Tag Archives: Weavers

Bengal Weavers: প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি পোশাক পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে, হাল ফিরেছে তাঁতিদের

পূর্ব বর্ধমান: গ্রাম বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি পোশাক পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। শুনতে অবাক লাগলেও আদতে এটাই সত্যি। মার্কিন মূলক, অস্ট্রেলিয়া, চিন সহ আরও বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে এই পোশাক।

কিন্তু কোথায় তৈরি হচ্ছে এই পোশাক? পূর্ব বর্ধমানের প্রত্যন্ত গ্রাম ঘোড়ানাশ, সেখানে তৈরি পোশাক‌ই পৌঁছে যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। কাটোয়ার এই ঘোড়ানাশ গ্রামের জামদানি শাড়ির ভাল কদর রয়েছে। এখানকার শিল্পীদের হাতে তৈরি শাড়ি এখনও বিদেশে পাড়ি দেয়। কিন্তু এবার জামদানি কাপড় দিয়ে তৈরি মহিলাদের অন্যান্য আধুনিক ডিজাইনের পোশাকের চাহিদাও বাড়ছে বিদেশে।

এই প্রসঙ্গে ঘোড়ানাশ গ্রামে তাঁতশিল্পী রাঘবেন্দ্র দাস বলেন, আগে আমাদের শাড়ি এবং স্কার্ফ ছিল। এখনও আছে। তার পাশাপাশি আমরা এখন দুবছর ধরে রেডিমেড পোশাক তৈরি করছি, যেগুলো বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছি। এই পোশাকের এখন ভাল চাহিদা রয়েছে। এক একটা ভাল পোশাক তৈরি করতে প্রায় ১০-১৫ দিন করে সময় লাগে।

আর‌ও পড়ুন: ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, পথেই সব শেষ!

পূর্ব বর্ধমানের এই ঘোড়ানাশ গ্রামে রয়েছে ঘোড়ানাশ সিল্ক খাদি গ্রামোদ্যোগ সমিতি নামে একটি সংস্থা। বর্তমানে এই সংস্থার অধীনেই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক। ঘোড়ানাশ গ্রামের এই সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩০০ জন তাঁতি, ১০০ জন মহিলা এবং ট্রেলারের কাজ জানা প্রায় ৩০ জন যুক্ত রয়েছেন।

বেশ কয়েকবছর আগেও এখানকার তাঁতিদের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। কিন্তু এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে তাঁরাও বর্তমানে ভাল রোজগার করছেন। পুরুষদের পাশাপাশি এখন কাজ পেয়েছেন গ্রামের মহিলারাও। শাড়ির পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে জামদানি কাপড়ের পোশাক তৈরি করতেই ব্যস্ত সকলে।

এই ঘোড়ানাশ গ্রামে মহিলাদের জন্য তৈরি হওয়া পোশাক ৫ হাজার, ১০ হাজার, আবার ১৫ হাজার টাকার‌ও বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে বিদেশে এই পোশাকের দাম হয়ে যায় আরও বেশি। জানা গিয়েছে পোশাকের মধ্যে যে জিজাইন থাকে তা সবই হাতে বোনা হয়। যে কারণেই দাম থাকে অনেকটা বেশি। তবে সমস্ত পোশাক পিওর কটন হওয়ার কারণে এবং আধুনিক ডিজাইন থাকার জন্য বিদেশে ভাল চাহিদা রয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Weavers Crisis: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী মাঠে দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন!

পূর্ব বর্ধমান: নদীর ধারের গ্রাম তামাঘাটা। এখানকার গ্রামবাসীরা কয়েকবছর আগেও সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। কিন্তু লকডাউনের পর পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে তাঁদের জীবন। একটা সময় এই গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে ছিল তাঁতযন্ত্র। পরিবারের সকলে মিলে তাতে কাজ করে বেশ ভালভাবেই কাটাতেন জীবন। সেই সময় গ্রামে প্রবেশ করলেই শুধুই শোনা যেত তাঁত বোনার শব্দ। তবে বর্তমানে সেই সবকিছুই যেন স্মৃতির পাতায়। এখন আর এই গ্রামে শোনা যায় না সেই তাঁত বোনার শব্দ।

একসময় তামাঘাটার তাঁতের শাড়ি ব্র্যান্ড ছিল। কিন্তু করোনা পর্বের পর তাঁতের কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে পেশা বদলেছেন এই গ্রামের বহু বাসিন্দা। এই প্রসঙ্গে গ্রামের উত্তম পাল বলেন, গত ৪০ বছর ধরে তাঁতের কাজ হয়েছে। বর্তমানে তাঁত শিল্প কিছুই নেই, সব বেকার হয়ে গেছে। লকডাউনের পর থেকে শুরু হয়ে এখন আর তাঁতের কিছুই নেই। আগে গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতে তাঁত ছিল। অনেকেই বেকার হয়ে বসে আছেন। তাঁত শিল্প আবার ফিরে এলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে।

আর‌ও পড়ুন: রামনবমীর দিনই ভক্ত হনুমানকে স্মরণ, মঙ্গল কলস নিয়ে কয়েকশো মহিলার শোভাযাত্রা

একসময় এই তামাঘাটা গ্রামের তাঁতিদের জন্য তৈরি হয়েছিল সমবায় সমিতি, তৈরি হয়েছিল ক্লাস্টার প্রজেক্ট। সমবায় সমিতির সাহায্যে এক ছাদের নিচে বসে শাড়ি বুনতেন প্রায় কয়েকশো তাঁত শিল্পী। এখনও এই সমিতি গ্রামে আছে। কিন্তু বর্তমানে এই সমিতির অবস্থা দেখলে চমকে যাবেন। চিত্রটা আগের তুলনায় অনেকটা বদলে গিয়েছে। যে সমিতি একটা সময় তাঁতিদের ভিড়ে গম গম করত, সেখানে আজ বাসা বেঁধেছে পায়রার দল। মাকড়সার ঝুল এবং ধুলোতে ঢেকে গেছে তাঁত তৈরির যন্ত্রগুলো। এই প্রসঙ্গে সমিতির দায়িত্বে থাকা বাদল চন্দ্র কুন্ডু বলেন, আমাদের এই সমিতিতে আগে প্রত্যেক মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার শাড়ির অর্ডার আসত। কিন্তু এখন আর কেউ শাড়ি নিচ্ছে না।

এমনিতেই ভাঙনের কারণে একাধিকবার বাসস্থান বদলাতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। তবুও গ্রামবাসীরা থেমে থাকেননি। তাঁত শিল্পকে আঁকড়ে ধরে জীবনযাপন করছিলেন সকলেই। তবে এখন আর নেই সেই তাঁত শিল্প। তাঁত নেই, শিল্প নেই , কাজও নেই। তাই বাধ্য হয়ে সংসার চালানোর জন্য ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিতে হয়েছে গ্রামের বহু বাসিন্দাকে। আর বাড়িতে বাড়িতে যে তাঁতযন্ত্র ছিল সেগুলোকে কেউ রেখে দিয়েছেন, আবার কেউ বিক্রি করে সেখান থেকে পাওয়া যত সামান্য অর্থ সংসারে খরচ করে ফেলেছেন। গ্রামের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁতশিল্পীকেও এখন মাঠে কাজ করে সংসার চালাতে হয়!

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Weavers Livelihood Crisis: অবাক কাণ্ড! তাঁতিদের তাঁত ঘরে নেই কাপড়, ঝুলছে পেঁয়াজ 

পূর্ব বর্ধমান: লকডাউনের পর থেকে তাঁতের ব্যবসায় মন্দা। আর তাই পেটের টানে তাঁতের কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন এলাকার অধিকাংশ তাঁতি। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কালেখাতলা-১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাবুইডাঙা এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস। অধিকাংশ‌ই তাঁতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লকডাউনের পর থেকে সেই তাঁতের ব্যবসায় মন্দা শুরু হওয়ায় বাধ্য হয়েছেন পেশা পরিবর্তনে। কেউ ধরেছেন ফুলের ব্যবসা, কেউ করছেন চাষাবাদ, আবার কেউ বা পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে।

এই প্রসঙ্গে এক তাঁতি জানান, তাঁর পাঁচটা তাঁত ছিল। বউয়ের গয়না বন্ধক দিয়ে তিনি তাঁত গড়েছিলেন। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে তাঁত পুরো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংসার চালানোর তাগিদেই তিনি অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: নেই পাড়ানি, ১ টাকার নৌকায় পাড়ের কড়ি রেখে যাচ্ছেন যাত্রীরাই

তাঁতের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রাম ছেড়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালানোর জন্য পেটের তাগিদে চলে যেতে হয়েছে অন্য জায়গায়। সবমিলিয়ে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন স্থানীয় তাঁতিরা। এই প্রসঙ্গে আরেক তাঁতি বলেন, এখানে তাঁতের কাজ খুব ভাল চলত। লকডাউনের পর এবং পাওয়ারলুম এসে যাওয়ায় ব্যবসা পুরো শেষ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bengali News: রায়গঞ্জে জমজমাট হস্ত তাঁত শিল্প ও রোজগার মেলা

উত্তর দিনাজপুর: রকমারি জিনিসের পসরা নিয়ে রায়গঞ্জে শুরু হয়েছে জেলা হস্ত তাঁত শিল্প ও রোজগার মেলা। রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে। এই মেলা চলবে আগামী সাতদিন ধরে।

আরও পড়ুন: যেন বালিহাঁসের মেলা বসেছে! কেমন করে খেলছে দেখুন ভিডিও’তে

মূলত জেলার কুটির শিল্পকে তুলে ধরা হবে এই মেলার মাধ্যমে। এখানে এলে দেখতে পাবেন পুরুলিয়া না গিয়েও ছৌ মুখোশ, আবার বাঁকুড়ার টেরাকোটাও মিলবে এখানে। এছাড়াও হাতের তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে বাড়ি সাজাতে যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের কাছে এই হস্তশিল্পের মেলা কিছুটা স্বর্গোদ্যানের মত। হরেক রকমের জিনিস থাকছে মেলায়। এই মেলাতে আরও রয়েছে বেত, কাঠের আসবাবপত্র থেকে ধনিয়াখালি, বালুচরি শাড়ির সম্ভারও। ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েকশো স্টল রয়েছে হস্তশিল্পের মেলায়। ভোজনরসিক বাঙালিদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার সুবিধাও রয়েছে এখানে। এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই রোজগার মেলায় বেশ কিছু স্টল বসিয়েছেন স্বনির্ভর দলের মহিলারাও। যেখানে তাঁরা হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রির করছেন।

পিয়া গুপ্তা