Tag Archives: travel and tourism
Offbeat Travel in North Bengal: উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে অচেনা পাখি আর দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের শোভা, নতুন ঠিকানা হোক অফবিট মাইরুং গাঁও
Murshidabad Tourism: হীরের মত জ্বলজ্বল করে এই ঝিলের জল! সিরাজোদৌল্লার স্মৃতি, ইতিহাসের নিদর্শনকে ঘিরে অজানা গল্প জানলে অবাক হবেন
মুর্শিদাবাদ: হীরাঝিল উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হল হীরাঝিল প্রাসাদের বাঁশ বাগানে। এই বছর হীরাঝিল মনুমেন্টের প্রস্তাবনা উদ্বোধন করা হয়। আগামী দিনে পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হবে ৯১ ফুট উচ্চতার মনুমেন্ট। ফলে নতুন করে গড়ে উঠবে নতুন করে ইতিহাসের পর্যটন কেন্দ্র।
ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে মুকুন্দবাগ অঞ্চলের সতীচৌরাহ মৌজার বাগান পাড়ায় অবশিষ্ট একটি ধ্বংস স্তুপের চিহ্ন পাওয়া গেছিল। প্রাথমিকভাবে সকলের অনুমান সেটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ বা হিরাঝিল প্রাসাদ।
আরও পড়ুন: ‘অভিশপ্ত বাংলো’, ধ্বংস করেছে তিন সুপারস্টারের কেরিয়ার! ৯০ কোটির আলিশান বাড়ির রহস্য জানেন?
ভাগীরথী নদীর তীরে এই মনুমেন্ট তৈরি করা হবে ৩০০ মিটার জুড়ে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মনুমেন্টকে মানুষ মুর্শিদাবাদকে দেখতে পাবেন, আর সেই প্রস্তাবনা উদ্বোধন করা হল শনিবার। উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ মহকুমা শাসক ডঃ বনমালী রায়। ছোটে নবাব রেজা আলি মির্জা।আনুমানিক ১৭৫২ সাল নাগাদ নবাব আলীবর্দী খাঁ, তার নাতি সিরাজোদ্দৌলার জন্য মতিঝিল প্রাসাদের অনুকরণে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলক এর অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল একটি ঝিল, যেই ঝিলের জল সব সময় হীরের মতো চকচক করতো, আর সেই কারণে লোকোমুখে এই স্থানের নাম হয় হীরাঝিল প্রাসাদ।
পলাশীর যুদ্ধের পর কিছুদিন নবাব মীরজাফর আলী খান এই প্রাসাদ ব্যবহার করেছিলেন এবং পরবর্তীতে পলাশীর যুদ্ধের পরে এই প্রাসাদ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে ইতিহাসবিদগণের ধারণা। দীর্ঘদিন পর কয়েক বছর আগে জনসমক্ষে এসেছিল এই হীরাঝিল প্রাসাদ। প্রাসাদের সংরক্ষণের জন্য শুরু হয় আন্দোলন। দীর্ঘ আন্দোলন চললেও সরকারিভাবে এর কোনোরকম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
প্রসাদ সংরক্ষণের দাবীতে তৈরি হয়েছে হীরাঝিল বাঁচাও কমিটি। আর সেই হীরাঝিল বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল হীরাঝিল উৎসব ২০২৪। শনিবার সকাল থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আগামী দিনে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ভাগীরথী নদীর পার বাঁধানো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী সর্মপিতা।
কৌশিক অধিকারী
Howrah News: কলকাতার কাছে চড়ুইভাতি করতে চাইছেন? তবে এই ঠিকানা আপনার জন্য আদর্শ
হাওড়া: সবুজে ঘেরা জেলার অন্যতম পিকনিক স্পট হিসাবে পরিনত হয়েছে উদয়নারায়ণপুরের বড়দা তরুছায়া ইকোপার্ক। নির্ভেজাল প্রাকৃতিক পরিবেশ গাছ গাছালি আর নদীর সৌন্দর্যময় এই স্থান। অল্প দিনে জেলা ছাড়িয়ে দূর দূরান্তের মানুষের বেশ পছন্দের স্থান এটি। এখানে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চড়ুইভাতির জন্য ভিড় জমে মানুষের। এই পার্ক চাকচিক্যে আর পাঁচটা পার্কের মত না হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
পার্কের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদী। পার্কের চারিদিক বড় বড় গাছ, খোলা আকাশ। পার্কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদের জলে নৌকা বিহার করার সুযোগ রয়েছে। প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য এবং নৌকো বিহারের টানে মানুষের আকর্ষণ এই পার্ক। প্রকৃতির কোলে এই পার্ক সাজিয়ে তুলতে তৎপর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। পার্কের সৌন্দর্য বাড়াতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক বছরে দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই পার্ক।
স্থানীয়দের কথায় জানা যায়, শীত পড়লেই শহরের মানুষ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই পার্কে এসে হাজির হয়। হাওড়া বা কলকাতা শহর থেকে যেমন সপরিবারে মানুষজন আসেন পিকনিক করতে। তেমনি অফিস কাছারির থেকেও মানুষ চড়ুইভাতি করতে এখানে আসেন। সহজেই তার জন্য এখানে ক্যাটারিং পরিষেবা পাওয়া যায়। বলা যেতে পারে প্রকৃতির কোলে এই পার্ক একটি মন ভাল করার স্থান। শীতের চড়ুইভাতি ছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্ট বা বসন্ত উৎসবের জন্যও এই স্থানে আসেন মানুষ।
রাকেশ মাইতি