা বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মালা পরায় তাদের এই এই আন্দোলন করার অধিকার নেই।

আরজি কর কাণ্ডকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। যদিও এই ছাত্র সমাজ কোনও দলের ছাত্র সংগঠন নয়। অন্তত প্রকাশ্যে কোনও রাজনৈতিক দলই এর ‘দায় এবং দায়িত্ব’ নেয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সেই অভিযানে তিনি ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর আবেদন, ‘‘সব পরিবার থেকে এক জন করে ওই অভিযানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেখানে যাব। এটা কোনও দলের ডাক নয়। সকলেই বুঝতে পারছেন, সব সমস্যার মাথা মুখ্যমন্ত্রী! তাঁকে বলব, ২৬ তারিখের মধ্যে পদত্যাগ-সহ সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখুন। যাতে ২৭ তারিখ গুলি চালাতে না হয়!’’

RG Kar Doctor Murder Protest: ‘এখনও ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুনের বিচার হল না’, প্রতিবাদে নজির গড়লেন এই বঙ্গরত্ন

আলিপুরদুয়ার: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কোনও রফাসূত্র না মেলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে বঙ্গরত্ন পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট শিক্ষক, লেখক বঙ্গরত্ন পরিমল দে।

রবিবার আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া উপাধি বঙ্গরত্ন ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ শিক্ষক ও লেখক পরিমল দে। জানা যায়, ২০১৯ সালে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে পরিমল দে-র হাতে বঙ্গরত্ন পুরস্কার তুলে দেন জেলার অন্যতম বুদ্ধিজীবী তিনি।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপ-কোটালের জোড়া ফলায় সমুদ্র উত্তাল, আকাশে ঘন কালো মেঘ! তুমুল ঝড়-বৃষ্টির আগে সতর্কতা প্রশাসনের

সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য থেকে শুরু করে সমগ্র দেশ। দোষীদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবিতে দল-মত নির্বিশেষে আন্দোলন করছেন সর্বস্তরের নাগরিক। সেই জায়গায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিমল দে। এদিন জনসমক্ষে তিনি ঘোষণা করেন তাঁর এই উপাধি ফেরত দেওয়ার কথা। এমনকী পুরস্কারের সঙ্গে পাওয়া এক লক্ষ টাকাও তিনি ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ‘দৌড়বাজ’ ASI অনুপের? পরিবার-প্রতিবেশীর দাবি শুনলে চমকে যাবেন!

এই বিষয়ে পরিমল দে জানিয়েছেন, “ঘটনার বহুদিন হয়ে গেল কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তারা এখনও সাজা পাওয়া তো দূরের কথা তাঁদের চিহ্নিত করা গেল না। একটা প্রহসন চলছে, মহিলাদের সম্মান লুন্ঠিত, আমি এই উপাধি ত্যাগ করে আমার প্রতিবাদ জানালাম।”

Annanya Dey